কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম, অফিস আপনাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিজের করে নিয়েছে।
অগত্যা, সকাল থেকে রাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা কম্পিউটারের সামনে ।
যার ফলে কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত একাংশ।
অন্যদিকে যাদের বয়স চল্লিশের দোরগোড়ায়, তাঁদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বশি কোমরের ব্যথায় আক্রান্ত হন।
অফিসের কীভাবে এই ব্যথা থেকে দূরে রাখবেন নিজেকে?
১) প্রথমত এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।
২) জায়গা ছেড়ে মাঝে মাঝে উঠে পড়ুন। কোমড় ভাঁজ করে সামান্য কিছু শরীর চর্চা করে নিন। মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
৩)নরম মেট্রেস বা ফোমের বিছানায় কখনোই শোবেন না।
ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনই ব্যথার ওষুধ খাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।
কোমরে ব্যথায় এই ঘরোয়া টোটকাগুলি ব্যবহার করলে, ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো। চলুন জেনে নেয়া যাক-
সেঁক দিন-
কোমরের যে জায়গায় ব্যথা সেখানে সেঁক দিলে যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যাবে।
আদা-
আদা-
আদাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই পটাশিয়ামের অভাবের ফলে নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়।
প্রতিদিন নিয়মিত আদা খেলে কোমরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
হলুদ-
দুধের সঙ্গে নিয়ম করে হলুদ খেলে কোমরের ব্যথা অনেকটাই কমতে পারে।
মেথি বীজ-
মেথি বীজ-
মেথি বীজের গুড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্যথার জায়গায় এই মিশ্রণ লাগালে উপকার পাবেন।
লেবুর শরবত-
লেবুর শরবত-
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি যন্ত্রণা উপশমে খুবই কার্যকারী।
অ্যালোভেরা-
অ্যালোভেরা-
প্রতিদিন নিয়ম করে অ্যালোভেরা শরবত খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য-
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাদ্য-
প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ, ঘি, চিজ, ফল, শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেলে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কোমরে ব্যথা কেন হয়, কীভাবে এই ব্যথা কমানো যায়
কারণ
লাম্বার স্পনডোলাইসিস
কোমরের পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পনডোলাইসিস বলে।
এলআইডি
এটিও শক্তিশালী একটি কারণ। এটি সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি হয়। মানুষের হাড়ের মধ্যে ফাঁকা জায়গা থাকে।
এটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে।
এই ডিস্ক যদি কোনো কারণে বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুমূলের ওপরে চাপ ফেলে। এর ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
নন-স্পেসিফিক লো বেক পেন
অনির্দিষ্ট কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে এই ব্যথা হয়। এটি যুবকদের মধ্যে বেশি হয়। এই ব্যথা পুরোপুরি সারানোর চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই ব্যথা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়।
নন-স্পেসিফিক লো বেক পেন
অনির্দিষ্ট কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু—তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে এই ব্যথা হয়। এটি যুবকদের মধ্যে বেশি হয়। এই ব্যথা পুরোপুরি সারানোর চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই ব্যথা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হয়।
যেমন : শিরদাঁড়ায় টিউমার ও ইনফেকশন হলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
মাংসপেশি শক্ত হয়ে গেলে বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে কোমরে ব্যথা হয়।
শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণেও কোমরে ব্যথা হয়।
একটানা হাঁটলে বা দাঁড়িয়ে থাকলে, কোলে কিছু বহন করলেও কোমরে ব্যথা হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন