Recent post

শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

আগামী ২০২৪ সাল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষায় আলাদা কোনো বিভাগ থাকছে না। 
এখন নবম শ্রেণিতে যেভাবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বেছে নিতে হয়, শিক্ষার্থীদের সে রকম কোনো ভাগ তখন আর থাকবে না। 
দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অভিন্ন ১০টি বিষয় পড়তে হবে। 
আর আগামী বছর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে।




নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা প্রশাসন।
 শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। 
অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণয়ন করা ষষ্ঠ শ্রেণির বই কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। 
পরীক্ষামূলকভাবে বাছাই করা দেশের ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২২ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে। 
এ ছাড়া আগামী মার্চে বাছাই করা প্রাথমিক স্তরের ১০০ প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে।




এনসিটিবির সূত্র জানায়, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর ২০২৩ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে, ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। 
উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করার সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে।




নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তন হবে।
 প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিদ্যমান পরীক্ষার চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (শিখনকালীন) বেশি হবে। 
এর মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না, মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন রকমের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। 
পরবর্তী শ্রেণিগুলোর মূল্যায়নের পদ্ধতি হিসেবে পরীক্ষা ও ধারাবাহিক শিখন কার্যক্রম দুটিই থাকছে। আর দশম শ্রেণির আগ পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়ার কথা রয়েছে এই শিক্ষাক্রমে।




নতুন শিক্ষাক্রমে বিভাগ বিভাজন হবে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে। 
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হবে। 
এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে। 
নবম শ্রেণির বই যেহেতু ২০২৪ সালে যাবে, তাই ওই বছর থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা, এ রকম ভাগ উঠে যাবে।




এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। 
একই সঙ্গে অর্জিত অভিজ্ঞতা কীভাবে প্রয়োগ হবে, সেটিও শেখানো হবে। 
তবে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সমন্বিত শিক্ষাক্রম হওয়ার কথা থাকলেও এখনো প্রাথমিকের প্রস্তুতিই পুরোপুরিভাবে শেষ হয়নি।
 এ জন্য এই মাসে মাধ্যমিকের সঙ্গে প্রাথমিকের নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে না।




এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকের নতুন শিক্ষাক্রম মার্চের শুরু থেকে করা যাবে। আর প্রাথমিকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান এখনই শুরু হচ্ছে না (১ মার্চ শুরু হবে)। আশা করা যায়, এর মধ্যে করোনার সংক্রমণও কমে যাবে, তখন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসতে পারবে এবং প্রাথমিকেও পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে।




শনিবার অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান প্রমুখ।




নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথম শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষকদের একাগ্রতা দরকার। তৃতীয়ত, সমাজের অংশগ্রহণ লাগবে।




সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যখন নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল, তখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষায় সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করার প্রস্তাব উঠেছিল। 
প্রাথমিক কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে এক দিন ছুটি রেখেছিল, 
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে বলেছিলেন, তাদেরও দুই দিন ছুটি লাগে। 
এ জন্য ঠিক করা হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। 
২০২৩ সাল থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে।




বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বেশির ভাগ স্কুলে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।

শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

Oo Antava Maava, Oo Oo Antava Maava Pushpa Movie Song

Name: Oo Antava Oo Oo Antava
Singers: Indravathi Chauhan
Music: Devi Sri Prasad
Lyrics: Chandrabose
Length: 03:43


Koka Koka Koka Kadithe

Kora Kora Mantu Choosthaaru

Potti Potti Gown-ey Vesthe

Patti Patti Choosthaaru


Koka Kaadhu Gown-u

Kaadhu Kattulona Yemundi

Mee Kallallone Antha Undhi

Mee Maga Buddhe Vankara Buddhi


Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava

Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava


Thella Thella Gunte Okadu

Thallaa Kindhulowthadu

Nalla Nalla Gunte Okadu

Allarallari Chesthadu



Thelupu Nalupu Kaadhu Meeku

Rangutho Paniyemundhi

Sandhu Dorikindhante Saalu

Mee Maga Buddhe Vankara Buddhi



Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava

Haaye Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava




Yetthu Yetthu Gunte Okadu

Yegiri Ganthulesthaadu

Kurasa Kurasa Gunte Okadu

Murisi Murisi Pothaadu


Yetthu Kaadhu Kurasa Kaadhu

Meeko Satthem Sebuthaanu

Andhina Dhraakshe Theepi Meeku

Mee Maga Buddhe Vankara Buddhi




Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava

Haaye Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava




Boddhu Boddhu Gunte Okadu

Muddhu Gunnav Antaadu

Sanna Sannangunte Okadu

Sarada Padipothuntaadu



Boddhu Kaadhu Sannam Kaadhu

Vompu Sompu Kaadhandi

Ontiga Sikkamante Saalu

Mee Maga Buddhe Vankara Buddhi




Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava

Oye Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava




Peddha Peddha Manishi Laaga

Okadu Pojulu Kodathaadu

Manchi Manchi Manasundantu

Okadu Neethulu Sebuthaadu




Manchi Kaadhu Seddaa Kaadhu

Anthaa Okate Jathandi

Deepalanni Aarpesaaka




Uu Uu Uu Uu

Deepalanni Aarpesaka

Andhari Buddhi Vankara Buddhe




Oo Antava Mava

Oo Oo Antava Mava

Oo Antame Mapa

Oo Oo Antama Papa




Oo Antava Mava

Oo Oo Antava Mava

Oo Antame Papa

Oo Oo Antama Papa




Oo Antava Maava

Oo Oo Antava Maava









বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

খেজুরের কাঁচা রস পান করা বিপজ্জনক




চলছে শীতের মৌসুম। শীতকাল এলেই আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
শহর থেকে মানুষজন গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি আসেন শীতের আমেজ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্য।
এ সময় গাছিরা খেজুর গাছের ডাল-পালা পরিষ্কার করে গাছের কাণ্ড কাটেন।
তাতে বাঁশের চোঙা বসিয়ে দিয়ে তার সাথে মাটির হাঁড়ি, বড় বোতলের মুখ কেটে চোঙের সাথে লাগিয়ে রস সংগ্রহ করে থাকেন।
সন্ধ্যায় লাগালে সারা রাতে ফোঁটা ফোঁটা করে রস জমা হয়ে রাত শেষে প্রতি গাছ থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ লিটার রস পাওয়া যায়।


শীতের কুয়াশা জড়ানো ভোরে গাছিরা রস ভর্তি হাঁড়িগুলো গাছ থেকে নামায়।
এ সময় অনেকেই সরাসরি কাঁচা রস পান করে থাকে। 
কারণ কাঁচা অবস্থায় রসের আসল স্বাদ পাওয়া যায়।
 কিন্তু এই কাঁচা রস সরাসরি পান করা নিরাপদ নয়। কারণ হাঁড়িতে জমা হওয়া রসের প্রতি অন্যান্য পশু-পাখিরও আকর্ষণ থাকে। 
বিষাক্ত সাপ, বাদুড় এবং অন্যান্য কীট-পতঙ্গ কাঁচা রসের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে হাঁড়ি থেকে রস খায়। এভাবে পুরো পাতিলের রস বিষাক্ত হয়ে যায় যা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে।



বাদুড়ের মুখে থাকা নিপাহ ভাইরাস এভাবেই ছড়ায়। 
১৯৯৮-৯৯ সালে নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় মালয়েশিয়ার সুঙ্গাই নিপাহ নামক গ্রামে। ওই গ্রামের নামেই ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়।
 মূলত ফলাহারি বাদুড় এই ভাইরাসের প্রধান বাহক। তবে ফলাহারি বাদুড় নিজে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না। 
গাছে লাগানো হাঁড়ির মুখ সব সময় খোলা থাকে। 
আর বাদুড় খাবার খাওয়া এবং মলত্যাগ উভয়ই মুখ দিয়ে করে। 
ফলে জালি দিয়ে হাঁড়ির মুখ ডেকে দেওয়া হলেও অনিশ্চিত থেকে যায়। 
আমরা নিশ্চিত না থাকায় কাঁচা রস সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ।


তবে কাঁচার পরিবর্তে জাল দিয়ে খেলে ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে।
খেজুরের রস চুলায় জাল দিয়ে সিরা, পায়েস, ক্ষীর ইত্যাদি মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। 
এ ছাড়াও রস দীর্ঘ সময় ধরে জাল দিয়ে এর থেকে তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড় ইত্যাদি সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ বা অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। 
তাই এ সময়টাতে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি।



গ্রামের দিকে বিশেষ করে তরুণ ও যুবকেরা মজার ছলে শীতের রাতে গাছ থেকে রস চুরি করে খেয়ে থাকে। পরে হাঁড়ি আবার আগের জায়গায় রাখলে সারা রাতে রসে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। 
কিন্তু এই মজার বশবর্তী হয়ে আমরা নিজেদের তো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছি তার সাথে পরিবার এবং আশপাশের লোকজনকেও বিপদের মুখে ঠেলছি৷ 
এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
 নিপাহ ভাইরাস দমনের জন্য নির্ধারিত কোনো টিকা আবিষ্কার না হওয়ায় এখানে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই এই ঝুঁকি এড়াতে সতর্কতার বিকল্প নাই।
 সব সময় আমাদের কাঁচা রস পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
 নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিকভাবে অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। 
মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে কাঁচার পরিবর্তে জাল দিয়ে রস খাওয়াটাকেই উৎসাহিত করতে হবে।


মো. শাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, বরেন্দ্র কলেজ, রাজশাহী

রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ফেসবুক ব্যবহার করে যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন তাঁদেরও আসতে হবে নিবন্ধনের আওতায়।



ই–কমার্স খাতের স্বার্থে নিবন্ধন পদ্ধতিসহ অনেক পদক্ষেপ আগেই নেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সময়মতো তা না হওয়ায় অসংখ্য মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

প্রতারণার অভিযোগে অনেক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী এখন জেলের ভাত খাচ্ছেন। 
এ বাস্তবতায় প্রথম চালু হতে যাচ্ছে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন (ইউবিআইডি) নম্বর দেওয়ার কাজ। 
এ জন্য ইউবিআইডি অ্যাপস নামে একটি অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। 
ই–কমার্স খাতের ব্যবসা করতে গেলেই এখন ইউবিআইডি নিতে হবে।
আবার ফেসবুক ব্যবহার করে যাঁরা এ খাতের ব্যবসা করবেন, তাঁদেরও আসতে হবে নিবন্ধনের আওতায়।
 

সচিবালয়ে কাল রোববার ইউবিআইডি অ্যাপসটির উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ এ সময় উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, পুলিশের সিআইডি, এসবি, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ডাক অধিদপ্তরসহ মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাল রোববার সকালে প্রথমে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করা হবে, তারপর ইউবিআইডি অ্যাপসের উদ্বোধন করা হবে। ই–কমার্স খাতকে অধিকতর শৃঙ্খলায় আনতে আরও কয়েকটি সেবা চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন।’

জানা গেছে, ইউবিআইডির পাশাপাশি নিবন্ধিত কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ থাকলে তা নিষ্পত্তির জন্য চালু করা হচ্ছে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিসিএমএস)। এ ছাড়া ‘বিনিময়’ নামে একটি ডিজিটাল আন্তলেনদেন প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজও চলছে।

বিনিময় অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ, নগদ, উপায় বা যেকোনো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) থেকে যেকোনো ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠানো যাবে। 
এ দুই সেবাও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। 
এ দুটির পর চালু করা হবে সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম (সিএলটিপি), তার কাজও চলছে।


তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিনিময়, সিসিএমএস ও সিএলটিপি পরিপূর্ণভাবে কবে থেকে হবে, সরকারের কোন কোন দপ্তরের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হবে, গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের ঘটনা কীভাবে সমাধান এবং চলমান সংকট নিরসনে উদ্যোক্তাদের মামলাগুলোর-ই বা কী হবে, এসবের ওপর নির্ভর করবে পুরো ই–কমার্স খাতের শৃঙ্খলা। আগামীকালের বৈঠকেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করেন একজন উদ্যোক্তা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এত দিন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন নেওয়ার পদ্ধতি ছিল না। ফলে কাউকে ধরাও যাচ্ছিল না। এই ফাঁকে অনেক খারাপ ঘটনা ঘটে গেছে। এখন অবশ্য শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে এ খাত।

সূত্রগুলো জানায়, অনুষ্ঠানস্থল থেকেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কাল ইউবিআইডি দেওয়া হবে। পরে নিবন্ধন দেওয়ার পুরো কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তর (ডিজেএসসি)। পরিদপ্তর হওয়ার আগে এ প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত নাম ছিল আরজেএসসি। ইউবিআইডির কারিগরি দিক দেখার দায়িত্বে আছে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। তিন মাস ধরে কাজ চলার পর সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার জন্য অ্যাপসটি প্রস্তুত করা হয়েছে।




তবে নাম না প্রকাশের শর্তে সফলভাবে ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী একজন উদ্যোক্তা বলেন, যে ডিজেএসসিকে নিবন্ধন দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে বলা হচ্ছে, সেই প্রতিষ্ঠান কাজ করার জন্য কতটুকু সক্ষম, তা–ও যাচাই করতে হবে। আড়াই লাখের বেশি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনদানকারী দপ্তর এই ডিজেএসসি।


ইক্যাবের সহসভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন আজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নিবন্ধন নেওয়া ছাড়া আর ই–কমার্স খাতে ব্যবসা করা যাবে না। এ খাতের সবাইকে এটা মাথায় রাখতে হবে। এ খাতের স্বার্থ বিবেচনায় নিবন্ধন মাশুলও (ফি) নেবে না সরকার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এ খাতে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া এখন সহজ হবে।


নিবন্ধন ছাড়া কেউ ব্যবসা করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, কেউ তা করবেন না। কেউ তা করতে চাইলে তার জন্য ব্যবসা করা সত্যিই কঠিন হয়ে যাবে।’


কোনো ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারিত গ্রাহক কত এবং তাদের পাওনার পরিমাণই–বা কত, সরকার এখনো তা জানে না। 
তবে তা জানতে গত ২৫ জানুয়ারি কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
 তবে ই–কমার্সের নামে প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪১টি মামলা রয়েছে। 
এসব মামলার আসামি ১১০ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৬ জন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কীভাবে দূর করবেন

কথায় আছে, চিন্তাবিহীন কার্য নাকি ডেকে আনে বিপদ। 
তাই সূক্ষ্ম ভাবনাচিন্তার গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝি। 
কিন্তু এই চিন্তা যদি হয় বাড়াবাড়ি ধরনের, অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়াই চিন্তা, তাহলে? 
এই ‘অতিরিক্ত চিন্তা’য় অনেকে মানসিক সমস্যায়ও পড়েন।
 ‘বেশি চিন্তা’ মন আর শরীরের মধ্যে তৈরি করে ভারসাম্যহীনতা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা অনেকটা চক্রের মতো। 
যত দূর করতে চাইবেন, তত আপনাকে জেঁকে ধরবে। 
কথায় আছে, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’ 
মস্তিষ্ক যত অলস বসে থাকে, তত মাথায় জমা হয় অহেতুক চিন্তা। 
করোনা মহামারির সময়ে বাসায় বসে থাকতে হচ্ছে কমবেশি সবাইকে। 
আর সে সময়েই মাথায় জমা হচ্ছে হাজারো দুশ্চিন্তা।


অহেতুক দুশ্চিন্তায় কী হয়

অহেতুক দুশ্চিন্তার সূচনা হতে পারে যেকোনো জায়গা থেকেই। আর তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে।
কাজের পরিমাণ কমে যায়:
অহেতুক দুশ্চিন্তা সবার আগে প্রভাব ফেলে তার দৈনন্দিন কাজের ওপরে। 
প্রথমে ফাঁকা সময়ে দুশ্চিন্তার উদ্রেক হলেও আস্তে আস্তে ব্যস্ত সময়েও প্রভাব ফেলা শুরু করে। কাজের উৎপাদনশীলতায়ও যার প্রভাব পড়ে।

অহেতুক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে ঘুমে

অহেতুক দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে ঘুমে।
 ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন হয় একটি শান্ত মন। আর সে সময়ে যদি দুশ্চিন্তা হানা দেয়, তবে কি আর ঘুম আসে? 
রাতের ঘুমে বড় প্রভাব ফেলে অহেতুক দুশ্চিন্তা।

অলসতা: 
দুশ্চিন্তা একবার শুরু হলে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে। আর সে চিন্তা শেষ না করে কোনো কাজে মন দেওয়াও সম্ভব হয় না। ফলে হয়তো ভেবে রেখেছেন এক ঘণ্টা পর কোনো কাজে বসবেন, অহেতুক দুশ্চিন্তা সে কাজকে পিছিয়ে দেবে আরও কয়েক গুণ।

পরিত্রাণের উপায়
কোনো সমস্যা থেকে বের হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সমস্যা চিহ্নিত করা। 
দুশ্চিন্তা করা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কিন্তু কখন এই দুশ্চিন্তা অহেতুক এবং অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে শিখুন। বারবার একই বিষয় নিয়ে চিন্তা করা, একই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা—এগুলোই অহেতুক দুশ্চিন্তার লক্ষণ।
সমস্যার সমাধান খুঁজুন: বারবার একই সমস্যার কথা না চিন্তা করে সমাধানের পথ খুঁজুন। সমস্যার কথা ভেবে কখনো সমাধান আসে না। বরং যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, ভেবে সমাধান নিয়ে ভাবলেই বরং চিন্তামুক্ত হওয়া সহজ।

নিজের জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন: 

অহেতুক দুশ্চিন্তা নিজের স্বাভাবিক কাজ থেকেই দূরে সরিয়ে দেয় সবাইকে। 
নিজের কাজেই মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। 
যে কারণে সবকিছু বাদ দিয়ে পুরোনো কিছুতে ফিরে যান। ছবি আঁকা, বই পড়া; যেসব শখ বহু বছর আগে আপনার ছিল, সেটিতে মনোযোগ দিন কিংবা নতুন করে শুরু করুন। নিজের প্রিয় কাজে ব্যস্ত থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে হারানো আত্মবিশ্বাসও ফেরত পাবেন।



আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন: অনেক সময়ই অহেতুক দুশ্চিন্তা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে, যা থেকে খিটখিটে মেজাজ কিংবা রেগে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। তখন সে রাগ গিয়ে পড়তে পারে নিরীহ কারও ওপর। সে কারণে এ সময়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। নইলে সামান্য রাগ হতে পারে আপনার অন্য কোনো সময়ের দুশ্চিন্তার কারণ।

কথা বলুন: 
বেশির ভাগ সময় মনে জমিয়ে রাখা কথাই সৃষ্টি করে দুশ্চিন্তা। তাই যখনই মনে হবে মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধছে, তখনই নিজের প্রিয় বন্ধু কিংবা কাছের মানুষ কাউকে সব খুলে বলুন। দেখবেন নিজেকে যথেষ্ট ভারমুক্ত মনে হবে।
অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিন: যখনই মনে হবে অহেতুক চিন্তা নিজের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ভাবুন, ‘যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।’ অতীতকে চাইলেও পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, ফলে ওসব নিয়ে ভেবেও লাভ নেই। অতীতকে অতীতের জায়গায় থাকতে দিলেই বরং সবার জন্য ভালো। এই চিন্তা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করুন, তবেই এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়া যাবে।



মনে রাখবেন, দুশ্চিন্তা মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারারই বহিঃপ্রকাশ। দুশ্চিন্তা করাও দোষের কিছু নয়, কিন্তু এই দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব আপনারই। খেয়াল রাখবেন, দুশ্চিন্তাকে যেন আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখেন, দুশ্চিন্তা যেন আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ না করে।




Popular Posts