Recent post

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

ফেসবুকে ধোঁকা থেকে বাঁচতে জেনে নিন কয়েকটি পরামর্শ

ফেসবুকে এখন বড় সমস্যা ভুয়া অ্যাকাউন্ট। 
ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধে ফেসবুক কঠোর অবস্থান নিয়েছে। 
কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে ফেসবুকের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে বোকা বানিয়ে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হচ্ছে। অন্যের নাম-পরিচয় নকল করে তৈরি এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে নানা রকম প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 
এ ধরনের ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 
এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

 ফেসবুকে ধোঁকা থেকে বাঁচতে জেনে নিন কয়েকটি পরামর্শ:

চটকদার ছবি: 
তরুণ-তরুণী ও যুবকদের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য অনেক অ্যাকাউন্টে চটকদার ছবি ব্যবহার করা হয়। 
এ ছাড়া ফেসবুকে এখন অদ্ভুত নামের অ্যাকাউন্ট দেখা যায়। কাউকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করার আগে তাঁর ফেসবুক নাম ও ছবি দেখে আসল অ্যাকাউন্ট কি না নিশ্চিত হয়ে নিন।
 বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফেসবুকে প্রতারণা ঠেকাতে যাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাঁর অ্যাকাউন্টটি ভুয়া কি না পরীক্ষা করা জরুরি। 
ভুয়া অ্যাকাউন্টে আসল নাম-পরিচয় পাবেন না। তাঁর পোস্টগুলো খেয়াল করলেই প্রোফাইলের ব্যক্তিটি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

বিদেশি প্রলোভনে ভুলবেন না: 
অপরিচিত অনেক বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পেতে পারেন।
 সাধারণ আলাপচারিতার পর আপনার সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। 
আপনাকে অর্থসহ নানা প্রলোভন দেখানো হতে পারে। এ ধরনের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

ফেসবুকে সম্পর্ক: 
ফেসবুক এখন যোগাযোগের বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 
ফেসবুকের প্রোফাইলে রাখা ছবি দেখে ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। 
কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে অপরিচিত কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে সতর্ক থাকা উচিত। 
কারণ, ফেসবুক হতে পারে প্রতারণার ফাঁদ।

অর্থ স্থানান্তর নয়: 
কখনো কখনো ফেসবুকে আলাপচারিতার সময় পরিচিতজনের ছদ্মবেশে দুর্বৃত্তরা অর্থ চাইতে পারে। ফেসবুকে যোগাযোগের সময় কেউ অর্থ চাইলে নিশ্চিত হয়ে তবে অর্থ লেনদেন করবেন।

ফেসবুকে আসা লিংকে ক্লিক করা থেকে সাবধান:
 ফেসবুকে এখন অনেক প্রতারণামূলক লিংক ছড়ায়। 
লোভনীয় প্রস্তাব, একটি বার্তা আরও কয়েকজনকে ছড়ানোসহ নানা লিংক পরিচিতজনের কাছ থেকে আসতে পারে। এসব লিংকে ক্লিক না করে তা মুছে দিন।

ফেসবুকে কেনাকাটা:
 ফেসবুক থেকে কেনাকাটা করলে কোনো পণ্য গ্রহণ করতে নিরাপদ জায়গা বেছে নেবেন। 
সঙ্গে কোনো বন্ধু রাখবেন।
 পণ্য বুঝে না পেয়ে অর্থ পরিশোধ করলে পরে ঠকতে হতে পারে। 
এ ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে অর্থ পরিশোধ করুন।

ফেসবুকে নজরদারি: 
ফেসবুকে আপনার অবস্থান, পরিবারের তথ্যসহ স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়া থেকে সতর্ক থাকুন। আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। 
তথ্যসূত্র: সিনেট, ম্যাশেবল।

শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭

মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, জ্বর জ্বর?

ঠান্ডা-গরমের তারতম্যে, সর্দি-কাশিতে, বৃষ্টিতে ভেজা বা গরমে ঘামা—এসব পরিস্থিতি সাইনোসাইটিসের রোগীদের জন্য কষ্টকর বটে।
এই সময়ে তাদের মাথাব্যথা, নাক বন্ধ, জ্বর জ্বর ভাব বেড়ে যায়। 
সাইনাস হলো মাথার খুলির হাড়ের মধ্যে অবস্থিত কিছু ফাঁকা জায়গা। চোখের পেছনে, নাকের হাড়ের দুই পাশে এ রকম ফাঁকা জায়গা আছে। এই ফাঁকা জায়গায় সর্দি জমে সাইনোসাইটিস বা প্রদাহ হয়। এতে বাতাস আটকে যায় এবং মাথা ব্যথা করে।
 এই মাথাব্যথা সাধারণত কপালে বা গালের দুদিকে কিংবা চোখের পেছনে অনুভূত হয়।

ঘুমটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে



অনেক সময় সারা রাত ঘুমিয়ে সকালে জাগার পর মনে হয়, যেন ঘুমটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে।
সারা দিন বারবার ঘুম আসতে থাকে। 
কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

যেভাবে জঙ্গিবাদে জড়ান স্বামী-স্ত্রী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা দম্পতি জহুরুল হক ওরফে জসীম ও রাজিয়া সুলতানা ওরফে আরজিনাকে জঙ্গিবাদে জড়ান সোহেল রানা।
তাঁর পরামর্শেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী গ্রামের বাড়ি ছাড়েন তাঁরা। 
সোহেলের নির্দেশে তাঁরা চলতেন।

আ.লীগের প্রশংসা, বিএনপির সন্দেহ

২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি পথনকশা (রোডম্যাপ) তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাতে নির্বাচনী আইন সংশোধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, দল নিবন্ধন ও আগামী জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় রয়েছে। এসব বিষয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন। পথনকশা অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ে এই সংলাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থক দলগুলো কমিশনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। তারা বলছে, এই উদ্যোগ সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনের এই সংলাপের উদ্দেশ্য ও সফলতা নিয়ে সন্দেহ, সংশয় প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, নতুন নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা দেখাতে পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্দেশ্য যদি লোক দেখানো হয় এবং সরকারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়, তাহলে সেটি কোনো কাজে আসবে না। তবে দলটি সংলাপে অংশ নেওয়ার পক্ষে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, পথনকশাটি এখন কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। পথনকশায় জুনে কাজ শুরুর সময় ধরা হয়েছে। মূল কাজগুলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সেটা শুরু হবে জুলাইয়ে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান অংশীজন হলো রাজনৈতিক দল। তাই দলের সঙ্গে সংলাপ হওয়া জরুরি। এর মাধ্যমে দলগুলোর নির্বাচনী ভাবনা ও ইসির কাজের বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়া সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণ পেলে আওয়ামী লীগ সংলাপের আলোচ্যসূচি (অ্যাজেন্ডা) তৈরি করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনী আইন সংশোধন দরকার। নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে। তাই নতুন চিন্তা বাস্তবায়ন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপ জরুরি।

অবশ্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁর দল সংকট সমাধানে আলোচনায় বিশ্বাস করে। সংলাপ একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বিএনপি অংশ নেবে। তিনি বলেন, এককভাবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ কারণে বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান কমিশন তাঁদের দলের কাছে এখনো বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে তারা দক্ষতা দেখাতে পারেনি। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস জন্মেনি। নির্বাচন কমিশন সরকারের মুখপাত্র হয়ে, নাকি সত্যিই সংকট সমাধান, রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংলাপ করছে, সেটা দেখার বিষয়। তিনি বলেন, দেখা যাক নির্বাচন কমিশন কী উদ্দেশ্যে কী উদ্যোগ নেয়।

কমিশন সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও একজন কমিশনার বলেছেন, বিগত দুটি কমিশনের কাজের ধরন বিশ্লেষণ করে পথনকশা করা হয়েছে। এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ১ বছর সাড়ে ১০ মাস সময় পেয়েছিল। তারা একটি পথনকশা করে কাজগুলো শেষ করেছিল। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে সব কাজ যেমন শেষ হয়েছিল, তেমনি নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ওই কমিশনকে তেমন ঝামেলায় পড়তে হয়নি। এরপর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশনের সময় জাতীয় নির্বাচনের জন্য কোনো পথনকশা ছিল না।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

জাতীয় নির্বাচন কবে

পথনকশা অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর বা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সে ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বা তারপরে তফসিল ঘোষণার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কমিশন বলছে, সংবিধানে এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগের যেকোনো দিন ভোট হতে পারে। দশম সংসদের মেয়াদ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।

সংলাপ ও আইন সংশোধন

নির্বাচন কমিশনের করা পথনকশায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, নাগরিক প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে এক দফা, সম্ভব হলে দুই দফা আলোচনা বা সংলাপ করার কথা বলা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অস্পষ্ট এবং অপ্রাসঙ্গিক ধারাগুলো বাতিল বা সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুন থেকে আইন সংশোধনসংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরির মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হবে। আইনের একটি খসড়া সংশোধনী তৈরি করে সেটি নিয়ে প্রথম দফায় সংলাপ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সংলাপে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দল, নাগরিক প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের মতামত নেওয়া হবে। জুন থেকে পথনকশা অনুযায়ী চলা শুরু হলেও মূলত ভোট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অংশীজনদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আইনের কিছু ধারা আছে, যা এখন বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেগুলো সংশোধন করা দরকার। ভালো নির্বাচনের জন্য আইনে নতুন কোনো ধারা যুক্ত করতে হবে কি না, সেটাও দেখতে হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইতিমধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে কিছু আইন পরিবর্তন, সংস্কার চেয়েছেন। কমিশনও মনে করে, কোনো কোনো আইনের সংস্কার প্রয়োজন। নতুন ধারাও সংযোজন দরকার।

অংশীজনদের মত হতে হবে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ

কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের সময় বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারই দায়িত্ব পালন করবে। এ কারণে সংলাপের সময় এটি মাথায় রেখে অংশীজনদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। সংবিধানবহির্ভূত কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না।

ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, অবধারিতভাবেই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি সংলাপে নির্দলীয় বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি তুলবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কমিশনের বক্তব্য শোনা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। তাই মূল কথা বলার জন্য আগে থেকেই অনুরোধ জানিয়ে রাখা হবে।

জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে কাজগুলো গোছানো হয়। কমিশনের প্রধান অংশীজন হলো রাজনৈতিক দল। এ কারণে তাদের সঙ্গে বারবার আলোচনা খুবই জরুরি। এতে কমিশনের ওপর দলগুলোর আস্থা বাড়বে। সন্দেহ-দূরত্ব দূর হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে হবে। তাই ওই নির্বাচন সুষ্ঠু-অবাধ করতে প্রয়োজনে কিছু আইনে সংস্কার আনা যেতেই পারে।

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনারের মতে, নির্বাচন কমিশনকে আগে আস্থা অর্জন করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর মাধ্যমে তাদের সেই চেষ্টা করা দরকার। কমিশনকে নিয়ে দলগুলোর সন্দেহ-অবিশ্বাস থাকলে সংলাপ সফল হবে না।

ফেসবুকের কাছে সরকারের অনুরোধ বেড়েছে

ফেসবুকের কাছে গত বছরের শেষ ছয় মাসে ৪৯টি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
 এতে ৫৭টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। 
বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ তথ্য দেওয়ার কথা বলেছে ফেসবুক। ২৭ এপ্রিল ফেসবুকের প্রকাশ করা ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ফেসবুক প্রতি ছয় মাস পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 
এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়।
 তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
এর আগে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ২১ ডিসেম্বর ফেসবুক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’-এ বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯টি অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ১০টি অনুরোধ করা হয়েছিল।
অর্থাৎ, ২০১৬ সালে ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে মোট ৫৯টি অনুরোধ করা হয়েছে। 
ফেসবুক প্রকাশিত প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে (https://govtrequests.facebook.com/country/Bangladesh/2016-H2/) দেখা যায়, আইনি প্রক্রিয়ার (লিগ্যাল প্রসেস) জন্য ২৪টি অনুরোধে ৩২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হলে ফেসবুক ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ২৫টি অনুরোধে ২৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ফেসবুকের এ প্রতিবেদনে সরকারিভাবে ফেসবুক বন্ধ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একবার ফেসবুক বন্ধ করার তথ্য প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিষয়ে ১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের অনুরোধও পাওয়ার কথা ওই প্রতিবেদনে বলেছে ফেসবুক।
এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে গত বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩১টি অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ১২টি অনুরোধ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ তথ্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিটিআরসির অনুরোধে সাড়া দিয়ে চারটি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়।
ফেসবুকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার বেড়ে গেছে। ফেসবুক নিউজরুমে ২৭ এপ্রিল প্রকাশ করা এক পোস্টে ফেসবুকের ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল ক্রিস সন্ডারবি বলেছেন, ২০১৬ সালের দ্বিতীয় ভাগের বৈশ্বিক সরকারি তথ্য চাওয়ার প্রতিবেদন তারা প্রকাশ করছেন। তাতে স্থানীয় আইন মোতাবেক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে সরকারি অনুরোধ ও কনটেন্ট বন্ধ করার অনুরোধের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৬ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় শেষ ছয় মাসে সরকারি তথ্য চাওয়ার হার ৯ শতাংশ বেড়েছে। প্রথম ছয় মাসে ৫৯ হাজার ২২৯টি অনুরোধ পেয়েছিল ফেসবুক, যা শেষ ছয় মাসে বেড়ে ৬৪ হাজার ২৭৯ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মোবাইল স্পিড কমে গেলে যা করবেন

অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন চালু হতে সময় নিচ্ছে? 
হয়তো গতি কমে গেছে আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটির। 
নানা কারণেই অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোনের গতি কমতে পারে। 
অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারচালিত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কয়েক মাসের মধ্যেই গতি কিছুটা কমে যেতে দেখবেন। সাশ্রয়ী কিংবা মাঝারি দামের স্মার্টফোনের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। 
দরকারের সময় ফোন যদি ঠিকঠাকমতো কাজ না করে, অনেকেই বিরক্ত হন। 
নিয়মিত ব্যবহারে পারফরম্যান্স খারাপ হতে শুরু করার পাশাপাশি ফোনের গতি কমে যায়। 

গতি কমার কারণগুলোর মধ্যে থাকতে পারে:

১. ফোনে অনেক বেশি অ্যাপ ইনস্টল থাকা।
২. ফোনের র‍্যাম কম হওয়া।
৩. ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ ভর্তি হয়ে যাওয়া।

ফোনের গতি কমে যাওয়ার সাধারণ এ সমস্যা খুব সহজেই নিজে নিজে দূর করতে পারবেন। 
এ ধরনের সমস্যা সমাধানের অনেক উপায় আছে। জেনে নিন সমস্যা সমাধানের কয়েকটি উপায়:

১. স্মার্টফোনে ইনস্টল থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন।
২. স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিনটিতে অতিরিক্ত উইজেট থাকলে সরিয়ে ফেলুন।
৩. স্মার্টফোনের লাইভ ওয়ালপেপার সরিয়ে দিন। সেখানে সাধারণ ছবির কোনো ওয়ালপেপার যুক্ত করতে পারেন।
৫. হালনাগাদ অ্যান্ড্রয়েড ইনস্টল করে নিন।
৬. ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ ভর্তি থাকলে কিছুটা খালি করুন। অপ্রয়োজনীয় ছবি, ভিডিও, ফাইল মুছে ফেলুন।
৭. মাইক্রোএসডি কার্ড সমর্থন করলে আপনার ফাইল ফোনের স্টোরেজর পরিবর্তে মাইক্রোএসডি কার্ডে সংরক্ষণ করুন।
৮. অ্যাপের ডেটাগুলো Clear cached করুন। এ জন্য সেটিংস মেনুতে গিয়ে অ্যাপে ক্লিক করে সব অ্যাপসে Clear cached করুন এবং Settings > Storage এ গিয়ে Cached data ক্লিয়ার করুন।
৯. যেসব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা চালায়, তা নিষ্ক্রিয় করুন বা সীমিত করে দিন।
১০. প্রথমেই আপনার ফোনে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে শাট-ডাউন করুন অথবা আপনার ফোন পুনরায় আরম্ভ (রিস্টার্ট) করে চেষ্টা করুন। এতেও যদি কাজ না হয়, তবে ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যাকআপ নিয়ে স্মার্টফোনটি ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে দেখতে পারেন।

এই সাধারণ পদক্ষেপগুলো ছাড়াও কয়েকটি অ্যাপ আপনার ফোনের গতি বাড়াতে পারে। 
এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লিন মাস্টার। 
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জাঙ্ক ফাইল মুছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টোরেজ খালি করে অ্যাপটি। 
এ ছাড়া র‍্যামও খালি রাখে অ্যাপটি। 
সুইফট লকার অ্যাপটিও কাজে লাগতে পারে। 
তথ্যসূত্র: চিটসিট, গ্যাজেটস নাউ।

মাউস দিয়ে কম্পিউটার চালু করুন

সাধারণত সিপিইউর পাওয়ার বোতাম চেপেই ডেস্কটপ কম্পিউটার চালু করতে হয়। অনেক সময় পাওয়ার বোতাম কাজ না করলে সেটির বিকল্প হিসেবে কি-বোর্ড বা মাউস ব্যবহার করেও কম্পিউটার চালু করা যাবে। গিগাবাইট মাদারবোর্ডে এমন সুবিধা আছে। তা ছাড়া যেসব মাদারবোর্ডের বায়োস মেনুত পাওয়ার অন বাই কি-বোর্ড/মাউস সুবিধা আছে সেটিতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কাজটি করা যাবে।

যা করতে হবে
কম্পিউটার চালু করে Delete বোতাম চেপে বায়োসে অপশনে সচল করুন।
 এখানে Power Management Setup অপশন নির্বাচন করে এন্টার বোতাম চাপুন। 
তালিকার বিভিন্ন সেবা থেকে Power on by Mouse নির্বাচন করে এন্টার চাপুন। এখানে Double Click নির্বাচন করে দিলে মাউসের দুই ক্লিক করেই কম্পিউটার চালু করা যাবে। 
এই তালিকা থেকে যদি Power on by Keyboard নির্বাচন করেন, তাহলে কি-বোর্ডের নির্দিষ্ট বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। তাই Power on by Keyboard থেকে Password নির্বাচন করুন। তাহলে এটির নিচে KB Power on Password আসবে। সেটিতে এন্টার চেপে পরপর দুবার পাসওয়ার্ড লিখে দিলে পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ কম্পিউটার চালু করতে পারবে না।
 Power on by Keyboard থেকে Keyboard 98 নির্বাচন করলে কি-বোর্ডের যেকোনো বোতাম চেপে কম্পিউটার চালু করা যাবে। 
কাজ শেষে F10 বোতাম চেপে পরের বার্তায় এন্টার চেপে সেটিংস সংরক্ষণ করুন। 
এখন কম্পিউটার শাটডাউন করে কিছুক্ষণ পর মাউসে ক্লিক বা কি-বোর্ডে যেকোনো বোতাম চাপলেই কম্পিউটার চালু হবে।

হাওরের কান্না থামাতে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে । সুনামগঞ্জে প্রথম আলোর গোলটেবিল ।

হাওরে কান্না থামাতে হলে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
 ফসল রক্ষার পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করতে হবে হাওরবাসীকে। একই সঙ্গে হাওরবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না করলে অসময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বছর-বছর তলিয়ে যাবে হাওরের ফসল।

প্রথম আলোর উদ্যোগে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জে ‘হাওরে ফসলহানি: করণীয় কী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

হাওরে বোরো চাষাবাদ শুরু সত্তরের দশক থেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) হাওরের ফসল রক্ষা প্রকল্প নামে প্রতিবছর অকালবন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষায় নতুন বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ করছে। এবার সুনামগঞ্জের হাওরে দেড় হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৮৫০টি অংশ সংস্কার ও নির্মাণকাজ করা হয়। এর মধ্যে ৫২৫টি বাঁধের অংশ ভেঙে একে একে ফসলহানি ঘটে ছোট-বড় ১৫৪টি ফসলি হাওরের।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ছোট-বড় হাওরে এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে। ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে কৃষক ও বিশিষ্টজনেরা নানা মত দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার হলে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই আলোচনা হয়।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, দুটি কারণে সুনামগঞ্জে ফসলহানি ঘটেছে। একটি হচ্ছে চৈত্র মাসে অতিবৃষ্টি আর আরেকটি হলো কিছু মানুষের অতিলোভের কারণে। এ জন্য দায়ী পাউবো। এই সংস্থার প্রতি কৃষক ও মানুষের আর আস্থা নেই। ভবিষ্যতে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ আর পাউবোকে দিয়ে না করানোর আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির এই সাংসদ।

সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সিলেট ও হবিগঞ্জের হাওরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের এই দুর্যোগকে অনেকেই বলছেন মানবসৃষ্ট। আমি এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, আমরা কি কখনো মার্চের শেষ দিকে এত বৃষ্টি দেখেছি। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। সেটারও প্রভাব আছে। এখন হাওরকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। হাওরের মানুষকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।’

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে অপরিসীম মন্তব্য করে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হুমায়ুন মনজুর চৌধুরী বলেন, ‘১২টি বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। আমি বলব অন্য যেগুলো হয়েছে, সেগুলোতেও প্রকৃত অর্থে কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় ভাষায় বলতে হয়, উড়া উড়া মাটি ফেলা হয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিচার চাই।’ বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

জেলার প্রত্যন্ত ধরমপাশা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ১৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। এ অবস্থায় হাওর এলাকায় এবার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বাড়তে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যক্ষ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পুরো বছরের বেতন মওকুফ করা এবং সবাইকে উপবৃত্তি দেওয়ার দাবি জানান।

‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, হাওর উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা হয়, কথা হয়, কিন্তু কাজ হয় না। প্রতিবছর হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধের নামে পাউবো ঠিকাদার ও পিআইসি লুটপাট করে। এবারও বাঁধ নির্মাণকাজে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল—এসব বলে দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মলয় চক্রবর্তী বলেন, পানিদূষণ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে কাঁচা ধান পচে পানিদূষণের অবস্থা মোকাবিলার পন্থা কী হতে পারে, ভবিষ্যতে তা মানুষকে জানাতে হবে। এটি জেলা প্রশাসন অথবা মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে হতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জের খবর-এর সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জের সম্পাদক আলী হায়দার ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ। তাঁরা অভিন্ন সুরে বলেন, হাওরে ফসলহানির কান্না নতুন নয়। এ কান্নার মূলে রয়েছে কিছু মানুষের লোভ। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ না হলে হাওরের কান্না থামানো যাবে না।

সুনামগঞ্জে একের পর এক হাওর যখন ডুবছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রমে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা চলছিল। টানা ২৪ দিন রক্ষার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। শনির হাওরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত জনপ্রতিনিধিদের একজন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল ও জামালগঞ্জ উপজেলার বেহিলী ইউনিয়ন পরিষদের নারী ওয়ার্ড সদস্য মনেছা বেগম এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরি হাওরে পাহাড়ি ঢল মোকাবিলায় কৃষকদের ‘মানবঢাল’-এ অংশ নেওয়া কৃষক অমর চাঁদ দাশও আলোচনায় অংশ নেন।

তাঁরা তিনজন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে হাওরের মানুষ অভ্যস্ত। হাওর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা থাকতে হবে। হাওরের জন্য পানি সমস্যা আবার আশীর্বাদও। পানি ধারণ করার ক্ষমতা বাড়াতে হাওরের নদ-নদী খনন করতে হবে। প্রয়োজনে নাব্যতা হারানো হাওরও খননের আওতায় আনতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে হাওরের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রথম আলো এই আলোচনার আয়োজন করেছে। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি।

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৭

জিহ্বার রোগ

ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন, চলাফেরা করতে পারছেন, আবার মাঝে মাঝে একটু অসুস্ততা বোধ করা যা কিছুদিনের মধ্যে আপনাআপনিই কেটে যাচ্ছে। 
এইধরনের জীবনযাপন কম-বেশি সবাই করছেন। কেউই ঠিকঠাক মতো বলতে পারবেন না যে তিনি একেবারে পরিপূর্ণ সুস্থ একজন মানুষ। 
ছোটোখাটো অনেক অসুস্থতাই আমরা অবহেলা করে চুপচাপ বসে থাকি আপনাআপনি সেরে যাওয়ার জন্য। 
কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি সত্যিকার অর্থেই মারাত্মক কিছু ঘটে যায় তাহলে? 
যদি আপনার ছোটোখাটো সমস্যা বড় কোনো রোগের লক্ষণ হয় তবে? 
অবহেলার কারণে হয়তো সে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 
তাই সুস্থ থাকতে কোনো কিছুই অবহেলা করা উচিত নয়।
 যদি অসুস্থতা বোধ করেন তবে নিজে থেকেই একটু বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন কি হয়েছে। 
আজকে দেখে নিন নিজের জিহ্বার রঙের পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারবেন তার পদ্ধতি।


১) সাধারণ জিহ্বাঃ 
গোলাপি রঙের কোনো ধরণের রঙের পরিবর্তন ও লেয়ারের পরিবর্তন বিহীন জিহ্বা নিশ্চিত করে আপনার দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকলাপ। 

২) পাতলা সাদা স্তর ও মাঝে মাঝে লালচে ফুটিঃ
 জিহ্বায় এই ধরণের পরিবর্তনের সাথে অতিরিক্ত দুর্বলতা, ক্ষুধা মন্দা এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং উদ্বিগ্ন মনোমানসিকতার লক্ষণ। 

৩) জিহ্বার মাঝ বরাবর হলদে দাগ এবং কালচে লাল রঙের জিহ্বাঃ 
হজমে সমস্যা, পানিশূন্যতা, ত্বকের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। 

৪) জিহ্বার ওপরে সাদা মোটা স্তর এবং কিনার ফুলে যাওয়াঃ
 এই লক্ষণ প্রকাশ করে হজমে সমস্যা, দেহে পানি চলে আসা সমস্যা। এই সমস্যায় ভোগা রোগীরা অতিরিক্ত দুর্বলতা এবং সবসময় তন্দ্রাচ্ছন্নতা বোধ করেন। 

৫) হালকা বেগুনী রঙের জিহ্বা এবং কালচে ফুটিঃ 
এই ধরণের জিহ্বার পরিবর্তন ব্লাড কনজেশন, রক্তের শিরাউপশিরার সমস্যা, পা ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত মাথা ও বুকে ব্যথা, হার্টের সমস্যা এবং ত্বকের সমস্যা প্রকাশ করে। 

৬) পাতলা সাদা স্তর এবং জিহ্বার অগ্রভাগ লালচে হয়ে যাওয়াঃ 
মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ জিহ্বার এই ধরণের পরিবর্তন। নার্ভাস ব্রেক ডাউনের সম্ভাবনা থাকে।

 ৭) লালচে রঙের জিহ্বা এবং পাতলা সাদাটে স্তরঃ 
কোনো ধরণের ইনফেকশন এবং ত্বকের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। দেহের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় এই সময়ে। 

৮) জিহ্বা ফ্যাকাসে হয়ে ফুলে উঠা এবং ওপরে সাদা মোটা স্তরঃ 
দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি প্রকাশ করে। যদি এর পাশপাশি ত্বকের রঙও ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং তলপেট ব্যথা করে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

৯) জিহ্বায় ছোটো ছোটো ফাটা দাগঃ
 ফাংগাল ইনফেকশন, অনিদ্রা রোগ এবং ত্বকের সমস্যার লক্ষণ। 

১০) ফ্যাকাসে স্তরবিহীন জিহ্বাঃ 
রক্তস্বল্পতা, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট, স্মৃতিভ্রষ্টতা এবং মনোযোগের অভাব জনিত সমস্যার রোগের লক্ষণ।

জিহ্বার রঙ ও রোগ

সুস্থ শরীরে জিহ্বার রঙ হালকা গোলাপী হয়ে থাকে। 
যদি আপনার জিহ্বার রঙ স্বাভাবিক থাকে তার অর্থ হলো আপনার শরীরে বিশেষ কোনো রোগ নেই। পরিপাকতন্ত্রও ঠিকমতো কাজ করছে। শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকরা রোগীর জিহ্বা একবার হলেও দেখে থাকেন। 
জিহ্বার রঙ ও আকার দেখে শারীরিক সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করেন। 
কারণ জিহ্বা প্রধানত আমাদের পরিপাকতন্ত্রের খবর জানায়। 
কয়েক শতাব্দী পুরানো এই পন্থা আসলে চীনাদের চিকিৎসা পদ্ধতির অঙ্গ ছিল। 
শরীরের কোনো স্থানে সমস্যা আছে কিনা তা জানতে পারেন নিজের জিহ্বা দেখেই। 

(ক) জিহ্বায় পাতলা সাদা আবরণ থাকলে বুঝতে হবে হজমে কোনো সমস্যা নেই। পরিপাকতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে।

 (খ) মোটা সাদা আস্তরন : এটা শরীর খারাপের সংকেত। 
এটা হলে বুঝবেন ভেতরে ভেতরে শরীর খারাপ হচ্ছে। শরীরের কোনো একটা অংশ ঠিকমতো কাজ করছে না।

 (গ) উপরিভাগে লাল চাকা চাকা চামড়া উঠে যাওয়া : এর অর্থ শরীরে এনার্জি বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। আবার কোনো এলার্জির কারণেও এমনটা হতে পারে।

(ঘ) জিহ্বা ফ্যাকাশে হলে বুঝতে হবে হজম ঠিকমতো হচ্ছে না। 
ভেতরে ভেতরে ঠা- লেগে রয়েছে। 
এর সঙ্গে যদি জিহ্বা বারবার শুকিয়ে যায় তাহলে রক্তস্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে। 

(ঙ) জিহ্বা উজ্জল লাল রঙ হলে বুঝবেন শরীরের কোথাও ইনফেকশন বা সংক্রমণ রয়েছে।
 প্রথমে জিহ্বার ডগায় লাল হয়ে পুরো জিহ্বায় বিস্তৃতি লাভ করে।

 (চ) জিহ্বার লাল রঙ : মশলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে, প্রচুর ফ্যাট জাতীয় এবং এলকোহলের মাত্রা শরীরে বেশি হলে এমন রঙ হয়।
 কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থাকলেও জিহ্বার রঙ এমন হতে পারে। 

(ছ) নীল রঙ : শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিলে জিহ্বার রঙ পরিবর্তিত হয়ে নীল বর্ণ হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় যা সায়ানোসিস নামে পরিচিত। 
রক্তে সমস্যা এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো রোগ থাকতে পারে। ফুসফুসের জটিলতার কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। 
তবে অন্যান্য লক্ষণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। 

(জ) কালো রঙ : যদি কালো হঠাৎ কালো রঙ দেখেন তাহলে বুঝবেন এক সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া জিহ্বায় জমা হয়েছে। 
এছাড়া কিছু ওষুধের পাশর্^প্রতিক্রিয়ার কারণেও জিহ্বার রঙ কালো হতে পারে। 

(ঝ) হলুদ রঙ : জিহ্বার রঙ হলুদ হলে বুঝতে হবে লিভারে বড় সমস্যা রয়েছে। 
সম্ভবত জন্ডিস হলেও হয়ে যেতে পারে। আবার জ¦র হলেও জিহ্বার রঙ মাঝে মাঝে এমন হয়।

 (ঞ) পার্পল রঙ : এর অর্থ শরীরে ভিটামিনের ভীষণ ঘাটতি রয়েছে।
 মনে রাখতে হবে শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো জিহ্বা।
 তবে আমরা জিহ্বার কোনো যত্ন  নেই না।
প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার রাখলে অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 
দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা ও মাড়ি পরিষ্কার করতে হবে। 
তবে একটি কথা সবার মনে রাখতে হবে যে, জিহ্বা নিজে নিজে দেখতে পারেন ঠিকই কিন্তু জিহ্বা দেখে কোনো সিদ্ধান্তে না আসাই ভাল। 
কারণ জিহ্বা পরীক্ষা করার কিছু নিয়ম রয়েছে যা কেবল অভিজ্ঞ মুখের ডাক্তারই করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭

সাফল্যে মা-বাবার ভূমিকা

জীবনে সাফল্য অর্জনের নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি কি আসলেই আছে?
 সাফল্য অর্জন করা এবং তা ধরে রাখার ওপর অনেক গবেষণা অবশ্য করা হয়ে গেছে এবং হচ্ছেও। তবে একটু ভিন্নভাবেও চিন্তা করা যায়। 
যাঁরা সফল হচ্ছেন, তাঁদের সাফল্যে কি মা-বাবার অবদান যুক্ত হয়? 
গবেষণায় সফল ব্যক্তিদের মা-বাবার মধ্যে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্যের মিল থাকতে দেখা গেছে।

পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব বোঝে
ভালো খাদ্যাভ্যাস প্রতিদিনের কাজগুলোতে মনোযোগী করে তোলে সবাইকে। 
কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। খাওয়া ও খাবারের প্রতি আগ্রহ মা-বাবার কাছ থেকেই শেখে শিশুরা।
 ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নিজেদের শরীরের প্রতিও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে শিশুরা।

ভালো নাম নির্বাচন
গবেষণায় দেখা গেছে, জীবনের উন্নয়নে আপনার নাম বড় ভূমিকা পালন করে।

বুধবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৭

শিশুর পাতলা পায়খানা ঘরোয়া চিকিৎসা

অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ

প্রচণ্ড গরম আর তার সঙ্গে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া।
এই সময়ে নবজাতকসহ শুরু করে সব শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
ডায়রিয়া পানি বা খাদ্যবাহিত রোগ।
 অর্থাৎ রোগ-জীবাণু খাদ্য বা পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে প্রবেশ করে।
 শিশুর দিনে দুই-তিনবার পাতলা পায়খানা হলে, সবুজ পায়খানা হলে বা সঙ্গে মিউকাস থাকলে মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, ওষুধ খাওয়ান। অনেক ক্ষেত্রে কোনও ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
শিশু দুই-তিনদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়।
ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হল পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে।
অস্থিরতা দেখা দেয়, প্রস্রাব কমে যায় এমনকি শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।
কী দেখে বোঝা যাবে শিশুর পানিশূন্যতা হয়েছে
অস্থির ভাব, খিটখিটে মেজাজ বা নিস্তেজ হয়ে যায়।
চোখ ভেতরে ঢুকে যায়।
তৃষ্ণার্ত ভাব বা একেবারেই খেতে না পারা।
চামড়া ঢিলে হয়ে যাওয়া।
যদি পানিশূন্যতার লক্ষণ থাকে তাহলে শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে।
আর না হলে বাড়িতেই শিশুর চিকিৎসা সম্ভব।

বাড়িতে কী করবেন ?
পানিশূন্যতা রোধ করার জন্য খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার বারবার দিন।

শিশুর ডায়রিয়া হলে ৭টি করণীয়

ডায়রিয়া বাচ্চাদের খুব পরিচিত একটা রোগ।
এই সময় রোগটির প্রকোপও বেশি।
ডায়রিয়া মূলত খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। অর্থাৎ খাবার ও পানির মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতর প্রবেশ করে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি শিশু মারাও যেতে পারে।
ডায়রিয়া সাধারণত তিন ধরনের। যেমন:

১. একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute Watery Diarrohea): পাতলা পায়খানা যদি ১৪ দিনের কম স্থায়ী হয় এবং পায়খানার সাথে কোন রক্ত না যায়।

২. পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া (Persistent Diarrohea): পাতলা পায়খানা ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।

৩. ডিসেন্ট্রি (Dysentery): রক্তমিশ্রিত পায়খানা।

চলুন জেনে নেয়া যাক একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute watery Diarrhea) বা সাধারণ পাতলা পায়খানার লক্ষণ ও হলে কি করনীয়।

কোন শিশুর দিনে ৩ বারের অধিক পাতলা পায়খানা হলে এবং পায়খানার সাথে কোন রক্তমিশ্রিত না থাকলে তা সাধারণ পাতলা পায়খানা হিসাবে ধরে নিতে হবে। এর কারন প্রধানত রোটা ভাইরাস, E. coli বা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া। এ সময় পাতলা পায়খানার সাথে শিশুর হালকা জ্বর ও বমি থাকতে পারে।

বিপদজনক লক্ষণ:

মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

মাথা গরম থাকলে যে সাতটি কাজ করবেন না

কোনো কারণে হঠাৎ রাগ হয়ে যেতে পারে আমাদের যে কারোই। 
কিন্তু এ রাগের মাথায় কিছু কাজ, বিশেষ করে যেগুলো দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, তেমন কাজ না করাই ভালো। এ ধরনের কাজ করার জন্য ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন। 
এসব কাজের একটি তালিকা দেওয়া হলো এ লেখায়।

১. সিদ্ধান্ত নেওয়া

মাথা গরম থাকলে সবার যে কাজটি এড়িয়ে চলা উচিত তা হলো সিদ্ধান্ত নেওয়া। কারণ রাগের মাথায় আপনার ভুল কোনো সিদ্ধান্ত চলে আসতে পারে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার রাগ বাদ দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে চিন্তা করা উচিত। আর এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে মন থেকে রাগ সম্পূর্ণভাবে চলে যাওয়া পর্যন্ত।

২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেওয়া

কারো প্রতি রাগ হতেই পারে। কিন্তু সে জন্য বিষয়টি যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এতে সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে বন্ধুমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে আপনার সামাজিক জীবনে। আর এ জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে পস্তাতে হতে পারে।

৩. সবার সঙ্গে কথা বলা

কোনো বিষয়ে রাগ হলে সেটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বিশেষ করে মাথা গরম অবস্থায় সবার সঙ্গে আলাপ করলে অন্যরা আপনার সম্বন্ধে সঠিক তথ্য নাও পেতে পারে। এতে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে অন্যদের সঙ্গেও। তবে কোনো সমস্যা হলে তখন শুধু প্রয়োজনীয় মানুষদের সঙ্গেই সেই বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে।

৪. অন্যদের যুক্ত করা

কোনো বিষয়ে রাগ হলে তাতে অন্যদের যুক্ত করে বক্তব্য প্রদান বন্ধ করতে হবে। কারণ রাগের মাথায় আপনি অন্যদের ভুলক্রমে দায়ী করতে পারেন। এতে আপনাকে গ্রাস করতে পারে ভুল সিদ্ধান্ত। আর তৈরি হতে পারে ভুল বোঝাবুঝি।

৫. গাড়ি চালনা
গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখা খুবই জরুরি। অন্যথায় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে নিজের পাশাপাশি আপনি অন্যদেরও বিপদ ডেকে আনতে পারেন। তাই মাথা ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি চালানো বন্ধ রাখা উচিত।

৬. সামাজিকতা

রাগের মাথায় সামাজিকতা করতে গিয়ে বিপত্তি বাধানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাই মাথা কোনো কারণে গরম হলে তা ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত সামাজিকতার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।

৭. বাজে অভ্যাসগুলো নিয়ে আসা

আপনার রাগের মাথায় পুরনো বাজে অভ্যাসগুলো ফিরিয়ে আনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এতে কোনো লাভ হবে না। তার বদলে আপনার রাগের কারণ ও সমাধান পরিষ্কার কাগজে লিখে নিতে পারেন। এতে সমগ্র বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে ও মাথা ঠাণ্ডা করতে সুবিধা হবে।

রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭

শিশুর স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে যেভাবে

সন্তানের মনে রাখার ক্ষমতা যদি ভালো হয়, তাহলে যেকোনো কিছু দ্রুত শিখতে ও মনে রাখতে পারবে।
 সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে কী করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ জেনে নিন।

কোনো কিছু ভিজ্যুয়ালাইজ করানো
আপনার সন্তান যখনই কোনো কিছু ভাবছে বা শিখছে, তখন সে চোখের সামনের বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে তা আঁকতে বলুন। তাহলে দেখবেন, সে যা পড়ছে, জানছে, সেটি সহজে ভুলবে না। 
এ ধরনের কিছু গেম পাওয়া যায়। 
অবসর সময়ে খেলতে দিতে পারেন সন্তানকে।

অন্যকে শেখানোর দক্ষতা তৈরি করা
সন্তানকে শিক্ষকের ভূমিকায় আর আপনি শিক্ষার্থী—এই খেলা তার সঙ্গে খেলুন। 
বলুন, আজ যা কিছু শিখেছে তা যেন আপনাকে শেখায়। 
এটি করলে খেলার ছলে সন্তান পড়া তো শিখবেই। ভুলেও যাবে না। 
স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বাড়বে।

গল্প বলানো
সাধারণ বিষয়গুলো তাকে গল্পের মতো করে বলতে বলেন। 
যেমন ধরা যাক, আজ স্কুলে কী করেছে, বন্ধুরা কী করল, টিফিনে কী খেল, শিক্ষকেরা কী কী বললেন। এভাবে মনে করে বললে স্মৃতিশক্তি ভালো কাজ করবে।

শুনে লেখার অভ্যাস
শিশুকে একটি কবিতা শোনান আর বলুন, সেটা সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলতে। 
এভাবে মনে করে লিখতে বা বলতে পারার মধ্য দিয়ে দক্ষতা তৈরি হবে।

সূত্র: ফেমিনা, উইকি হাউ

শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

হৃদরোগজনিত বুকের ব্যথা

হৃদরোগজনিত বুকের ব্যথা কনটেন্টটিতে উপসর্গ, রোগের কারণ, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা বা আরোগ্য লাভের উপায়, চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ, প্রতিরোধের উপায় সন্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

হৃদরোগের একটি অন্যতম প্রধান উপসর্গ বুকের মাঝখানে ব্যথা। 
সঙ্গে শরীর ঘেমে যায়। 
হৃদযন্ত্রের কোন অংশে রক্ত সরবরাহ হীণতা জনিত কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। মনে রাখতে হবে বুকে বিভিন্ন কারনে ব্যথা হতে পারে। 
বুকে ব্যথা হওয়ার অন্যান্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের রোগ, বিভিন্ন মাংসপেশী ও হাড়ের রোগ, গলনালীর রোগ, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, ঘাড় ও পিঠের মেরুদন্ডের রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি।
 হৃদরোগের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তাকে এনজাইনা পেক্টোরিস বা এনজাইনা বলা হয়।

উপসর্গ
সাধারণতঃ বুকের ভিতরে মাঝখানে (সমতল হাড়ের নীচে) চাপ ব্যথা অনুভূত হয় সাথে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়।
বুকভারী লাগা অথবা বুকের চারদিকে চাপ অনুভব করা।

রোগের কারণ
  • শারীরিক পরিশ্রম
  • দুশ্চিন্তা
  • অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া,বিশেষ করে তৈলাক্ত খাবার
  • হঠাৎ করে খুব ঠান্ডা আবহাওয়া
  • করোনারী ধমনী জনিত রোগ
  • বাজারে প্রচলিত ফাষ্ট ফুড নিয়মিত খাওয়া
  • ধূমপান ও অধিক মদ খাওয়া

রোগ নির্নয়
রোগ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে কিছু পরীক্ষা- নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে ।

যেমন-
  • ইসিজি
  • রক্তে শর্করা ও চর্বির পরিমাণ
  • উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা
  • ইকো-কার্ডিওগ্রাম করতে হয়
হার্টের রক্তনালীতে কোনো ব্লক আছে কিনা দেখার জন্য ইটিটি করা -যা সাধারণ ইসিজিতে ধরা পড়ে না
রক্তনালিতে সমস্যা পরীক্ষার জন্য এনজিওগ্রাম করা যেতে পারে।

চিকিৎসা বা আরোগ্য লাভের উপায়
রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও ঔষধ সেবন করাতে হবে।
এছাড়া রোগের অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক অপারেশনের অথবা এনজিওগ্রাম এর পরামর্শ দিতে পারেন।
চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ
  1. উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
  2. জেলা সদর হাসপাতাল
  3. মেডিকেল কলেজ হাসপতাল
  4. জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট
  5. বেসরকারী হাসপাতাল

প্রতিরোধের উপায়
হৃদযন্ত্রের রোগ থেকে বুকের ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।

যেমন:
  • ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
  • ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
  • দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দূর করতে হবে
  • চর্বি জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে
  • হালকা ব্যায়াম করতে হবে
  • দেহের স্থূলতা দূর করতে হবে
  • অ্যালকোহল বা মদ্যপান বর্জন করতে হবে
  • মানসিক প্রশান্তিতে থাকতে হবে



সচরাচর জিজ্ঞাসা

প্রশ্ন.১. বুকে ব্যথা কেন হয়?

উত্তর. হৃদযন্ত্রের কোন অংশে রক্ত সরবরাহহীণতা জনিত কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকে ব্যথা হওয়ার অন্যান্য কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের রোগ, বিভিন্ন মাংসপেশী ও হাড়ের রোগ, গলনালীর রোগ, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, ঘাড় ও পিঠের মেরুদন্ডের রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। হৃদরোগের কারণে যে বুকে ব্যথা হয় তাকে এনজাইনা পেক্টোরিস বা এনজাইনা বলা হয়।

প্রশ্ন.২.বুক ব্যথার উপসর্গ গুলো কি কি?

উত্তর.
সাধারণত বুকের ভিতরে মাঝখানে (সমতল হাড়ের নীচে) চাপ ব্যথা অনুভূত হয় সাথে অস্বস্তিকর অনুভূতি
বুকভারী লাগা অথবা বুকের চারদিকে চাপ অনুভব করা

প্রশ্ন.৩.বুক ব্যথার চিকিৎসার জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হবে?

উত্তর.
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জেলা সদর হাসপাতাল
মেডিকেল কলেজ হাসপতাল
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রশ্ন.৪. হৃদরোগ জনিত বুকের ব্যথা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?

উত্তর.
ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ দূর করতে হবে
চর্বি জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে
হালকা ব্যায়াম করতে হবে
দেহের স্থূলতা দূর করতে হবে
অ্যালকোহল বা মদ্যপান বর্জন করতে হবে

বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭

শিক্ষার্থী হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি, নারীর যাবজ্জীবন

গাজীপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আবদুর রহমান রিয়াদকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত নারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। 
এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামিরা হলেন, 
টাঙ্গাইল জেলার মো. রেজাউল করিম ওরফে সাগর (৩২),
 জামালপুরের মো. জামাল উদ্দিন (৩৬), 
মৌলভীবাজারের মো. শাহাব উদ্দিন (২৭)। 
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন, জামালপুরের সানজিদা আক্তার লিপি (৩০)।

গাজীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নবীপুর গ্রামের মো. আবদুর রহমান রিয়াদ (২৫) টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে উত্তরা ইউনির্ভাসিটিতে বিবিএ পড়তেন। অধ্যয়নরত অবস্থায় স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে সানজিদার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। 
সানজিদা আবদুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই সানজিদা আবদুরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেন। 
এতে সহযোগিতা করেন সানজিদার স্বামী রেজাউল।

২৫ জুলাই রিয়াদের দুবাই প্রবাসী বাবা খাঁজা মাইন উদ্দিনকে ফোন করে অপহরণকারী রেজাউল ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরবর্তীতে ২৮ জুলাই রেজাউল আবারও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। না দিলে রিয়াদের কান কেটে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন।

এ ঘটনায় রিয়াদের মামাতো ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জাকির হোসেন ৩০ জুলাই টঙ্গী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
 মোবাইল ট্র্যাক করে র‍্যাব-১ রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেন। 
এ সময় রেজাউলের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
 পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুসারে সানজিদা ও শাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 সে সময় শাহাব উদ্দিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান, রিয়াদকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। গলায় রশি পেঁচিয়ে লাশ গাছে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। শাহাবউদ্দিন আরও জানান, হত্যায় তিনি রেজাউল ও জামাল উদ্দিন অংশ নেন।
 পরে জামাল উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হারিছ উদ্দিন আহম্মেদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন, ওয়াহেদুজ্জামান আকন।

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

রঙিন পড়ার টেবিল

নকশানতুন বছরে ছোট্ট শিশুটি গুটি গুটি পায়ে প্রথম স্কুলে যাবে।
 এই নিয়ে মা-বাবার খুশির যেন শেষ থাকে না। শিশুর বই-খাতা, পড়ার টেবিল, টিফিন বক্স থেকে শুরু করে স্কুলব্যাগ—সব কিছুই যেন বিশেষ হওয়া চাই। তবে এত আয়োজন যার জন্য, তাকে কি অত সহজেই পড়ার টেবিলে বশ মানানো যায়? 
যে শিশু বাড়িতে সারা দিন মেতে থাকে খেলাধুলায়, হঠাৎ করেই তাকে পড়ায় বসানোর কাজটা বেশ কঠিনই বটে। এ জন্য বাবা-মাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। 
যেমন ঘরের ভেতরেই এমন একটা পরিবেশের আয়োজন করে দিতে হবে, যেখানে শিশু বেশ মজা নিয়েই পড়তে বসবে। এ বিষয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইসমাত রুমিনা বললেন, শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য এবং পড়াশোনার আগ্রহ বাড়াতে বাড়ির পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাসে শিশুদের জন্য নানা ধরনের মজার আয়োজন থাকে। বাড়িতে সেই ধরনের আয়োজন করা যেতে পারে। 
এ জন্য প্রথমেই পড়ার টেবিলটার দিকে বাবা-মাকে মনোযোগী হতে হবে।
 এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের কার্টুন আঁকা অথবা এ, বি, সি, ডি লেখা টেবিল-চেয়ার পাওয়া যায়। ছোটদের জন্য যেগুলো বিশেষভাবে তৈরি।
 ঘরের পর্দাতেও সেই জিনিসগুলো তুলে ধরতে পারেন। বর্ণমালা লেখা বা প্রিয় কোনো কার্টুন আঁকা টেবিল, পর্দা ও বিছানার চাদর শিশুকে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে সাহায্য করবে।
 এ ছাড়া পড়ার টেবিলেই বিভিন্ন বুদ্ধিদীপ্ত খেলার আয়োজন রাখতে পারেন।
এদিকে অ্যাস্থেটিক ইন্টেরিয়রের স্বত্বাধিকারী সাবিহা কুমু বললেন, আজকাল অনেক মা-বাবাই শিশুর পড়ার টেবিলের পাশের দেয়ালগুলোকে বইয়ের যেকোনো ছড়া বা গল্প অনুসারে রাঙিয়ে তোলেন। পড়ার বইয়ের বিষয়টি যখন দেয়ালে ফুটে উঠবে, তখন শিশু এমনিতেই মজা পাবে। এ ছাড়া টেবিলের পাশে কেবিনেট করা সম্ভব হলে সেখানে বইগুলো সাজিয়ে রাখার পাশাপাশি শিশুর পছন্দসই খেলনাও রাখতে পারেন। 
আজকাল প্রায় সব ফার্নিচারের দোকানে শিশুদের জন্য বেড কাম কেবিনেট কিনতে পাওয়া যায়। এতে জায়গা কম লাগে। এ ছাড়া শিশুকে বেখেয়ালি করে তোলে এ ধরনের জিনিস, যেমন টেলিভিশন, ল্যাপটপ শিশুর সামনে না রাখাই ভালো। 
পড়ার পরিবেশটা আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানোর আগে থেকেই তাকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত করার পরামর্শ দিলেন ইসমাত রুমিনা। 
স্কুলের নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে দুই-একদিন শিশুকে স্কুলে ঘুরিয়ে আনা যেতে পারে।
 গল্পের ছলে স্কুল সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। 
শিক্ষক সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলতে হবে, যেন শিশুর মনে কোনো ভীতি তৈরি না হয়। এদিকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুকে বাড়িতে পড়ার বাড়তি চাপ না দেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।

ভুলে ভরা পাঠ্যবই এনসিটিবি থেকে আরও চার কর্মকর্তাকে সরানো হলো

চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনা মূল্যের পাঠ্যবইয়ে ভুলের দায়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আরও চার কর্মকর্তাকে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
 এ বিষয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চার কর্মকর্তাকেই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। তাঁরা সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। আজ বুধবার এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চার কর্মকর্তার মধ্যে অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক)। তাঁকে ঝিনাইদহের সরকারি কে সি কলেজে বদলি করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক গৌরাঙ্গ লাল সরকার এনসিটিবির সম্পাদক। তাঁকে নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক মোসলে উদ্দিন সরকার এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ। তাঁকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে বদলি করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক মো. হাননান মিঞা এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ। তাঁকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে চারজনকেই আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল এনসিটিবি থেকে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, তাঁরা কাল থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। এটিকে বলা হয় ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’।

পাঠ্যবইয়ে ভুলের জন্য এই চারজনসহ মোট সাতজনকে দায়ী করে সরকারের তদন্ত কমিটি। তাঁদের মধ্যে এনসিটিবির গবেষণা কর্মকর্তা (প্রভাষক) রেবেকা সুলতানাকে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বদলি করা হয়।

এ ছাড়া সংস্থার প্রধান সম্পাদক প্রীতিশ কুমার সরকার ও বিশেষজ্ঞ লানা হুমায়রা খানকে ভুলের ঘটনা জানাজানির পরপরই বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, দায়ীদের কারও কারও বিরুদ্ধে নোটিশ দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থাও (বিভাগীয় মামলা) নেওয়া হবে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে বিভিন্ন ধরনের ভুলভ্রান্তি নিয়ে গত জানুয়ারিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। এই কমিটি শুধু ভুলের বিষয়টি তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।

এনসিটিবির সচিব ইমরুল হাসানকে গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাঁকেও বদলির সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি। তবে তাঁকে ভুলের জন্য নয়, অন্য অভিযোগে বদলি করতে বলেছিল কমিটি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নিজামুল করিমকে।

মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

The Jackal and the Drum moral story

One day, a jackal called Gomaya was very hungry, and was wandering about in search of food.
After some time, he wandered out of the jungle he lived in, and reached a deserted battlefield.

In this deserted battlefield, a battle was fought recently. 
The fighting armies had left behind a drum, which was lying near a tree.

As strong winds blew, the branches of the tree got rubbed against the drum. 
This made a strange noise.

When the jackal heard this sound, he got very frightened and thought of running away, "If I cannot flee from here before I am seen by the person making all this noise, I will be in trouble".

As he was about to run away, he had a second thought. "It is unwise to run away from something without knowing. 
Instead, I must be careful in finding out the source of this noise". 

He took the courage to creep forward cautiously. When he saw the drum, he realized that it was only the wind that was causing all the noise.

He continued his search for food, and near the drum he found sufficient food and water.

The wise indeed say:
Only the brave succeed in life.

The Monkey and the Wedge moral story

There was once a merchant who employed many carpenters and masons to build a temple in his garden. Regularly, they would start work in the morning;
and take a break for the mid-day meals, and return to resume work till evening.

One day, a group of monkey arrived at the site of the building and watched the workers leaving for their mid-day meals.

One of the carpenters was sawing a huge log of wood. Since, it was only half-done; he placed a wedge in between to prevent the log from closing up. 
He then went off along with the other workers for his meal.

When all the workers were gone, the monkeys came down from the trees and started jumping around the site, and playing with the instruments.

There was one monkey, who got curious about the wedge placed between the log. He sat down on the log, and having placed himself in between the half-split log, caught hold of the wedge and started pulling at it.

All of a sudden, the wedge came out. As a result, the half-split log closed in and the monkey got caught in the gap of the log.

As was his destiny, he was severely wounded.

The wise indeed say:

One, who interferes in other's work, surely comes to grief.

রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৭

কণ্ঠ পরিচর্যা করুন এবং সুস্থ রাখুন সহজ উপায়ে

আমার কণ্ঠ তারে ডাকে, তখন হৃদয় কোথায় থাকে। বর্তমান সময় যোগাযোগের যুগ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার যুগ, নিজেকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপনের যুগ। নিজেকে উপস্থানের প্রধান মাধ্যম সুস্থ-সুন্দর কণ্ঠে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ। গান, আবৃত্তি, উপস্থাপনা, বক্তব্য, ইত্যাদির গ্রহণযোগ্যতাও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে দেয়ার জন্য কণ্ঠ প্রধান নিয়ামক।

কর্কশ কণ্ঠের কেউ ভালো কথা বললেও আমাদের শুনতে ভালো লাগে না। শুধু এ কণ্ঠের অসহযোগিতার কারণে অনেকের আগ্রহ ও চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় আমরা সবাই সাফল্য পাইনা। কণ্ঠ দিয়ে মোহাবিষ্ট করুন মানুষকে, জয় করুন আপনার স্বপ্নের বিশ্বকে।

কণ্ঠ মানুষের নিত্যব্যবহার্য এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মানুষের প্রতিটি অঙ্গের অপরিহার্যতা রয়েছে। তার মধ্যে কন্ঠের বা কণ্ঠনালীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যে কথা বলতে পারে না, প্রতি পদে পদে তাকে কত অসুবিধায় পড়তে হয়, তা শুধুমাত্র সেই বুঝতে পারে। আমরা যখন কণ্ঠের অসুস্থতায় ভুগি, তখন কিঞ্চিত উপলব্ধি করতে পারি মাত্র।

অথচ আমরা কণ্ঠ বা কণ্ঠস্বরের যত্ন নিয়ে তেমন সচেতন নই।সামান্য সচেতনতাই আমরা আমাদের কণ্ঠনালীর বা কণ্ঠস্বরের পরিচর্যা করতে পারি এবং সুস্থ রাখতে পারি নিত্যব্যবহার্য এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকে। আসুন, এ বিষয়ে আমরা একটু জেনে নিই এবং সচেতন হই।

কণ্ঠের সমস্যার কারণসমূহ:
কণ্ঠের সাধারণ সমস্যাকে আমরা সমস্যা মনে করি না। পরবর্তীতে তা অনেক সময় জটিল অসুখে পরিণত হয়। কণ্ঠনালীর সমস্যার জন্য উপসর্গগুলো হলো- গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, কাশি, কিছু গিলতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্ঠ ইত্যাদি। যদি ঘন ঘন কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয় বা দীর্ঘ দিন বা দুই সপ্তাহে ভাল না হয়, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত জরুরী। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন হতে পারে।

কণ্ঠের প্রদাহ:
কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো কণ্ঠনালীর ভাইরাস জনিত তীব্র প্রদাহ। শ্বাসনালীর ভাইরাস প্রদাহে কণ্ঠনালী ফুলে যায় যাতে কণ্ঠনালীর কম্পনের সমস্যা সৃষ্টি করে, ফলে স্বর পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিবেশ দূষণের কারণেও কণ্ঠনালীর প্রদাহ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে এবং কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দিলে এই সমস্যাটি সাধারণত দূর হয়ে যায়।

কণ্ঠের অতিব্যবহার:
আমরা যখন কথা বলি, কণ্ঠনালীর সাথে আশে পাশে অবস্থিত মাংসপেশীরও সাহায্য লাগে। কণ্ঠনালীকে সঠিক ও নিয়মের বাইরে ব্যবহার করা, অতি উচ্চস্বরে অতিরিক্ত কথা বলা, দীর্ঘ মেয়াদী বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বললে কণ্ঠনালীর প্রদাহ দেখা দিতে পারে। গলা ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশীর সংকোচন এবং কথা বলার সময় ঠিক ভাবে শ্বাস না নিলে শ্বাসযন্ত্রের অবসাদ হয়, কথা বলতে কষ্ট হয়। ফলশ্রুতিতে কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এবং ভোকাল কর্ডে সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি রক্ত ক্ষরণও হতে পারে।

কণ্ঠ অপব্যবহার
আমরা কণ্ঠের সমস্যাকে পাত্তা দিই না। অযথাই কণ্ঠের অপব্যবহার করি। অধিক জন সমাবেশে, কোলাহল পূর্ণ পরিবেশে জোরে কথা বলা। অতিরিক্ত এবং দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলা। ঘাড় ও কানের মাঝে ফোন চেপে ধরে কথা বলায় ঘাড় ও শব্দযন্ত্রের মাংসপেশীতে টান লাগে। উচ্চস্বরে বা চিত্কার করে কথা বলা।

জনসমাবেশে বা বড় লেকচার গ্যালারীতে মাইক ছাড়াই জোরে কথা বলা। আমাদের দেশে গলার ক্যান্সার বা কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের প্রকোপ অনেক বেশি। গলার স্বর পরিবর্তনের পনের দিনের মধ্যে ভালো না হলে, চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া দরকার।

কিভাবে কণ্ঠকে পরিচর্য করবেন এবং সুস্থ রাখবেন:

সহজলভ্য পানি কণ্ঠ পরিচর্যায় অন্যতম নিয়ামক শক্তি। পানি কণ্ঠ বা ভোকাল কর্ডকে আদ্র রাখে আর আদ্র কণ্ঠ শুষ্ক কণ্ঠ থেকে বেশি ব্যবহার করা যায়। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন, কমপক্ষে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।

খেলা শুরুর পূর্বে যেমন প্রস্তুতি দরকার তেমন বক্তৃতার পূর্বে ভোকাল কর্ডের একইভাবে হালকা ব্যায়াম করা উচিত। প্রস্তুতি ছাড়া কোন কাজে নামা উচিত নয়। প্র্যাক্টিস করলে ভোকাল কর্ডের কণ্ঠের মান ও উপস্থাপনা সুন্দর হয়।

কথা বলা বা গান গাওয়ার মাঝখানে দীর্গ শ্বাস- প্রশ্বাস নিলে কথা বলা, গান গাওয়াকে সুন্দর করে এবং ভোকাল কর্ডের অবসাদ হয়না।

বক্তব্য বা উপস্থপনা বা বড় সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় মাইক্রোফোন ব্যবহার করা উত্তম।

দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দেয়া উচিত। যা কণ্ঠনালীর অবসাদ দূর করে এবং শক্তি ফিরিয়ে দেয়।

নিজের কণ্ঠকে শুনুন এবং যদি কোন রকমের উপসর্গ থাকে বা পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে যথাযথ যত্ন নিন। এমন কিছু করবেন না যা কণ্ঠনালীর ক্ষতি হয়।

ধূমপান, এলকোহল পান, অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা পানীয় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি কণ্ঠের জন্যও পীড়াদায়ক। ধূমপান কণ্ঠনালীর ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এছাড়াও ধূমপান কণ্ঠনালীর প্রদাহ করে।

জোরে জোরে বা পরিবর্তিত স্বরে কথা বলা উচিত নয়। জোরে কথা বললে বা কণ্ঠনালীর অপব্যবহার করলে কণ্ঠনালীতে সুক্ষ্ম আঘাত হতে পারে।

দূর হতে কাউকে ডাকতে হলে হাত তালি বা শীষ বা হাত নেড়ে অথবা লাইটের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।

বড় খেলা উপভোগ করার সময় পছন্দের দলকে সাপোর্ট করার জন্য জোরে চিত্কার না করে পতাকা উড়ান বা ব্যানার লিখেন।
মাথা উচুঁ করে ঘুমাবেন, টাইট কাপড় পরে ঘুমানো যাবে না, হালকা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করে ঘুমাবেন।

খাবারের সাথে সাথে ঘুমানো বা ক্যাফেইন যুক্ত খাবার গ্রহণ করা বাদ দিতে হবে।

গাড়ীতে ভ্রমণ বা ট্রেনে যাতায়তের সময় কণ্ঠনালীকে বিশ্রাম দিন।

দৈনন্দিন কর্মকান্ডে ভোকাল কর্ডে চাপ পরে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন।

মোবাইল ফোনে কথা বলতে সাবধানতা অবলম্বন করুন। চিন্তা করুন ফোন কলটি আপনার প্রয়োজনীয় কিনা।


এভাবে ছোট্ট ছোট্ট সচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমে আমরা আমাদের কণ্ঠকে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ-সুন্দর রাখতে পারি। কণ্ঠের মাধুর্যতা দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট ও মোহিত করতে পারি আর জয় করতে পারি স্বপ্নের বিশ্বকে। সুস্থ থাকুক আমাদের কণ্ঠ এবং সুন্দর হোক সবার কথা।

কথার ধরনে মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে

গুছিয়ে কথা বলতে না পারার অন্যতম কারণ হল খুব বেশি নার্ভাস বা বিচলিত হওয়া। আপনি কথা বলার আগেই ধরে নেন যে অন্যজন হয়তো কথাটা খারাপ ভাবে নিবে। অনেকে কখন কী বলে ফেলে তার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনা। অনেকের আছে তোতলানোর স্বভাব। আবার কেউ কোন জায়গায় কী রকম ভাষাতে কথা বলতে হবে বুঝতে পারে না, তাই অনেকেই পেশাগত কাজে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে ফেলে।

কথার ধরনে মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে। চলুন জেনে নেই সুন্দর কথা বলার কিছু উপযোগী পরামর্শ।

পারতপক্ষে শ্রোতার মুখের দিকে কম তাকাবেন। পুরো ফোকাসটা নিজের কথায় দিন। আর নিজের মুখের এক্সপ্রেসনে কন্ট্রোল আনুন। এক্সপ্রেসন খুব খারাপ একটা জিনিস, আবার খুব ভালোও। আপনি ভালো কথা বলবেন কিন্তু এক্সপ্রেসন ঠিক দিবেন না, আপনার কথা খারাপ ভাবে নিবে। আবার খারাপ কথা ভালো এক্সপ্রেসন নিয়ে বলুন, কিছু মনেই করবে না।

যা বলতে চান সেটা আগে একটু ভেবে নিন , তাড়াহুড়ো না করে সময় নিয়ে স্পষ্ট করে বলুন। খেয়াল রাখবেন যা বলছেন তাতে যুক্তি আছে কতটা। আর একটা ব্যাপার অন্যকে তির্যক মন্তব্য না করে আপনার কথা বলুন।

বেশি করে বই পড়ুন। উচ্চারণ ঠিক করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন দেখবেন নিজের প্রতি আস্থা ও সাহস বাড়বে।

আপনি যে বিষয় কথা বলবেন সে বিষয়ের উপর আপনার জানা থাকতে হবে।

শুনতে হবে বেশি এবং বলতে হবে কম। তাই বলার আগে সচেতন হোন কখন, কাকে কী বলে ফেলেছেন। কথা বলার চেয়ে শোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হোন। কারণ ভালো বক্তার চেয়ে ভালো শ্রোতা অন্যকে বেশি আকৃষ্ট করে। হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, যখন তুমি বলে ফেলেছো তখন তোমার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। অতএব তুমি তোমার জিহ্বাকে পাহারা দাও যেভাবে পাহারা দাও স্বর্ণ ও রোপ্যকে।

তোতলানো স্বভাব থাকলে তার জন্য হতাশ হবেন না। চেষ্টা এবং চিকিৎসায় এটি সময়ের সাথে চলে যায়। আর জন্য জনসম্মুখে কথা বলতে ভয় কাজ করলে তা দূর করার চেষ্টা করুন, কথা বলার সময় তোতলানো প্রবণতা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। পত্রিকা পড়ুন, গান শুনুন এবং গান গাইতে হবে। এতে তোতলানো দূর হয়। দুশ্চিন্তা দূর করুন। কথা বলার সময় তাড়াহুড়া করা যাবে না, দৈনন্দিন জীবনে আপনার আশেপাশের মানুষের কথা মনোযোগ সহকারে শোনার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিক কথা বলা ও তোতলানোর মধ্যে পরিষ্কার কোনো পার্থক্য নেই। এই অভিজ্ঞতা আপনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

গুছিয়ে কথা বলার প্রথম ধাপে কম কথা বলবেন, কম মানে হলো ঠিক যতটুকু প্রয়োজন বলার ভেবে নিবেন, বাড়তি কোনো কথা বলবেন না। খুব ইচ্ছা করলেও ২ লাইন বাড়িয়ে কথা বললে ঐটা অভ্যাস এ দাঁড়িয়ে যায়। এই প্র্যাকটিস চলতে থাকলে দেখবেন একসময় আপনি অনেক গুছিয়ে কথা বলা শিখে গেছেন।

এছাড়াও যা অবশ্যই করবেনঃ

সালাম দিয়ে কথা বলুন।

হাসি মুখে কথা বলুন।

প্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে, পারিপার্শ্বিক পরিমণ্ডলে কথা বার্তায় আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা ত্যাগ করুন।

সম্মান রেখে বা শ্রদ্ধাপূর্ণ কথা বলুন।

বিনয় ও মমতাপূর্ণ কথা বলুন। আন্তরিক বিনয় সকল সৎ গুণের উৎস।

কৃতজ্ঞতাপূর্ণ কথা বলুন। যে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে পারে না সে আসলে স্রষ্টার প্রতিও কৃতজ্ঞ নন। তাই প্রথম সুযোগেই অন্যের যেকোনো শুভ সংবাদে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাবেন।

দৈনন্দিন কথায় নেতিবাচক কথা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ নেতিবাচক কথা হতাশা সৃষ্টি করে এবং শূন্যতা তৈরি করে।

বিতর্ক করবেন না। এর মানেই আরেক পক্ষকে হেয় করা। হেয় বা অসম্মান করে আসলে কখনও কারো হৃদয়কে জয় করা যায় না। বুদ্ধিমান মানুষ কখনও বিতর্কে লিপ্ত হয় না বরং তারা বুদ্ধিকে ব্যবহার করে বিতর্ক এড়ানোর জন্যে।

কোমল ভাবে কথা বলুন। এতে মানুষ আপনার কথায় মনোযোগ দিবে এবং মানবে।

বুঝে কথা বলুন, কাকে কী বলছেন। যেন হিতের বিপরীত না হয়।

কোরআনে আছে, তোমরা অনুমান করে কথা বলো না। কারণ অনুমান করে কথা বলা হচ্ছে জঘন্য মিথ্যাচার।

আমরা কৌতূহলী হবো কিন্তু কৌতূহল যেন অভদ্রতার পর্যায়ে না পড়ে।

একটি ভালো কথা এমন একটি ভালো গাছের মতো, যার শেকড় রয়েছে মাটির গভীরে আর শাখা-প্রশাখার বিস্তার দিগন্তব্যাপী, যা সারা বছর ফল দিয়ে যায়। একটু সচেতন প্রচেষ্টা চালালেই আপনার একটি সুন্দর কথা ঐ গাছটির মতো হতে পারে, শান্তি ও কল্যাণের বাহন হতে পারে।

Grameenphone Internet Packages Short Code Bangladesh


Grameenphone Internet Package activation Short code .
Package NamePrice (Including SD+VAT+SC)Validity (Days)Direct Dialing Code
Prepaid and postpaid
SMS Keyword to 5000 with Auto Renewal
Pay As You Go0.97Tk/MBN/A*121*3000#PAYG
4MB2.52*121*3002#4mb on
35MB187*121*3003#35mb on
60MB223*121*3029#60mb on
75MB377*121*3004#75mb on
100MB5630*121*3005#100mb on
250MB11928*121*3006#250mb on
500MB14928*121*3007#500mb on
1.5GB33728*121*3009#1536MB on
2.5GB42728*121*3010#2560MB on
Night 2GB14928*121*3011#nu on
4GB60928*121*3012#4gb on
8GB115728*121*3013#u on
12GB152228*121*3014#12gb on
20GB243630*121*3015#20gb on
Midi Plan (400Min 400SMS 400MMS 1.5GB)59930*121*3017#SP499 on
Mega Plan (600Min 600SMS 600MMS 3GB)84930*121*3018#SP699 on
Daily Heavy Video pack61*121*3020#v40mb on
Weekly Video pack187*121*3019#v150mb on
Emergency data loan (10MB)52*121*3021#N/A
Facebook 1 Day1.51*121*3022#fb1 on
Facebook 7 Days67*121*3023#fb7 on
Facebook 28 Days1828*121*3024#fb28 on
Other Important CodesDirect Dialing CodeSMS Keyword to 5000 with Auto Renewal
Turn On Auto Renew*121*3042#On
Turn Off Auto Renew*121*3043#Off
Get Handset Settings*121*3044#N/A
Cancel current pack*121*3041#cancel

Free Browsing With Grameenphone Network Bangladesh

WELCOME TO THE WORLD OF EASY NET

GP EasyNet is your doorway to internet and it’s absolutely free! Get the best and most exclusive internet bundles, use free sites such as Facebook and Wikipedia, download free games and much more!

So enjoy, explore and pass on the blessing of internet!

What is EasyNet?

Easynet is an easy and simple web platform targeted at giving access to users ranging from basic internet enabled phone to smartphones. Through Easynet platform customers can enjoy with free internet browsing, attractive internet packs, free games, free internet packs and different applications.

How can I avail it?

Either you can open your browser and type in the URL www.gpeasynet.com or dial *5000*55# and get a link to the webpage via reply SMS. When you click the link you will be taken to Gp EasyNet site.

If you are using a GP internet pack, you can also access the site through the browser of your phone/laptop for FREE.

How Much Will I Be Charged?

Easynet site is completely free for you. You will be charged when you buy internet packs or other such content through this site.

What More Can I do here?

Recharge: Recharge your phone number using mobile wallet (bKash, MCash, MyCash etc) or credit/debit cards.

Search: Type your desired keywords/sentences in the search box and get results from Google

Buy Packs: Pay all the great exclusive packs from EasyNet as per your preferance

Let’s Visit: Visit free sites (meaning no data will be consumed for using these sites).

Win Free Internet: Download FREE apps and upon successful download and installation, you will be rewarded with mentioned data amount. Free data can be received only once per app.

GP Apps Store: You can download FREE apps and games from here and will be charged only if you request for the full version within the games.

Terms & Conditions
The GP EasyNet page is free for all GP subscribers i.e. there will not be any browsing charges within the page.

Customers can dial *5000*55# and get the website link in reply SMS.

Customers don’t need data packs to visit this page. Data packs can be purchased from this page -Browsing outside the page will be charged according to customers subscribed data pack (if any) or at Pay As You Go rate.

5% Supplementary Duty (SD) + 15 % VAT inclusive of SD will be applicable for all charges + 1% surcharge on base tariff will be applicable on Data pack/Pay As You Go Prices.

This page can be accessed through both smartphones and feature phones. Internet connection is required.

If customers decide to purchase data packs or paid content, he/she will be charged the mentioned price. 5% Supplementary Duty (SD) + 15 % VAT inclusive of SD will be applicable for all charges + 1% surcharge on base tariff

Services linked in the Easy Net page and Freebasics page are free to access, however, customers may be charged if customers move away from the Easy Net page through links in other services or access any other services not listed in the Easy Net page.

By accessing the Facebook flex/freebasics portal, customers provide their informed consent to share their mobile number with Facebook and agree to all terms and conditions.

Customers under 3G coverage will get upto 1Mbps speed while browsing this page. Customers not under 3G coverage will experience the maximum available 2G speeds. Average likely speed will depend on multiple factors such as handset used, website visited, and distance from BTS etc.

শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলন স্থগিত করা ভুল ছিল: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপি জোটের সরকারবিরোধী আন্দোলন স্থগিত করা ভুল ছিল। 
গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউেজ) একাংশের প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মতবিনিময় হয়। উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনের কোনো খবর নেই-উনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। 
হয়ত পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে দেখলে নির্বাচন দিয়ে দেবেন।
 কিন্তু সে নির্বাচনে আমরা কেন যাব, গিয়ে কী লাভ? লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, আকাশ-পাতাল অবস্থান।
 তিনি বলেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে সে নির্বাচনে গিয়ে লাভ হবে না। 
বিদেশিরাও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, পাশের দেশের সঙ্গে এই সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে-কেন এই চুক্তি? বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের চেয়ে অনেক বেশি চৌকস ও সাহসী। 
এ ধরনের চুক্তি করতে দেওয়া হবে না।

মতবিনিময়ে বিএফইউেজর একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ ছাড়াও বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।

Popular Posts