Recent post

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

মাংস সিদ্ধ করার সহজ উপায়


প্রেসার কুকার ছাড়া তাড়াতাড়ি মাংস সিদ্ধ করার সহজ উপায় :

১. মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে কয়েক ফোঁটা পেঁপের আঠা বা কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিতে পারেন।

২. সামান্য চিনি দিলে মাংস দ্রুত সিদ্ধ হবে।

৩. ভালোভাবে ঢেকে রান্না করলে মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায়। খাবারের মানও ভালো থাকে।

৪. একটা গোটা সুপারি দিয়ে মাংস রান্না করলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়।

৫. মাংস রান্নার সময় পাত্রে একটা তামার পয়সা ফেলে দিলে মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। বাবুর্চিরা মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আমিও পরীক্ষা করে ইতিবাচক ফল পেয়েছি।

৬. মাংস রান্না করার সময় শুরুতেই লবণ না দিয়ে রান্নার মাঝামাঝি সময়ে লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দিলে মাংস সুসিদ্ধ হয়ে রান্নাটা তাড়াতাড়ি হবে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

ইয়োগা বা যোগব্যায়াম

Image result for যোগব্যায়াম

ইয়োগা বা যোগব্যায়ামকে সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র বলা হয়ে থাকে।
 শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে যোগব্যায়াম তা কি আপনি জানেন? কিছু কিছু যোগব্যায়াম আছে যা আপনার স্ট্রেস কমিয়ে দিয়ে এবং আপনার ত্বককেও করে তোলে সুন্দর আকর্ষণীয়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিছু ইয়োগা যা আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয় এবং চির তরুণ।



১। পদ্মাসন
ইয়োগা বা যোগব্যায়াম বলতেই অনেকে পদ্মাসনকে বুঝে থাকে। এটি আপনার মনকে শান্ত করে দেয়। বলা হয়ে থাকে নিয়মিত এই যোগব্যায়াম করার ফলে আপনি পদ্ম ফুলের মত ফুটে উঠবেন। তবে হ্যাঁ আপানর যদি পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা থাকে, তবে এই যোগব্যায়াম করার আগে সতর্ক থাকবেন।

২। মারিচিয়াসন
মারিচি অর্থ আলোর রশ্নি। এই অবস্থানকে ঋষি অবস্থানও বলা হয় এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে থাকে। আপনার যদি মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথা বা ব্যাক পেইনের সমস্যা থেকে থাকে তবে এই যোগব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন।

৩। ধনুরাসন
ধনুকের মত বাঁকা হয়ে এই যোগব্যায়ামটি করতে হয় বিধায় একে ধনুরাসন বলা হয়ে থাকে। এটি সম্পূর্ণ শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে, আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে। উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ রোগীরা এই ধরণের যোগব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকবেন। এমনকি আপনি গর্ভবতী বা কোনো অপারেশন করা থাকলে এই যোগব্যায়াম করবেন না।

৪। শবাসন
প্রতিটি ইয়োগা শেষে এই যোগব্যায়াম করা হয়। এটি শরীরের কোষ এবং টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল প্রাণবন্ত করে তোলে।

৫। কপালভাতি- প্রাণায়াম
গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করুন। এইবার নাক দিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। নিঃশ্বাস পেটের ভিতর থেকে ত্যাগ না করে নাক দিয়ে ছাড়ুন। এই একটি যোগব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি আপনার ত্বককেও সুস্থ রাখে।

যেকোনো ইয়োগা বা যোগব্যায়াম করার আগে ট্রেইনারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোনো যোগব্যায়াম করার ফলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে অব্যশই সেটি বন্ধ করে দিবেন।

শান্ত রাখার উপায়

Image result for যোগব্যায়াম

কিছু কিছু ঘটনায় আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। স্বভাবেও কেউ কেউ অস্থির। এই অস্থিরতা মোটেও ভালো ফল বয়ে আনে না। তাই আমাদের উচিত নিজেকে শান্ত রাখা। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত ও স্থির রাখার কয়েকটি পরামর্শ এখানে দেওয়া হলো:
যোগব্যায়াম করুন
মনকে শান্ত রাখতে যোগব্যায়াম দারুণ উপকারী। এতে মানসিক চাপ দূর হয়। শুধু তা-ই নয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামও মনকে প্রফুল্ল রাখে। অনেকে মনে করেন, উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে ব্যায়াম করা যাবে না। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করেন না। অন্য ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম না করে তখন শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। তাহলে মন শান্ত থাকবে।
আলিঙ্গন করা
মনটা কোনো কারণে অস্থির। প্রিয়জনের বা কাছের কোনো মানুষের আলিঙ্গন বা একটু স্পর্শ মনকে শান্ত করে দেয়। এ সময় অক্সিটোসিন হরমোনের নিঃসরণের ফলে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা দূর হয়।
সংগীত মন খুশি রাখে

ধরা যাক, আপনি এমন একটা জায়গায় কাজ করেন, চারপাশে অনেক শব্দ, উচ্চ স্বরের কথাবার্তা। হেডফোন দিয়ে তখন কোনো গান শুনলে আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবেন। হট্টগোল এড়িয়ে নিজের মতো করে কাজ করার ক্ষেত্রে সংগীত টনিকের মতো কাজ করে।

নিজের সঙ্গে সময় কাটান
কেউ কোনো কিছু ভালো করলে আমরা প্রশংসা করি, বাহবা দিই। সব সময় অন্যের থেকে প্রশংসা পেতে হবে, বাহবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, এমনটা নয়। আপনি নিজেই নিজের আনন্দ উদযাপন করতে পারেন। নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস থাকলে দেখবেন, মনটা শান্ত থাকবে।

সূত্র: ফ্যামিলি ম্যাগাজিন

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

গরুর মাংস রান্নার সহজ রেসিপি



গরুর মাংস রান্নার সবচেয়ে সহজ রেসিপি

গরুর মাংস রান্না করতে প্রায় সবাই পারে তবে সবার রান্না করা মাংস খেতে সুস্বাদু হয়না। আবার হয়তো অনেকের রান্নাই ট্যাঁসটি হয়। আজ বিডি রমণী আপনাদের জন্য নিয়ে এলো গরুর মাংস রান্নার সবচেয়ে সহজ রেসিপি । এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি আকর্ষণীয়। আর সময়ও লাগে কম। আপনার রান্নাকে আরও সহজ ও আরও সুস্বাদু করতে দেখে নিন আজকের রেসিপিটি।

উপকরণ

✿ হলুদের গুড়া দেড় চা চামচ,

✿ মরিচের গুড়া দুই চা চামচ,

✿ জিরা বাটা তিন চা চামচ,

✿ গরুর মাংস এক কেজি,

✿ পেয়াজ কুচি এক কাপ,

✿ রসুন বাটা ৩ চা চামচ,

✿ আদা বাটা দুই চা চামচ,

✿ এলাচ ৪টি,

✿ লং ৪টি,

✿ দারুচিনি ৩-৪ টুকরা,

✿ লবন আন্দাজমতো,

✿ তেল দেড় টেবিল চামচ,

✿ ৪টি মাঝারি আলু টুকরো করে কাটা।

প্রস্তুত প্রনালী

➜ আলু ছাড়া সব উপকরণ একসাথে মাখিয়ে চুলায় বসিয়ে ঢেকে দিন।

➜ মাংস শুকিয়ে এলে ২ কাপ পানি দিয়ে কসিয়ে নিন।

➜ পানি হাল্কা শুকিয়ে এলে আলু দিয়ে একটু পানি দিয়ে কসিয়ে নিন।

➜ তারপর কসান হয়ে গেলে পরিমাণ মত পানি দিয়ে ঢেকে দিন ও কড়া জ্বাল দিন।

➜ ঝোল মাখা মাখা হলে নামিয়ে ফেলুন।

হয়ে গেলো আপনার রান্না !!!

টমেটোর পুষ্টিগুণ


বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “টমেটোকে মৌসুমি ফল বা সবজি যে যাই বলুক না কেনো এর গুণাগুণ নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না। রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।”

তিনি আরও বলেন, “টমেটো পেকে লাল হওয়ার সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ আরও বৃদ্ধি পায়।”
এই টাটকা ফলের প্রধান অংশ পানি। এর প্রায় ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি।
 ফলে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলক কম থাকে। দ্রবণীয় শর্করা ও প্রোটিন বাদে ফলের পুষ্টিমান মূলত খনিজ ও ভিটামিন। এইসবের জন্য ফলকে দেহ রক্ষাকারী খাদ্য বলা হয়।

টমেটোর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ফারাহ মাসুদা জানান-

প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে রয়েছে ৩৫১ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন। 
ক্যারোটিন মানব দেহে ভিটামিন এ’র কাজ করে। অর্থাৎ দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখে ও রেটিনা সুস্থ রাখে।

পাকা-টমেটোতে আছে ভিটামিন সি। 
যা দাঁত ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ২৭ মি.গ্রা ভিটামিন সি থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা-টমেটোতে ০.১৩ মি.গ্রা থায়ামিন থাকে। থায়ামিন পরোক্ষভাবে স্নায়ুতন্ত্র, হৃদপিণ্ড ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা-টমেটোতে ০.০৬ মি.গ্রা রিবোফ্লেভিন পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন গ্রন্থি ও কলা- ত্বক, চোখ, স্নায়ু ইত্যাদির সুস্থতা রক্ষা করে।

টমেটোতে সামান্য পরিমাণে লৌহ পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা-টমেটোতে ০.৪০ মি.গ্রা লৌহ থাকে।

পাকা-টমেটোতে হাড় ও দাঁত গঠনকারী ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা-টমেটোতে ৪৮ মি.গ্রা ক্যালসিয়াম থাকে।
ফসফরাস দেহের কোষকলার সুস্থতা রক্ষা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ২০ মি.গ্রা ফসফরাস পাওয়া যায়।
পাকা-টমেটো রান্নার পরে পুষ্টিগুণে বৃদ্ধি পায়।
টমেটোর উপকারিতা: 
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে,পাকা-টমেটো হৃদরোগ ও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। 
এটি হৃদপিণ্ডের কার্য ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
 টমেটো দেহের হাড় মজবুত করে।
টমেটো রাতকানা রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। 
এটি কিডনিতে পাথর জমা রোধ করতে সাহায্য করে। 
এছাড়াও পাকা-টমেটো বাতের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে।
পাকা-টমেটো ফুসফুস ও যকৃতের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে পানি শূন্যতারোধে সাহায্য করে।
টমেটোর পাতার রসে ভিটামিন ডি সামান্য পরিমাণে থাকে। যা ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের বিপাকে প্রভাব বিস্তার করে রিকেটস, অস্ট্রিওম্যালেয়শিয়া, অস্ট্রিওপেরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
সৌন্দর্য চর্চা:
পাকা-টমেটো সৌন্দর্য চর্চায় অনেক অবদান রাখে। টমেটোর পেস্ট মুখের দাগ, ছোপ ও রোদে পোড়াভাব কমায়। প্রাকৃতিক ভাবে রং ফর্সা করতে টমেটো বিশেষ কার্যকর।
দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বর্তমানের ব্যবসায়ীরা নানারকমের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে থাকেন। এতে টমেটোর পুষ্টিগুণ অনেকাংশে নষ্ট হয়ে যায় এবং এটি স্বাস্থের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই অতিরিক্ত উজ্জ্বল টকটকে লাল রংয়ের টমেটো না কেনার পরামর্শ দেন ফারহ মাসুদা।

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৭

শিশুর বিকাশ।


১ থেকে ৭ মাস

মাইলস্টোনঃ ১ মাস
এক সপ্তাহের মধ্যে মায়ের আওয়াজ, চেহারা ও স্পর্শ চিনতে শিখবে।
চলন্ত কিছুর দিকে তাকানো শিখবে।
মাথা ঘুরিয়ে শব্দের উৎসের দিকে তাকানো চেস্টা করবে।
বাবা-মা এর করণীয়:
শিশুর সাথে কথা বলুন, কোলে নিন।
শিশুর ঘুমানোর ও ক্ষুধার লক্ষনগুলো চিনতে শিখুন।
বারবার খাবার খাওয়ান।
খেলনা দিয়ে দৃস্টি আকর্ষন করুন।
বিপদ চিহ্ন:
খুব আস্তে খাওয়া বা চুষতে না পারা।
চলন্ত কিছুর দিকে দৃস্টি না দেয়া।
তীব্র আলো বা শব্দে প্রতিক্রিয়া না দেখানো।
মাইলস্টোনঃ ৩ মাস
শিশু মুখ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ করার চেস্টা করবে।
মাথার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে।
পেটের উপর শুয়ে মাথা তোলার চেস্টা করবে।
হাতের মুঠি খুলতে ও বন্ধ করতে পারবে।
খেলনা নাড়াচাড়া করার চেস্টা করবে।
আকর্ষনীয় কিছু দেখলে আগ্রহী হয়ে ওঠবে।
বাবা-মা এর করণীয়:
শিশুর যেকোন কিছুতে সাড়া দিন।কথা বলুন, হাসুন,বই পড়ুন, বিভিন্ন পরিচিত জিনিসের নাম বলুন।
খেলনা ধরতে সাহায্য করুন।
বিপদ চিহ্ন:
মাথার ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারে।
কিছু ধরতে না শিখে।
তীব্র আলো বা শব্দে প্রতিক্রিয়া না দেখানো।
মাইলস্টোনঃ ৪-৭ মাস
শিশু হাসবে, কিছু বলার চেস্টা করবে।
গড়াগড়ি করবে।
সাহায্য ছাড়া বসতে শিখবে।
কোন কিছুতে বাধা দিলে বা ‘না’ বললে বুঝতে পারবে।
নিজের নাম শুনলে যে ডাকবে তার দিকে তাকাবে।
চারপাশের জিনিস চিনতে শিখবে।
বাবা-মা এর করণীয়:
শিশুর সাথে খেলা করুন, গোসলের সময় হাসানোর চেস্টা করুন।শিশুর কথার বিপরীতে কথা বলুন।
রঙিন বই নিয়ে পড়ুন।বিভিন্ন জিনিসের নাম শিখান।শিশুকে খেলার সুযোগ দিন ও ঘর শিশুর জন্য নিরাপদ রাখুন।শিশুর খাওয়া, ঘুম ও খেলা রুটিন মত করানোর চেস্টা করুন।
বিপদ চিহ্ন:
জড়সড় বা নিস্তেজ থাকা।
মাথার ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারে।
না হাসা
আকর্ষনীয় কিছু দেখলে আগ্রহী না হওয়া।

৮ থেকে ১২ মাস

মাইলস্টোনঃ
হামাগুড়ি দিবে, নিজে নিজে বসতে শিখবে
দাঁড়ানোর চেস্টা করবে এবং সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারবে।
ছোট ছোট শব্দ বলার চেস্টা করবে যেমন দাদা, বাবা, মা ।
নিজের মতামত দিতে চেস্টা করবে- যেমন কি চায় বা কি চায় না ।
নিজে নিজে খাবার খাওয়ার চেস্টা করবে।
বড়দের অনুকরণ করতে শিখবে যেমন: মোবাইলে কথা বলা বা চিরুনি দিয়ে মাথা আচঁড়ানো।
বাবা-মা এর করণীয়:
কথা বলা চালিয়ে যান কারণ এই সময় শিশু কথা বলা শিখবে।
যেকোন কিছু নিয়ে কথা বলুন যেমন: কোন একটা কাজের জন্য কি করবেন কিভাবে করবেন। 
বই পড়ুন, লুকোচুরি খেলুন।
ধরে ধরে হাটা শিখানোর চেস্টা করুন।
খেলনা দিয়ে খেলতে দিন।
ভাল ব্যবহার বা কাজের প্রশংসা করুন এবং অতিরি্ক্ত দুস্টামিতে না করুন।
এতে করে বুঝতে শিখবে কোনটা করা উচিত বা কোনটা করা উচিত নয়।
বিপদ চিহ্ন:
হামাগুড়ি না দেয়া।
সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে না পারা।
কথা না বলা।
কোন কিছুর প্রতি আগ্রহী না হওয়া।
কোন কিছু মতামত দিতে না পারা যেমন পছন্দ বা অপছন্দ

১৩ থেকে ২৪ মাস

মাইলস্টোনঃ
নিজে নিজে হাটতে পারবে।
সিঁড়ি বেয়ে উঠতে নামতে পারবে।
বল ছুড়ে দেয়া বা লাথি দেয়া শিখবে।
সোফা বা চেয়ারে উঠতে পারবে।
অনেক কিছু বুঝতে শিখবে ও নতুন নতুন শব্দ বলতে পারবে।
২৪ মাসে ছোট ছোট বাক্য বলতে পারবে।
নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে শিখবে যেমন: বইটি উঠাও এবং আমার কাছে নিয়ে আস।
জিনিসের রং ও আকার সম্পর্কে ধারনা হবে।
নিজে নিজে সব কিছু করার চেস্টা করবে যেমন: কাপড় পরা, খাওয়া,হাত ধোয়া।
খেলতে শিখবে যেমন: পুতুলকে খাওয়ানো বা গাড়ী চালানো এবং অন্য শিশুদের সাথে খেলবে।
বাবা-মা এর করণীয়:
কথা বলুন, প্রশ্ন করুন, শিশুর মতামত নিন ও তার প্রশ্নের জবাব দিন।বর্ণ ও সংখ্যার ধারনা দিন।
শিশুকে কটু কথা বা তার সামনে খারাপ কিছু বলবেন না।
বিভিন্ন রংয়ের খেলনা দিন এবং একই রংয়ের বা আকারের খেলনা আলাদা করতে বলুন।
বাইরে বেড়াতে নিয়ে যান।
ভাল কাজের প্রশংসা করুন এবং খারাপ কাজের পরিনতি বুঝিয়ে বলুন।
ধৈর্য্য ধরুন ও পজিটিভ থাকুন।
শিশু মাত্র শেখা শুরু করেছে তাই তাকে শিখতে দিন কিভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে ও নিয়ন্ত্রনে রাখবে।
টয়লেট ট্রেনিং শুরু করতে পারেন।
এটি কেউ দেরীতে শিখে আর কেউ আগেই শিখে যায়।
বিপদ চিহ্ন:
১৮ মাস বয়স কিন্তু শিশু হাটচ্ছে না।
কমপক্ষে ছয়টি শব্দ যদি বলতে না পারে।
অন্যদের দেখে কোন কিছু অনুকরন করতে না শেখে।
সহজ নির্দেশ যদি বুঝতে না পারে
আগে যা পারত তা যদি না পারে।

২৫ থেকে ৩৬ মাস

মাইলস্টোনঃ
অনেক কিছু কল্পনা করতে শেখে।
কথা বলতে শিখে যায়। 
এমনকি অপরিচিতরাও শিশুর কথা বুঝতে পারে।
নতুন নতুন শব্দ শেখে।
বিভিন্ন কাজ করতে শেখে যেমন: সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠা নিচে নামা, দরজা খোলা, তিন চাকার সাইকেল চালানো, বৃত্ত আঁকা।
বন্ধুত্ব করতে শেখে।
আচরনে ভিন্নতা দেখা যায়: যেমন: কোথাও গিয়ে খেলাধূলা করে আনন্দ করছে আবার পরের মুহূর্তে বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্না করা।
বাবা-মা এর করণীয়:
সমবয়সী শিশুদের সাথে খেলতে দিন।
অন্যের সাথে খেলনা বা তার জিনিস শেয়ার করা শিখান।
লিখতে শেখান ও গুনতে শিখান।
শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম শিখান।
ভাল কাজের প্রশংসা করুন
টয়লেট ট্রেনিং যদি শুরু না করেন তাহলে এখন থেকেই শুরু করুন।
বিপদ চিহ্ন:
সমবয়সী অন্য শিশুদের সাথে না খেলা
চোখে চোখ না রাখা
সিঁড়ি বেয়ে না উঠতে পারা
একটি বাক্যে তিন শব্দের বেশি বলতে না পারা।
বাক্য শেষ করতে না পারা।
আগে যা পারত তা না পারা ।
🌞সুস্থ ভাবে বেরে ওঠুক আপনার শিশু।🌞

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৭

শিশুর সঠিক বৃদ্ধি


শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়ে প্রতিটি বাবা মায়ের দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। নতুন বাবা মা বিশেষ করে যাদের প্রথম সন্তান তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে তাদের উদ্বিগ্নতা একটু বেশিই থাকে।

বেশির ভাগ বাবা-মা ই শিশুর স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তায় থাকেন। প্রায় সবারই অভিযোগ থাকে যে শিশু খেতে চায়না, একই বয়সের অন্য শিশু তাদের চেয়ে বড়, শিশুর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে, ওজন ঠিক আছে কিনা, শিশুর যত্নে কোন ত্রুটি হচ্ছে কিনা, এসব নানা ধরনের চিন্তায় হয়তো দেখা যায় তারা তাদের সুস্থ শিশুদের নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়াচ্ছেন।

তবে এসব চিন্তা থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত থাকা সম্ভব যদি শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও কর্ম দক্ষতা কিসের উপর নির্ভর করে সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে তারা কিছুটা ধারনা রাখেন।

শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও কর্মদক্ষতা নিম্নোক্ত কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে:
জীনগত কারন: 
লম্বা বাবা মায়ের সন্তান সাধারণত দ্রুত লম্বা হয় আর খাটো বাবা মায়ের সন্তানের বৃদ্ধি ধীর হয়। এটা জীনগত কারণেই হয়ে থাকে।
পুষ্টিগত কারণ: 
পুষ্টির অভাবে যেমন শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, তেমনি অতিরিক্ত পুষ্টি শিশুকে মেদবহুল করে। শরীরের কম ওজনের মত বেশি ওজনকেও এক ধরনের অপুষ্টি বলে।
আর্থ-সামাজিক কারণ: 
সাধারনভাবে দারিদ্রতা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি ও কর্মদক্ষতা দুটোকেই ব্যাহত করে। যে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো সেই পরিবারের শিশুদের শারিরিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও কর্মদক্ষতা স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকবে।
পারিপার্শ্বিকতা: 
উন্নত সামাজিক, মানসিক ও পারিপার্শ্বিকতা শিশুদের কর্মদক্ষতা ও দৈহিক বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
অসুস্থতা: 
দীর্ঘদিন কোন শিশু অসুস্থতায় ভুগলে সেই শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশ দুটোই বিলম্বিত হয়। ওজন কমে যায়, খাবারের রুচিও কমে আসে।
মানসিক আঘাত:
 পরিবার, সমাজ ও পরিবেশ থেকে যে কোনভাবে মানসিক আঘাত পেলে বা চাপে থাকলে সেই শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটে।
গর্ভাবস্থায়:
 মায়ের পেটে শিশুর স্বাভাবিক ও যথাযথ বৃদ্ধি না হলে, জন্মের পর সেই শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে হয় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব নিয়ে সেই শিশু জন্ম গ্রহন করে।
শিশুর স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি পরিমাপের উপায় সমূহ:
উচ্চতা: 
শিশু তার নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী বাড়ছে কিনা সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সাধারণত জন্মের সময় শিশুর উচ্চতা থাকে - ৫০ সেমি, ১ বছরে - ৭৫ সেমি, ২ বছরে - ৮৩ সেমি, ৩ বছর বা এর পরে প্রতি বছর ৫ সেমি করে শিশুরা বাড়ে।
ওজন: 
জন্মের সময় একটি শিশুর স্বাভাবিক ওজন থাকে ২.৫-৪ কেজি পর্যন্ত। তারপর ৬ মাসে এই ওজন ২ গুন হবে, ১ বছরে ৩ গুন এবং ২ বছরে হবে ৪ গুন। এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়ম। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তবেই সেদিকে নজর দিতে হবে।
বাহুর মধ্যঅংশের পরিধি:
 পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের পুষ্টির অভাব আছে কিনা, তা পরিমাপ করার আরো একটি পদ্ধতি হলো শিশুর বাহুর মধ্যঅংশের পরিধি পরিমাপ করা।

- যদি বাহুর মধ্যঅংশের পরিধি ১৩.৫ সেমি এর উপরে হয় তবে বুঝতে হবে শিশুটির দেহে পুষ্টির অভাব নেই।

- বাহুর মধ্যঅংশের পরিধি ১২.৫ সেমি হইতে ১৩.৫ সেমি এর মাঝে হলে বুঝতে হবে শিশুটি কিছুটা অপুষ্টিতে ভুগছে।

- আর বাহুর মধ্যঅংশের পরিধি ১২.৫ সেমি এর নিচে হলে বুঝতে হবে শিশুটি মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

শিশু সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা তা বোঝার জন্য শুধুমাত্র দৈহিক বৃদ্ধির দিকেই দৃষ্টি রাখলে চলবে না তার কর্মদক্ষতা ও মানসিক বিকাশের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

শিশুর কর্মদক্ষতা ও মানসিক বৃদ্ধির মাপকাঠিগুলো:

স্নায়ুবিক বৃদ্ধি: 
৩-৪ মাস বয়সে শিশু ঘাড় সোজা করতে, ৬-৮ মাস বয়সে বসতে আর ১১-১৩ মাস বয়সে হাঁটতে শিখে।
দৃষ্টিশক্তির বিকাশ: 
৩-৪ মাস বয়স হলে শিশু উজ্জ্বল কিছু দেখলে তার দিকে খেয়াল করে, ৬ মাস বয়সে ছোট বস্তুও দেখতে পারে। ৬ মাস বয়সে শিশুর হাতের তালুতে কোন কিছু ধরলে তা চেপে ধরে আর ১০ মাস বয়সে শিশু ভালভাবে কোন কিছু ধরতে পারে।
স্মৃতিশক্তির বিকাশ:
 শিশুর বয়স যখন ৪-৫ মাস হয় তখন তার কাছে কোন শব্দ করলে মাথা ঘুরায় আর ৮-৯ মাস বয়সে কোথায় শব্দ হচ্ছে সেটা বুঝতে পারে।
কথা বলার ক্ষমতা:
 শিশুর বয়স ৫-৬ মাস হলে দা দা, মা মা ইত্যাদি কিছু অর্থহীন শব্দ করে আর বয়স এক বৎসর পূর্ণ হলে দুই তিনটি অর্থপূর্ণ শব্দ বলতে শেখে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি শিশুর মাঝে দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে যে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশ সঠিক ভাবেই হচ্ছে।
 তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে এই মাপকাঠিগুলো কিন্তু স্থির নয়। তাই শিশুকে নিয়ে দু:চিন্তা না করে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সময় দিন এবং তাদের প্রতি খেয়াল রাখুন।

শওকত আরা সাঈদা
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান, পারসোনা হেল্‌থ, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান (স্নাতকোত্তর) (এমপিএইচ), নিউট্রিশন এবং ডায়েট থেরাপিতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

শিশু বেরে ওঠা


বাড়িতে নতুন শিশু। 
শিশুটি ফরসা না কালো, চুল বেশি না কম, বাবার মতো না মায়ের মতো—তা নিয়ে মতামত চলছেই।
 কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো শিশুর যথাযথ বিকাশ হচ্ছে কি না। বয়স ও সময় অনুযায়ী সে দেহে-মনে বেড়ে উঠছে কি না।
 বড় ধরনের কোনো সমস্যা জন্মের সময় হাসপাতালে থাকতেই ধরা পড়ার কথা। কিন্তু খুব ছোট বা মৃদু কোনো সমস্যা নজরের বাইরে থেকে যেতে পারে। তাই মা-বাবা লক্ষ রাখবেন বিকাশের দিকে। পর্যবেক্ষণে রাখুন আপনার শিশুকে।
৪ মাস
শিশুকে ধরে বসিয়ে দেওয়া যায়। তত দিনে তার ঘাড় ও মেরুদণ্ড মোটামুটি শক্ত হয়ে আসার কথা।
৭–৮ মাস
বয়সের মধ্যে কোনো সাহায্য ছাড়াই শিশুর বসে থাকতে পারার কথা।
৯–১০ মাস
বয়সে কোনো কিছু ধরে সে দাঁড়াতে শিখবে।
১৫ মাস
বয়সের মধ্যে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে শুরু করবে। এই বিষয়টি প্রভূত আনন্দ দেয় মা-বাবাকে।
২ বছর
বয়সে আরও দক্ষতা অর্জন করার কথা হাঁটার ক্ষেত্রে। যেমন দুই পা জোড়া করতে পারা বা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা বা নিচে নামা।
৩ বছরের
মাথায় শিশু এক পায়ের পাতার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে শিখবে।
৪ বছর
লাফিয়ে বাধা পেরোতে পারবে।
৫ বছর
একটা টানা সোজা লাইন ধরে সামনে-পেছনে অনায়াসে চলতে শিখবে।

Popular Posts