Recent post

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২

whatsapp without save number

 Use https://wa.me/<number> where the <number> is a full phone number in international format. Omit any zeroes, brackets, or dashes when adding the phone number in international format. The pre-filled message will automatically appear in the text field of a chat.

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

বিশ্বকাপের ফাইনাল আবারও খেলার দাবিতে ২ লাখ সই নিয়ে পিটিশন



 আর্জেন্টাইনরা দাবিটা শুনে বলতে পারেন, মামাবাড়ির আবদার! বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আবারও খেলতে হবে কেন? তবে ফ্রান্সের অনেকে কিন্তু সত্যি সত্যিই চান, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আবারও খেলা হোক। এ বিষয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষের সই নিয়ে পিটিশনও করা হয়েছে।

গত রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩–৩ গোলে সমতায় ছিল। এই ম্যাচে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্রান্স সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পোলিশ রেফারি সিমন মার্চিনিয়াকের দেওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে ম্যাচের পর। 


অনেকেই মনে করেন, ওসমান দেম্বেলে দি মারিয়াকে ফাউল করেননি। এরপর ৩৬ মিনিটে দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোলের আগে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন, রেফারি তা দেখেননি—এ নিয়েও যুক্তিতর্ক হয়েছে। তবে ব্যাপারটি এখন আর শুধু যুক্তিতর্কেই সীমাবদ্ধ নেই। 

অনলাইনে পিটিশনের প্ল্যাটফর্ম ‘মেসওপিনিয়নস’–এ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ পুনরায় খেলার দাবিতে একটি পিটিশন করা হয়েছে। পিটিশনের নাম—‘রেফারিকে কিনে নেওয়া হয়েছিল, পেনাল্টিটি হয় না ‍+ দ্বিতীয় গোলের আগে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়। ম্যাচটি পুনরায় খেলার দাবিতে সই করুন।’

‘ইকোনমিক টাইমস’ জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত এই পিটিশনে সইয়ের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। আজ সংখ্যাটা আরও বাড়াই স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ সই পাওয়া শীর্ষ ২০টি পিটিশনের মধ্যে আছে এটি। ৫ লাখ সই টপকে গেলে এই পিটিশন ফরাসি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ সই পাওয়া তিনটি পিটিশনের একটি হবে। পিটিশনে সই করা বেশির ভাগ নাগরিকই ফ্রান্সের এবং মন্তব্যসংখ্যা ৮৫ হাজারের বেশি। 

একজনের মন্তব্য, ‘রেফারি দুর্নীতি করেছে।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘রেফারির আচরণ সন্দেহজনক ছিল।’


হারের জ্বালা সইতে না পেরে ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীরা এর আগেও পিটিশন করেছেন। ১৮ মাস আগে ইউরোর শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স। এই হারের পরও পিটিশন করা হয়েছিল। পিটিশনের দাবি ছিল, কিলিয়ান এমবাপ্পে স্পটকিক নেওয়ার সময় সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমের গোললাইন ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন।




মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২

মেসি নন, সাবেক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের চোখে এমবাপ্পেই সেরা

 



হুগো গাত্তিকে মনে আছে? ১৯৬৬ বিশ্বকাপ দলে থাকলেও আর্জেন্টিনার ‘অটোমেটিক চয়েস’ গোলকিপার তিনি ছিলেন না। তবে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে ষাট ও সত্তর দশকে গাত্তি পরিচিত নাম। আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে। 


‘এল লোকো’ (পাগল) নামে খ্যাতি পাওয়া সাবেক এই গোলকিপার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর লিওনেল মেসিকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছেন, যা শুনে স্বয়ং আর্জেন্টাইনদেরই মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে।


স্প্যানিশ টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রিভার প্লেট, জিমনাশিয়া ও বোকা জুনিয়র্সে খেলা ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই গোলকিপার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে তিনি আনন্দিত। তবে লিওনেল মেসিকে নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেননি গাত্তি।


ফ্রান্সের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মেসির ওপরেই রাখছেন ১৯৮২ সালে আর্জেন্টিনার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারজয়ী গাত্তি। মেসি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে কখনো টপকে যেতে পারবেন না বলেও মনে করেন ১৯৭৭ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলা এই গোলকিপার।


স্পেনের টিভি অনুষ্ঠান ‘এল চিরিনগুইতো’য় হুগো গাত্তি বলেছেন, ‘এটা সত্য যে মেসি ভালো খেলেছে। তবে আমার কাছে এমবাপ্পেই বিশ্বসেরা। তার ভবিষ্যৎও সবচেয়ে ভালো। তবে লোকে বলতে পারে, আমি আর্জেন্টিনাবিরোধী। কারণ, নিজে যা দেখি এবং বুঝি, সেই সত্যই বলি।’


কাতার বিশ্বকাপে ৭ গোল করার পাশাপাশি ৩ গোল করিয়ে ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছেন মেসি। ‘গোল্ডেন বুট’ জিতেছেন ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেও দলকে জেতাতে পারেননি। অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ম্যাচ ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-২ গোলে হারে ফ্রান্স।


গাত্তির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মেসি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছেন কি না? আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়ে অমরত্ব নিশ্চিত করেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেই সাফল্যের ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরে আবার বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা।


গাত্তি উত্তরে বলেছেন, ‘প্রথমত, কেউ পেলেকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না। আর আর্জেন্টিনায় কেউ ডিয়েগোকেও পেছনে ফেলতে পারবে না। আমি জানি না, লোকে এসব মানবে কি না। তবে আমি ফুটবলকে এভাবেই দেখি। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি। যেমন ধরুন, দি মারিয়া দুর্দান্ত খেলেছে। কিন্তু কেউ তাকে নিয়ে কিছু বলছে না।’

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

মেসিরা ড্রেসিংরুমে গান ধরেছিলেন, কী হলো ব্রাজিল!







উদ্‌যাপনটি আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে একরকম প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো শিরোপা জিতলে কিংবা বড় কোনো ম্যাচ জিতলে ড্রেসিংরুমের উদ্‌যাপনে ব্রাজিলকে টেনে আনে আর্জেন্টিনা দল। কাল রাতে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পরও মেসিদের উদ্‌যাপনে ছিল ব্রাজিল দল। গানে গানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের খুঁচিয়েছে আর্জেন্টিনা দল।


লাতিন আমেরিকার এই দুটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস প্রায় সবারই জানা। এবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়। তার আগে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য মুখোমুখি হওয়ার রোমাঞ্চ পেয়ে বসেছিল ফুটবল বিশ্বকে। আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে জায়গামতো পৌঁছে গেলেও ব্রাজিল পারেনি। আর তাই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে হয় ক্রোয়েশিয়ার।




সেই সেমিফাইনালে কাল রাতে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। এরপর ড্রেসিংরুমে মেসি-আলভারেজদের উদ্‌যাপনে ব্রাজিলের প্রসঙ্গ উঠে আশা অস্বাভাবিক নয়। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা চিরকালীন বলেই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খোঁচানোর সুযোগ ছাড়েনি লিওনেল স্কালোনির দল।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, সেমিফাইনাল জেতার কিছুক্ষণ পর আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে এসে উদ্‌যাপন শুরু করেন। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দি ইনস্টাগ্রামে এই উদ্‌যাপনের ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে ব্রাজিলকে খুঁচিয়ে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের বানানো একটি গান গাইতে দেখা যায় মেসিদের। আর্জেন্টাইন ফুটবলে গানটি পরিচিত এবং সাফল্য পাওয়ার পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের উদ্‌যাপনে এই গান বেশ কয়েকবার গাওয়া হয়েছে।


গানের কিছু লাইনের বাংলা অর্থ তুলে দেওয়া হলো, ‘ব্রাজিলিয়ানরা, কুঁকড়ে যাওয়া পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, কী হলো? / মেসি রিওর উদ্দেশে যাত্রা করে কাপটা রেখে দিল/ আমরা আর্জেন্টাইনরা, সব সময়ই প্রেরণাদীপ্ত থাকব/চোখে যে আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন/আমরা আর্জেন্টাইন, ম্যারাডোনাকে ও মালভিনাসকে (ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ) ভুলে যাইনি/ আমরা এমনই, তোমাদেরও প্রেরণা দিই, আর্জেন্টিনাকে সব জায়গায় অনুসরণ করি।’

‘মার্কা’ জানিয়েছে, এই গানের দ্বিতীয় অংশ মাঠেই সমর্থকদের সঙ্গে গেয়েছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা গান ধরেছিলেন। টিভিতে দেখা গেছে, তখন সমর্থকদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন আনহেল দি মারিয়ারাও।


রেফারি দানিয়েল ওরসাতো শেষ বাঁশি বাজানোর পর গানের আওয়াজে গমগম করছিল স্টেডিয়াম। সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জয়ের পর নিজেদের উদ্‌যাপনেও ব্রাজিলকে খুঁচিয়ে গান গেয়েছেন মেসিরা।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে?





সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে? এই প্রজন্মের মুখে অবশ্য সেরার প্রশ্নে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির নামটাই বেশি শোনা যায়। তবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা পেলে, একক কৃতিত্বে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কিংবা ফ্রান্সের অতৃপ্তি ঘোচানো জিনেদিন জিদানের নামও এই তালিকায় সামনের দিকেই রাখতে হয়।

তাই এই বিতর্কের আসলে কোনো শেষ নেই। তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনির কাছে সর্বকালের সেরা নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তাঁর কাছে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার।


লুসাইল স্টেডিয়ামে কাল রাতে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেসি নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেনও। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন মেসি। বিশ্বকাপে মেসির গোলের সংখ্যা এখন ১১ টি। এ ছাড়া গতকাল আলভারেজকে করানো গোলের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ‘অ্যাসিস্ট’দাতাও হয়েছেন মেসি। মেসি ও ম্যারাডোনা দুজনেরই অ্যাসিস্ট (গোল বানানো) ৮টি।


এমন মেসিময় এক রাত শেষে স্কালোনি যেন নিজের শিষ্যের প্রশংসা করতে একটুও কার্পণ্য করেননি, ‘ মেসি যে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার এটা নিয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকেই ভাবতে পারেন আমরা আর্জেন্টাইন বলে হয়তো কথাটা বলি। কিন্তু আসলে তা না। যখনই সে মাঠে নামে কোনো না কোনো সুযোগ তৈরি করবে। তাকে খেলতে দেখা তার সতীর্থ, আর্জেন্টাইন সমর্থক, পুরো বিশ্বের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা। তাকে কোচিং করাতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’

লিওনেল স্কালোনির হাত ধরেই শিরোপাখরা ঘুচিয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার বিশ্বকাপ জেতার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর দ্বারপ্রান্তে তারা। এমন এক অর্জনের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি স্কালোনি, ‘ আবেগপ্রবণ না হওয়ার চেষ্টা করছি আমি তবে তা কঠিন। ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। একজন আর্জেন্টাইন হিসেবে এই স্বপ্নটাই দেখেছি। পরাজয়েও আর্জেন্টাইনরা আমাদের পাশে ছিল। এটা আসলে ভুলে যাওয়ার মতো না।’



মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২

স্বাস্থ্যের জরুরি কেনাকাটায় ১৯৩ কোটি টাকার অনিয়ম



করোনা মহামারির শুরুতে জরুরি সুরক্ষাসামগ্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কেনাকাটায় ১৯৩ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে। মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই অনিয়ম উঠে এসেছে। এ–সংক্রান্ত নিরীক্ষা আপত্তি নিয়ে গতকাল রোববার সরকারি হিসাবসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়। কমিটি কেএন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে তদন্ত এবং অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তি করে সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে।




সংসদীয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার ১১২ কোটি টাকার (কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট) প্রকল্প গ্রহণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রথম অর্থবছরের যেসব নিরীক্ষা আপত্তি এসেছে, তার মধ্যে ১২টি নিষ্পত্তি হয়নি।


নিরীক্ষায় একটি আপত্তিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই), মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস সরবরাহের জন্য মেসার্স জাদিদ অটোমোবাইলস জেএআইয়ের সঙ্গে ২০২০ সালের ১৯ মে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকার চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি দেড় লাখ কেএন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করার কথা। এর মধ্যে সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) ২৪ হাজার মাস্ক ভেজা অবস্থায় গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মাস্ক ৫২০ টাকা হিসাবে এখানে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এই আপত্তির জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সিএমএসডিতে মাস্কগুলো নেওয়ার সময় কোনো মাস্ক ব্যবহার অযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়নি। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা করে মাস্কের গুণাগুণ সম্পর্কে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে। তবে তাদের এই বক্তব্য গ্রহণ করেনি নিরীক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিবেদনে বলা হয়, জবাবের সঙ্গে সংযুক্ত প্রামাণিক চালানের কপিতে ‘সিএমএসডি কর্তৃক রিসিভসংক্রান্ত মন্তব্য অংশ’ ঘষামাজা করে মুছে ফেলা হয়েছে। পরীক্ষা প্রতিবেদনের সংযুক্তিও পাওয়া যায়নি।

আরেকটি আপত্তিতে বলা হয়, চুক্তির চেয়ে দুই হাজার কম মাস্ক সরবরাহ করেছে। প্রতিটি মাস্কের দাম ৫২০ টাকা হিসাবে ক্ষতি হয়েছে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, জাদিদ অটোমোবাইলস চুক্তি অনুযায়ী দেড় লাখ মাস্ক সরবরাহ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিরীক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, চালানের কপিতে সিএমএসডি কর্তৃক প্রাপ্তিস্বীকারসংক্রান্ত মন্তব্য অংশ ঘষামাজা করে মুছে ফেলা হয়েছে। পুরোনো চালান ঘষামাজা করে মালামাল গ্রহণের প্রমাণক দেওয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের তিনটি প্যাকেজে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ লাখ পিপিই ও ৩ লাখ ১০ হাজার মাস্ক এবং ১ হাজার ৫৫০ থার্মোমিটার কেনা হয়। কিন্তু বিতরণের নথিতে দেখা যায়, ১ লাখ ৮৪ হাজার পিপিই, প্রায় ৩ লাখ মাস্ক এবং ৬৫০টি থার্মোমিটার বিতরণের কোনো প্রাপ্তিস্বীকারপত্র নেই। এতে মোট ৩২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার গরমিল রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, দেশব্যাপী কুরিয়ারের মাধ্যমে এসব পাঠানো হয়। তবে নিরীক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, প্রমাণ হিসেবে কুরিয়ার সার্ভিসের যে চালান দেওয়া হয়েছে, তাতে মালামাল গ্রহণ ও বিতরণের বিষয় যথাযথভাবে সন্নিবেশিত ও কর্তৃপক্ষের সই নেই।




পৃথক আপত্তিতে বলা হয়, অযোগ্য ও অনভিজ্ঞ সরবরাহকারীর কাছ থেকে ৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকার সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হয়েছে। যারা গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ এবং কম্বল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ৪৭ কোটি টাকার সামগ্রী অব্যবহৃত ফেলে রাখা হয়। একই প্রকৃতির চিকিৎসাসামগ্রী একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দরে কেনায় ক্ষতি হয় ১৭ কোটি টাকা। সরকারি ক্রয়নীতি লঙ্ঘন করে প্রায় ১১ কোটি টাকার কাজ জামানত ছাড়াই চুক্তি করা হয়। ৬ কোটি টাকার বেশি অনিয়মিত ব্যয় হয় মোবাইল অ্যাপ, টিভিক্লিফ, সফটওয়্যার তৈরির কাজে। সরবরাহকারী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় চুক্তি মোতাবেক বিলম্ব জরিমানা ছাড়াই বিল পরিশোধ করায় ৪ কোটি টাকার বেশি সরকারের ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা দরের চেয়ে বেশি দামে চিকিৎসাসামগ্রী কেনায় সরকারের পৌনে ৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এই বিষয়ে সরকারি হিসাবসংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজীর বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গতকাল বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবহার অনুপযোগী ও পরিমাণে কম মাস্ক সরবরাহের বিষয়টি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত এবং অযোগ্য সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে কমিটি করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে যে চিত্র উঠে এসেছিল, সিএজির প্রতিবেদন সেটাই প্রমাণ করছে। নিরীক্ষা আপত্তির অর্থ এই নয় যে অনিয়ম হয়ে গেছে। তবে অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা যদি সন্তোষজনক না হয়, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


প্রথম দিনেই টাকা ধার নিল ৫ ইসলামি ব্যাংক




হঠাৎ তারল্য–সংকটে পড়েছে দেশের ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলো। 
সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংককে টাকা ধার দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। গত সোমবার পরিপত্র জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংক পাঁচটি হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। 
সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্যাংক পাঁচটি একই গ্রুপভুক্ত।

বাংলাদেশে ১০টি ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সাম্প্রতিক অস্থিরতায় ব্যাংকটির আমানত প্রতিদিন কমছে।
সোমবার ব্যাংকটির আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকায়। গত ৩১ অক্টোবর ব্যাংকটির আমানত ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ২৭২ কোটি টাকা।


ইসলামি ধারার সব ব্যাংককে এত দিন টাকা ধার দিয়ে আসছিল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। তবে ইসলামী ব্যাংক এখন টাকার জন্য অন্য ব্যাংকের কাছে যাচ্ছে। এর ফলে ইসলামি ধারার অন্য ব্যাংকগুলোও হঠাৎ তারল্য-সংকটে পড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার ইসলামি ব্যাংকগুলোকে তারল্য–সুবিধা দিতে পরিপত্র জারি করে। সেদিন থেকেই তা কার্যকর হয়। এ সুবিধার আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো সুকুক (শরিয়াহ্‌ভিত্তিক বিনিয়োগ বন্ড) জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গতকাল ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে চার হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ টাকা আজ বুধবার ব্যাংকগুলোর হিসাবে যুক্ত হবে।




জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, সুকুকের বিপরীতে প্রথম দিনে চার হাজার কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সুকুকের বিপরীতে প্রয়োজনমতো টাকা নিতে পারবে ইসলামি ব্যাংকগুলো।

রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে।





বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বলেছেন ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে। 
এ জন্য তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দায়ী করেন। “গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনার দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। 
ওরা মিথ্যা কথা বলে, এটা ওদের অভ্যাস। গুজবটা সত্য কি না সেটা দেখবেন,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ব্যাংকে টাকার কোন সংকট নেই। যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে যাচ্ছে তাদের সবাই টাকা তুলতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে না রাখার জন্য সতর্ক করে দেন শেখ হাসিনা।
 “টাকা তুলে এনে ঘরে রাখবেন, বালিশের নিচে তোষকের নিচে রাখবেন, না হয় আলমারিতে রাখবেন। তখন সে টাকা তো চোরেও নিয়ে যেতে পারে।”

 চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে শেখ হাসিনা প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য দেন।
 বক্তব্যে তার সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি ছিল বিরোধী বিএনপির সমালোচনা।




শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এই সমাবেশ এমন এক সময়ে করলেন যখন আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। সমাবেশ করার জন্য বিএনপি ১০ই ডিসেম্বর তারিখটি কেন বেছে নিয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। 
শেখ হাসিনা বলেন, “১০ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। .... অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয় সে ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির প্রিয় একটা তারিখ।” “বোধ হয় হানাদার বাহিনীর পদ-লেহনকারী দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি ঢাকা শহর দখল করবে আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে। বিএনপি বলছে তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না। 
চট্টগ্রাম সমাবেশে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।




দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পরে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিলেন। 
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করার জন্য গত এক সপ্তাহ যাবত চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক মাইকিং হয়েছে। এছাড়া পুরো শহর পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে।
 চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলো থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শত শত বাস এবং অন্যান্য বাহনে করে চট্টগ্রাম শহরে আসে। 
এই সমাবেশ যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য রবিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল সীমিত করে দেয় পুলিশ। এজন্য আগে ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। সমাবেশ যাতে ঠিকমতো সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসন এবং পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।
 এই পোলোগ্রাউন্ড মাঠে দুইমাস আগে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন বিএনপির তুলনায় তাদের সমাবেশে লোকসমাগম বেশি হয়েছে। 
এসব সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে বুঝিয়ে দিতে চায় যে তারাও রাজপথে সক্রিয় আছে।

দেশের সরকার  যেখানে দেশে অপরাধ মুক্ত করার কথা সেখানে চুরি হবার ভয় দেখানোকে আপনি কিভাবে দেখছেন - কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। 


মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২

প্রবাসীদের ব্যাংক একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক





চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।
 দেশের যেকোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না খুললে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে না, এমন তথ্যের ভিত্তি নেই।

রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহীদুল আলম।



তিনি জানান, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে গেটওয়ে করা হয়েছে। ওখানে যেকোনো ব্যাংকের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে। তবে বিদেশ গেলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার, যাতে কর্মীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। এখানে কোনো ব্যাংকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।


সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক প্রচার পায়। একটি প্রচারণায় বলা হয়, ‌‘বিদেশ যেতে হলে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকে (সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক) অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। যদি কারও ওইসব সরকারি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে না।’



এ বিষয়ে বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম জানান, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে গেটওয়ে করা হয়েছে। ওখানে যেকোনও ব্যাংকের মাধ্যমে ফি দেওয়া যাবে। এতে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।

তবে বিদেশ গেলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার, যাতে কর্মীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। অ্যাকাউন্ট না থাকলে বিদেশে যাওয়া যাবে না।
 এখানে সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংকের কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি।
বিদেশ যেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।


 তবে এই একাউন্ট দেশের যেকোনো ব্যাংকে খোলা যাবে।
 কিছুদিন হলো নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট না থাকলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাবে না, এমন তথ্যে বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন প্রবাসগামী চাকরি প্রার্থীরা।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২

'মেসি মোমেন্ট' আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে টিকিয়ে রাখলো

আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মনে বিশ্বকাপ নিয়ে যত আশা - তার সিংহভাগই ছিল লিওনেল মেসিকে ঘিরে।
বিশগজ দূর থেকে গোল করলেন সেই মেসিই - এমন এক মুহূর্তে, যখন আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা নির্ভর করছিল নানা সমীকরণ আর নানা 'যদি'ও ওপর।



কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেসি আর ফার্নন্দেজের দুই গোলের সুবাদে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মেক্সিকোকে ২- ০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনা পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে।

সৌদি আরবের কাছে স্মরণকালের সবচেয়ে আলোচিত এক ম্যাচে ২-১ গোলে হারা আর্জেন্টিনা এখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েও দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারে, যদি তারা পোল্যান্ডকে হারায়।

মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছিল চাপে।

মেক্সিকান ফুটবলাররা গতি আর প্রেসিং ফুটবলের পসরা সাজিয়ে প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছে বেশ কয়েকবার।

আর্জেন্টিনার পায়ে বল বেশি ছিল, কিন্তু মেক্সিকান রক্ষণভাগে ঢুকতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে লিওনেল মেসি আর আনহেল ডি মারিয়াদের।


বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভের ধারাভাষ্যকার ক্রিস সাটন বলেন, "আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠতেই হবে। এতে কোনও দ্বিধা নেই যে আক্রমণভাগ নিয়ে আর্জেন্টিনা এসেছে বিশ্বকাপে তা দুর্দান্ত - কিন্তু তারা যথাযথ ফল পাচ্ছে না।"

আর্জেন্টিনার চেয়ে মেক্সিকোর আশাই বেশি দেখছিলেন তখনও পর্যন্ত বিশ্লেষকেরা।
অন্তত ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত এমনই মনে হচ্ছিল।
ঠিক তখন আসে এমন এক মুহূর্ত, যাকে ধারাভাষ্যকাররা বলছেন 'মেসি মোমেন্ট' - মেসির 'জাদুকরী' বাঁ পা থেকে ২০ গজী এক শট গোলবারের বাঁ দিক দিয়ে জালে জড়ালো, যেন এক গোলে আর্জেন্টিনার গোটা বিশ্বকাপ চাঙ্গা হয়ে উঠলো।

ক্রিস সাটন বলেছেন, গোলকিপার সুযোগই পায়নি এখানে, মেসি যেন অপেক্ষা করেছিলেন কখন তার জায়গা মতো বল পাবেনএবং এমন একটা মুহূর্ত তৈরি করবেন।

বিবিসির চিফ ফুটবল রাইটার ফিল ম্যাকনাল্টি লিখেছেন, "আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে শাসন করছিল - কিন্তু মেসির ওমন একটা মুহূর্ত দরকার হতোই। কী দারুণ গর্জন করে উঠলো গোটা স্টেডিয়াম। মেসির আবেগটাও দেখার মতোন ছিল।"



লিওনেল মেসি এখন ডিয়েগো ম্যারাডোনার সমান বিশ্বকাপে আট গোলের মালিক।
দুজনই সমান ২১ ম্যাচ খেলে ৮ গোল দিয়েছেন।
আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দশ গোল দিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্ততা।



লিওনেল মেসির এই গোলের পরে মেক্সিকোকে আর ম্যাচে পাওয়া যায়নি।
মনে হয়েছে, মেক্সিকো নিজেদের পরিকল্পনার বাইরে খেলছে।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি দ্রুত কয়েকটি পরিবর্তন করে মেক্সিকোর দলটিকে আরও অস্থিরতায় ফেলে দেন।

ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে এঞ্জো ফার্নান্দেজ দারুণ এক বাঁকানো শট থেকে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোল এনে দেনএঞ্জো ফার্নান্দেজের ফিনিশিং 'অবিশ্বাস্য' বলছেন ক্রিস সাটন ।

ডান পায়ের শট, একদম জায়গামতো যেখানে তিনি চেয়েছেন সেখানেই জালে জড়িয়েছে।


প্রথমার্ধে পরিসংখানে আর্জেন্টিনার বলার মতো গোলে শটই ছিল না, দ্বিতীয়ার্ধে দুই শটে দুটিই গোল করেছে আর্জেন্টিনা।

লিওনেল মেসি নিজের ঘোষিত শেষ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার আশা টিকিয়ে রাখলেন সমর্থকদের জন্য জাদুকরী এক মুহুর্ত উপহার দিয়ে।




নেইমার-বিহীন ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ আজ আরো 'অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী' সুইজারল্যান্ড Qatar world cup 2022 Brazil VS Switzerland




কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ড।
স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ এই ম্যাচটি আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে।
দুই দলের জন্যই এটা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ।


দুই দলই এই ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা নিশ্চিত করতে পারে। ব্রাজিল নিজেদের প্রথম ম্যাচ সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে, সুইজারল্যান্ড ক্যামেরনকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল প্রথম ম্যাচে।

এই ম্যাচে নজর থাকবে রিচার্লিসনের ওপর

সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে আলোচনায় আছেন স্ট্রাইকার রিচার্লিসন। গোটা ম্যাচে এই ফুটবলার তেমন পায়ে বল পাচ্ছিলেন না, প্রথমার্ধে একবার ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন রিচার্লিসনকে টেলিভিশন পর্দায় দেখাই যাচ্ছে না।
সেই রিচার্লিসনের করা গোল বারবার দেখালো টিভিতে, পত্রিকায় তার বাইসাইকেল কিকের বড় করে ছবি ছাপানো হলো পরের দিন, সোশাল মিডিয়ায় তার জীবনের গল্প বলে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

রিচার্লিসন এখন ব্রাজিলের সেই তারকা যিনি বিশ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছেন, সেবার ব্রাজিল তো বটেই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম্বার নাইন- রোনালদো জোড়া গোল করেছিলেন- সেটা অবশ্য বিশ্বকাপের ফাইনালে- জার্মানির বিপক্ষে। রিচার্লিসনের কাছে সমর্থকরা এখন এমন আশাই করেন।


ব্রাজিল দলের জন্য প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এসব আসলে উপলক্ষ্য মাত্র, বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় ছাড়া ব্রাজিলের কোনও প্রাপ্তিই তৃপ্ত করবে না, পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সমর্থকদের।


নেইমারের জায়গায় কে খেলবেন


ব্রাজিলের অধিনায়ক নেইমার থাকছেন না গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে।
এই খবর পুরনো। কিন্তু প্রশ্ন হবে কে খেলবেন নেইমারের জায়গায়?
নেইমারের ইনজুরি ব্রাজিলের জন্য সবসময়ই খারাপ খবর, গত এক দেড় দশকে ব্রাজিলে নেইমারের চেয়ে বড় তারকা কেউ আসেননি।

ব্রাজিলের মাটিতে ২০১৪ সালে নেইমার পিঠে চোট পেয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে, সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর গোটা ব্রাজিল দল বিমর্ষ হয়ে পড়েন। সেই সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ব্রাজিলের অবস্থা ছিল অবিস্মরণীয়- ৭-১ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল, তাও ব্রাজিলেরই মাঠে বেলো হরিজন্তে স্টেডিয়ামে।


রাশিয়াতে ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপেও নেইমার পুরোপুরি ফিট ছিলেন না, গোটা বছরই পায়ের পাতার একটি হাড় মেটাটারসালে চোট নিয়ে খেলেছেন।
এই চোটের রেশ প্রায় ২০২০ পর্যন্ত ছিল।
নেইমার আরও একবার বাদ, এবার গোড়ালির চোটে।


কিন্তু এবারের ব্রাজিলের স্কোয়াড আট বছর আগের স্কোয়াড থেকে শক্তিশালী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডে খেলা ব্রুনো গুইম্যারেজ দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন, তিনিই সম্ভবত সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেইমারের জায়গায় খেলবেন।

গুইম্যারেজ পুরোদস্তুর মিডফিল্ডার। নেইমারও সার্বিয়ার বিপক্ষে তার ফরোয়ার্ড রোল ছেড়ে খানিকটা নিচে নেমে এসে খেলেছেন।

গুইম্যারেজের জন্য নেইমারের জায়গা নেয়াটা তুলনামূলক সহজ হবে।

তার জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জও, হঠাৎ করে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ব্রাজিলের কোচ তিতে তার ওপর সামনেও ভরসা রাখতে পারেন।

তিতের আরেক পছন্দের মিডফিল্ডার হলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ফ্রেড।

ফ্রেড খানিকটা রক্ষণাত্মক তবে তার আরেকটা প্লাস পয়েন্ট হলো তিনি ক্লাবে ক্যাসেমিরোর সাথে জুটি বেঁধে খেলেন।

সার্বিয়ার বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে ফ্রেড খানিকটা ঝলক দেখিয়েছেন।

দূরপাল্লার একটি শট পোস্টে লেগে ফেরত এসেছিল।

ফ্রেড খুব সৃজনশীল ফুটবলার নন, কিন্তু তার কর্মক্ষমতা অনেক।

মাঠের দুই দিকেই ফ্রেডের অংশগ্রহণ থাকে চোখে পড়ার মতো।
রদ্রিগোকেও খেলাতে পারেন তিতে, রদ্রিগো রেয়াল মাদ্রিদের হয় নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
বড় ম্যাচে তিনি পারফর্ম করেছেন। তুরিনে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল ব্রাজিল।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ওই তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে নেইমারের জায়গায় রদ্রিগো খেলেছেন।

ব্রাজিলের উইঙ্গার অ্যান্টনি ও মিডফিল্ডার লুকাস পাকোয়েতাও অনিশ্চিত সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে।

সুইজারল্যান্ড ব্রাজিলের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ
ব্রাজিল ২০১৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ১৬-তে উঠেছিল ঠিক।
কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তাদের হারাতে পারেনি ব্রাজিল, ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচটি।
সুইজারল্যান্ডের তারকা ফুটবলার জার্দান শাকিরি বলেছেন, এবার আরও অনেক বেশি অভিজ্ঞতা ও শক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে সুইজারল্যান্ড।
শাকিরির জন্য এটা চতুর্থ বিশ্বকাপ।
চার বছর আগের সেই ড্রকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন শাকিরি।

“আমরা জানি আমরা কী পারি আমরা সে অনুযায়ী উন্নতি করছি। আমাদের এখন দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা বড় বড় দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি।”

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২

Watch Live Qatar world cup 2022

 To watch live Qatar football world cup 2022 Please wait Loading website bellow and Choose FIFA Live . Make sure you have stable internet connection. 

সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২

আর্জেন্টিনার মেসির জীবনের শেষ ম্যাচ আজ

সকালে সাংবাদিকদের চমকে দিয়ে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলনে দেখা দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সন্ধ্যায় লিওনেল মেসিও কি আসবেন? মুখে মুখে এ আলোচনা। যদিও কাতারের সময় কাল বিকেল সাড়ে চারটায় এই লেখা শুরু করার সময়ও নিশ্চিত কোনো খবর নেই। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক ও কোচের আসাটা মোটামুটি নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে অধিনায়কের আসাটা বাধ্যতামূলক কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেল না।


লিওনেল মেসি আসবেন কি আসবেন না, এ ব্যাপারে অনিশ্চয়তা ছিল (শেষ পর্যন্ত অবশ্য এসেছেন)। তবে একটা ব্যাপারে সবাইকে নিশ্চিত দেখলাম। মেসি যদি আসেনও, সেই সংবাদ সম্মেলন সুশীল কথাবার্তাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। মাঠে যতই বিধ্বংসীরূপে দেখা দেন না কেন, মাঠের বাইরে রোনালদোর মতো বিস্ফোরক কিছু বলার স্বভাব তাঁর কখনোই ছিল না। জীবনের শেষ বিশ্বকাপ শুরুর আগে তো আরও বলবেন না।

প্রচারের আলো তাঁকে সব সময়ই খুঁজে ফিরলেও লিওনেল মেসি সারা জীবনই যেন একটু আড়াল খুঁজে এসেছেন। এই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ চেনে, এমন চার-পাঁচটি নামের তালিকা করতে গেলেও তাঁর নামটা আসবে। কিন্তু এত বছর পাদপ্রদীপের আলোয় থাকার পরও তাতে যেন মেসির একটু অস্বস্তিই লাগে। সুযোগ পেলেই তাই নিভৃতি খোঁজেন। কাল বিকেলে আর্জেন্টিনার প্র্যাকটিস সেশনটাকেও তার আরেকটা প্রমাণ বলে ধরা যায়!

সৌদি আরবের বিপক্ষে এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ আজ, যা শুরু হবে কাতারের সময় বেলা একটায়। গত দুই দিন সন্ধ্যার পর একটু শীত-শীত লাগলেও দুপুরের রোদ এখনো গা পুড়িয়ে দেয়। সেই রোদে পুড়ে খেলতে হবে বলেই হয়তো আর্জেন্টিনার ম্যাচ-পূর্ব অনুশীলনটা শুরু হলো দুপুরে। তবে অকারণ শক্তিক্ষয় করতে না চেয়ে পরদিনের ম্যাচ শুরুর সময়ে নয়, মোটামুটি শেষের সময়ে। বিকেল তিনটায়।

এই বিশ্বকাপে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘাঁটি গেড়েছে আর্জেন্টিনা। থাকা-খাওয়ায় পাঁচ তারকা হোটেলের সুযোগ-সুবিধাই মিলছে। বাড়তি পাওয়া যাচ্ছে খোলামেলা পরিবেশ, পাশেই বিশাল মাঠ, হোটেলের শৃঙ্খলার বদলে নিজেদের মতো সময় কাটানোর সুযোগ।

সাংবাদিকেরা অবশ্য ১৫ মিনিটই শুধু আর্জেন্টিনার অনুশীলন দেখার সুযোগ পেলেন। তা দেখতেই এক শর বেশি সাংবাদিকের ভিড়। আর্জেন্টাইনদেরও সংখ্যাধিক্য থাকবে স্বাভাবিক, তবে অন্য দেশেরও খুব কম নয়। যাঁদের অনেকেই পেশাদারত্বের দায় ভুলে দাবি করলেন, এত দূরে ছুটে যাওয়া শুধুই চর্মচক্ষে লিওনেল মেসিকে দেখবেন বলে। মেসি চলে যাওয়ার পরও আর্জেন্টিনা দলের অনুসারী থাকবে। তবে যত দিন তিনি আছেন, তত দিন আর্জেন্টিনা মানেই মেসি।


সাংবাদিকদের ক্যামেরা, সাংবাদিকদের চোখ যে তাঁকেই খুঁজে ফিরছে, মেসির তা জানা না থাকার কোনো কারণ নেই। মেসির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বোঝাতে যে আড়াল খোঁজার কথা বলছিলাম, হতে পারে তা ঘটনাচক্রেই এখানে মিলে যাচ্ছে। তবে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা গোল হয়ে ‘‌চোর-চোর’ খেলার সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরা আর চোখ যে বলতে গেলে একবারও মেসিকে সামনাসামনি দেখতে পেল না, সেটার কারণ তো এটা হতেই পারে। মাঠের যে পাশটা সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত, মেসি যে সেদিকে পেছন ফিরে দাঁড়িয়েছেন।

প্রথমে বল নিয়ে যে যার মতো একটু খেলার পর গা গরম করার দৌড়। এরপর ওই চোর-চোর খেলা। সাংবাদিকেরা দেখার সুযোগ পেলেন ওটুকুই। নির্ধারিত ১৫ মিনিট যে ওখানেই শেষ।

খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা থেকে তাঁদের মানসিক অবস্থা বুঝে নেওয়ার একটা চেষ্টা থাকে সাংবাদিকদের। ওইটুকু সময় দেখে যা করতে যাওয়া একেবারেই অর্থহীন। সিরিয়াস অনুশীলন শুরুর আগে ওই হালকা মেজাজের সময়টাতেও মেসিকে একবারও হাসতে না দেখাটাকে অবশ্য চাইলে ইঙ্গিতবহ মনে করাই যায়। কেউ তো লিখে (বা বলে) দিতেই পারেন, এবার না হলে আর কোনো দিনই নয়—এই চাপ অনুভব করতে শুরু করেছেন লিওনেল মেসি।

মিনিট ১৫ দেখে এমন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া হাস্যকর। তবে এটা অনুমান করতে মেসিকে দেখারই-বা কী দরকার! ফুটবল খেলে যা কিছু জেতা সম্ভব, সবই জিতেছেন। বাকি শুধু বিশ্বকাপ। সর্বকালের সেরা নিয়ে আলোচনায় অবধারিতভাবেই তাঁর নামটা আসে। অনেকের চোখে পেলে আর ম্যারাডোনার সঙ্গে পার্থক্যও গড়ে দেয় এটাই। ওই দুজন বিশ্বকাপ জিতেছেন, মেসি জিততে পারেননি। ক্যারিয়ারের একমাত্র এই অতৃপ্তি ঘোচানোর শেষ সুযোগের চাপ বোধ না করলে বলতে হবে, মেসি রক্ত-মাংসের মানুষ নন।


২০০৬ বিশ্বকাপে তিনি দলের তরুণ এক সদস্য। যে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে আর্জেন্টিনার বিদায়, সেই কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামারই সুযোগ পাননি। পরের চারটি বিশ্বকাপেই এসেছেন দলের প্রাণভোমরা হয়ে, চোখে স্বপ্ন নিয়ে। যে স্বপ্নের সবচেয়ে কাছ থেকে ফিরে আসার স্মৃতি নিশ্চয়ই অহর্নিশ পোড়ায় তাঁকে। মারাকানার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্বপ্নভঙ্গের পর হতাশ-বিষণ্ন-ভেঙে পড়া মেসির বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ নিতে যাওয়ার দৃশ্যটার মতো করুণ কিছু ফুটবল খুব বেশি দেখেনি।

বিশ্বকাপ ফাইনালে পরাজয়ের পর এর চেয়েও আবেগময় দৃশ্য অবশ্য দেখা গেছে। ১৯৯০ ফাইনালে বিতর্কিত পেনাল্টিতে হারার পর মাঠে হাপুস নয়নে কেঁদেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। যে ম্যারাডোনার সঙ্গে মেসির নিত্য তুলনা, সেই ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর এটা প্রথম বিশ্বকাপ। নিয়তি কি তাহলে কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে?

শুধু মেসির কারণেই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপজয়ী দেখতে চান, এই পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা অগণ্য। মেসি তো অবশ্যই সেই স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন, যদিও মুখে ফেবারিট হিসেবে আর্জেন্টিনার নামটা বলেনইনি। বলেছেন ব্রাজিল, ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের কথাই। হয়তো নিজেদের ওপর থেকে চাপ কমাতেই। কিন্তু তাতে কি আদৌ তা কমে!

প্রতিটি ম্যাচেই এই বিষম চাপ সঙ্গী করে নামবেন মেসি। ফুটবল দলীয় খেলা হতে পারে, কিন্তু এই বিশ্বকাপে এসে আর্জেন্টিনা যেন আরও বেশি করে মেসিতে বিলীন। জিতলে মেসি জিতবেন, হারলেও মেসি। আর্জেন্টিনা নিমিত্তমাত্র।


শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২

শীতের আগে সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়



নভেম্বর আসছে মানে হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। 
এই সময়ে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। কারণ একটা সময় অনেক ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে আবার কিছুক্ষণ পরেই ভীষণ গরম লাগতে পারে। 
তাপমাত্রার এই ওঠানামা, হঠাৎ বৃষ্টি এসব দেখতে সুন্দর মনে হতেই পারে তবে এখানেই শেষ নয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে নানা রকম অসুখের ভয়ও।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখা জরুরি। 
কারণ এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সামান্য দুর্বল হলেও দেখা দিতে পারে সর্দি কাশি। সিজনাল সর্দি-কাশি বছরের এই সময়ে এবং এপ্রিল মাসের দিকে বেশি দেখা দেয়।
 এই দুই সময়ে আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন আসে। এসময়ে জ্বর, মাথা ব্যথা অথবা সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। 
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হলে তা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন-



গাজরের স্যুপ
গাজর আমাদের চোখের দৃষ্টি বাড়ানোর জন্য পরিচিত। কিন্তু এছাড়াও এর আরও অনেক গুণ রয়েছে। গাজরে থাকা ভিটামিন এ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শ্বাসযন্ত্রের অসুখ দূরে রাখে। এক বাটি গরম স্যুপ আপনাকে অনেকটাই আরাম দেবে। গাজরের স্যুপ খেলে তা আপনাকে সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।



বেসনের সিরা
এটি একটি আয়ুর্বেদিক রেসিপি যা মূলত পাঞ্জাবে তৈরি করা হয়। বেসন, ঘি, দুধ, হলুদ ও গোল মরিচ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি গলা ও নাকের জন্য প্রশান্তিদায়ক গরম পানীয়। বিশেষজ্ঞের মতে, গোল মরিচ, আদা, হলুদ এবং এ অন্যান্য উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। তাই এই মৌসুমে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে এই পানীয় পান করতে পারেন।



হলুদ ও দুধ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী উপাদান হিসেবে হলুদ সারা বিশ্বেই পরিচিত। 
এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
 বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন একগ্লাস দুধ ও এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশিসহ আরও অনেক অসুখ দূরে থাকে।



ঘরোয়া কাশির সিরাপ
আদা, মধু ও লেবুর রস দিয়ে এই ঘরোয়া কাশির সিরাপ তৈরি করা হয়। 
এই তিন উপাদানই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে পরিচিত। 
মধুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান রয়েছে।
 জার্নাল পেডিয়াট্রিক্সে প্রকাশিত ২০১২ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মধু কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ




বিশ্বের ৫০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশ ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি সংস্থা (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার।
 তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলো সহায়তা না করে তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। 
বৃহস্পতিবার মিসরে কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে এমন তথ্য জানান আচিম। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।



আচিম স্টেইনার জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সুদ হার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে যেখানে বেশ কয়েকটি দেশ ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়েছে। 
যার মারাত্মক প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর পড়বে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের তালিকায় এখন ৫৪টি দেশ রয়েছে যেগুলো ঋণ খেলাপির ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
 যদি আমরা আরও ধাক্কা খাই, সুদের হার বাড়ে, ঋণ গ্রহণ আরও ব্যয়বহুল হয়ে যায়, জ্বালানির মূল্য, খাদ্যের মূল্য বাড়ে তাহলে আমরা দেখব এ দেশগুলো আর ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে- শ্রীলঙ্কার দিকে তাকান।
যেটি এখন নিজের সঙ্গে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে চলছে।’


কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে জাতিসংঘের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণ খেলাপির ঝুঁকির বিষয়টি জলবায়ু মোকাবেলার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। 
তিনি বলেছেন, ‘এরকম ঋণ খেলাপির ঝুঁকি জলবায়ু সমস্যা সমাধান আরও জটিল করে তুলবে। 
এটি অবশ্যই জলবায়ু কার্যক্রমকে সহায়তা করবে না।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া অনুন্নত দেশগুলো জলবায়ু সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।

জাতিসংঘের ইউএনডিপির প্রধান আরও বলেছেন, জলবায়ুর সমস্যার কারণে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমস্যা আরও বাড়ছে।
 তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এসব দেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো যে সহায়তার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল সেগুলো তারা পূরণ করেনি। 
কিন্তু এরমধ্যে ঝড়, বন্যা, খরা এবং তাপপ্রবাহের মতো সমস্যাগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে।



তাছাড়া বৈশ্বিক পরিবর্তিত জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্মগণ মাত্রা কমিয়ে আনতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো বার্ষিক যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল, সেটি যদি তারা না রাখে তাহলে এসব দেশ জাতিসংঘের জলবায়ু কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২

কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ




২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২। 
এই পোস্টে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। এই পোস্টে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর খেলাগুলোর বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সূচি দেওয়া হয়েছে। 
তাই বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর খুশি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করতে এখনই এই পোস্টটি শেয়ার করুন ও সবাইকে জানিয়ে দিন ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ।



ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ গ্রুপ 
গ্রুপ- এ এর কাতার ও ইকুইডর এর খেলার মাধ্যমে নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর আসর। 
ডিসেম্বর মাসের ১৮তারিখ ফাইনাল এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর। 
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন গ্রুপে কোন কোন দল রয়েছে।

Click Here Download App To watch Live Match


গ্রুপ এঃ কাতার, সেনেগাল, ইকুয়েডর, নেদারল্যান্ডস
গ্রুপ বিঃ ইংল্যান্ড, ইরান, ইউএসএ, ওয়েলস
গ্রুপ সিঃ আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, মেক্সিকো, পোল্যান্ড
গ্রুপ ডিঃ ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, টুনিশিয়া
গ্রুপ ইঃ স্পেন, কোস্টারিকা, জার্মানি, জাপান
গ্রুপ এফঃ বেলজিয়াম, কানাডা, মরক্কো, ক্রোয়েশিয়া
গ্রুপ জিঃ ব্রাজিল, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড, ক্যামেরুন
গ্রুপ এইচঃ পর্তুগাল, ঘানা, উরুগুয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া


ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ
ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ চলবে একাধিক স্টেজে। 
প্রথম পর্ব অর্থাৎ গ্রুপ পর্বে সকল দল অংশগ্রণ করবে, এরপর রাউন্ড অফ ১৬ তে ১৬টি উত্তীর্ণ দল খেলবে।
এরপর যথাক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল, তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ও ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। 
চলুন ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচী বাংলাদেশ জেনে নেওয়া যাক। 
এখানে উল্লেখিত সময় “রাত ১টা” বলতে 1AM বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ নভেম্বর ২২তারিখ রাত ১টা এর মানে হলো নভেম্বর ২১ এর রাত ১২টার পর আসা রাত ১টা।



গ্রুপ পর্ব
  • নভেম্বর ২০, কাতার বনাম ইকুইডর, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২১, ইংল্যান্ড বনাম ইরান, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২১, সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২২, ইউএসএ বনাম ওয়েলস, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২২, আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরব, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২২, ডেনমার্ক বনাম টুনিশিয়া, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২২, মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৩, ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৩, মরক্কো বনাম ক্রোয়েশিয়া, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৩, জার্মানি বনাম জাপান, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৩, স্পেন বনাম কোস্টারিকা, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৪, বেলজিয়াম বনাম কানাডা, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৪, সুইজারল্যান্ড বনাম ক্যামেরুন, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৪, উরুগুয়ে বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৪, পর্তুগাল বনাম ঘানা, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৫, ব্রাজিল বনাম সার্বিয়া, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৫, ওয়েলস বনাম ইরান, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৫, কাতার বনাম সেনেগাল, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৫, নেদারল্যান্ডস বনাম ইকুইডর, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৬, ইংল্যান্ড বনাম ইএসএ, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৬, টুনিশিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৬, পোল্যান্ড বনাম সৌদি আরব, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৬, ফ্রান্স বনাম ডেনমার্ক, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৭, আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকো, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৭, জাপান বনাম কোস্টারিকা, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৭, বেলজিয়াম অনাম মরোক্কো, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৭, ক্রোয়েশিয়া বনাম কানাডা, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৮, স্পেন বনাম জার্মানি, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৮, ক্যামেরুন বনাম সার্বিয়া, বিকাল ৪টা
  • নভেম্বর ২৮, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম ঘানা, সন্ধ্যা ৭টা
  • নভেম্বর ২৮, ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ড, রাত ১০টা
  • নভেম্বর ২৯, পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে, রাত ১টা
  • নভেম্বর ২৯, ইকুইডর বনাম সেনেগাল, রাত ৯টা
  • নভেম্বর ২৯, নেদারল্যান্ডস বনাম কাতার, রাত ৯টা
  • নভেম্বর ৩০, ইরান বনাম ইউএসএ, রাত ১টা
  • নভেম্বর ৩০, ওয়েলস বনাম ইংল্যান্ড, রাত ১টা
  • নভেম্বর ৩০, টুনিশিয়া বনাম ফ্রান্স, রাত ৯টা
  • নভেম্বর ৩০, অস্ট্রেলিয়া বনাম ডেনমার্ক, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ১, পোল্যান্ড বনাম আর্জেন্টিনা, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ১, সৌদি আরব বনাম মেক্সিকো, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ১, ক্রোয়েশিয়া বনাম বেলজিয়াম, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ১, কানাডা বনাম মরক্কো, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ২, জাপান বনাম স্পেন, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ২, কোস্টারিকা বনাম জার্মানি, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ২, দক্ষিণ কোরিয়া বনাম পর্তুগাল, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ২, ঘানা বনাম উরুগুয়ে, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ৩, সার্বিয়া বনাম সুইজারল্যান্ড, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ৩, ক্যামেরুন বনাম ব্রাজিল, রাত ১টা


গ্রুপ অফ ১৬ 
গ্রুপ অফ ১৬ এর খেলা অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ স্টেজের শীর্ষ ১৬টি দল নিয়ে।
 এখানে আমরা আপাতত শুধুমাত্র খেলার সময় ও তারিখ উল্লেখ করছি, টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ের উপর ভিত্তি করে স্ট্যান্ডিংস অনুসারে এই পোস্টের তথ্য আপডেট করা হবে। 
তাই চাইলে এই পোস্ট টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখতে পারেন বা ব্রাউজারে বুকমার্কও করে রাখতে পারেন।


  • ডিসেম্বর ৩, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ৪, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ৪, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ৫, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ৫, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ৬, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ৬, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ৭, রাত ১টা

কোয়ার্টার ফাইনাল
  • ডিসেম্বর ৯, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ১০, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ১০, রাত ৯টা
  • ডিসেম্বর ১১, রাত ১টা

সেমি ফাইনাল
  • ডিসেম্বর ১৪, রাত ১টা
  • ডিসেম্বর ১৫, রাত ১টা
  • তৃতীয় স্থান নির্ধারনী
  • ডিসেম্বর ১৭, রাত ৯টা


ফাইনাল

ডিসেম্বর ১৮, রাত ৯টা



ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ টিকেট

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ এর টিকেট বিক্রি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
 ফিফা’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল এর টিকেট কেনা যাবে। টিকেট কিনতে ও বিস্তারিত জানতে FIFA.com/tickets লিংকে ভিজিট করুন।

বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2022 - 2023

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2022- 23


আপনারা অনেকেই অনেক দেশে কাজ করার জন্য যেতে চান। 
আপনারা অন্যান্য দেশে যাওয়ার পূর্বে সকলে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন বেশ কয়েকটি দেশ সম্পর্কে। 
তার মধ্যে একটি হলো পোল্যান্ড। আপনারা যারা পোল্যান্ডে কাজ করার জন্য যদি চান মূলত তাদের জন্যই আজকের আমাদের এই কনটেন্ট টি।


পোল্যান্ড কাজের ভিসা

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা পোল্যান্ডে কাজ করতে যাবেন বা  যেতে চান। 
যে কারণে আপনারা পোল্যান্ড সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। 
আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব পোল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
যেমন, 
  • পোল্যান্ড কাজের ভিসা পাবেন কিভাবে।
  •  পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে। 
  • পোল্যান্ডে কাজের বেতন কত।
  • পোল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন। 
  • পোল্যান্ডে কোন কাজ গুলোর চাহিদা বেশি। 
  • পোল্যান্ডে গিয়ে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন
  •  এবং আরো পোল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। 
আশা করি আপনারা সকলেই পোল্যান্ড কাজের ভিসা বা পোল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।




পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
আপনারা যারা পোল্যান্ড যেতে চান প্রায় সকলেই জানতে আগ্রহী পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে। 
চলুন জেনে নিই পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে।
আপনারা যদি নিজে নিজে সবকিছু করে থাকেন তাহলে 90 থেকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে পোল্যান্ড যেতে পারবেন বিমান খরচ বাদে। 
যদি আপনারা এজেন্সির মাধ্যমে বা দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনাদের খরচ হবে প্রায় 5 লক্ষ টাকার মতো।
 আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন কত টাকা খরচ হতে পারে পোল্যান্ড যেতে সে সম্পর্কে।



পোল্যান্ডে কাজের বেতন কত
আপনারা যারা পোল্যান্ড কাজ করতে যাবেন বলে ভাবছেন তারা সকলেই জানতে চান পোল্যান্ডের কাজের বেতন কতো হতে পারে সে সম্পর্কে। 
আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে পোল্যান্ড এর কাজের বেতন সম্পর্কে আলোচনা করব আশা করি আপনারা সকলে উপকৃত হবেন।
 চলুন জেনে নিই পোল্যান্ড কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে।

আপনি যদি পোল্যান্ডে গিয়ে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার মাসিক বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় 70 হাজার টাকার মত পাবেন। 
কাজ এর উপর ভিত্তি করে বেতন কম বেশি হতে পারে। 
ওভার টাইম সহ কাজ করলে আপনার মাসিক বেতন সর্বোচ্চ আসতে পারে 90 হাজার টাকা।
 আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পোল্যান্ডে কাজের বেতন কত সে সম্পর্কে।



পোল্যান্ড যাবার উপায় কি
আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন পোল্যান্ডের যাবার উপায় কি সে সম্পর্কে জানার জন্য। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে পোল্যান্ডের যাবার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেই পোল্যান্ড যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।

পোল্যান্ডে যদি আপনার কোন আত্মীয় থেকে থাকে তাহলে তাদের মাধ্যম দিয়ে আপনারা পোল্যান্ডে যেতে পারবেন। 
আপনি এজেন্সি বা দালালদের মাধ্যমে ও যে কোন দেশে যেতে পারবেন। 
তবে দালালদের থেকে দূরে থাকাই উত্তম।


পোল্যান্ডে কাজ পাবার উপায় কি
আপনারা যারা পোল্যান্ডে কাজ করতে যাবেন তারা অনেক সময় জানতে চান পোল্যান্ডে কাজ পাবার উপায় কি সে সম্পর্কে। পোল্যান্ডে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

আপনারা পোল্যান্ডের জব সাইটে গিয়ে সেখানে আপনি যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের ওপর আবেদন করতে পারেন। 
সেখান থেকে আপনাকে যদি তারা নির্বাচন করে তাহলে আপনি তাদের মাধ্যম দিয়ে খুব সহজে পোল্যান্ডের চাকরি পাবেন এবং তাদের মাধ্যম দিয়ে খুব সহজে পোল্যান্ডে যেতে পারবেন।

অথবা আপনি আপনার কোন আত্মীয় যারা পোল্যান্ডে থাকে তাদের মাধ্যম দিয়ে আপনি কাজ পেতে পারেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পোল্যান্ডে কাজ পাবার উপায় সম্পর্কে।



পোল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনারা যারা পোল্যান্ডে যেতে চান তারা জানতে চান সেখানে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই পোল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে।
কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার এর কাজ
  1. ক্লিনারের কাজ
  2. হোটেলের কাজ
  3. হাউস কিপারের কাজ
  4. ড্রাইভিং এর কাজ
  5. ডেলিভারির কাজ
পোল্যান্ডে মূলত উপরে উল্লেখিত কাজগুলোর চাহিদা বেশি হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পোল্যান্ডে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সম্পর্কে।



পোল্যান্ড এর ভিসা খরচ কত
আপনি যদি পোল্যান্ডে যেতে চান তবে আপনার জানা উচিত পোল্যান্ড এর ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই পোল্যান্ড ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

পোল্যান্ডে যেতে হলে আপনার ভিসা খরচ হবে প্রায় 30 থেকে 40 হাজার টাকার মতো। পোল্যান্ডে যেতে কত টাকা খরচ হয় সে সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন পোল্যান্ডের ভিসা খরচ কত সে সম্পর্কে।


পোল্যান্ডে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন
আপনারা যারা পোল্যান্ডে কাজ করার জন্য যেতে চান তারা অনেক সময় জানতে চান পোল্যান্ডে বাঙালিরা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই পোল্যান্ডে বাংলাটা কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে।
  • কন্সট্রাকশন ওয়ার্কার এর কাজ
  • ক্লিনারের কাজ
  • হোটেলের কাজ
  • হাউস কিপারের কাজ
  • ড্রাইভিং এর কাজ
  • ডেলিভারির কাজ
এসকল কাজগুলোই পোল্যান্ডে বাঙালিরা করে থাকেন। আরো অন্যান্য কাজ বাঙালিরা পোল্যান্ড এগিয়ে করে থাকেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন বাঙালিরা পোল্যান্ডে কি কি কাজ করেন সে সম্পর্কে।

পোল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন
আপনারা যারা পোল্যান্ড যেতে চান তাদের সকলের জানা প্রয়োজন পোল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে। 
আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে পোল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন জেনে নিই পোল্যান্ড যেতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সে সম্পর্কে।

  • প্রথমত আপনার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ অবশ্যই সর্বনিম্ন 6 মাস থাকতে হবে।
  • পাসপোর্টে দুইটা বা তার অধিক ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
  • সদ্য তোলা ছবির প্রয়োজন হবে।
  • করোনার টিকা কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
  • এনআইডি কার্ড এর প্রয়োজন হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে।
  • আরো অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রয়োজন হলে অবশ্যই আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করতে যাবেন তারা অথবা আপনি যার মাধ্যমে যাবেন তারা আপনাকে সকল তথ্য জানিয়ে দিবে।


পোল্যান্ড কেন যাবেন

আপনারা অনেকে জানতে চান আরো অনেক দেশ থাকতে কেন আমরা পোল্যান্ড যাব। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে পোল্যান্ড কেন যাবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সকলে উপকৃত হবেন।

আপনারা সকলেই জানেন পোল্যান্ড ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত একটি দেশ।
 এদেশে যদি আপনারা যান তাহলে পরবর্তীতে আপনি ইউরোপের 26 টি দেশের মধ্যে যেকোনো একটি দেশে সেটেল হতে পারবেন।
 আর এই তালিকায় স্পেন, ফান্স, পর্তুগাল, ইতালি ইত্যাদি এসকল দেশগুলো রয়েছে।
 যেহেতু পোল্যান্ডে সিটিজেন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে কারণে আপনারা সেখানে যেতে পারেন।


পোল্যান্ডে দক্ষ বা অদক্ষ দুই রকম এর কাজে পাওয়া যায়।
 যে কারণে পোল্যান্ডে কাজ পেতে আপনাদের কষ্ট তেমন হবেনা। এ সকল দিক বিবেচনা করে আপনি পোল্যান্ডে যেতে পারেন কাজ করার জন্য। 
আশা করি আমরা আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি পোল্যান্ডে কেন যাবেন সে সম্পর্কে।




রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২২: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ যে সম্পদ বাংলাদেশের একজনও নেই

বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দল অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ মনে করেন, স্পিন বোলারদের কারণেই দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।




অ্যাডাম জাম্পা অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার ওই টুর্নামেন্টে সাত ম্যাচ বল করে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন।




তিনি ছিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার।

যদিও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলমান বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো ফাস্ট বোলারদের বাউন্স ও সুইংয়ের জন্য বিখ্যাত, তবু ফিঞ্চ বিশ্বাস করেন এবারও স্পিনারদের ভূমিকা থাকবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বলেন, "অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠগুলোতে, বিশেষত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্পিন প্রভাব ফেলবেই।"




আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি বোলারদের র‍্যাংকিংয়ের সেরা দশ বোলারদের মধ্যে পাঁচজনই রিস্ট বা লেগ স্পিনার।




চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিকও করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের লেগ স্পিনার কার্তিক মেইয়াপান।




জনপ্রিয় ক্রিকেট উপস্থাপক এবং ভারতের সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া, তার একটি কলামে লিখেছিলেন, 'আইপিএল- এর এল মানে অনেকেই বলেন লেগস্পিনার'।




বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লেগস্পিনাররা এখন অ্যাসেট।




আকাশ চোপড়ার মতে, তিনটি কারণে লেগস্পিনাররা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠেন ব্যাটসম্যানদের জন্য।

ব্যাটসম্যানদের কমফোর্ট জোনের বাইরে নিয়ে আসা

ছোট ফরম্যাট, মাত্র ১২০ বলের খেলা এখানে প্রচুর ছক্কা মারার চেষ্টা করেন ব্যাটসম্যানরা।




স্পিনারদের বিপক্ষে যা আরও কঠিন।




টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিচের হাতের জোরটা বেশি কাজ করে এবং ব্যাটসম্যানরা স্বভাবতই লেগ সাইডে মারার চেষ্টা করেন।




২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৬৫% ছক্কা মারা হয়েছে ব্যাটসম্যানের লেগ সাইডে বা অন সাইডে।




এখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান লেগস্পিনাররা, কারণ একজন লেগস্পিনার ব্যাটসম্যান থেকে বল দূরে নিয়ে যান।




তখন ডান হাতি বা বাহাতি ব্যাটসম্যান নতুন উপায় খোঁজেন রান পাওয়ার জন্য।




অনেক অধিনায়ক এখন বাঁ হাতি স্পিনারদের, বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান থাকলে বল হাতে দেন না, কিন্তু একজন লেগস্পিনার থাকলে এই ব্যাপারে ভাবতে হয় না।




বল নিচু হয়ে আসা

লেগস্পিনাররা দ্রুতবেগে এসে বল ছোঁড়েন একটু নিচু হয়ে, অফস্পিনারদের চেয়ে যা একটু আলাদা।




হরভজন সিং বা মঈন আলীর মতো অফস্পিনাররা যেখান থেকে বল ছোড়েন, রশিদ খান বা আফ্রিদি আরও নিচে থেকে বল ছোড়েন, আর চাপটা থাকে বলের ওপর, তাই স্বভাবতই বল টার্ন করুক আর না করুক সেটা নিচু হয়ে আসে।




নিচু হয়ে আসা বল মারা সবসময়ই কঠিন।




ব্যাটসম্যান টার্ন বুঝতে না পারা

এই দিক থেকে রশিদ খানের বল বিশেষ।




তিনি জোরের ওপর বল ছোড়েন, তার বল বাতাসে দ্রুত ভেসে আসে উইকেটে পিচ করার পর ব্যাটসম্যানকে দ্বিধায় থাকতে হয়।




এ কারণে রশিদ খান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সফলতম বোলারদের একজন।




আগে দেখা যেত ব্যাটসম্যান চেষ্টা করতেন বল টার্ন করার আগেই সামনে এসে মারার, কিন্তু এখন বল ছোড়ার সাথে সাথে ব্যাকফুটে চলে যান, কারণ তিনি জানেন না বল কোনদিকে টার্ন করবে।




এতে করে ব্যাটসম্যানের মনে যে অস্পষ্টতা তৈরি হয় সেটা ফুটে ওঠে ফলাফলেও।

আগের বিশ্বকাপে লেগস্পিনাররা কেমন করেছেন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৭ এ লেগ স্পিনার শহীদ আফ্রিদি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন যৌথভাবে।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০০৯ এ আফ্রিদি ছিলেন তৃতীয়, সেই বিশ্বকাপে আফ্রিদি সাত ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন, ওভারপ্রতি ছয়েরও কম রান দিয়ে।




এই দুটি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ফাইনাল খেলেছিল, একবার রানার আপ, আরেকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১০ এ যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন স্টিভ স্মিথ, যিনি পরবর্তীতে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হয়ে যান।




সাত ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন, এক যুগ আগের লেগ স্পিনার স্মিথ।




তার পরের বিশ্বকাপে ২০১২ সালে অবশ্য লেগস্পিনাররা তেমন ভালো করতে পারেননি।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৪ এর সেরা পাঁচ উইকেট শিকারী বোলারদের মধ্যে তিনজন ছিলেন লেগস্পিনার, দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যামুয়েল বদ্রী এবং ভারতের অমিত মিশরা।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬ এর শীর্ষ পাঁচ বোলারের চারজনই ছিলেন স্পিনার, যার মধ্যে দুজন ছিলেন লেগস্পিনার, রশিদ খান ও ইশ সোধী।




আর গত বছর হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শীর্ষ দুই বোলারই লেগস্পিনার শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও অস্ট্রেয়িলার অ্যাডাম জাম্পা।

এই বিশ্বকাপের যেসব লেগস্পিনার




টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা লেগস্পিনার রশিদ খানের দিকে থাকবে নজর, তিনি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের সফলতম ক্রিকেটারদের একজন।




এই ধরনের মাঠে কীভাবে বল করতে হয় সে বিষয়ে রশিদ খানের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে।




শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, যিনি গত বিশ্বকাপেও শীর্ষ উইকেট শিকারী বোলার ছিলেন, হাসারাঙ্গা ও রশিদ খান দুজনই ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখতে পারেন।




এমন আরেকজন ক্রিকেটার পাকিস্তানের শাদাব খান, তিনিও ব্যাট ও বল হাতে লেগস্পিন দিয়ে পাকিস্তানের জয়ে ভূমিকা রেখে আসছেন।




ভারতের ইয়ুজভেন্দ্র চাহাল আছেন, যদিও তিনি টি-টোয়েন্টির এই বিশ্ব আসরে তেমন সফল নন, তবুও এই টুর্নামেন্টে তার ওপর ভরসা করতে হবে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।




ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের আট নম্বরে আছেন, তিনি ইংল্যান্ডের এই স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন।




অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা আছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আছেন তাবরাইজ শামসি, যিনি বা হাতে লেগ স্পিন করেন, তাকে রিস্ট স্পিনারও বলা হয়।




নিউজিল্যান্ডের ইশ সোধী খুব একটা আলোচিত নন কিন্তু টি-টোয়েন্টির সেরা স্পিনারদের একজন তিনি।




বর্তমানে নিউজিল্যান্ড দলেরও গত এক বছরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সোধী।




এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে কোনও লেগস্পিনার নেই।

বাংলাদেশে কোনও কালেই কোনও লেগস্পিনার প্রতিষ্ঠিত হননি

কখনো অলক কাপালি, মোহাম্মদ আশরাফুলরা টুকটাক বল করেছেন, কিন্তু তারা কেউই ফুলটাইম বোলার নন।




এরপর জুবায়ের হোসেন লিখন, আমিনুল বিপ্লবরাও জাতীয় দলে টুকটাক খেলেছেন, তারা বেশিদিন জাতীয় দলে টেকেননি বা তাদের ওপর ভরসা রাখা হয়নি।




বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ২০২০ সালে এমন নিয়মও করে দেয়া হয়েছিল প্রতি দলে অন্তত একজন লেগস্পিনার রাখতে হবে।




কিন্তু তারপরও লেগস্পিন দিয়ে জাতীয় দলে কেউ পা রাখতে পারেননি।




বাংলাদেশে যেমন লেগস্পিনার নেই, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা লেগস্পিন ভালো খেলতেও পারেননা।




বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এসে এই সমস্যার দিকটা নিয়ে কথা বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি।




বাংলাদেশের শীর্ষ ক্লাব আবাহনী এবং বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাথে নিয়মিত কাজ করেন খালেদ মাহমুদ সুজন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলাদেশে লেগস্পিনার উঠে না আসার কারণ কী?




তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "লিগে লেগস্পিনার খেলানো বাধ্যতামূলক করতে হবে।"




কিন্তু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট লেগস্পিনার নেই, যে কারণে বাধ্যতামূলক করেও নিয়ম শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি।



সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

তাবলীগ আবিস্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে



ইসলামী তাবলীগের প্রবক্তা হলেন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)। ইসলামী তাবলীগ শুরু হয়েছে হেরা গুহা হতে। 
কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত যে তাবলীগ আমরা দেখতে পাই, তার উদ্ভাবক ও প্রবক্তা হলেন ভারতের মেওয়াত নামক স্থানের মাওলানা ইলিয়াছ।
 তার বাবা চিশতীয়া তরিকার অনুসারী ছিলেন।
কিছু বর্ণনা মতে মাওলানা ইলিয়াছের পিতা চিশতীয়া তরিকার একজন পীর ছিলেন।
 তাই পীরের ছেলে হিসেবে সবাই তাকে সম্মান করতো। 
পিতার ইন্তেকালের পরে তিনি নতুন দল তথা তাবলীগ জামাত আরম্ভ করতে থাকে।

১৯২৫ইং সালে (বাংলা ১৩৪৫) তাবলীগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়।
 ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত অঞ্চলের মাওলানা ইলিয়াছ এই তাবলীগ আবিস্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে। 
স্বয়ং মাওলানা ইলিয়াছ বলেন, “আজকাল খাবমে মুঝপর উলুমে সহীহাকা এলকা হোতা হায়”। অর্থাৎ আজকাল স্বপ্নে আমার উপর ওহী বা ঐশী বাণীর আগমণ ঘটেছে। 
যখন এই স্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ নিজ অঞ্চলে প্রচার করতে থাকে, তখন মেওয়াত অঞ্চলের আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষ ইহা প্রত্যাখ্যান করেন। 
মেওয়াত অঞ্চলের আলেমগণ বলেন, ইহা ইসলামের পরিপন্থী এবং ইসলাম বহির্ভূত কাজ, সে নবী দাবী করছে।

উত্তরে মাওলানা ইলিয়াছ বলেন, তোমরা আমার স্বপ্নের কথাটুকুই অন্তত বিশ্বাস কর। 
’উস তাবলীগ কা তরীকা ভি মুঝপর খাবমে মুনকাশিফ হুয়া” অর্থাৎ আমার কর্তৃক স্বপ্নযোগে একটি তাবলীগ ধারা উদঘাটিত ও বিকশিত হচ্ছে (মালফুজাত নং ৫০)। 
সেজন্য তিনি যাতে বেশী বেশী করে ঘুমাতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে (মালফুজাত নং ৫০)।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এক-চীন নীতির প্রতি মার্কিন চ্যালেঞ্জ দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে: সিএমজি সম্পাদকীয়



মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গত ৩ আগস্ট চীনের তাইওয়ান সফর করেছেন। সফরকালে তিনি একেবারে আজেবাজে কথা বলেছেন। যেমন: তিনি কথিত তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আইন নিয়ে বলেছেন যে, তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তাইওয়ানের পক্ষে তারা সবসময় থাকবে ইত্যাদি। তার আগে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পেলোসি এক প্রবন্ধেও কথিত তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক আইন নিয়ে আলোকপাত করেন। তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি প্রতিশ্রুতির অজুহাতে তাইওয়ান সফরে আসেন তিনি। তাঁর সফর ‘এক-চীন নীতি’ লঙ্ঘন করেনি বলেও দাবি করেন পেলোসি।




এটি ‘এক-চীন নীতি’কে ঝাপসা এবং ফাঁপা করার মার্কিন অপচেষ্টা। আসলে পেলোসি কথতি যে আইন ও প্রতিশ্রুতির কথা বলেছেন, তা একেবারে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা তৈরি। তা চীন-যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি যৌথ ইস্তাহারে চীনকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন এবং এটি এক-চীন নীতিরও লঙ্ঘন। আর এক-চীন নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় মেনে চলে। পেলোসি যেভাবেই তর্ক করেন না কেন- নিজের কুৎসিত মুখ লুকাতে পারবেন না। তিনি আসলে নিজের স্বার্থের জন্য মার্কিন জাতীয় ভাবমূর্তিকে দেউলিয়াত্বের দিকে পরিচালিত করেছেন। তিনি যেভাবেই নিজের দায়িত্ব পাশ কাটাতে চান না কেন, তিনি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি, চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার বড় ক্ষতি করেছেন। নিজের আচরণকে যেভাবেই হোয়াইটওয়াশ করেন না কেন, পেলোসি একজন স্বার্থপর এবং সমস্যা সৃষ্টিকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতার বৃহত্তম ধ্বংসকারী তিনি।



বিশ্বে রয়েছে একটি মাত্র চীন; আর তাইওয়ান সে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার হচ্ছে একমাত্র বৈধ সরকার, যে চীনকে প্রতিনিধিত্ব করে। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবে তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৭৯ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবেই বলা হয়, গণপ্রজান্ত্রী চীন হল চীনের একমাত্র বৈধ সরকার। আর এ শর্তে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও বেসরকারি সম্পর্ক বজায় রাখত পারে। মার্কিন সরকারের একটি অংশ হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের উচিত্ এক-চীন নীতি মেনে চলা।




বর্তমান মার্কিন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর অনেক বার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তারা এক-চীন নীতি মেনে চলবে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন দেবে না। তবে, তারা যা মুখে বলছে, করছে তার বিপরীত। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানো, তাইওয়ান নিয়ে নানা বিল পাস, এবং যুক্তরাষ্ট্রের তিন নম্বর ক্ষমতাধর ব্যক্তি পেলোসির তাইওয়ান সফরসহ নানা অপতত্পরতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বার বার এক-চীন নীতিকে ঝাপসা এবং ফাঁপা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। চলতি বছরের দাভোস বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, এক-চীন নীতিতে অবিচল থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত্ নয় প্রতারণার মাধ্যমে বা ক্রমবর্ধমানভাবে দুটি চীন প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পেলোসির মতো মানুষের এমন যৌক্তিক কথা শোনা উচিত্।




তাইওয়ানের পক্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র এটিও পুরোপুরি মিথ্যা। মার্কিন রাজনীতিবিদরা শুধু নিজেদের স্বার্থ বিবেচনা করেন। তারা তাইওয়ানের জনগণের কল্যাণের কথা কখনোই বিবেচনা করেন না। তাই এবার পেলোসির সফরের বিরোধিতা করেছে খোদ তাইওয়ানের জনগণ। তাইওয়ানের নেটিজেনরা বলেছেন যে, তাইওয়ান আবারও মার্কিন রাজনীতিবিদদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ অর্জনের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।




তাই যে কোন অজুহাতে পেলোসির তাইওয়ান সফর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন। এটি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে। যুক্তরাষ্ট্র পেলোসিকে সফরে যেতে দিয়েছে এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভুল সংকেত পাঠিয়েছে। তাই চীনকে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তাতে যে কোন পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরকে দায় নিতে হবে। ইতিহাস স্বাক্ষী যে, প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র চীনকে উস্কে দেয় এবং অবশেষে মার্কিনীরাই নিজেদের কুফল ভোগ করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। (শিশির/এনাম/রুবি)




যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ শেখ হাসিনার




সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির (সিবিআই) প্রেসিডেন্ট চেলসির লর্ড করন বিলিমোরিয়া শুক্রবার যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।



প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, লর্ড বিলিমোরিয়া যুক্তরাজ্যের কারি শিল্পের উন্নয়নে তার কাজ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন উন্নয়ন গবেষণায় তার সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।



লর্ড বিলিমোরিয়া বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর হিসেবে বাংলাদেশের সাথে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তার পছন্দের একটি বিষয়ে বক্তৃতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান।



পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাশিম/শান্তা

বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪৫ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা




বাংলাদেশে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
আঁচল ফাউন্ডেশন পরিচালিত ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি আত্মহত্যা করছে।

এতে আরও দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ আত্মহত্যার ঘটনা ঢাকা বিভাগে আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।



‘বেড়েই চলেছে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার: আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া কতটা জরুরি?’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার আঁচল ফাউন্ডেশন ওই সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে।




সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত আট মাসে ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেন। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদরাসা, নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী রয়েছেন।




তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। ওই সময় ১৯৪ জন স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা, যাদের মধ্যে আত্মহত্যা করেন ৭৬ জন। এছাড়া ওই সময়ে ৫০ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ৪৪ জন মাদরাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।




রহমান/ সাজিদ

How is secure to live in Poland



Most visitors to Poland experience no difficulties. Poland has a low rate of violent crime and a moderate level of street crime. Major cities have higher rates of crime. There is no high risk of terrorism.




Anyway you should be careful about petty theft. Therefore you should keep cash out of sight, especially in crowded areas and tourist spots. This situation is particularly dangerous at main rail stations, in trains, especially overnight sleeper trains, while boarding and leaving trains. The same refers to public transport.




Do not leave valuables in plain sight inside vehicles.




You should choose taxi operators very carefully. You have to avoid unregulated taxi drivers, especially at airports and in other places. They overcharge. Only use official taxi – they have the name and telephone number of the taxi company on the side of the door and on the top of the taxi, a rate card on the window of the vehicle.




Don’t leave drinks or food unattended and beware of accepting drinks from casual acquaintances.




Only change money at banks or legitimate exchange kiosks (kantor). ATMs at commercial banks, large hotels, shopping malls, and airports are safest.




If someone indicates you should pull over or signals that something is wrong with your car, continue driving until you reach a safe spot (a crowded gas station, supermarket, or a police station) to inspect your vehicle.




You can be fined by the police or by the municipal police. You can be fined for:




Crossing the road in dangerous places

Drinking alcohol in public

Going over the speed limit

Driving under the influence (cars, bicycles)

When driving, remember:




Have your seatbelt on

Headlights must be on throughout the year in Poland

Children must be transported in safety seats

Holding your phone while driving is illegal

Note: Report crimes to the local police by calling 997 or 112.

শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

যে কারণে রাতে ঘুমের আগে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার




রাতে ঘুমানোর আগে কখনো কি ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে একটু ম্যাসাজ করেছেন? 
অথবা ঠোঁটে লিপবাম, হাত-পায়ে লোশন বা তেল মেখে ঘুমাতে গেছেন? 
তারপর সকালে উঠে ত্বক খুব সতেজ ও মসৃণ মনে হয়েছে?
 যাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেন, তাঁরা এই উপকারগুলো সব সময়ই পান। 
কেন?




এর উত্তর জানালেন শিওরসেল মেডিকেল বিডির প্রধান চর্মরোগবিশেষজ্ঞ ডা. তাওহীদা রহমান, ‘বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। ঘুম মানেই বিশ্রাম। 
এই বিশ্রামের সময় ত্বক অনেক কাজ করে।
 সারা দিন ত্বকের ওপর নানা অত্যাচার হয়।
 যেমন ধুলোবালু লাগা, দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, কাজ ও মানসিক চাপের প্রভাব ইত্যাদি।
 এসব কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা ঠিক করার কাজটা রাতে হয়। একে বলে ত্বকের রিজেনারেশন। এ ছাড়া ঘুমের মাধ্যমে ত্বক থেকে বিষাক্ত উপাদান বের হয়। ঘুমের সময় কোলাজেন বাড়ে। কোলাজেনকে বলে ত্বকের বিউটি ফ্যাক্টর। 
মূলত, ঘুমের সময় ত্বক ক্লান্ত–পরিশ্রান্ত থাকলে বা ত্বকে সারা দিনের ধুলোবালু, ময়লা, মেকআপ, ঘাম জমে থাকলে ত্বক এসব কাজ ভালোভাবে করতে পারে না। 
এতে সৌন্দর্য হারায় ত্বক। এ জন্যই ঘুমের আগে যত্নটা জরুরি।’

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমরা কাজে নেমে পড়ি। 
কাজের চাপে বা সময়ের অভাবে ত্বকের যত্নটা আর ঠিকমতো নেওয়া হয় না। 
বাইরে বের হলে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন বা সানব্লক মাখার কথা, সেটি হয়তো হচ্ছে না। রান্নার আগে বা চুলার আগুনের তাপে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন মাখা প্রয়োজন, সেটিও অনেক সময় করা হয়ে ওঠে না। 
পর্যাপ্ত পানি পান, ঠিকমতো মুখ ধোয়ার কাজেও হয়তো অবহেলা হয়ে যায়। সারা দিনের এসব যত্নের অভাবে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন নিলে এ ভারসাম্য ফিরে আসে। আবার সারা দিনে ধুলোবালুর কারণে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। 
পরিষ্কার করে ঘুমালে এগুলো খুলে যায়, কমে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা। আসলে রাতে ত্বকের কোষগুলো পুনর্গঠিত হয়। আর ঘুমানোর আগে যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ–সুন্দর হওয়ার প্রক্রিয়াটা বাড়ে বলে জানালেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের কর্ণধার শারমিন কচি।


রাতে ঘুমের আগে ত্বকের যত্নের আরও উপকারিতা রয়েছে। 
এ বিষয়ে রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি বলেন, ‘পরিষ্কার করে ডিপ ময়েশ্চারাইজার মেখে ঘুমালে ত্বক থাকে আর্দ্র ও মসৃণ। অনেকেই আই ক্রিম মাখেন এ সময়। এটিও বেশ উপকারী। এতে চোখের নিচের কালো দাগ কমে। অনেকেরই সারা বছর হাত-পা বা ত্বক ফাটে। তারা রাতে ঘুমানোর আগে লোশন, জলপাইয়ের তেল ইত্যাদি মেখে ঘুমালে ত্বক হয় মসৃণ, সুন্দর।’

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২

অল্প টাকায় ব্যবসা



আপনি যে কোন ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন। 
আপনি যেকোন ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসা করতে পারবেন এবং সেখান থেকে লাভবান হতে পারবেন যদি আপনার দুইটা প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে।

১. আমার কাস্টমারের এমন কি সমস্যা আছে যে সমস্যাটা সে নিজে সমাধান করতে পারছে না?

২. আমি এমন কি সমাধান নিয়ে আসতে পারি যা কাস্টমার সহজেই আমার কাছ থেকে গ্রহণ করবে?




এই দুটো প্রশ্নের উওর আপনাকে যে সকল সুবিধা দিবে তাহলো —

  • আপনাকে কম্পিটিশন থেকে আগায় রাখবে।
  • আপনার ব্যাবসায় ১০০% প্রফিট সুনিশ্চিত থাকবে।
  • আপনার কাস্টমার আপনার প্রতি আনুগত্য থাকবে।
  • আপনার ব্রান্ড ইকুইটি অনেক বাড়বে।
  • আপনার ব্যাবসার ম্যানপাওয়ার সন্তুষ্ট থাকবে।
  • আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্ট বেশি থাকবে।
  • আপনার ইনভেন্টরি টারনওভার বেশি থাকবে।

Financial প্রতিষ্ঠান থেকে ভাল সুযোগ সুবিধা পাবেন। ইত্যাদি আর বিভিন্ন প্রকার সুবিধা আপনি পাবেন।

একদম অল্প টাকায় ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর বিজনেস দিয়ে শুরু করতে পারেন কারন এখানে অনেক কম টাকা লাগে এবং একবারই আপনি খুব তাড়াতাড়ি ভালো পরিমাণ গ্রাহক আকর্ষণ করতে পারবেন।


আর এই ব্যবসায় আপনি দেশের চাহিদা পূরণ করে ইন্টারন্যাশনাল ভাবে আপনার ব্যাবসাকে খুব সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি প্রসারিত করতে পারবেন।


উদাহরন হিসাবে -

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • এনিমেশন ডিজাইন
  • Video প্রোডাকশন
  • ফটোগ্রাফি
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
  • আর্টিকেল এবং ইনফোগ্রাফিক্স
  • সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট
  • ই-বুক
  • ডাউনলোড করা যায় এমন মিউজিক
  • স্ট্রিমিং মিডিয়া
  • ভিডিও টিউটোরিয়াল
  • অনলাইন গেমস
  • মোবাইল অ্যাপস
  • ইন্টারনেট কুপন এবং ইলেকট্রনিক টিকিট

ডিজিটাল Marketing & Selling


ইত্যাদি আরো অনেক ডিজিটাল পণ্যের বিজনেস আছে। ছাড়া আপনি যেকোন ফিজিক্যাল পণ্যের ব্যবসা করতে পারেন কিন্তু সেখানে অবশ্যই টেকনোলজিকে যুক্ত করতেই হবে কারণ টেকনোলজি হচ্ছে সামনের ভবিষ্যৎ।



উদহারণ হিসাবে, এখন আপনি যদি টি শার্ট এর বিজনেস করেন তাহলে সেখানে আপনাকে টেকনোলজি যুক্ত করতে হবে কারণ টেকনোলজি হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা আপনার খরচ কমাবে 10 গুণ প্রফিট বাড়াবে 50 গুন।




টেকনোলজি কে নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন দরকার নেই কারণ টেকনোলজির ভেন্ডরই আপনাকে খুব ভালোভাবে টেকনোলজি বুঝায় দিবে।


 

শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২

বাংলাদেশে তেলের দামের নজিরবিহীন বৃদ্ধির আসল কারণ কী



বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দাম বাড়ানোর জন্য সরকার বিশ্ব বাজারে তেলের মূল্য, পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা বিপিসি'র লোকসান কমানো এবং পাচার হওয়ার আশঙ্কার কথা জানালেও বিশ্লেষকরা বলছেন প্রকৃত অর্থে ঋণ দাতা গোষ্ঠীগুলোর সাথে বৈঠকের আগে সংস্কারে সদিচ্ছা প্রকাশের অংশ হিসেবেই এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।




অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এ সংস্থা থেকে ঋণের প্রধানতম শর্তই হলো জ্বালানি খাত থেকে ভর্তুকি তুলে নেয়া।




এখন বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সরকার যে ঋণ চেয়েছে সংস্থাটির কাছ থেকে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে তাদের শর্ত পূরণ করে নিলো।




বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা যে ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার বড় অংশই জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য। গত মাসে আইএমএফ'র একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছিলো এবং সে সময় সরকারকে এ ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছিলো।

গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ডঃ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, সরকার দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিতে যাচ্ছে এবং সে কারণেই ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে তেলের দাম এতটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।




আইএমএফ-এর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছিলো অপরিহার্য।




"সরকার আইএমএফ এর সাথে আলোচনার আগেই হয়তো একটি বার্তা দিয়েছে যে এ বিষয়ে তারা খু্ব সিরিয়াস। তবে একবারে এতটা দাম না বাড়িয়ে আগে থেকে ধীরে ধীরে বাড়ালে মানুষকে এ ধাক্কা সইতে হতো না," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।


বাস ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।




বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাস ভাড়াও বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে বাস মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ'র এক যৌথ সভা শেষে এই ঘোষণা করা হয়।
ঢাকায় ১৬ শতাংশ এবং দূরপাল্লার বাসে ২২ শতাংশ বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, মহানগরে প্রতি কিলোমিটার বাস ভাড়া বাড়বে ৩৫ পয়সা এবং দূরপাল্লার বাসে ভাড়া বাড়বে কিলোমিটার প্রতি ৪০ পয়সা।

এর ফলে দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া হবে দুই টাকা ২০ পয়সা।
নতুন ভাড়া বৃদ্ধির ফলে ঢাকা শহরে প্রতি কিলোমিটার বাস ভাড়া হবে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা। তবে সর্বনিম্ন বাস ভাড়া হবে দশ টাকা।

শুক্রবার রাতে তেলের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পর শনিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাস চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। কোথাও কোথাও বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকরা।
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার পর শনিবার সকাল থেকে ঢাকার বহু পেট্রলপাম্প বন্ধ রয়েছে।
আর তেলের অভাবে প্রায় ৭০ শতাংশ কম গণ পরিবহন শহরের রাস্তায় নেমেছে বলে জানিয়েছেন যাত্রী এবং চালকেরা।
শুক্রবার রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের যুক্তিতে দাম বাড়ানো সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার।
এতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। লিটার প্রতি পেট্রলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।
অকটেনের দাম বেড়েছে ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা।

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ১১ এজেন্সি নামের তালিকা


মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ১১ এজেন্সিকে অনুমতি-

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য এখন পর্যন্ত ১১টি  এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ ৩১ জুলাই একটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। 
রিক্রুটিং এজেন্সির নাম আরভিং এন্টারপ্রাইজ।




এর আগে, প্রথম দিন ২৪ জুলাই ৪টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়।
 এজেন্সিগুলো হলো- নিউ এজ ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স পাথ ফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল , গ্রীনল্যান্ড ওভারসীজ ও মেসার্স আমিয়াল ইন্টারন্যাশনাল।


এরপর ২৫ জুলাই ৩টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। 
এজেন্সিগুলো হলো- মেসার্স আল বোখারী ইন্টারন্যাশনাল, ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেড ও মেসার্স সাউথ পয়েন্ট ওভারসিস লিমিটেড।


এছাড়াও ২৮ জুলাই ৩টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। 
এজেন্সিগুলো হলো- মেসার্স আহমেদ ইন্টারন্যাশনাল, বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল ও আকাশ ভ্রমণ।


এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব গাজী মো. শাহেদ আনোয়ারের সই করা এক চিঠিতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটির মহাপরিচালকে নিয়োগ অনুমতির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২

কোমরের ব্যথা



কোমরের ব্যথায় ভুগছেন? জেনে নিন ব্যথা কমানোর টোটকা
কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অফিস আপনাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজের করে নিয়েছে।
 অগত্যা, সকাল থেকে রাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা কম্পিউটারের সামনে । 
যার ফলে কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত একাংশ।
 অন্যদিকে যাদের বয়স চল্লিশের দোরগোড়ায়, তাঁদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বশি কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হন।



অফিসের কীভাবে এই ব্যথা থেকে দূরে রাখবেন নিজেকে?

১) প্রথমত এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।
২) জায়গা ছেড়ে মাঝে মাঝে উঠে পড়ুন। কোমড় ভাঁজ করে সামান্য কিছু শরীর চর্চা করে নিন। মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
৩)নরম মেট্রেস বা ফোমের বিছানায় কখনোই শোবেন না।
ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনই ব্যথার ওষুধ খাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।


 
কোমরে ব্যথায় এই ঘরোয়া টোটকাগুলি ব্যবহার করলে, ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো। চলুন জেনে নেয়া যাক-


সেঁক দিন- 
কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।


আদা- 
আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়ামের অভাবের ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। 
প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

হলুদ- 
দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।


মেথি বীজ-
মেথি বীজের গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্যথার জায়গায় এই মিশ্রণ লাগালে উপকার পাবেন।


লেবুর শরবত-
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি যন্ত্রণা উপশমে খুবই কার্যকারী।


অ্যালোভেরা- 
প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরা শরবত খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য- 
প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ, ঘি, চিজ, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।



কোমরে ব্যথা কেন হয়, কীভাবে এই ব্যথা কমানো যায়


কারণ

লাম্বার স্পনডোলাইসিস
কোমরের পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পনডোলাইসিস বলে।



এলআইডি
এটিও শক্তিশালী একটি কারণ। এটি সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি হয়। মানুষের হাড়ের মধ্যে ফাঁকা জায়গা থাকে। 
এটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। 
এই ডিস্ক যদি কোনো কারণে বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুমূলের ওপরে চাপ ফেলে। এর ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।



নন-স্পেসিফিক লো বেক পেন
অনির্দিষ্ট কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে এই ব্যথা হয়। এটি যুবকদের মধ্যে বেশি হয়। এই ব্যথা পুরোপুরি সারানোর চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই ব্যথা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে।


এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়। 
যেমন : শিরদাঁড়ায় টিউমার ও ইনফেকশন হলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। 
মাংসপেশি শক্ত হয়ে গেলে বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে কোমরে ব্যথা হয়। 
শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও কোমরে ব্যথা হয়।
একটানা হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, কোলে কিছু বহন করলেও কোমরে ব্যথা হতে পারে।

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন কিনে বাংলাদেশের কী লাভ






তুরস্কের কাছ থেকে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এ নিয়ে ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী।
এই ক্রয় চুক্তির বিষয়ে নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

বাংলাদেশ এই প্রথম সামরিক অস্ত্র বহনে ও হামলায় সক্ষম ড্রোন কিনতে যাচ্ছে।




এই ড্রোন এর আগে বিশ্বের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে এই ড্রোনের কর্মক্ষমতা অনেক দেশে আগ্রহ তৈরি করেছে।

গত কয়েক বছর ধরেই তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বাড়ছে। দেশটি থেকে কামানের গোলা, রকেট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাঁজোয়া যান, মাইন থেকে সুরক্ষাকারী যান কিনেছে বাংলাদেশ।

তুরস্কের কাছ থেকে বাংলাদেশ কতোগুলো ড্রোন কিনছে, কবে নাগাদ সেগুলো পাওয়া যাবে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

কিন্তু বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন সম্পর্কে কী জানা যায়? কেন এই ড্রোনের প্রতি বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলোর আগ্রহ বাড়ছে?

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোড় ঘুরিয়েছে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন

তুরস্কের বাইকার টেকনোলজি কোম্পানি ২০১৪ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন উৎপাদন ও বিক্রি করতে শুরু করলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে এই ড্রোন বিশেষ নজর কেড়েছে।


এই ড্রোন ব্যবহার করেই রাশিয়ার মস্কভা যুদ্ধজাহাজ, অস্ত্রের গুদাম, কয়েকটি কমান্ড সেন্টার এবং রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে হামলা করেছে ইউক্রেন। যাতে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নিকট অতীতে সিরিয়া ও লিবিয়ার সংঘাতে এবং অতি সম্প্রতি নাগর্নো কারাবাখের যুদ্ধে এই ড্রোনের কার্যকর প্রয়োগ দেখা গেছে। এর পরই এই ড্রোনের চাহিদা বেড়ে গেছে।



বিশ্বের ১৪টি দেশ তুরস্ক থেকে এই ড্রোন কিনেছে। এদের মধ্যে ইউক্রেন ছাড়াও আছে আজারবাইজান, ইথিওপিয়া, লিবিয়া. মরক্কো, পোল্যান্ড, কাতার, তুর্কমেনিস্তান। আরও ১৬টি দেশ ড্রোন কেনার জন্য চুক্তি করেছে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।



কেন চাহিদা বাড়ছে বায়রাক্টার ড্রোনের

বায়রাক্টার টিবি-টু নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইকারটেক ডটকমের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের যুদ্ধাস্ত্র যা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং হামলায় অংশ নিতে পারে।


এটি জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, মূল কমান্ড সেন্টার থেকে দূরে কোথাও একটি কন্টেইনার বা ট্রাকে মোবাইল বেজ স্থাপন করে সহজে ড্রোন পরিচালনা করা যায়। ফলে মিশনের প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে নিয়ে গিয়ে ড্রোন উড্ডয়ন বা হামলা চালানো যায়।


২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের সেনা বাহিনী ও ন্যাশনাল পুলিশ এই ড্রোন ব্যবহার করছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু সম্পর্কে যেসব তথ্য জানা যায়:


বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনে চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করা যায়, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে।

ড্রোনটি ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে।

বেজ স্টেশন থেকে তিনশো কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়।

এর ভেতরে একমন কিছু সেন্সর রয়েছে, যার ফলে জিপিএসের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে ন্যাভিগেশন করতে পারে।

সর্বোচ্চ সাতশো কেজি ওজন নিয়ে ড্রোনটি উড়তে পারে। মোট জ্বালানি ধরে ৩০০ লিটার।

ড্রোনটি টেক-অফ, ল্যান্ডিংসহ পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হতে পারে। এর কম্পিউরাইডজ সিস্টেমে তিনটি অটো পাইলট প্রোগ্রাম রয়েছে।

বায়রাক্টার টিবি-টু ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় থেকে কার্যক্রম চালাতে পারে। তবে আকাশে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফিট পর্যন্ত উড়তে এবং সর্বোচ্চ ২৭ ঘণ্টা তিন মিনিট ওড়ার রেকর্ড রয়েছে।

ড্রোনে থাকা রিয়েল ইমাজেরি টাইম ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ফলে একাধিক ব্যবহারকারী একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চমানের ভিডিও দেখতে পারে।

ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন হওয়ার কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ট্যাবলেট বা মোবাইলেও নজরদারি করা সম্ভব।

তবে এসব ড্রোনের একটি দুর্বল দিক হলো, এগুলো আকারে বড় আর তুলনামূলক গতি কম। ফলে এগুলো গুলি করে নামানো সহজ।


ইউক্রেনের ব্যবহার করা এরকম বেশ কিছু বায়রাক্টার ড্রোন ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়ার বাহিনী।

ড্রোন কিনে বাংলাদেশের কী লাভ হবে?


সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসান তুরান জানিছেন, তুরস্কের ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইকার টেকনোলজির সঙ্গে ড্রোন কেনার ব্যাপারে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী একটি চুক্তি করেছে।



এই চুক্তির ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর।

বাংলাদেশ পিস এন্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজ এর প্রেসিডেন্ট, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) এ এন এম মুনীরুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''সামরিক সক্ষমতার যে আধুনিয়কান করা হচ্ছে, সব দেশে, তার মধ্যে ড্রোন একটা প্রধান প্রযুক্তি হয়ে আসছে। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে ক্ষমতা ও ব্যয় করা হচ্ছে, তাতে এটা খুবই আকর্ষণীয় সরঞ্জাম। বিশেষ করে নাগার্নো-কারাবাখে ড্রোনের যে ভূমিকা দেখা গেছে, তাতে অনেক দেশই এখন ড্রোনের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছে।''


''সেই কারণে বাংলাদেশও এর প্রতি ঝুঁকছে। বিশেষ করে টার্কিশ বখতিয়ার ড্রোন ক্ষমতা ও বাজেটের দিক থেকে খুব ভালো একটি পছন্দ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে সরঞ্জাম আধুনিকায়ন করার প্রক্রিয়া বা বরাদ্দ রয়েছে, তাতে এ ধরনের ড্রোন খুবই উপযোগী হবে,'' তিনি বলছেন।

তবে বাংলাদেশের যেখানে কারও সঙ্গে যুদ্ধ বা বৈরিতা নেই, সেখানে এসব ড্রোন কতটা কাজে আসবে, জানতে চাইলে মি. মুনীরুজ্জামান বলছেন, ''যুদ্ধ না থাকলেও সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি বা সক্ষমতা প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে ড্রোন অবশ্যই অনেক সহায়তা করবে। কোন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ না থাকলেও বাহিনীগুলোর প্রস্তুত থাকার দরকার আছে। এভাবে সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বজায় রেখেই শান্তি নিশ্চিত করা যায়। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসাবেই বাংলাদেশের ড্রোন কেনার দরকার, তাই বাংলাদেশ কিনছে বলে আমি মনে করি।''

ড্রোন যুদ্ধে কী ধরনের সহায়তা করে, ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লন্ডনের কিংস কলেজের ডিফেন্স স্টাডিজের একজন গবেষক ডঃ মার্টিনা মিরন বিবিসিকে বলেছেন, ড্রোনের সাহায্য নিয়ে ইউক্রেনিয়ানরাও তাদের সীমিত বাহিনীর সক্ষমতা অনেকখানি বাড়াতে পেরেছে।


তিনি বলেন, "অতীতে আপনাকে যদি শত্রুবাহিনীর অবস্থানে গিয়ে হামলা করতে হতো, তার একমাত্র উপায় ছিল সেখানে স্পেশাল কমান্ডো বাহিনী পাঠানো, এবং এভাবে হামলা চালাতে গিয়ে হয়তো বেশ কিছু সৈন্য মারা পড়তো।"

"কিন্তু এখন কেবল একটা ড্রোনের ওপর ঝুঁকি নিয়েই কাজটা করা হচ্ছে।"




কারা তৈরি করে বায়রাক্টার টিবি-টু

বাইকার ডিফেন্স নামের প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে বায়রাক্টার টিবি-টু এবং বায়রাক্টার আকিনচি নামে দুটি ড্রোন। আকারে এটি একটি ছোট উড়োজাহাজের সমান। এতে ক্যামেরা লাগানো আছে এবং লেজার-নিয়ন্ত্রিত বোমাও বহন করা যায়।




কিছুদিন আগে রয়টার্সকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বায়রাক্টার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হালুক বায়রাক্টার বলেছেন, তাদের কোম্পানি ১৪টি দেশে এ জাতীয় ড্রোন বিক্রি করেছে। সিরিয়া, লিবিয়া এবং নাগার্নো-কারাবাখের যুদ্ধক্ষেত্রে এসব ড্রোনের কার্যক্রম দেখে আফ্রিকা থেকে শুরু করে ইউরোপের অনেক দেশে ড্রোনের চাহিদা বাড়ছে। পোল্যান্ড এর মধ্যেই এ জাতীয় ড্রোন কেনার চুক্তি করেছে।

তার ভাই, বায়রাক্টার টেকনোলজির প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা সেলুক বায়রাক্টার রয়টার্সকে বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও উন্নত গোলা নিক্ষেপের ক্ষমতা রয়েছে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনের, ফলে সারা বিশ্বই আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহক হয়ে উঠছে।''



তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচিপ তাইয়িপ এর্দোয়ানের জামাতা সালুক বায়রাক্টার বলেছেন, তার কোম্পানি বছরে ২০০ টিবি-টু ড্রোন তৈরি করতে পারে।



১৯৮৬ সালে গাড়ি উৎপাদনকারী কোম্পানির যন্ত্রপাতি তৈরি প্রতিষ্ঠান হিসাবে কোম্পানিটি তৈরি করেন সালুক ও হালুক বায়রাক্টারের পিতা ওজদেমির বায়রাক্টার । তবে ২০০৫ সাল থেকে তারা মানবহীন বিমান শিল্পের ওপর বিনিয়োগ করতে শুরু করে।




বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনের দাম

এই পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঁচশোর বেশি বায়রাক্টার টিবি-২ ড্রোন সরবরাহ করা হয়েছে বলে কোম্পানি জানিয়েছে।
তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের ড্রোনের ক্রেতা বাড়ছে বলে কোম্পানি জানিয়েছে।
তুরস্কের কাছ থেকে কত টাকায় বা কতগুলো ড্রোন বাংলাদেশ কিনতে যাচ্ছে, তা জানা যায়নি।



তবে একেকটি ড্রোন অন্তত ১০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যে তুরস্ক বিক্রি করে থাকে। যদিও ইউক্রেনের কাছে একেকটি বিক্রি করা হয়েছে সাত লাখ মার্কিন ডলারে।


এই দামে কেনা হলে বাংলাদেশের জন্য প্রতিটি ড্রোনের দাম পড়বে কম বেশি ১০ কোটি টাকা।

Popular Posts