Recent post

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ দিনভর গুলি, বোমা বিস্ফোরণ


দিনভর গুলি ও বিস্ফোরণের পর মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে জঙ্গি আস্তানা ঘিরে সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ স্থগিত করা হয়েছে। আলোকস্বল্পতার কারণে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করার কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজ শনিবার সকালে আবার অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মৌলভীবাজার শহরের এই বাড়ি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ করে ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। এরপর সেখান থেকে দিনভর গোলাগুলি আর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। গণমাধ্যমকর্মীদের ওই বাড়ির ত্রিসীমানায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে কী ঘটছে তা জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিট ব্যাক’ শেষ হওয়ার পর ওই বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারীসহ সাতজনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধারের খবর জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে আস্তানা গেড়েছে জঙ্গিরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একজন কর্মকর্তা বলেন, বুধবার দিনের বিভিন্ন সময় ভবনের জানালা দিয়ে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যায়। তাদের দেখামাত্রই পুলিশ গুলি ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে, যাতে তারা পুলিশের দিকে গুলি বা বোমা ছুড়তে না পারে। তবে বুধবার রাত থেকেই ভবনটি থেকে তেমন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না।


গতকাল বড়হাটের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে জঙ্গি আস্তানার কাছ থেকে একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এরপর থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার দিকেও গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলি ও বোমার শব্দে আশপাশের বাসাগুলোর শিশুরা প্রচণ্ড ভয়ে আছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল ভোরবেলা থেকেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মৌলভীবাজার-সিলেট সড়ক। স্থানীয় লোকদের নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে আবারও ১৪৪ ধারা জারির কথা ঘোষণা করা হয়। সকালবেলায় জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ জালাল নিজে উপস্থিত থেকে যানবাহন চলাচল ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন। গণমাধ্যমকর্মীদেরও জটলা পাকিয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়। সকাল আটটার দিকে বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা মাদ্রাসা গলিতে ঢোকেন। ৯টা ৫২ মিনিট থেকে গুলির শব্দ শুরু হয়। সকাল ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত টানা গুলি চলে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সদস্যকে ইলেকট্রিক করাত, রশি, দা, কুড়াল নিয়ে জঙ্গি আস্তানার দিকে যেতে দেখা যায়। অভিযান চলাকালে কখনো টানা বা কখনোবা থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। দফায় দফায় বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। পুলিশের দাবি, আস্তানার ভেতর থেকে জঙ্গিরা এ বিস্ফোরণগুলো ঘটাচ্ছে।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের কনস্টেবল কায়সরকে আহতাবস্থায় নিয়ে যেতে দেখা যায়। জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন-উদ-জামান বলেন, বিস্ফোরণে হয়তো জানালার কাচ ভেঙে তা উড়ে এসে ওই পুলিশ সদস্যের গায়ে লেগেছে। বেলা দুইটার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মুঠোফোনের খুদে বার্তায় বলেন, পুলিশ সদস্যের গায়ে খালি কার্তুজের আঘাত লেগেছে।
গতকাল অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মনিরুল ইসলাম। বেলা ১১টার দিকে বড়হাটে মূল সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে মনিরুল বলেন, ‘এখানে একাধিক জঙ্গি অবস্থান নিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও তারা একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বৃহস্পতিবার তারা গুলিও করেছে। সিলেটের জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনার সূত্র ধরে এখানে এ বাসাটি চিহ্নিত করা হয়।’ তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সোয়াটের অভিযান শুরু হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ম্যাক্সিমাস। এটি একটি জটিল অভিযান। আমাদের কাছে খবর আছে, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরকসহ একজন বিস্ফোরক তৈরিতে বিশেষজ্ঞ জঙ্গি এখানে রয়েছে।’
সন্ধ্যা সাতটার দিকে দ্বিতীয় দফা ব্রিফ করেন মনিরুল। তখন তিনি বলেন, আলোকস্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকা সাপেক্ষে সকাল থেকে আবারও শুরু হবে। ওই বাড়িটিতে এখন কেউ জীবিত আছে কি না জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘আপনারা বোধ হয় এখান থেকে শুনেছেন, কিছু ব্লাস্ট (বিস্ফোরণ) হয়েছে। বেশ কয়েকটি বোম্ব ব্লাস্ট তারা ভেতর থেকে করেছে। সোয়াটের আভিযানিক দল যখনই সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছে, তখনই তারা ভেতর থেকে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এই অভিযানটি অপেক্ষাকৃত জটিল। কেননা যে বাড়িটিতে তারা অবস্থান নিয়েছে, সেখানে অনেকগুলো কামরা রয়েছে। সে কারণেই অভিযান শেষ হতে আরেকটু সময় লাগবে। অভিযান স্থগিত করা হলেও গত কয়েক দিনের মতো বাড়িটি ঘিরে রাখবে পুলিশ।’
অভিযান স্থগিত ঘোষণা করার সোয়া এক ঘণ্টা পর বৃষ্টির মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আবারও গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা বলেন, গত কয়েক দিনে বাড়িটির জানালার কাচগুলো গুলি করে ভাঙা যায়নি। গুলিতে সেগুলো ফুটো হয়ে গেলেও ভেঙে পড়ছে না। এগুলো গাড়ির কাচের মতো বা প্লাস্টিকের কাগজের প্রলেপযুক্ত।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় গোলাগুলির শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জঙ্গিনেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের বাড়ি এ জঙ্গি আস্তানা থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে। এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা জল্পনা ও আতঙ্ক রয়েছে।

বুক ধড়ফড়ানি

পুরুষদের তুলনায় নারীদের বুক ধড়ফড়ানি বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ঝুঁকি বেশি। 
এর কারণ অনেক। যেমন অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন বা অনিয়মিত হার্টবিট মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা তাঁদের বেশি হয়। আর এ থেকে হৃৎস্পন্দনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। হরমোনের ওঠানামা, মেনোপজের পর বুক ধড়ফড়ানি বাড়ে। 
আমাদের দেশে মেয়েদেরই বাতজ্বরজনিত হৃদ্রোগ বেশি দেখা যায়, যা থেকে পরবর্তী সময়ে হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে।

আবার গর্ভকালীন অবস্থায়ও এ সমস্যা হতে পারে। রক্তশূন্যতা এ দেশে মেয়েদেরই বেশি দেখা যায়, তার কারণেও বুক ধড়ফড় করে। তাই দেখা যাচ্ছে, নারীদের বুক ধড়ফড়ানির সমস্যাটি একেবারে অপরিচিত নয়। তাই এটা অবহেলা করাও উচিত নয়।
বুক ধড়ফড় করলে কিছু বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখুন। এটা কি সব সময়ই হয়, নাকি বিশেষ কোনো সময়ে? পরিশ্রম বা ব্যায়াম করলে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে বাড়ে কি না? বিশ্রামের মধ্যেও এ সমস্যা হয় কি না, আপনি কোনো ওষুধ (যেমন হাঁপানির ওষুধ বা ইনহেলার) ব্যবহার করছেন কি না, ইত্যাদি জানতে হবে। 
কেননা, অনেক ওষুধের প্রভাবেও বুক ধড়ফড়ানি হতে পারে। 
এই সমস্যার পাশাপাশি খুব ঘাম, ওজন হ্রাস, হাত কাঁপুনি থাকলে থাইরয়েড পরীক্ষা করাতে হবে। মাসিক অনিয়মিত হতে থাকলে চিকিৎসককে জানান। 
মেনোপজের সময় ও পরে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। দুর্বলতা, মাথা ঘোরা থাকলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দেখে নিতে হবে। 
বুক ধড়ফড়ানির এমন বিস্তারিত বর্ণনা আপনার চিকিৎসককে রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করবে।
তেমন কোনো কারণ পেলে অনেক সময় দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপকেও এ জন্য দায়ী করা হয়। সে ক্ষেত্রে ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় পরিহার করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। 
শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু ব্যায়াম হৃৎস্পন্দন ঠিক করতে সাহায্য করে।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। 
দুশ্চিন্তা কমান। 
যোগব্যায়াম করতে পারেন।

সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন?

আমরা সবাই কমবেশি অপরের দ্বারা প্রভাবিত হই। মাঝেমধ্যে এই প্রভাব আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। অনেক সময় এই প্রভাবই আমাদের ব্যক্তিগত দক্ষতার জায়গাটায় ক্ষত সৃষ্টি করে।
খুব সহজ আটটি উপায়ে আপনি বুঝতে পারবেন কোন নেতিবাচক প্রভাবের চোরাবালিতে আটকা পড়তে যাচ্ছেন:
আপনাকে প্রভাবিত করার জন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করছেন না তো সঙ্গী। 

কৌশলীর প্রভাবে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ

যখনই কেউ আপনাকে মানসিকভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবেন, তিনি প্রথম থেকেই চেষ্টা করবেন আপনার দক্ষতার ওপর তাঁর নিজস্ব মতামত প্রতিষ্ঠা করার। 
সবচেয়ে বাজে বিষয় হচ্ছে, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তাঁরা মিথ্যার আশ্রয় নেন। 
আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আপনি নিজেই একটি দোদুল্যমান অবস্থায় চলে যাবেন।

তাঁদের কথা এবং কাজের অমিল

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের মানুষের কথায় এবং কাজে বিস্তর ফারাক দেখা যায়।
 তাঁরা আপনাকে ঠিক সেভাবে বোঝাবেন কিংবা সেভাবেই কথা বলবেন যেভাবে আপনি শুনলে ভালো বোধ করবেন। 
অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা আপনাকে সাহায্যের আশ্বাসও দেবেন, কিন্তু কার্যত তার দেখা পাওয়া যাবে না। তখন এই সাহায্যের আবেদনকে তাঁরা অহেতুক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে উড়িয়ে দেবেন।

আপনার অপরাধবোধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার

আপনাকে যাঁরা মানসিকভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবেন, তাঁরা সব সময় আপনার অপরাধবোধকে কাজে লাগাবেন।
 তাঁরা আপনি যে ভুলগুলো করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে কথা বলবেন, যাতে করে আপনি আপনার নিজের চোখে ছোট থাকেন।
 তাঁদের চোখে, আপনার নেওয়া সব সিদ্ধান্ত ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়। 
ফলে আপনি ধীরে ধীরে অন্যের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হতে শুরু করবেন।

আপনি ক্ষতিকারক

যাঁরা মানসিক কৌশল ব্যবহার করেন, তাঁদের আরেকটি দিক হলো তাঁরা দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে। 
তাঁদের সব ক্ষতির কারণ অপরের ক্ষতি করার ইচ্ছা থেকে। 
এমনকি এমন একসময় আসবে, যখন আপনিও নিজেকে তাঁর জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে ভাবতে শুরু করবেন। 
এখানে উল্লেখ্য, এটি আপনি নিজের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে বাধ্য করে।

দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল
যাঁরা আপনাকে প্রভাবিত করতে চান, তাঁরা আপনার দ্রুত প্রতিক্রিয়া আশা করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা চান আপনি তাঁদের মনমতো প্রতিক্রিয়া করবেন। যেটা কিনা আপনার পক্ষে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে।

সাময়িক পরহিতকারী
মানসিকভাবে প্রলুব্ধকারী একসময় পরহিতকারী হলেও খুব দ্রুত তাঁদের রূপ বদলে যায়। 
তাঁরা আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলবেন, যাতে আপনি নিজেকে তুচ্ছ মনে করবেন। আপনি বুঝবেন, আপনি আসলে তাঁর সাহায্যপ্রার্থী। 
তাঁর সাহায্য ছাড়া আপনি কিছু করতে পারবেন না।

কৌশলী আপনার চেয়ে দুঃখী

এ ধরনের মানুষ নিজের সমস্যাগুলোকে বড় করে দেখেন।
 তাঁদের কাছে আপনার সমস্যাগুলো খুব ছোট। তাঁদের ধারণা, আপনার কারণেই আপনি এই সমস্যায় পতিত হয়েছেন।

দুর্বলতার সদ্ব্যবহার
যেহেতু আপনি তাঁকে আপনার দুর্বল দিকগুলো প্রকাশ করে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে আপনার দুর্বল দিকগুলোই তাঁর জন্য আঘাতের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। 
তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে সেগুলো আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেন। এবং যখন কেউ আমাদের দুর্বল দিকগুলো জানেন, তখন আমরাও তাঁদের কাছ নিজেদের সমর্পণ করি।

আমরা আমাদের মানসিক ব্যাপারগুলো নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি, কিন্তু যেকোনো মানসিক সমস্যায় আমাদের উচিত অন্যের ব্যবহার বুঝে এগিয়ে যাওয়া। 
কেননা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে এর সুযোগ নিতে চান, যা সাময়িকভাবে সাহায্য করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান দেয় না।

হালকা ঘুমে বাড়ে সৃজনশীলতা

ঘুম হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
 এ সময়সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থাকে স্তিমিত। ঘুম শরীরকে চাঙা করে পরবর্তী কাজের জন্য তৈরি করে মানুষকে। 
ঘুম কম হলে অবসাদ ও ক্লান্তি তৈরি হয়ে হারিয়ে যায় কর্মোদ্যম। 
আবার যাঁরা অফিসে একটানা কাজ করেন, তাঁদেরও ভর করতে পারে ক্লান্তি। 
এ থেকে মুক্তির উপায় বাতলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। 
তাঁরা বলছেন, অফিসে কর্মীরা দুপুরের পর বিকেলে মাত্র ২০ মিনিটের হালকা ঘুম দিলে বাড়বে কর্মীদের সৃজনশীলতা।
বিকেলে যদি অফিসে কেউ হালকা ঘুমের মধ্য থাকেন, তবে তাঁকে ঘুম থেকে না ডাকাই ভালো। কারণ, নতুন এক সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বিকেলে ২০ মিনিটের হালকা ঘুমে অফিসের কর্মচারীদের সৃজনশীলতা বাড়বে। 
এ ঘুমে ক্লান্তি দূর হয়ে চনমনে তরতাজা বানাবে কর্মীকে। 
এ ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেজদীপ্ত হবেন কর্মীরা।

যদি আপনার বস খুঁতখুঁতে হয় এবং আপনার কাছ থেকে বেশি কিছু আসা করেন, তবে এর একটি সহজ সমাধান আছে। 
বিকেলবেলা একটু ঘুমিয়ে নিন, দেখবেন কাজ হবে। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে বিকেলের দিকে ২০ মিনিট হালকা ঘুম কর্মীদের মধ্য সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানে ক্ষমতা বাড়াবে। যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অফিসে স্বল্প সময়ের ঘুমের আদর্শ সময় হলো বেলা দুইটা থেকে চারটার মধ্য। এই সময়ে ২০ মিনিটের ন্যাপ বা হালকা ঘুম কর্মীদের কাজের স্পৃহা বাড়িয়ে দেয়। আর এ ঘুম অন্যদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দেয়।

ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০ মিনিটের এ হালকা ঘুমে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা এবং বিষণ্নতার ঝুঁকি কমাবে। 
আপনি যদি পর্যাপ্ত না ঘুমান, তবে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

ওই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেওয়া নেরিনা রামলাখান বলেন, ‘যাঁদের এক ঘণ্টা কম ঘুম হয়, তাঁদের ঘুমের জন্য সংগ্রাম করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা রাতে পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের চেয়ে যাঁরা চার ঘণ্টা ঘুমান, তাঁরা নিজেদের পরিবর্তন নিজেরাই দেখতে পাবেন। ঘুমের এ পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে কম।’
ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়, অফিসের বসদের অবশ্যই কর্মীদের বিকেলবেলা কিছু সময়ের জন্য ঘুমানোর অনুমতি দেওয়া উচিত।
নেরিনা রামলাখান বলেন, ‘কর্মীদের দিনের বেলায় কিছুক্ষণের জন্য ঘুমানোর অনুমতি দেওয়া মনে হতে পারে একটু অস্বাভাবিক। 
মনে হতে পারে, এভাবে সপ্তাহে কর্মীদের একটি ঘণ্টা হয়তো হারিয়ে যাবে। 
তবে এতে কর্মীদের সৃজনশীলতা বাড়বে। 
আর এটি একটি ন্যায্য আবদারও।’ তথ্যসূত্র: এএনআই ও এনডিটিভি।

গরমে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

গরম পড়তে শুরু করেছে। 
ঋতু পরিবর্তনের এ সময় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে প্রচুর তরল (ফ্লুইড) দরকার। 
যদিও বেশির ভাগ মানুষ এ ধরনের পরিবর্তন কোনো সমস্যা ছাড়াই মানিয়ে নিতে পারেন, তবু সতর্ক থাকা ভালো। যাঁদের হৃদ্‌যন্ত্র দুর্বল, তাঁদের এ সময় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। 
কারণ স্ট্রোক, পানিস্বল্পতা, কণ্ঠনালী প্রদাহ, হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা হতে পারে। এ সময় তাই হৃদযন্ত্রের যত্ন বেশি করে নিতে হবে। 
হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখার কয়েকটি উপায় জেনে নিন:

প্রচুর তরলজাতীয় খাবার খান
গরম পড়া শুরু হলে প্রচুর সাধারণ পানি খেতে হবে। 
এ ছাড়া ডাবের পানি, বিভিন্ন জুস খেলে শরীর আর্দ্র থাকবে। 
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পানিশূন্যতার জন্য স্ট্রোকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
গরমের সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কিংবা অ্যালকোহল পান বাদ দিতে হবে। 
এতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

জাঙ্ক ফুড বাদ দিন
জাঙ্ক ফুড বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার যেমনøকুকি, কেক, পটেটো চিপ ও পিৎজার মতো খাবারে প্রচুর ক্যালরি, সোডিয়াম ও সম্পৃক্ত চর্বি থাকে। এ ধরনের খাবার এড়ানো উচিত।

সবজি ও ফল খান
প্রচুর সবজি ও ফল খাওয়া উচিত। 
গরমের সময় প্রতিবেলার খাবারে সবজি ও ফল রাখলে শরীরে শক্তি ও পুষ্টি যুক্ত হবে।
 এতে শরীর ধকল সইতে পারবে ও শরীর ঠান্ডা থাকবে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

রাতের ঢাকা মাতাবেন শ্রেয়া

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওবার্তায় আগেই জানিয়েছিলেন।
 ৩১ মার্চ সন্ধ্যায় গান শোনাতে ঢাকায় আসবেন ভারতীয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। 
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান এই শিল্পী। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ‘শ্রেয়া ঘোষাল মেলোডি নাইট লাইভ ইন ঢাকা’ আয়োজন করেছে এটিএন ইভেন্টস।

গুলশানের একটি পাঁচতারা হোটেলে উঠেছেন শ্রেয়া। 
অনুষ্ঠানের মিডিয়া বিভাগের কর্মকর্তা আফরিদ হাসান জানান, কিছু সময় বিশ্রামের পর শ্রেয়া যাবেন শব্দযন্ত্র নিরীক্ষায়। 
এরপর রাত আটটার পর শুরু মঞ্চে উঠবেন তিনি। 
গাইবেন টানা দুই ঘণ্টা।
চলচ্চিত্রে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। 
বাংলা, হিন্দি ছাড়াও তামিল, নেপালি, তেলেগু, মারাঠি, পাঞ্জাবি, গুজরাটিসহ অনেক ভাষায় গান করে উক্ত ভাষাভাসীদের প্রিয় শিল্পীর তারিকায় স্থান করে নিয়েছেন এই শিল্পী। 
এ ছাড়া নিজের দেশ ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্ম ফেয়ারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেয়া।
‘শ্রেয়া ঘোষাল মেলোডি নাইট লাইভ ইন ঢাকা’ কনসার্টটিতে আরও গান করবেন কলকাতার কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের পিন্টু ঘোষ, আনিকা এবং মিফতা জামান। 
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন আমব্রিন।

আইনস্টাইনের জীবনের ৩০টি মজার ঘটনা


১.

আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। 
আইনস্টাইন তখন একটি টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নিজের নম্বরটা খুঁজতে লাগলেন।
সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে নেই আপনার।’
আইনস্টাইন বললেন, ‘না। তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন?’

২.

আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলকভাবে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখেন। 
তাঁর বাবা মা এ ব্যাপারে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। 
একদিন রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন, এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে বললেন, 'এই স্যুপটা বড্ড গরম।'
তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। 
ছেলের মুখে প্রথম কথা শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলো নি কেন?’
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে তো সব ঠিকই ছিল। স্যুপ কখনো গরম ছিল না।’

৩.

১৯৩১ সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার একটি শো দেখার জন্য। 
তখন চ্যাপলিনের 'সিটি লাইটস্' সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল।
 শো-এর পরে তারা দুজন শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার এত জনপ্রিয়তা। 
কিন্তু মানুষ আপনাকে কেন এত পছন্দ করে বুঝলাম না।’
আইনস্টাইন সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।

৪.

একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন। 
চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। 
চেকার আইনস্টাইনকে চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি চিনতে পেরেছি। 
আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। 
আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না।’
আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কী করে যে আমি কোথায় যাচ্ছিলাম!’

৫.

আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। 
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত চুলার উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। 
কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো...এটাই আপেক্ষিকতা।’

৬.

একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন।
ভেতর থেকে তাঁর স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই। 
ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোনো কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন।

৭.

হাস্যরসপ্রিয় আইনস্টাইন তার যুগান্তকারী আপেক্ষিক তত্ত্বের আবিষ্কার নিয়ে একবার কৌতুক করে বলেছিলেন, আমার আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। 
এবার জার্মানি বলবে আমি জার্মান আর ফরাসিরা বলবে আমি বিশ্বনাগরিক। 
কিন্তু যদি আমার তত্ত্ব মিথ্যা হতো তাহলে ফরাসিরা বলত আমি জার্মান আর জার্মানরা বলত আমি ইহুদি।

৮.

আপেক্ষিক তত্ত্বে বেশ জটিলতা এবং দুর্বোধ্যতা থাকার কারণে মুখরোচক কিছু কাহিনী ছড়িয়ে পড়ল। একদিন এক সুন্দরী তরুণী তার প্রেমিকের সাথে চার্চের ফাদারের পরিচয় করিয়ে দিল। 
পরদিন যখন মেয়েটি ফাদারের কাছে গেল, ফাদার তাকে কাছে ডেকে বললেন, তোমার প্রেমিককে আমার সব দিক থেকেই ভালো লেগেছে শুধু একটি বিষয় ছাড়া।
মেয়েটি কৌতুহলে জিজ্ঞাসা করল, কোন বিষয়? ফাদার বললেন, তার কোনো রসবোধ নেই। 
আমি তাকে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের কথা জিজ্ঞাসা করেছি আর সে আমাকে তাই বোঝাতে আরম্ভ করল। হাসিতে ফেটে পড়ল মেয়েটি।

৯.

আইনস্টাইন আমেরিকায় গিয়েছেন, সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরল। 
একজন জিজ্ঞাসা করলো, আজকাল মেয়েরা কেন আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে এত আলোচনা করছে?আইনস্টাইন হাসতে হাসতে বললেন, মেয়েরা সব সময়ই নতুন কিছু পছন্দ করে। 
এই বছরের নতুন জিনিস হলো আপেক্ষিক তত্ত্ব।

১০.

একদিন সন্ধ্যাবেলায় প্রিন্সটনের ডিরেকটরের বাড়িতে ফোন এলো, 'দয়া করে যদি আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বরটা জানান!' আইনস্টাইনের বাড়ির নম্বর কাউকে জানানো হবে না--কঠিন গলায় তা জানিয়ে ফোনটা নামিয়ে রাখলেন ডিরেকটর।
খানিক পরে আবার ফোন বেজে উঠল। 
ওপাশ থেকে শোনা গেল, 'আমি আইনস্টাইন বলছি, বাড়ির নম্বর আর রাস্তা দুটোই ভুলে গিয়েছি। 
যদি দয়া করে বলে দেন।'

১১.

১৯২১ সালে ফিলিস্তিন ভ্রমণে বেরিয়েছেন আইনস্টাইন। 
সেখানে ‘যুব সংঘ’ নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন ২২ বছর বয়সী এক তরুণী। 
সমাজের নানা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করছিলেন আইনস্টাইন। 
একবার আইনস্টাইন তাঁর কাছে জানতে চাইলেন, ‘আচ্ছা, এখানে নারী-পুরুষে সম্পর্ক কেমন?’ এ প্রশ্ন শুনে ওই তরুণী লজ্জায় পড়ে গেলেন। 
তিনি বললেন, ‘দেখুন অধ্যাপক, এখানে কিন্তু একজন পুরুষের একটিই স্ত্রী।’ একটু হেসে তাঁর হাতখানা ধরে আইনস্টাইন বললেন, 'না, না। 
আমার প্রশ্নটা ওভাবে নিয়ো না।
 আমরা পদার্থবিজ্ঞানীরা “সম্পর্ক” কথাটা দিয়ে সহজ কিছুকে বোঝাই।
 আমি আসলে জানতে চেয়েছি, এখানে কতজন নারী, আর কতজন পুরুষ!'

১২.

মানুষ মাত্রই কি ভুল হয়? নিজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে কী ভাবতেন আইনস্টাইন?
১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?’ আইনস্টাইন বললেন, ‘একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুল করা বা ভুলে ভরা কাগজগুলো ফেলব!’

১৩.

অনেকের কাছে অংকের সমার্থক শব্দ হলো--আতঙ্ক! 
একবার ১৫ বছর বয়সী এক তরুণী আইনস্টাইনের কাছে সাহায্য চাইল।
 গণিত বিষয়ে তার বাড়ির কাজ বা হোম ওয়ার্ক সে সঠিকভাবে করতে পারছিল না। আইনস্টাইন ওই তরুণীকে বলেছিলেন, ‘গণিতের সমস্যা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করো না। তোমার কাছে গণিত যতটা কঠিন, আমার কাছে গণিত তার চেয়েও কঠিন।’

১৪.

একবার এক ছাত্র আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করল, ‘গত বছর পরীক্ষায় যেসব প্রশ্ন পড়েছিল, এবারের পরীক্ষায়ও ঠিকঠিক ওই সব প্রশ্নই পড়েছে।’ ‘ঠিক বলেছ।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘কিন্তু এ বছরের উত্তরগুলো আগেরবারের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা!'

১৫.

একবার এক অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা আমাদের বোঝাবেন?’ আইনস্টাইন তখন এই গল্পটা শোনালেন। 
আমি একবার বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। 
আমি বললাম, 'দুধ পান করতে ইচ্ছা করছে।' ‘দুধ?’ বন্ধুটি বলল, ‘পান করা বুঝি, কিন্তু দুধ কী জিনিস?’ ‘একটা সাদা তরল পদার্থ।’ বললাম আমি। ‘তরল আমি বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা কী?’ ‘বকের পালকের রং।’ ‘পালক আমি বুঝি, কিন্তু বক কী?’ ‘ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।’ ‘ঘাড় সে তো বুঝি। কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কী?’ এরপর আর ধৈর্য থাকে, বলুন! আমি তার হাতটা ধরে এক ঝটকায় টানটান করলাম।
 বললাম, ‘এটা এখন একদম সোজা, তাই না। তারপর ধরো, কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে সেটাকেই কুঁজো বা বাঁকানো বলে, বুঝলে?’ ‘আহ্!’ অন্ধ বন্ধু বলল, ‘এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কী বুঝিয়েছ।’

১৬.

স্বামী সম্পর্কে কেমন ধারণা ছিল আইনস্টাইনের স্ত্রীর? তাঁর স্ত্রীকে একবার জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কি আপনি বুঝতে পারেন?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘না, কিন্তু আমার স্বামীকে বুঝি। 
আমি জানি, তাঁকে বিশ্বাস করা যায়!

১৭.

বিখ্যাত ভাস্কর জ্যাকব অ্যাপস্টিন একবার আইনস্টাইনের একটি আবক্ষ মূর্তি খোদাই করছিলেন। আইনস্টাইন নিজেই মডেল হয়ে ধৈর্য ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে শিল্পীকে সাহায্য করতেন। 
সে সময় একদিন তিনি জ্যাকবকে বলেন, 'প্রায় শ’খানেক বিজ্ঞানী বই লিখে আমার আপেক্ষিকতা তত্ত্বটি ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে। 
আমার থিওরি যদি ভুল হয়, তবে এতজনের দরকারটা কী? একজন বললেই যথেষ্ট।'

১৮.

একবার বেলজিয়ামের রাণী আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানালেন তাঁর দেশ সফরের জন্য। 
নির্দিষ্ট দিনে আইনস্টাইনকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাবার জন্য রেলস্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু কোথায় কী? রেল স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। 
ফিরে চলল গাড়ির বহর রাজপ্রাসাদের দিকে। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। 
রাণী ব্যাপারটাতে লজ্জিত হলেন। সাথে সাথে ক্ষমা প্রার্থণা করে জানালেন যে, বিজ্ঞানীকে নিয়ে আসার জন্য গাড়ি বহর রেলস্টেশনে গিয়েছিল। 
কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,'আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। 
আর পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। 
যদি আপনার ঐ রাজকীয় গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখে নিতে পারতাম?

১৯.

আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কার করে তিনি তখন বিখ্যাত ও বিতর্কিত। 
সত্যি কথা বলতে কি, বিজ্ঞানী-অবিজ্ঞানী কারোর মগজের অ্যান্টেনাই ব্যাপারটা 'ক্যাচ' করতে পারছিল না। 
তিনি বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উদ্ভাবিত তত্ত্বটি বোঝাতে লেকচার দিতে যেতেন। প্রায় সব সেমিনারে তিনি একই ধরনের আলোচনা করতেন। 
একবার এমনই এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন, লেকচার দেবার জন্য।
 পথিমধ্যে তাঁর ড্রাইভার করে বসল এক আজব আবদার। বলল, ‘স্যার, আপনার লেকচারগুলো শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। আজ একদিনের জন্য আমি আইনস্টাইন সেজে সেমিনারে বক্তব্য চাই।’ মজার মানুষ আইনস্টাইনেরও কথাটা খুব মনে ধরল। 
তিনি এক কথায় রাজি। দেখাই যাক না, ব্যাপারটা কী হয়!

ড্রাইভার আইনস্টাইন সেজে অনুষ্ঠানে গেল বক্তব্য দিতে আর স্বয়ং আইনস্টাইন দর্শক সারিতে বসে রইলেন আইনস্টাইনেরই ড্রাইভার হয়ে।
 তখন তো আর মিডিয়ার এত দৌরাত্ম ছিল না। তাই ব্যপারটা কেউ বুঝতে পারল না।
 আইনস্টাইনরুপী ড্রাইভার মঞ্চে বক্তব্য রাখল এবং চমৎকার বক্তব্য রাখল।
দর্শক সারিতে বসে মুগ্ধ আইনস্টাইন বার বার হাত তালি দিতে লাগলেন।
 অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত একজন আইনস্টাইনের ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনার বক্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু কি জানেন, আমি এই অমুক অমুক বিষয়গুলো একদম বুঝতে পারিনি। 
আপনি কি অনুগ্রহ করে আমাকে বিষয়গুলো বুঝিয়ে দেবেন?’ আইনস্টাইনের ড্রাইভার বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিল, 'ওহ! এই ব্যাপার? এই ব্যাপারটা তো আমার ড্রাইভারই বুঝিয়ে দিতে পারবে। 
চলুন তার কাছেই যাই।'

২০.

একবার আইনস্টাইনকে সফলতা লাভের একটি গাণিতিক ফর্মুলা দিতে বলা হল। 
তিনি বলেছিলেন, 'X+Y+Z=A, যেখানে X=কাজ, Y=খেলাধুলা আর A=সফলতা।' ‘আর Z মানে কী?’ আবারও জিজ্ঞেস করা হল তাঁকে।
‘তোমার মুখ বন্ধ রাখা’, আইনস্টাইনের উত্তর।

২১.

রেডিও জিনিসটার ব্যাখ্যায় আইনস্টাইন : ‘তুমি টেলিগ্রাফের তার তো দেখেছ। 
মনে করো, এটা লম্বা, অনেক লম্বা একটা বিড়াল। 
তুমি নিউইয়র্কে বসে এর লেজে টান দেবে, ওদিকে লস এঞ্জেলেসে এর মাথা মিউ মিউ করে উঠবে। ব্যাপারটা বুঝতে পারছ? বেতার ঠিক এভাবেই কাজ করে। 
তুমি এদিকে ইশারা দাও, ওদিকে সাড়া পড়ে। পার্থক্য হল বেতারের ক্ষেত্রে বিড়াল বলে কিছু উপস্থিত নেই।

২২.

এত সুন্দর ব্যাখ্যা যিনি দিতে পারেন, তিনি কিন্তু অনেক সময় জীবনের সহজ ব্যাপারগুলো বুঝতে পারতেন না। 
একবার আইনস্টাইন বাড়ি বানালেন। বাড়িটা কেমন হল একদিন তিনি তা দেখতেও গেলেন। 
ঘুরে ঘুরে সব দেখে তিনি জানতে চাইলেন, তাঁর ছোট্ট বিড়ালছানাটি ঘরে ঢুকবে কী করে? 
তার জন্য তো কোন আলাদা ছোট দরজা বানানো হয় নি?
আইনস্টাইনকে কোনোভাবেই বোঝানো গেল না যে বিড়াল মূল দরজা দিয়েও ঢুকতে পারে! 
অবশেষে তাঁকে খুশি করার জন্য বড় দরজার পাশে আরেকটি ছোট দরজা তৈরি করে দেওয়া হল, যেন তাঁর আদরের বেড়ালছানাটি নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। 
অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেড়ালছানাটি কোন দরজা ব্যবহার করত তা আইনস্টাইনই ভাল বলতে পারবেন।

২৩.

গুজব আছে, সুন্দরী অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো আইনস্টাইনের প্রতি দুর্বল ছিলেন। 
তাই একদিন মনরো আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এইভাবে, ‘চলুন না, আমরা বিয়ে করে ফেলি? 
তাহলে আমাদের সন্তানেরা হবে সৌন্দর্য ও জ্ঞানে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। 
ওরা দেখতে হবে আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত।’
আইনস্টাইন তৎক্ষণাৎ বললেন, ‘আর যদি উল্টোটা হয়? দেখতে যদি হয় আমার মত আর বুদ্ধিতে আপনার মত?’

২৪.

তিন হাজার শব্দের মধ্যে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব যে সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবে, তার জন্য মোটা অঙ্কের পুরস্কার ঘোষণা করে সায়েন্টিফিক আমেরিকান। 
এ ব্যাপারে আইনস্টাইন মন্তব্য করেন, ‘বন্ধুদের মধ্যে কেবল আমিই অংশ নিইনি। 
আমার বিশ্বাস হয়নি যে তিন হাজার শব্দে আমি এটা ভালো বোঝাতে পারতাম!’

২৫.

অন্য সব স্ত্রীদের মত কাজে যাওয়ার আগে আইনস্টাইনকে প্রায়ই ভালো পোশাক পরে যাওয়ার অনুরোধ করতেন তাঁর স্ত্রী। 
বেশির ভাগ সময়ই তিনি জবাব দিতেন, ‘আমি কেন এটা করব? সেখানে সবাই আমাকে চেনে।’ তারপর আইনস্টাইনের প্রথম বড় ধরনের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় যখন ঘনিয়ে এল, তখন আবার তাঁকে একটু ভালো কাপড়চোপড় পরে সেখানে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন তাঁর স্ত্রী। 
এবার তিনি জবাব দিলেন, ‘কেন আমি এটা করব? সেখানে কেউই তো আমাকে চেনে না!’

২৬.

মাউন্ট উইলসন মানমন্দির পরিদর্শনে গেছেন আইনস্টাইনের স্ত্রী।
 সেখানকার বিশাল অপটিক্যাল টেলিস্কোপটি ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম। 
এক জ্যোতির্বিদ তাঁকে জানালেন, এসব স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতির প্রধান কাজ মহাবিশ্বের বিস্তার, আকৃতি নির্ণয়। 
সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে উঠলেন, ‘ও। আমার স্বামী তো পুরোনো একটা খামের পেছনেই এটা করে ফেলে!'

২৭.

১৯৩০ সালে আমেরিকার উদ্দেশে বার্লিন ত্যাগ করেন আইনস্টাইন। 
বার্লিন রেলস্টেশনে পৌঁছেই স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেন তিনি। 
যা হোক, একসময় খুঁজে পেলেন তাঁকে। তারপরই টিকিট জোড়া হারিয়ে বসলেন। 
শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল তাও, আর এভাবেই শুরু হলো তাঁর দ্বিতীয় আমেরিকা যাত্রা।

২৮.

ভবিষ্যতে কী আছে? আলবার্ট আইনস্টাইনের কাছে একবার জানতে চাওয়া হয়েছিল।
 জবাবে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি কখনোই চিন্তা করি না। কারণ, এটা এমনিতেও তাড়াতাড়িই আসে।

২৯.

এক পার্টিতে আইনস্টাইনকে চিনতে না পেরে এক তরুণী প্রশ্ন করলেন, আপনি কী করেন? আইনস্টাইন উত্তর দিলেন, আমি পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র।
তরুণী অবাক হয়ে বললেন, আপনি এখনও ছাত্র! 
আর আমি গত বছর পাশ করেছি!

৩০.

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিল। 
পথিমধ্যে উনি উনার মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাবে আমার কলমটা রেখে আসছি। মেয়ে অনেক বারন করা সত্ত্বেও উনি গেলেন। 
৩০ মিনিটের কথা বলে যাওয়ার পর উনি যখন সেই সময়ের মধ্যে ফিরলেন না, তখন বিলম্ব না করে সবাই মিলে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন।
 ৭ দিন পর উনার মেয়ে যখন বাসায় এসে মাকে জিজ্ঞাস করলো বাবা কোথায় তখন তার মা বলল ওই যে গেল, এরপর আর আসে নি।

আইনস্টাইনের মেয়ে বাবাকে খুঁজতে ঢুকলো তার ল্যাবে। গিয়ে দেখলো, তার বাবা একটা কলম নিয়ে বোর্ডের সামনে গিয়ে কী জানি চিন্তা করছিলেন। মেয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো সে কী করছে।

আইনস্টাইন অন্যমনস্ক ভঙ্গিতে বললেন, 'মা তুমি চার্চে যাও, আমি এই কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ করে আসছি।'

মাত্র পাঁচ মিনিটে বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ম্যানেজমেন্টের মূল বিষয় আলোচনা

গল্প-১

বাবা গোসলে, মা রান্না ঘরে আর ছেলে টিভি দেখছিল। 
এমন সময় দরজায় ঘণ্টা বাজল। ছেলে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেখল, পাশের বাসার করিম সাহেব দাঁড়িয়ে।
ছেলে কিছু বলার আগেই করিম সাহেব বললেন, ‘আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দেব, যদি তুমি ১০ বার কান ধরে উঠবস কর।’
বুদ্ধিমান ছেলে অল্প কিছুক্ষণ চিন্তা করেই কান ধরে উঠবস শুরু করল, প্রতিবার উঠবসে ৫০ টাকা বলে কথা।
শেষ হতেই করিম সাহেব ৫০০ টাকার নোট ছেলের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।
বাবা বাথরুম থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কে ছিল দরজায়?’
‘পাশের বাসার করিম সাহেব’, উত্তর দিল ছেলে।
‘ও’, বললেন বাবা, ‘আমার ৫০০ টাকা কি দিয়ে গেছেন?’

শিক্ষণীয়বিষয়
আপনার ধারদেনার তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের থেকে গোপন করবেন না। 
এতে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।

গল্প-২

সেলসম্যান, অফিস ক্লার্ক ও ম্যানেজার দুপুরে খেতে যাচ্ছিলেন।
পথে তাঁরা একটি পুরোনো প্রদীপ পেলেন।
তাঁরা ওটাতে ঘষা দিতেই দৈত্য বের হয়ে এল।
দৈত্য বলল, ‘আমি তোমাদের একটি করে ইচ্ছা পূরণ করব।’
‘আমি আগে! আমি আগে!’ বললেন অফিস ক্লার্ক, ‘আমি বাহামা সমুদ্রপারে যেতে চাই, যেখানে অন্য কোনো ভাবনা থাকবে না, কাজ থাকবে না।’
‘ফুঃ...!!’ তিনি চলে গেলেন।
‘এরপর আমি! এরপর আমি!’ বললেন সেলসম্যান, ‘আমি মায়ামি বিচে যেতে চাই, যেখানে শুধু আরাম করব।’
‘ফুঃ...!!’ তিনিও চলে গেলেন।
‘এখন তোমার পালা’, দৈত্য ম্যানেজারকে বলল।
ম্যানেজার বললেন, ‘আমি ওই দুজনকে আমার অফিসে দেখতে চাই।’

শিক্ষণীয়বিষয়
সব সময় বসকে আগে কথা বলতে দেবেন। তা না হলে নিজের কথার কোন মূল্য থাকবে না।

গল্প-৩


একটি ইগল গাছের ডালে বসে আরাম করছিল।
এমন সময় একটি ছোট খরগোশ ইগলটিকে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিও কি তোমার মতো কিছু না করে এভাবে বসে আরাম করতে পারি?’
ইগল উত্তর দিল, ‘অবশ্যই, কেন পারবে না।’
তারপর খরগোশটি মাটিতে এক জায়গায় বসে আরাম করতে থাকল। 
হঠাত্ একটি শিয়াল এসে হাজির, আর লাফ দিয়ে খরগোশকে ধরে খেয়ে ফেলল।

শিক্ষণীয়বিষয়
যদি কোনো কাজ না করে বসে বসে আরাম করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক ওপরে থাকতে হবে।

গল্প-৪


একটি মুরগি ও একটি ষাঁড় আলাপ করছিল।
‘আমার খুব শখ ওই গাছের আগায় উঠব, কিন্তু আমার এত শক্তি নেই’, মুরগিটি আফসোস করল।
উত্তরে ষাঁড়টি বলল, ‘আচ্ছা, তুমি আমার গোবর খেয়ে দেখতে পার, এতে অনেক পুষ্টি আছে।’
কথামতো মুরগি পেট পুরে গোবর খেয়ে নিল এবং আসলেই দেখল সে বেশ শক্তি পাচ্ছে। চেষ্টা করে সে গাছের নিচের শাখায় উঠে পড়ল।
দ্বিতীয় দিন আবার খেল, সে তখন এর ওপরের শাখায় উঠে গেল।
অবশেষে চার দিন পর মুরগিটি গাছের আগায় উঠতে সক্ষম হলো।
কিন্তু খামারের মালিক যখন দেখলেন মুরগি গাছের আগায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলি করে তাকে গাছ থেকে নামালেন।

শিক্ষণীয়বিষয়
ফাঁকা বুলি (বুল শিট) হয়তো আপনাকে অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বেশিক্ষণ ওখানে টিকে থাকতে পারবেন না।

গল্প-৫


একটি পাখি শীতের জন্য দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল।
কিন্তু এত ঠান্ডা ছিল যে পাখিটি শীতে জমে যাচ্ছিল এবং সে একটি বড় মাঠে এসে পড়ল।
যখন সে মাঠে পড়ে ছিল, একটি গরু তার অবস্থা দেখে তাকে গোবর দিয়ে ঢেকে দিল।
কিছুক্ষণ পর পাখিটি বেশ উষ্ণ অনুভব করল।
যখন গোবরের গরমে সে খুব ঝরঝরে হয়ে উঠল, আনন্দে গান গেয়ে উঠল।
এমন সময় একটি বিড়াল পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, পাখির গান শুনে খুঁজতে লাগল কোথা থেকে শব্দ আসে। একটু পরই সে গোবরের কাছে আসে এবং সঙ্গে সঙ্গে গোবর খুঁড়ে পাখিটিকে বের করে তার আহার সারে।

শিক্ষণীয়বিষয়
১. যারা আপনার ওপর কাদা ছোড়ে, তারা সবাই-ই আপনার শত্রু নয়।
২. যারা আপনাকে পঙ্কিলতা থেকে বের করে আনে, তারা সবাই-ই আপনার বন্ধু নয়।
৩. এবং যখন আপনি গভীর পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত, তখন মুখ বেশি না খোলাই শ্রেয়।

বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭

মামা কিছু বলবেন !

আমার ইমন মামার সাথে আমার সম্পর্ক একেবারে বন্ধুর মতো।
মামা আমার থেকে মাত্র ২ বছরে বড়। 
৪ দিন পর মামার বিয়ে। তাই আমি আজ নানার বাড়ি যাচ্ছি। 
গত চার বছরে আমি নানা বাড়ি যাই নি। আমি নানাবাড়ি খুব কম যাই। 
তাই সেখানকার অনেক মানুষকেই আমি চিনি না।
 সব কিছুই কেমন যেন অচেনা অচেনা লাগছে। যেহেতু বিয়ে বাড়ি অনেক লোকের আনাগোনা আছে। তার ভিতরে কয়েকটা সুন্দরী মেয়েও আছে। স্বভাবগতভাবেই আমার দৃষ্টি সব সময় মেয়েদের প্রতি থাকে। 
এর ভিতরে একটা মেয়েকে আমার খুব ভাল লাগল।

মেয়েটার বাড়ি মনে হয় আশে পাশে কোন বাড়ি হবে কারণ একটু পর পরই মেয়েটাকে দেখা যায়। বিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ ঘুরে ঘুরে দেখছে মেয়েটা । 
আমিও তাঁকে বার বার ফলো করছি। যদি একটু সুযোগ পাওয়া যায় একা কথা বলার। কয়েকবার সুযোগ পেয়েও আমি কথা বলার সাহস পাই নি। 
আমি লক্ষ্য করছি মেয়েটাও আমাকে দেখে হাসে আবার আমার পাশা পাশি থাকে। 
আমি বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে তাকে বুঝাই যে আমি তারসাথে কথা বলতে চাচ্ছি। আর মেয়েটা শুধু হাসে।

আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল মেয়েটা মনে হয় আমার মনের কথা বুঝতে পারে কিন্তু ধরা দেয় না । অবশেষে অনেক সাহস করে হাতে একটা গোলাপ ফুল নিয়ে মেয়েটাকে প্রপোজ করতে যাই। গোলাপটা মেয়েটার দিকে এগিয়ে দেই। আমার ঠোঁট কাপছে। 
কিছুতেই কথা বলতে পাচ্ছি না। আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা বলল

– মামা কিছু বলবেন?

প্রথমে আমি কিছুই বুঝতে পারি নি। 
বুঝতে পারার পরে একটা ভৌদৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই। 
আর মেয়েটা হাসতে থাকে। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি নানাবাড়িতে আছি। 
আর এখানকার বেশিরভাগ মেয়েরাই আমার খালা হয়।

পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মেয়েটা লাতায় পাতায় আমার এক ধরণের খালা হয়। 
এর পর থেকে আমি মেয়েটার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতাম। 
মেয়েটা আমাকে দেখেই শুধু বলে

– মামা ভাল আছেন? কি জানি বলবেন বলেছিলেন?

বিয়ে বাড়ি এখন আমার কাছে বিসাদ লাগে। 
প্রেম করার আগেই এত বড় ছেকা খেয়েছি এটা মানতে পারছি না।

এর ৬ বছর পড়ের কথা………

আমি আবার নানা বাড়ি গিয়েছিলাম। 
সেইখানে আবার মেয়েটার সাথে আমার দেখা হয়। 
মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞাস করে

– মামা কেমন আছেন? অনেক দিন পরে দেখা।
 আমি বললাম

– হু ভাল। তবে এইবার মেয়েটার কোলে একটা ৩ বছরের বাচ্চা ছিল। বাচ্চাটা খুব দুষ্ট। আমি ভদ্রতার খাতিরে বললাম

– বাচ্চা টা তো অনেক কিউট।

– আর বলবেন না মামা অনেক জ্বালাতন করে। 
আমি বুঝতে পারলাম মেয়েটা বার বার ইচ্ছা করে আমাকে মামা মামা বলছে । 
আমি আর কি করব? মেয়েটার কথা শুনে বোকার মত হাসার চেষ্টা করলাম।

বাচ্চাটা বলে উঠে

– মামা মামা দোকানে যাব মেয়েটা বাচ্চাটাকে শুধরিয়ে দেয়

– এইটা তোমার মামা না তোমার ভাইয়া হবে আর আমার মামা। বাচ্চাটা বলে

– আচ্ছা ভাইয়া দোকানে চলো ।

আমি ভদ্রতার খাতিরে বাচ্চাটাকে দোকানে নিয়ে যাই।
 আর মনে মনে বলি "তোর মায় যেমন বদের ভাইস প্রিন্সিপাল তুই হবি প্রিন্সিপ্যাল"

লবণের গুণ

রাজা তাঁর তিন মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমাকে তোমরা কেমন ভালোবাসো?’ ছোট মেয়ে উত্তরে বলেছিল, ‘নুনের মতো।’ 
রাজা গিয়েছিলেন খেপে। কিন্তু শেষমেশ বুঝতে পেরেছিলেন, নুনের কত গুণ! 
আজকাল স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে নুন বা লবণের গুণের চেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব নিয়েই বেশি আলোচনা হয়। 
এই আলোচনা যে অযৌক্তিক, তা-ও নয়।
 তবে আজ আমরা নুনের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিই চলুন।

১. মশা কামড়ালে জ্বলুনি কেমন, সেটার আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ তো বেশি চুলকাতে গিয়ে ক্ষতই সৃষ্টি করে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে লবণের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে পানি মিলিয়ে ত্বকে ঘষুন, জ্বলুনি কমে যাবে।

২. তামা বা পিতলের তৈজসপত্র ময়লা হলে দেখতে ভালো লাগে না। লবণের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তামা বা পিতলের জিনিসপত্র মেজে নিন, ঝাঁ চকচকে হয়ে উঠবে। লবণের সঙ্গে ভিনেগার এবং ময়দাও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩. কড়াই বা প্যানে কিছু ভাজার জন্য তেল ঢাললে অনেক সময় ছিটে আসে। গরম কড়াই বা প্যানে তেল ঢালার আগে একটুখানি লবণ ছিটিয়ে দিন, তেল ছিটে আসবে না।

৪. মোমবাতি জ্বললে মোম গলবে এবং মোমও গলে পড়বে। এ কারণে মোমদানি বা টেবিল নষ্ট হওয়ার ঝামেলাও থেকে যায়। মোম জ্বালানোর আগে লবণ-পানিতে মোমটা চুবিয়ে নিন। তারপর মোমটা শুকিয়ে জ্বালান। মোম আর গলে গলে পড়বে না।

৫. জুতার গন্ধ ভীষণ অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার। তাই ছোট একটা কাগজে লবণ ভরে জুতার ভেতরে রেখে দিন। অথবা লবণ ছিটিয়েও দিতে পারেন জুতার ভেতরে। গন্ধ দূর হবে।

৬. পিঁপড়ার দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে? ৪ চামচ পানির সঙ্গে ১ চামচ লবণ মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন। সেই দ্রবণ ছিটিয়ে দিন পিঁপড়ার আস্তানায় বা যেসব জায়গায় পিঁপড়ার উৎপাত বেশি। শুধু লবণ ছিটিয়ে দিলেও উপকার পাবেন।

সূত্র: ব্রাইটসাইড ডটকম

গুঁড়া মশলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ ব্যাবসা

জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ বিভিন্ন ধরণের আয় উপার্জনমূলক কাজের সাথে জড়িত। এর মধ্যে গুঁড়া মসলার ব্যবসা অন্যতম। উন্নত উপায়ে বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়া করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজটি দ্রুত ও ঝামেলাহীন ভাবে শেষ করার জন্য বর্তমানে বাটা মসলার জায়গায় গুঁড়া মসলার ব্যবহার বাড়ছে। এর মধ্যে   জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা ইত্যাদি অন্যতম।
বাজার সম্ভাবনা
বর্তমানে গুঁড়া মসলার চাহিদা আগের তুলনায় বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি দরে বিভিন্ন রকমের মসলা কিনে পরিষ্কার পরিছন্নভাবে গুঁড়া করে উন্নত উপায়ে প্যাকেট করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। এছাড়া মসলার মান ভালো হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। গুঁড়া মসলা তৈরির পর বিভিন্ন উপায়ে সেগুলো বাজারজাত করা যায়। যেমন :
  • মুদি দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে।
  •  অনেক সময় ক্রেতা বাড়িতে এসেই কিনে নিয়ে যেতে পারে।
  • নিজের তৈরি পণ্যের প্রচার চালানোর জন্য প্রথমে প্রতিবেশীদেরকে জানানো যেতে পারে, স্থানীয় দোকানীর সাথে যোগাযোগ করা যায়। আবার পণ্যের বর্ণনা করে লিফলেট তৈরি করেও বিলি করা যেতে পারে।
মূলধন
আনুমানিক ৭০০০-৮০০০ টাকা মূলধন নিয়ে গুঁড়া মসলার ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বড় আকারে মসলার ব্যবসা শুরু করতে নিজের কাছে যদি প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণ দানকারী ব্যাংক বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপকরণপরিমাণমূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ 
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
পাঞ্চ  মেশিন
১টি
১৪০০-১৫০০
যন্ত্রপাতি বিক্রির দোকান
দাঁড়িপাল্লা
১ সেট
১৪০-১৫০
হার্ডওয়ারের দোকান
প্লাস্টিকের গামলা (বড়)
১টি
১২০-১৫০
তৈজসপত্রের দোকান
চামচ (বড়)
১টি
৪০-৪৫
তৈজসপত্রের দোকান
মোট=১৭০০-১৮২৫ টাকা
কাঁচামাল
উপকরণের নাম
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
মরিচ
১০ কেজি
১৭৫০-১৮০০
পাইকারী দোকান
হলুদ
১০ কেজি
১৪৫০-১৫০০
পাইকারী দোকান
জিরা
১০ কেজি
৩০৫০-৩১০০
পাইকারী দোকান
মোট=৬২৫০-৬৪০০ টাকা
গুড়া মসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ
১ম ধাপ
যে মসলা গুঁড়া করা হবে সেগুলো বাজারের পাইকারী দোকান থেকে কিনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মসলাগুলো যেন শুকনো হয়।
২য় ধাপ  
মসলাগুলো ঝেড়ে ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। মরিচের ক্ষেত্রে বোঁটা ফেলে দিতে হবে।
৩য় ধাপ
এরপর মসলাগুলো মিলে নিয়ে গিয়ে গুঁড়া করে আনতে হবে।
৪র্থ ধাপ
নিদির্ষ্ট পরিমাণ গুঁড়া মসলা মেপে পলি প্রোপাইলিন প্যাকেটে ভরে পাঞ্চ মেশিন দিয়ে প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
খরচ 
মেশিনে গুঁড়া করতে খরচ হয়-
১০ কেজি হলুদ
৩০ টাকা
১০ কেজি মরিচ
৮০ টাকা
১০ কেজি জিরা
১০০ টাকা
মোট=২১০ টাকা

যন্ত্রপাতির ক্রয় বাবদ
৭-৮ টাকা
কাঁচামাল বাবদ
৬২৫০-৬৪০০ টাকা
মিলে গুঁড়া করা বাবদ
২১০ টাকা
মোট=-৬৫০৭-৬৬৬৮ টাকা
আয়  
১ কেজি হলুদ গুঁড়া বিক্রি হয়=১৯৫ টাকা
১০ কেজি হলুদ গুঁড়া বিক্রি হয়=১৯৫০ টাকা
১ কেজি মরিচ গুঁড়া বিক্রি=২৭৫ টাকা
১০ কেজি মরিচ গুঁড়া বিক্রি হয়=২৭৫০ টাকা
১ কেজি জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৪০০ টাকা
১০ কেজি জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৪০০০ টাকা
১০ কেজি হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৮৭০০ টাকা 
লাভ  
৩০ কেজি গুঁড়া মসলা থেকে আয়
৮৭০০ টাকা
৩০ কেজি গুঁড়া মসলা বাবদ ব্যয়
৬৫০৭-৬৬৬৮ টাকা
লাভ=২১৯৩-২০৩২ টাকা
অর্থাৎ ২০৩২-২১৯৩ টাকা লাভ করা সম্ভব। তবে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কম বা বেশি হওয়ার সাথে সাথে লাভের পরিমাণও কম বা বেশি হতে পারে।
সতর্কতা
  • যে মসলা গুলো গুঁড়া করা হবে সেগুলো যেন দোষমুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্য: 
তথ্য আপা প্রকল্প

স্কুলব্যাগ তৈরী

সম্ভাব্য পুঁজি:

৫০০০০ টাকা থেকে ১০০০০০ টাকা পর্যন্ত

সম্ভাব্য লাভ:

৬০ শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।

যা প্রয়োজন:

সেলাই মেশিন, হাতুড়ি, কাঁচি, নানা রকম কাপড়, সুতা, চেইন, স্টিকার, বকলেস, আইলেস, ফিতা ইত্যাদি।

প্রস্তুত প্রণালি:

কাপড় কেটে মেশিনের সাহায্যে সেলাই করে নানা রকম ডিজাইনের ব্যাগ তৈরি করা হয়ে থাকে। আকর্ষণীয় করতে ব্যাগে নানা ডিজাইন আনা হয়। এজন্য স্টিকার, বকলেস, আইলেস, ফিতার ব্যবহার করা হয়।

বাজারজাতকরণ:


ছাত্রছাত্রীরা মূলত এর ক্রেতা হলেও এখন সব শ্রেণীর মানুষই এই ব্যাগ ব্যবহার করে থাকে। চাহিদা তাই বেশি। যেকোনো শপিং মল, স্টেশনারি দোকান সর্বত্রই এর চাহিদা।
তথ্য:
তথ্য আপা প্রকল্প

হেয়ার ব্যান্ড তৈরি

সম্ভাব্য পুঁজি: 

২০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত

সম্ভাব্য লাভ: 

১০০ শতাংশ লাভ করা সম্ভব। উৎপাদন-খরচ প্রতি ১০০টি রাবার ব্যান্ডের জন্য ২০ থেকে ২৫ টাকা। বিক্রি করা সম্ভব ৫০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

সুবিধা:

প্রতিদিন গড়ে একজন শ্রমিক ৫০০ থেকে ১ হাজার পিস হেয়ার ব্যান্ড তৈরি করতে পারেন। রাবার তৈরির পাশাপাশি এই একই কাঁচামাল দিয়ে খেলনা, কলমের ক্যাপ, চাবির রিং তৈরি করা সম্ভব। খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন নেই। নিজের বাড়ির যেকোনো একটি ঘরেই পণ্য উৎপাদন শুরু করা যায়।
যা প্রয়োজন: 

মোল্ডিং মেশিন, পুঁতি, রাবার, জরি, সোনালি সুতা, ক্লিপ, আঠা ও নানা রকম প্লাস্টিক দ্রব্য ও বিভিন্ন আকারের ডাইস।

প্রস্তুত প্রণালি: 

মোল্ডিং মেশিনে প্লাস্টিক গলিয়ে ডাইসে ফেলে নানা আকার দিয়ে তাতে রাবার সংযুক্ত করতে হবে। এরপর ডিজাইনের চমক আনতে নানা রকম জরি বা সোনালি সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ: 

এই পণ্যের ভোক্তা বা ক্রেতা পুরোপুরি নারী। যদিও এই আধুনিক সময়ে এসে কিছুসংখ্যক পুরুষ ক্রেতাও এর ভোক্তা।
তথ্য: তথ্য আপা প্রকল্প

নতুন ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নিন এভাবে



নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে অভিনন্দন।
নতুন ব্যবসার উত্তেজনা প্রশমন করে এবার কাজে লাগুন। সম্পূর্ণ পরিকল্পনাকে এমনভাবে ভাগ করে নিন, যাতে আপনার জন্য সব কাজের ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। করতে হবে, এমন কাজের তালিকা দেখে নিন। আমি আপনার জন্য ‘করতে হবে’ এমন কাজগুলো তালিকা আকারে তুলে ধরছি।
এতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে, কোন কাজগুলো আগে এবং কোন কাজগুলো পরে করবেন।

ব্যবসার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করুন

ব্যবসা কোনো চ্যারিটি নয়, ব্যবসার প্রথম ও শেষ কথা হলো মুনাফা।
 নিজেকে সত্যের মুখে দাঁড়া করানো। নতুন ব্যবসা এমন হতে হবে যেন আপনি এটা করে কিছু মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, আপনি যদি ক্রেতা হন, তবে আপনি কি আপনার এই সেবা বা পণ্যটি কিনবেন? একটু পরিসংখ্যান করুন, এই পণ্য বা সেবার পেছনে আপনার ব্যয় কত? একজন ক্রেতা কি সর্বোচ্চ মূল্য দেবে, যাতে আপনি মুনাফা করতে পারেন? আপনার পণ্য বা সেবার সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য কীভাবে পরিসংখ্যান বা প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, তা নিয়ে একটি ভিন্ন পোস্ট লিখব। মোট কথা যাচাই করুন, আপনার এই পণ্য বা সেবা দীর্ঘ মেয়াদে আপনাকে মুনাফা দিতে পারবে কি না?

ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন
আপনার মনে হতে পারে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়াও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আর্থিক ধারণা সমন্বিত একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা আপনাকে এর গভীরে চিন্তা করার সুযোগ দেবে। এটা হবে আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটি জীবন্ত সহায়িকা, যেটা আপনাকে গন্তব্যে পোঁছাতে সাহায্য করবে।

টাকা জোগাড় করুন
আপনি জানেন কি, যে ধরনের ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করেছেন, তাতে কি পরিমাণ মূলধন লাগবে? এ ছাড়া প্রথম বছর আপনার ব্যক্তিগত খরচ কোথা থেকে আসবে, তা-ও জানুন। হয়তো আপনার ব্যক্তিগত খরচ (সাংসারিক) আপনার সঞ্চিত টাকা বা চাকরি কিংবা স্ত্রীর চাকরি থেকে আসবে এবং ব্যবসা শুরুর জন্য আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন—এমন জিনিসগুলো আগে থেকেই পরিষ্কার হোন। এমন নয় যে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন এবং পরে চিন্তা করবেন যে টাকা কোথা থেকে আসবে। সুতরাং সব আর্থিক উৎস সম্পর্কে জানুন।

পরিবারের সহযোগিতা সঙ্গে রাখুন

আপনার ব্যবসায়ের শুরুটা যেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু হয়। তারাই আপনার ব্যবসার রেফারেল বিজনেস হিসেবে কাজ করবে। আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক যেন আপনার পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব হয়, অন্যথায় আপনার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। 
ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবার যেন আপনার পাশে (শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে) থাকে। 
তবে এমনটি করতে গিয়ে কারও ওপর জোর করবেন না।

ব্যবসায়ের জন্য নাম ঠিক করুন
ব্যবসায়ের নাম ঠিক করার জন্য আপনার পণ্য বা সেবার গ্রাহক কারা—এ কথাটি মাথায় রাখুন। অন্য কোম্পানির নাম নকল করে নামকরণ করবেন না। 
কোম্পানি নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে নিশ্চিত হোন যে আপনার বাছাই করা নামটি ইতিমধ্যে অন্য কোনো কোম্পানি নিবন্ধন করেছে কি না।

কোম্পানির জন্য ডোমেইন নিবন্ধন করুন
ব্যবসায়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে একটি ডোমেইন নাম নিবন্ধন করুন। আপনি যদি ফ্রি ডোমেইন নিবন্ধন করেন, তবে এমনটি মনে হতে পারে যে হয়তো আপনার ব্যবসাটি সত্যিকারে ব্যবসা নয় অথবা আপনি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে চান না। 
এ ছাড়া ফ্রি ডোমেইন সাইটগুলো মানুষের কাছে অতটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।

কোম্পানি গঠন করুন
দেশের প্রচলিত আইনে কোম্পানি গঠন করুন। আপনার কোম্পানির গঠন কী হবে, তা পরামর্শকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
আইনবিষয়ক দিকগুলো একজন কোম্পানিবিষয়ক অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন, যা আপনাকে ভবিষ্যতে বিপদ থেকে নিরাপদ রাখবে।

টিন-এর জন্য আবেদন করুন
ট্যাক্স পরিচয় নম্বর বা কর্মচারীদের পরিচয় নম্বরের জন্য আবেদন করুন।
দেখে নিন দেশের প্রচলিত আইনে কোনটি প্রযোজ্য। এটা আপনার কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া বছর শেষে যখন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করবেন, তখন প্রয়োজন হবে।

যাচাই করে দেখুন আপনার কী কী লাইসেন্স প্রয়োজন
ব্যবসাসংক্রান্ত যেসব সনদ প্রয়োজন, সেগুলোর জন্য আবেদন করুন।
যেমন লোকাল বিজনেস সনদ প্রয়োজন হতে পারে, আমদানি বা রপ্তানি সনদ, ভেন্ডর সনদ প্রয়োজন হতে পারে। আপনার ব্যবসার ধরন ও স্থান ভেদে কী কী সনদ প্রয়োজন, তা জেনে আবেদন করুন।

ওয়েবসাইট করুন
এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা আপনাকে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা দেবে। একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরির জন্য যেমন ভালো ডেভেলপার প্রয়োজন, তেমনি তথ্য সমন্বিত করার জন্য একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একটি ভালো ওয়েবসাইট আপনাকে বছরে হাজার টাকা বাজারজাতকরণ খরচ থেকে বাঁচিয়ে দেবে।

সামাজিক যোগাযোগে প্রোফাইল নিবন্ধন করুন
সোশ্যাল মিডিয়ার গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রোফাইলগুলো রেজিস্ট্রার করুন। ব্যক্তিগত প্রোফাইল কিংবা কোম্পানি পেজ তৈরি করার জন্য কোনো পেশাদারির সাহায্য নিতে পারেন। এ
টা আপনার পণ্য বা সেবার বাজারজাতকরণ সহজ করবে।

আয়ের প্রবাহ শুরু করুন
এমন নয় যে আপনি সবকিছু নিখুঁত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। বরং যত শিগগিরই আপনি আয় করা শুরু করবেন, ততই আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ধরুন, আপনি একটি ঘরোয়া অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন। আপনি যদি মনে করেন, আগে ওয়েবসাইট তৈরি হোক, দোকান প্রস্তুত হোক, তারপর বিক্রি শুরু করব। তবে আপনি সময় নষ্ট করবেন। 
যেটা আপনার ব্যবসার জন্য কখনই মঙ্গলজনক নয়। বরং যখন ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন আপনার পরিচিত সবাইকে আপনার ব্যবসার কথা জানান, সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিন, দেখবেন সবকিছু ঠিক হওয়ার আগেই আপনার বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। 
আয় শুরু হয়ে গেছে, যেটা আপনাকে অন্য রকম উদ্দীপনা ও উৎসাহ দেবে। আরেকটা কথা, আপনার পণ্য বা সেবা যদি কোনো গ্রাহক চুক্তি সম্পর্কিত হয়ে থাকে, তবে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে চুক্তি তৈরি করে নেবেন।

দোকান বা অফিসের জায়গা ভাড়া করুন
ব্যবসা যদি সম্পূর্ণ ঘরোয়া না হয়, তবে দোকান বা অফিসের জায়গা ভাড়া করুন।
 যদি খুচরা বিক্রির দোকান হয়, তবে কিছু বিষয় লক্ষ রাখবেন। যেমন মানুষের সহজ যাতায়াত, আরামে বাজার করতে পারে—এতটুকু খোলা জায়গা রাখা, শারীরিক ও আর্থিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য কারণ যেগুলো গ্রাহকদের আরামে শপিং করা থেকে বিরত রাখে। 
মনে রাখবেন, যদি আপনার ব্যবসার জন্য অফিস বা দোকানের প্রয়োজন না হয়, তবে কোনো জায়গা ভাড়া করতে যাবেন না। কারণ, এটা আপনার প্রতি মাসে অতিরিক্ত খরচ বাড়াবে।

বিজনেস কার্ড করুন
নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। 
পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে জানাতে হবে যে আপনি এই ব্যবসায় আছেন। 
এ জন্য বেশি করে বিজনেস কার্ড অর্ডার করুন।
 এটা আপনার পেশাদারত্বের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা আনবে।

ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব খুলুন
এটা আপনার জন্য ভালো যে আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পৃথক রাখা। 
ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও পেশাদারত্বের পরিচয় দেবেন।

হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন
আপনার ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করুন। 
বাজারে অনেক হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যার আছে, আপনার ব্যবসার সঙ্গে মিল রেখে একটি হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি নির্বাচন করুন। 
ইচ্ছা করলে ইআরপি সফটওয়্যারও ব্যবহার করতে পারেন। আপনার হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি যদি ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত না হয়, তবে সব ডেবিট ও ক্রেডিট যেন ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে মিল থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখবেন। প্রয়োজনে একজন হিসাব বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।

সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন

ব্যবসা যদি যৌথ হয়, তবে আপনার সহপ্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব বণ্টন করুন। 
দুজনে বসে ঠিক করুন, কে কী করবেন এবং সেটা লিখিত আকারে রাখুন।
 সহমত না থাকলে আপনার ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করুন
আপনার অফিস বা কাজের নিজস্ব নিয়মকানুন, সময়, কর্মচারী থাকলে তাদের দায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা—সবকিছু প্রতিষ্ঠা করুন। 
প্রথম থেকেই যদি নিয়মের মধ্যে চলা যায়, তবে ধীরে ধীরে তা উন্নত করা যাবে। সবার ওপর সদয় থাকুন, নিজের ওপর দায়িত্ব নেবেন। প্রথম থেকেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আপনার নেটওয়ার্কের ওপর কাজ করুন
এটা খুবই জরুরি যে আপনি আপনার পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব, সাবেক সহকর্মী, পরিচিত—সবার কাছে আপনার ব্যবসার প্রচার করুন। 
তাদের সবাই হয়তো আপনার গ্রাহক হবে না, কিন্তু তাদের পরিচিত কেউ আপনার গ্রাহক হবে। তাদেরকে আপনার গ্রাহক হওয়ার জন্য জোর করবেন না। 
শুরু থেকে রেফারেল বিজনেস তৈরির চেষ্টা করুন।

টেকনোলজি আপগ্রেড করুন
সময়ের সঙ্গে আপনার ব্যবসায় যেসব প্রযুক্তি প্রয়োজন, সেগুলো ব্যবহার করুন। 
প্রযুক্তিগুলো যুগোপযোগী করুন। প্রয়োজনীয় বিজনেস অ্যাপগুলো নামিয়ে নিন এবং সেগুলোর ব্যবহার শিখুন। 
প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট সিআরএম যেন আপনার গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারেন ও তাদের অনুসরণ করতে পারেন।

পণ্য ও বিক্রির কৌশলের ওপর নজর রাখুন
যত দ্রুত সম্ভব আপনার বাজার সম্পর্কে জানবেন এবং আপনার গ্রাহকের মতামত নিন। 
প্রতিটি সেবা ও পণ্যকে যাচাই করুন এবং প্রয়োজনে পণ্য বাজারজাতকরণ ও বিক্রির কৌশলের পরিমার্জন করুন।

নিজস্ব পণ্য হলে পেটেন্ট করুন
এটা জরুরি, যাতে আপনার ডিজাইন ও আবিষ্কৃত পণ্যটি কেউ নকল করতে না পারে। দেশের প্রচলিত নিয়মে ট্রেডমার্ক বা পেটেন্টের জন্য আবেদন করবেন। 
প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে খসড়া তৈরি করে নেবেন।

পরামর্শকের সাহায্য নিন

আপনি যে ব্যবসা করেন, সেক্ষেত্রে সফল এমন কেউ বা একজন পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নিন—এমন কেউ, যে সত্যিকারে আপনার সফলতা চায় ও আপনার জন্য যার সময় আছে।
 পরামর্শের ফি ও অন্য শর্তাবলি আগে থেকেই আলোচনা করে নিন। 
অন্যান্য যেমন আপনার ব্যবসার ধরন বুঝে, পণ্য না সেবা ব্রশিয়ার, সাপ্তাহিক সেলস পেপার, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, টেলিফোন, সাইনেজ, কর্মচারী ব্যবস্থাপনা, বাজারীকরণের সরঞ্জাম ইত্যাদি।


আ হ ম জি করিম, যুক্তরাষ্ট্র

বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০১৭

শিশুর ভাষা সমস্যা?

বিভিন্ন স্নায়ুজাত ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে শিশুর ‘ভাষা বিকাশ’ পর্বটি পরিপূর্ণ না-ও হতে পারে। অথবা তার বিকশিত ভাষার দক্ষতাটি হারিয়েও যেতে পারে। 
ভাষাগত সমস্যা শুধু এখনকার নয়, সব যুগেই এ সমস্যা ছিল। তবে বিষয়টি সম্পর্কে মানুষ তেমনভাবে সচেতন ছিল না।

কোনো কারণে যদি আপনার শিশু ‘ভাষা সমস্যায়’ ভোগে, তাহলে নিচের উপসর্গগুলো দিয়ে খুব সহজেই বোঝা যাবে—

* মানসিক অবস্থা ও আবেগ প্রকাশে সমস্যা বা আচরণগত সমস্যা

* কথা বলার সময় বিপরীত ব্যক্তির চোখে চোখ না রাখা

* ভাষা অনুধাবনে তাৎপর্যপূর্ণ ঘাটতি

* শিশুর আয়ত্ত করা শব্দের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম হবে। বিশেষ করে, ‘যাই’, ‘করি’, ‘খাই’ ইত্যাদি বৈচিত্র্যময় ক্রিয়াপদের সংখ্যা নেই বললেই চলে।

* সংলাপ চালিয়ে যাওয়ায় সীমাবদ্ধতা

* সমবয়সীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিশতে সমস্যা

* কিছু স্বর বা শব্দ বারবার বলা

* প্রতীকী খেলায় অপারগতা

স্বাভাবিক শিশুর ক্ষেত্রে চার-পাঁচ বছর বয়সের মধ্যেই ভাষার মৌলিক কাঠামো গড়ে ওঠে, তবে শব্দাবলি আয়ত্তকরণের প্রক্রিয়াটি পূর্ণবয়স্ক হওয়ার পরও চলতে থাকে।
মনে রাখতে হবে, কোনো শিশু চার-পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে দৈনিক পাঁচ থেকে দশটি শব্দ দিয়ে পরিবেশ এবং প্রতিবেশ অনুযায়ী যদি মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারে, তাহলে তা উদ্বেগজনক। 
এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

শিশু ভাষাবিদ এবং মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল

ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড়, কান ধরে ওঠবস

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট চলাকালে সরকারি সিটি কলেজের পুরুষ কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড় দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। 
পুলিশ প্রথমে তাঁকে আটক করে। 
পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেন। যদিও আইন অনুসারে এই অপরাধের সাজা সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 
নিজামউদ্দিন আহমেদ নামের ওই ব্যক্তির ভাষ্য, তিনি এই কেন্দ্রের ভোটার নন। 
বাড়ি পাশের শাকতলা এলাকায়।

নিজামউদ্দিনকে পুলিশ আটক করার পর কেন্দ্রে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম। 
তিনি বলেন, ‘এই অপরাধের শাস্তি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড। 
এটি আমার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটি বিচারিক হাকিমের এখতিয়ারে পড়ে।’ 
বিচারিক হাকিমকে তিনি ঘটনাটি জানানোর পরামর্শ দেন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, নিজামউদ্দিনকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 
নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। 
নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট পেপার নিয়ে দৌড় দেওয়ার ঘটনায় তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ড হওয়ার কথা।

বিচারিক হাকিমকে জানালেন না কেন জিজ্ঞেস করলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, কেন্দ্রে প্রচুর বহিরাগত আছেন। 
ভোটের পরিবেশ বজায় রাখতে এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

সকাল থেকেই কেন্দ্রটিতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। 
কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

পরিচ্ছন্ন ত্বকই ভালো ত্বক। 
ব্রণ, ফুসকুড়ি বা কালচে দাগ ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
তাই কিছু বিষয় নিয়মিত মেনে চললে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখা সম্ভব।

মাখুন সানস্ক্রিন
এই মৌসুমে ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু সূর্য।
 কড়া রোদ ত্বকের বারোটা বাজাতে যথেষ্ট। তাই বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
 তাই বলে শুধু মুখের ত্বকে মাখলেই চলবে না, শরীরের যতখানি অংশ খোলা থাকবে, সেখানেই সানস্ক্রিন মেখে নিন। কয়েক ঘণ্টা পরপর শরীরের যে অংশে রোদ পড়ছে, সেখানে ব্যবহার করুন।

ব্যায়াম
শখের বশে এক টুকরো পিৎজা খেয়ে ফেললেও তার ফল আপনার শরীরে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে। 
মানে শরীর মুটিয়ে যেতে থাকবে। যার প্রভাবে আপনার মুখের মাংসও বেড়ে যাবে।
 তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। 
আর যেদিন এমন ফ্যাটযুক্ত খাবার খাবেন, সেদিন আরেকটু বাড়িয়ে নিন ব্যায়ামের সময়। বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় হবে, আপনার ত্বক থাকবে ভালো।

মেকআপ না তুলে ঘুমাবেন না
অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরেই ক্লান্ত লাগলেও কষ্ট করে মেকআপ তুলে নিন। 
মেকআপসহ ঘুমালে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। তাই যতই ক্লান্তি আসুক, মেকআপ তুলে তারপর ঘুমাতে যান।

ব্রণে হাত দেবেন না
মুখে ব্রণ দেখা দিলে কখনোই হাত দিয়ে খুটবেন না।
 এতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। অনেক সময় সারা মুখে ক্ষত হয়ে যায়। কালো কালো দাগ পড়ে তা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে মুখে।
 তার বদলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ঠিকমতো ব্যবস্থা নিলে দাগ ভালো হয়ে যাবে।

ঠিকমতো খাবার খান
নিয়ম করে তিনবেলা খাবার খান। বাড়তি তেল বা ভাজাপোড়া কম খাওয়াই ভালো।
 ডায়েটে থাকলেও ফলমূল ও সবজি অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখুন। 
রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুনধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দিতে চেষ্টা করুন। 
কারণ, ধূমপান করলেও ত্বকের ক্ষতি হয়।

সূত্র: ফেমিনা

চিন্তার শক্তি


বিল কোচেভার নামের এক মার্কিন নাগরিক আট বছর ধরে পক্ষাঘাতগ্রস্ত। 
তাঁর শুধু মাথা সচল আছে, ঘাড় থেকে নিচের অংশে কোনো সাড়া নেই। তবে সম্প্রতি তিনি নিজের চিন্তার মাধ্যমে হাত নাড়াতে পেরেছেন। 
এই কাজটি করা হয়েছে ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মাধ্যমে।
কাজটি করার আগে বিল কোচেভারকে দীর্ঘ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
 তাঁর প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া অনেকটা এমন—

* মস্তিষ্কের সংকেত সংগ্রহের জন্য কোচেভারের মোটর কর্টেক্সে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ইলেকট্রোড স্থাপন করা হয়

* তাঁর বাহুর নড়াচড়া কেমন হবে তা তিনি কল্পনা করেন

* কোচেভারের স্নায়বিক সংকেত ডিকোড করে একটি কম্পিউটার

* এরপর কোচেভার কম্পিউটারের পর্দায় চিন্তাশক্তির মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল বাহু নড়াচড়ার অনুশীলন করেন

মস্তিষ্ক ও হাতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন
১ মস্তিষ্ক থেকে সংকেত গ্রহণ করে পাঠিয়ে দেয় ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস

২ ফাংশনাল ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন অংশে মস্তিষ্কের সংকেত প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হয় হাতে

৩ হাতে যুক্ত পেশি-সংবেদী ইলেকট্রোড নড়াচড়া করতে সাহায্য করে

সূত্র: এএফপি ও কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি

কিছু পারি বলেই তো অভিনয় করছি

আরটিভিতে প্রচারিত হবে ঝামেলা আনলিমিটেড ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
আহসান আলমগীরের রচনায় অভিনেতা শামীম জামান পরিচালিত নাটকটিতে অভিনয় করছেন রোবেনা রেজা জুঁই। গতকাল বিভিন্ন বিষয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।




-শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকে আছেন?

-না। সম্ভবত ৩০ পর্বের পর থেকে আমার অভিনীত পর্বগুলো প্রচারিত হচ্ছে।

-কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

-বেশ ভালো। নাটকটিতে আমি নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলছি। অনেকে শুনে এটা ভালো বলছেন।

-আপনি তো নোয়াখালীর মেয়ে নন। সমস্যা হচ্ছে না?

-খুব বেশি না। নাটকে মোশাররফ করিম ও পরিচালক শামীম ভাই খুব সহযোগিতা করছেন। শুরুতে অবশ্য খুব ভয়ে ছিলাম। কিন্তু দুজনে মিলে সাহস দেওয়ায় এটা সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া শুটিংয়ের আগে চিত্রনাট্য পড়ে মহড়া করি। এটা বেশ কাজে দেয়।

-অনেকেই বলেন, স্বামী মোশাররফ করিমের জন্য আপনাকে নাটকে নেওয়া হয়।

-এটা অনেকটা সত্যি। অনেকে মনে করেন, হয়তো মোশাররফ ভাই ছাড়া ভাবি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না। আর যাঁরা খুব কাছের পরিচালক, তাঁরা শুরু থেকেই মোশাররফকে নেওয়ার পর আমাকে বলতেন, চলেন ভাবি আপনিও অভিনয় করেন। এভাবেই শুরু হয়েছে।

-কিন্তু মোশাররফ করিমের শিডিউল পেতেই নাকি আপনাকে নাটকে নেওয়া হয়!

-এই ব্যাপারটি আমি জানি না। কার মনের উদ্দেশ্য কী, আমি তো বলতে পারব না। একেকজন একেক উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করেন। তবে আমি খানিকটা অনুমান করতে পারছি। এটা অবশ্য নতুনদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। কিন্তু পুরোনোরা, যেমন শামীম ভাই, সাগর জাহান তাঁরা তো চাইলেই মোশাররফ করিমের শিডিউল পান। তাঁরা কেন আমাকে নেন? পুরোনোরা কিন্তু অত কিছু ভাবেন না। কিছু পারি বলেই তো অভিনয় করছি।

সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক

বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নব্য জেএমবি।

আগামী কয়েক মাস পর বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা আঁটছিল নব্য জেএমবি।
 সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় আস্তানা গড়ে বিস্ফোরকের মজুত ও সদস্যদের আত্মঘাতী হিসেবে গড়ে তুলছিল এই গোষ্ঠী। 
জঙ্গি দমনে যুক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন, এরই মধ্যে কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালানোর পর তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার পর নতুন করে সংগঠিত নব্য জেএমবির মূল নেতৃত্বে কে বা কারা আছে এবং তাদের কাছে কারা আত্মঘাতী হওয়ার দীক্ষা নিচ্ছে, সংখ্যায় তারা কতজন, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুটি ইউনিটের কাছ থেকে দুটি আনুমানিক হিসাব পাওয়া গেছে। একটি ইউনিটের হিসাবে, এই পর্বে নব্য জেএমবির কাছে ৩০ জনের মতো প্রশিক্ষিত সদস্য আছে, যারা আত্মঘাতী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। 
আরেক ইউনিটের হিসাবে এই সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হওয়ার কথা নয়।
৩০ বা ১৫ জন—সংখ্যা যা-ই হোক না কেন, এরই মধ্যে সীতাকুণ্ডে একজন, ঢাকায় র‍্যাবের ব্যারাকে হামলায় একজন, বিমানবন্দর সড়কে গোলচত্বরে বিস্ফোরণে একজন এবং সর্বশেষ সিলেটের আতিয়া মহলে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনসহ মোট ছয়জন আত্মঘাতী দলের সদস্য বলে নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সীতাকুণ্ড ও সিলেটে দুজন নারীও নিহত হয়।
 তবে তারা আত্মঘাতী দলের সদস্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 এ পর্যন্ত জঙ্গিদের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে নারী সদস্যদের আক্রমণে ব্যবহার করার নজির পাওয়া যায়নি। এ দেশে শুরু থেকেই জঙ্গিরা নারী সদস্যদের মূলত সহায়তাকারী হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমোডর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরীর মতে, আত্মঘাতী জঙ্গিরা সংখ্যায় খুব নগণ্য হলেও তারা যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে। 
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এদের রিক্রুটমেন্ট বন্ধ করতে হবে। 
এ জন্য অনুকূল আর্থসামাজিক পরিবেশ আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এই ইস্যুতে একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’

জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি করছেন এমন একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, নতুন এই পর্বের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, নব্য জেএমবির একটা অংশকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 
এ কারণে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এখন দলটির নেতৃত্ব অপেক্ষাকৃত নতুন ও কম বয়সীদের হাতে চলে গেছে। ফলে তাদের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

উদাহরণ হিসেবে এই কর্মকর্তারা বলেন, ৭ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় বাসে পুলিশের তল্লাশি দেখে দুই জঙ্গি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। 
ফলে তারা ধরা পড়ে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও সর্বশেষ সিলেটের আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পরপর কয়েকটি ঘটনায় ছয়জন জঙ্গি আত্মঘাতী হলেও বাকিরা এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে রয়েছে।

গত বছরের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে চলতি বছরের ২ মার্চ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৯ জন জঙ্গি নিহত হয়, যাদের মধ্যে তামিম চৌধুরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম, তানভীর কাদেরী, নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান, সারোয়ার জাহানের মতো নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তার মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে গত তিন সপ্তাহে নব্য জেএমবির যারা নিহত, আত্মঘাতী ও গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা সবাই হলি আর্টিজানে হামলার আগেই ‘হিজরতের’ নামে ঘর ছেড়েছিল।
 নতুন করে খুব বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে পারেনি এই গোষ্ঠী। আগের লোকজনই নতুন নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে।
 তবে গুলশান হামলায় জড়িত নিবরাসদের যেভাবে সময় নিয়ে প্রশিক্ষিত করতে পেরেছে, এখনকার জঙ্গিদের সেভাবে তৈরি করতে পারেনি নব্য জেএমবি। ফলে তারা লক্ষ্যস্থলে আত্মঘাতী হামলা করতে গিয়ে মূলত নিজেরাই মারা পড়ছে।

এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, উদ্বেগের বিষয় হলো, হলি আর্টিজানে হামলার পরও জঙ্গিদের বিস্ফোরক সংগ্রহ এবং তা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আনা-নেওয়া এবং তাদের অর্থের উৎস বন্ধ করা যায়নি। বিস্ফোরক পরিবহন ও আর্থিক লেনদেনে তারা কুরিয়ার সার্ভিসকে ব্যবহার করছে কি না, সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার।

কুমিল্লা ও সীতাকুণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, নব্য জেএমবির এখনই আক্রমণে নামার পরিকল্পনা ছিল না। 
কয়েক মাস পর তারা বড় ঘটনা ঘটাত, সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত হচ্ছিল। সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর তারা আগেভাগেই পাল্টা আক্রমণে চলে গেছে।

তবে গত শুক্রবার বিমানবন্দর সড়কে পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা হামলা ছিল না বলে দাবি এই কর্মকর্তার। তিনি বলেন, ওই জঙ্গি ট্রলিব্যাগে করে আরেক আস্তানায় বোমা নিয়ে যাচ্ছিল। ধরা পড়লে ফাটানোর জন্য পেটে বাঁধা ছিল একটি বোমা। সেটি বিস্ফোরিত হয়েছিল বোমার সুইচিং সিস্টেমে ত্রুটির কারণে।

একই সূত্র জানায়, নতুন এই পর্বে সিলেটে নিহত মঈনুল ওরফে মুসা গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেও সে-ই দলের প্রধান নাকি অন্য কেউ, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মধ্যপ্রাচ্যফেরত দু-একজন এতে যুক্ত হয়েছেন, এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যফেরত ওই দু-একজন সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে আটক থাকা এক জঙ্গি। এটা এখনো যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। 
এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, এখন জঙ্গিদের কাছে আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে প্রস্তুত জঙ্গির সংখ্যা বড়জোর ১৫।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত আরেকটি সূত্র বলছে, আত্মঘাতী হিসেবে এই পর্বে ৩০ জনকে তৈরি করেছে নব্য জেএমবি। যার কারণে সারা দেশে র‍্যাব ও পুলিশের সব স্থাপনা, বিমানবন্দরসহ স্পর্শকাতর সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সরকারের একটি সূত্র বলছে, সিরিয়া ও ইরাকে যেসব বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক যুদ্ধ করেছে, তারা দেশে ফেরে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
 কারণ, ইরাক ও সিরিয়ায় এখন জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস কোণঠাসা।
 তাদের অনেক যোদ্ধা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। আইএসের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো জঙ্গি দেশে আসার সুযোগ পেলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। 
সেই আশঙ্কা থেকে বিমানবন্দরসহ প্রতিটি জেলার পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থেকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গত সোমবার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘জঙ্গি নির্মূলে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে আমরা অনেক আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে দু-একজন বের হয়ে গেছে। এরা নতুন কেউ নয়, সবই পুরোনো জঙ্গি।’

জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রধান মো. ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমে সাফল্য আসছিল।
 আমরা এখন প্রতিরোধমূলক কাজ করছি। যার ফলে জঙ্গিরা পাল্টা হামলায় নেমেছে।’ তিনি বলেন, আগে নব্য জেএমবি মূলত সীমান্তের ওপার থেকে কারখানায় তৈরি ডেটোনেটর, পাওয়ার জেলসহ বিস্ফোরক নিয়ে আসত। 
এই কাজে যুক্ত প্রায় সবাইকে ধরা হয়েছে। ফলে এখন জঙ্গিরা দেশীয় বাজার থেকে সচরাচর পাওয়া যায়, এমন রাসায়নিক, বিস্ফোরকসহ অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করছে। তাদের এখনকার বোমার ধরনও একটু ভিন্ন এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। 
তাদের বোমা তৈরির কারিগরও নতুন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই কর্মকর্তার মতে, এই গোষ্ঠীর কাছে বিস্ফোরক (আইইডি) ছাড়া অন্য কোনো অস্ত্র নেই। তাই এই পর্বেও এদের নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে না।

তবে সংশ্লিষ্ট অন্য সূত্রগুলো বলছে, আগে গাইবান্ধা, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিরা সংগঠিত ও প্রশিক্ষণ নিত এবং ঢাকা তাদের মূল লক্ষ্যস্থল ছিল।
 এখনো ঢাকা মূল লক্ষ্যস্থল হলেও নতুন করে সংগঠিত হওয়ার জন্য তারা উত্তরাঞ্চল বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলকে বেছে নিয়েছে। নোয়াখালী ও খুলনা অঞ্চলেও তারা আস্তানা গড়ে তুলেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা দেশীয় হলেও তারা মূলত আইএসের মতাদর্শ অনুসরণ করে। তাদের মতোই আত্মঘাতী হামলাকে চূড়ান্ত কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। 
এ ছাড়া আইএসের নেটওয়ার্কের সঙ্গে এই নব্য জেএমবির কোনো না কোনোভাবে যোগাযোগ রয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন। কারণ, সিরিয়া ও ইরাকে ইতিমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি আইএসের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। 
আরও অনেকে সেখানে আছে, এমন খবর দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে বের হয়েছে। তাই এসব বাংলাদেশির মাধ্যমে দেশীয় জঙ্গিদের ইন্টারনেটে যোগাযোগ থাকার সুযোগ রয়েছে।

হলি আর্টিজানের হত্যাযজ্ঞ এবং তার আগে-পরে বেশ কিছু হামলার বিষয়ে আইএস যেভাবে দায় স্বীকার করেছে, সর্বশেষ ২৫ মার্চ সিলেটে আতিয়া মহলে অভিযান চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায়ও তারা একইভাবে দায় স্বীকার করে। 
২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে হত্যার পর আইএস এ দেশে প্রথম কোনো ঘটনার দায় স্বীকার করে। 
এরপর গত দেড় বছরে মোট ৩১টি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। 
এসব ঘটনায় মোট নিহতের সংখ্যা ৮৬ জন, যাদের মধ্যে ১০ জন জঙ্গি দলের সদস্য।

এই জঙ্গিগোষ্ঠী নতুন করে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো সাফকাত মুনীর প্রথম আলোকে বলেন, আত্মঘাতী হওয়ার নতুন যে প্রবণতা, তা ভয়াবহ। 
এরা ঢাকার বাইরে অন্যান্য ছোট ও বড় শহরেও ছড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, নতুন করে নব্য জেএমবি ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সক্ষমতাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। 
কোনোভাবে এই জঙ্গিদের হালকাভাবে নেওয়ার অবকাশ নেই।

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০১৭

Scientist Isaac Newton Biography


Isaac Newton Biography
Philosopher, Astronomer, Physicist, Scientist, Mathematician(1643–1727)
English physicist and mathematician Sir Isaac Newton, most famous for his law of gravitation, was instrumental in the scientific revolution of the 17th century.



QUOTES
“I do not know what I may appear to the world; but to myself I seem to have been only like a boy playing on the seashore, and diverting myself now and then in finding a smoother pebble or prettier shell than ordinary, while the great ocean of truth lay all undiscovered before me.”
—Isaac Newton

Synopsis

Born on January 4, 1643, in Woolsthorpe, England, Isaac Newton was an established physicist and mathematician, and is credited as one of the great minds of the 17th century Scientific Revolution. With discoveries in optics, motion and mathematics, Newton developed the principles of modern physics. In 1687, he published his most acclaimed work, Philosophiae Naturalis Principia Mathematica (Mathematical Principles of Natural Philosophy), which has been called the single most influential book on physics. Newton died in London on March 31, 1727.
Early Life

On January 4, 1643, Isaac Newton was born in the hamlet of Woolsthorpe, Lincolnshire, England (using the "old" Julien calendar, Newton's birth date is sometimes displayed as December 25, 1642). He was the only son of a prosperous local farmer, also named Isaac Newton, who died three months before he was born. A premature baby born tiny and weak, Newton was not expected to survive. When he was 3 years old, his mother, Hannah Ayscough Newton, remarried a well-to-do minister, Barnabas Smith, and went to live with him, leaving young Newton with his maternal grandmother. The experience left an indelible imprint on Newton, later manifesting itself as an acute sense of insecurity. He anxiously obsessed over his published work, defending its merits with irrational behavior.

At age 12, Newton was reunited with his mother after her second husband died. She brought along her three small children from her second marriage. Newton had been enrolled at the King's School in Grantham, a town in Lincolnshire, where he lodged with a local apothecary and was introduced to the fascinating world of chemistry. His mother pulled him out of school, for her plan was to make him a farmer and have him tend the farm. Newton failed miserably, as he found farming monotonous.

He soon was sent back to King's School to finish his basic education. Perhaps sensing the young man's innate intellectual abilities, his uncle, a graduate of the University of Cambridge's Trinity College, persuaded Newton's mother to have him enter the university. Newton enrolled in a program similar to a work-study in 1661, and subsequently waited on tables and took care of wealthier students' rooms.

When Newton arrived at Cambridge, the Scientific Revolution of the 17th century was already in full force. The heliocentric view of the universe—theorized by astronomers Nicolaus Copernicus and Johannes Kepler, and later refined by Galileo—was well known in most European academic circles. Philosopher René Descartes had begun to formulate a new concept of nature as an intricate, impersonal and inert machine. Yet, like most universities in Europe, Cambridge was steeped in Aristotelian philosophy and a view of nature resting on a geocentric view of the universe, dealing with nature in qualitative rather than quantitative terms.

During his first three years at Cambridge, Newton was taught the standard curriculum but was fascinated with the more advanced science. All his spare time was spent reading from the modern philosophers. The result was a less-than-stellar performance, but one that is understandable, given his dual course of study. It was during this time that Newton kept a second set of notes, entitled "Quaestiones Quaedam Philosophicae" ("Certain Philosophical Questions"). The "Quaestiones" reveal that Newton had discovered the new concept of nature that provided the framework for the Scientific Revolution.

Though Newton graduated with no honors or distinctions, his efforts won him the title of scholar and four years of financial support for future education. Unfortunately, in 1665, the Great Plague that was ravaging Europe had come to Cambridge, forcing the university to close. Newton returned home to pursue his private study. It was during this 18-month hiatus that he conceived the method of infinitesimal calculus, set foundations for his theory of light and color, and gained significant insight into the laws of planetary motion—insights that eventually led to the publication of his Principia in 1687. Legend has it that, at this time, Newton experienced his famous inspiration of gravity with the falling apple.

When the threat of plague subsided in 1667, Newton returned to Cambridge and was elected a minor fellow at Trinity College, as he was still not considered a standout scholar. However, in the ensuing years, his fortune improved. Newton received his Master of Arts degree in 1669, before he was 27. During this time, he came across Nicholas Mercator's published book on methods for dealing with infinite series. Newton quickly wrote a treatise, De Analysi, expounding his own wider-ranging results. He shared this with friend and mentor Isaac Barrow, but didn't include his name as author.

In June 1669, Barrow shared the unaccredited manuscript with British mathematician John Collins. In August 1669, Barrow identified its author to Collins as "Mr. Newton ... very young ... but of an extraordinary genius and proficiency in these things." Newton's work was brought to the attention of the mathematics community for the first time. Shortly afterward, Barrow resigned his Lucasian professorship at Cambridge, and Newton assumed the chair.
Professional Life

As a professor, Newton was exempted from tutoring but required to deliver an annual course of lectures. He chose to deliver his work on optics as his initial topic. Part of Newton's study of optics was aided with the use of a reflecting telescope that he designed and constructed in 1668—his first major public scientific achievement. This invention helped prove his theory of light and color. The Royal Society asked for a demonstration of his reflecting telescope in 1671, and the organization's interest encouraged Newton to publish his notes on light, optics and color in 1672; these notes were later published as part of Newton's Opticks: Or, A treatise of the Reflections, Refractions, Inflections and Colours of Light.

However, not everyone at the Royal Academy was enthusiastic about Newton's discoveries in optics. Among the dissenters was Robert Hooke, one of the original members of the Royal Academy and a scientist who was accomplished in a number of areas, including mechanics and optics. In his paper, Newton theorized that white light was a composite of all colors of the spectrum, and that light was composed of particles. Hooke believed that light was composed of waves. Hooke quickly condemned Newton's paper in condescending terms, and attacked Newton's methodology and conclusions.

Hooke was not the only one to question Newton's work in optics. Renowned Dutch scientist Christiaan Huygens and a number of French Jesuits also raised objections. But because of Hooke's association with the Royal Society and his own work in optics, his criticism stung Newton the worst. Unable to handle the critique, he went into a rage—a reaction to criticism that was to continue throughout his life.

Newton denied Hooke's charge that his theories had any shortcomings, and argued the importance of his discoveries to all of science. In the ensuing months, the exchange between the two men grew more acrimonious, and soon Newton threatened to quit the society altogether. He remained only when several other members assured him that the Fellows held him in high esteem.

However, the rivalry between Newton and Hooke would continue for several years thereafter. Then, in 1678, Newton suffered a complete nervous breakdown and the correspondence abruptly ended. The death of his mother the following year caused him to become even more isolated, and for six years he withdrew from intellectual exchange except when others initiated correspondence, which he always kept short.

During his hiatus from public life, Newton returned to his study of gravitation and its effects on the orbits of planets. Ironically, the impetus that put Newton on the right direction in this study came from Robert Hooke. In a 1679 letter of general correspondence to Royal Society members for contributions, Hooke wrote to Newton and brought up the question of planetary motion, suggesting that a formula involving the inverse squares might explain the attraction between planets and the shape of their orbits.

Subsequent exchanges transpired before Newton quickly broke off the correspondence once again. But Hooke's idea was soon incorporated into Newton's work on planetary motion, and from his notes it appears he had quickly drawn his own conclusions by 1680, though he kept his discoveries to himself.

In early 1684, in a conversation with fellow Royal Society members Christopher Wren and Edmond Halley, Hooke made his case on the proof for planetary motion. Both Wren and Halley thought he was on to something, but pointed out that a mathematical demonstration was needed. In August 1684, Halley traveled to Cambridge to visit with Newton, who was coming out of his seclusion. Halley idly asked him what shape the orbit of a planet would take if its attraction to the sun followed the inverse square of the distance between them (Hooke's theory).

Newton knew the answer, due to his concentrated work for the past six years, and replied, "An ellipse." Newton claimed to have solved the problem some 18 years prior, during his hiatus from Cambridge and the plague, but he was unable to find his notes. Halley persuaded him to work out the problem mathematically and offered to pay all costs so that the ideas might be published.
Publishing 'Principia'

In 1687, after 18 months of intense and effectively nonstop work, Newton published Philosophiae Naturalis Principia Mathematica (Mathematical Principles of Natural Philosophy). Said to be the single most influential book on physics and possibly all of science, it is most often known as Principia and contains information on nearly all of the essential concepts of physics, except energy.

The work offers an exact quantitative description of bodies in motion in three basic laws: 1) A stationary body will stay stationary unless an external force is applied to it; 2) Force is equal to mass times acceleration, and a change in motion is proportional to the force applied; and 3) For every action, there is an equal and opposite reaction. These three laws helped explain not only elliptical planetary orbits but nearly every other motion in the universe: how the planets are kept in orbit by the pull of the sun’s gravity; how the moon revolves around Earth and the moons of Jupiter revolve around it; and how comets revolve in elliptical orbits around the sun.

The laws also allowed Newton to calculate the mass of each planet, calculate the flattening of the Earth at the poles and the bulge at the equator, and how the gravitational pull of the sun and moon create the Earth’s tides. In Newton's account, gravity kept the universe balanced, made it work, and brought heaven and earth together in one great equation.

Upon the publication of the first edition of Principia, Robert Hooke immediately accused Newton of plagiarism, claiming that he had discovered the theory of inverse squares and that Newton had stolen his work. The charge was unfounded, as most scientists knew, for Hooke had only theorized on the idea and had never brought it to any level of proof. However, Newton was furious and strongly defended his discoveries.

He withdrew all references to Hooke in his notes and threatened to withdraw from publishing the subsequent edition of Principia altogether. Halley, who had invested much of himself in Newton's work, tried to make peace between the two men. While Newton begrudgingly agreed to insert a joint acknowledgement of Hooke's work (shared with Wren and Halley) in his discussion of the law of inverse squares, it did nothing to placate Hooke.

As the years went on, Hooke's life began to unravel. His beloved niece and companion died the same year that Principia was published, in 1687. As Newton's reputation and fame grew, Hooke's declined, causing him to become even more bitter and loathsome toward his rival. To the bitter end, Hooke took every opportunity he could to offend Newton. Knowing that his rival would soon be elected president of the Royal Society, Hooke refused to retire until the year of his death, in 1703.
International Prominence

Principia immediately raised Newton to international prominence, and he thereafter became more involved in public affairs. Consciously or unconsciously, he was ready for a new direction in life. He no longer found contentment in his position at Cambridge and he was becoming more involved in other issues. He helped lead the resistance to King James II's attempts to reinstitute Catholic teaching at Cambridge, and in 1689 he was elected to represent Cambridge in Parliament.

While in London, Newton acquainted himself with a broader group of intellectuals and became acquainted with political philosopher John Locke. Though many of the scientists on the continent continued to teach the mechanical world according to Aristotle, a young generation of British scientists became captivated with Newton's new view of the physical world and recognized him as their leader. One of these admirers was Nicolas Fatio de Duillier, a Swiss mathematician whom Newton befriended while in London.

However, within a few years, Newton fell into another nervous breakdown in 1693. The cause is open to speculation: his disappointment over not being appointed to a higher position by England's new monarchs, William III and Mary II, or the subsequent loss of his friendship with Duillier; exhaustion from being overworked; or perhaps chronic mercury poisoning after decades of alchemical research. It's difficult to know the exact cause, but evidence suggests that letters written by Newton to several of his London acquaintances and friends, including Duillier, seemed deranged and paranoiac, and accused them of betrayal and conspiracy.

Oddly enough, Newton recovered quickly, wrote letters of apology to friends, and was back to work within a few months. He emerged with all his intellectual facilities intact, but seemed to have lost interest in scientific problems and now favored pursuing prophecy and scripture and the study of alchemy. While some might see this as work beneath the man who had revolutionized science, it might be more properly attributed to Newton responding to the issues of the time in turbulent 17th century Britain. Many intellectuals were grappling with the meaning of many different subjects, not least of which were religion, politics and the very purpose of life. Modern science was still so new that no one knew for sure how it measured up against older philosophies.

In 1696, Newton was able to attain the governmental position he had long sought: warden of the Mint; after acquiring this new title, he permanently moved to London and lived with his niece, Catherine Barton. She was the mistress of Lord Halifax, a high-ranking government official who was instrumental in having Newton promoted, in 1699, to master of the Mint—a position that he would hold until his death. Not wanting it to be considered a mere honorary position, Newton approached the job in earnest, reforming the currency and severely punishing counterfeiters. As master of the Mint, Newton moved the British currency, the pound sterling, from the silver to the gold standard.

In 1703, Newton was elected president of the Royal Society upon Robert Hooke's death. In 1705, he was knighted by Queen Anne of England. By this point in his life, Newton's career in science and discovery had given way to a career of political power and influence.

Newton never seemed to understand the notion of science as a cooperative venture, and his ambition and fierce defense of his own discoveries continued to lead him from one conflict to another with other scientists. By most accounts, Newton's tenure at the society was tyrannical and autocratic; he was able to control the lives and careers of younger scientists with absolute power.

In 1705, in a controversy that had been brewing for several years, German mathematician Gottfried Leibniz publicly accused Newton of plagiarizing his research, claiming he had discovered infinitesimal calculus several years before the publication of Principia. In 1712, the Royal Society appointed a committee to investigate the matter. Of course, since Newton was president of the society, he was able to appoint the committee's members and oversee its investigation. Not surprisingly, the committee concluded Newton's priority over the discovery.

That same year, in another of Newton's more flagrant episodes of tyranny, he published without permission the notes of astronomer John Flamsteed. It seems the astronomer had collected a massive body of data from his years at the Royal Observatory at Greenwich, England. Newton had requested a large volume of Flamsteed's notes for his revisions toPrincipia. Annoyed when Flamsteed wouldn't provide him with more information as quickly as he wanted it, Newton used his influence as president of the Royal Society to be named the chairman of the body of "visitors" responsible for the Royal Observatory.

He then tried to force the immediate publication of Flamsteed's catalogue of the stars, as well as all of Flamsteed's notes, edited and unedited. To add insult to injury, Newton arranged for Flamsteed's mortal enemy, Edmund Halley, to prepare the notes for press. Flamsteed was finally able to get a court order forcing Newton to cease his plans for publication and return the notes—one of the few times that Newton was bested by one of his rivals.
Final Years

Toward the end of this life, Newton lived at Cranbury Park, near Winchester, England, with his niece, Catherine (Barton) Conduitt, and her husband, John Conduitt. By this time, Newton had become one of the most famous men in Europe. His scientific discoveries were unchallenged. He also had become wealthy, investing his sizable income wisely and bestowing sizable gifts to charity. Despite his fame, Newton's life was far from perfect: He never married or made many friends, and in his later years, a combination of pride, insecurity and side trips on peculiar scientific inquiries led even some of his few friends to worry about his mental stability.

By the time he reached 80 years of age, Newton was experiencing digestion problems, and had to drastically change his diet and mobility. Then, in March 1727, Newton experienced severe pain in his abdomen and blacked out, never to regain consciousness. He died the next day, on March 31, 1727, at the age of 84.

Isaac Newton's fame grew even more after his death, as many of his contemporaries proclaimed him the greatest genius who ever lived. Maybe a slight exaggeration, but his discoveries had a large impact on Western thought, leading to comparisons to the likes of Plato, Aristotle and Galileo.

Although his discoveries were among many made during the Scientific Revolution, Isaac Newton's universal principles of gravity found no parallels in science at the time. Of course, Newton was proven wrong on some of his key assumptions. In the 20th century, Albert Einstein would overturn Newton's concept of the universe, stating that space, distance and motion were not absolute but relative, and that the universe was more fantastic than Newton had ever conceived.

Newton might not have been surprised: In his later life, when asked for an assessment of his achievements, he replied, "I do not know what I may appear to the world; but to myself I seem to have been only like a boy playing on the seashore, and diverting myself now and then in finding a smoother pebble or prettier shell than ordinary, while the great ocean of truth lay all undiscovered before me."

Popular Posts