ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে।





বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বলেছেন ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে। 
এ জন্য তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দায়ী করেন। “গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনার দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। 
ওরা মিথ্যা কথা বলে, এটা ওদের অভ্যাস। গুজবটা সত্য কি না সেটা দেখবেন,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ব্যাংকে টাকার কোন সংকট নেই। যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে যাচ্ছে তাদের সবাই টাকা তুলতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে না রাখার জন্য সতর্ক করে দেন শেখ হাসিনা।
 “টাকা তুলে এনে ঘরে রাখবেন, বালিশের নিচে তোষকের নিচে রাখবেন, না হয় আলমারিতে রাখবেন। তখন সে টাকা তো চোরেও নিয়ে যেতে পারে।”

 চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে শেখ হাসিনা প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য দেন।
 বক্তব্যে তার সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি ছিল বিরোধী বিএনপির সমালোচনা।




শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এই সমাবেশ এমন এক সময়ে করলেন যখন আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। সমাবেশ করার জন্য বিএনপি ১০ই ডিসেম্বর তারিখটি কেন বেছে নিয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। 
শেখ হাসিনা বলেন, “১০ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করেছিল। .... অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে হয় সে ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির প্রিয় একটা তারিখ।” “বোধ হয় হানাদার বাহিনীর পদ-লেহনকারী দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি ঢাকা শহর দখল করবে আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে” আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছে। বিএনপি বলছে তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না। 
চট্টগ্রাম সমাবেশে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।




দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পরে শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দিলেন। 
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করার জন্য গত এক সপ্তাহ যাবত চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক মাইকিং হয়েছে। এছাড়া পুরো শহর পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে।
 চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলো থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শত শত বাস এবং অন্যান্য বাহনে করে চট্টগ্রাম শহরে আসে। 
এই সমাবেশ যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য রবিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন চলাচল সীমিত করে দেয় পুলিশ। এজন্য আগে ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল। সমাবেশ যাতে ঠিকমতো সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রশাসন এবং পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে।
 এই পোলোগ্রাউন্ড মাঠে দুইমাস আগে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন বিএনপির তুলনায় তাদের সমাবেশে লোকসমাগম বেশি হয়েছে। 
এসব সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে বুঝিয়ে দিতে চায় যে তারাও রাজপথে সক্রিয় আছে।

দেশের সরকার  যেখানে দেশে অপরাধ মুক্ত করার কথা সেখানে চুরি হবার ভয় দেখানোকে আপনি কিভাবে দেখছেন - কমেন্ট করে আপনার মতামত জানান। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
Bangla date add in your website HTML tips.
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...