আহলে হাদীছের কুফরি আকিদা
তথ্য সংগ্রহঃ মুফতি শাইখ এস এম নুরুল ইসলাম নকশবন্দী- মুজাদ্দেদী,সদর সিলেট৷
আহলে হাদিস নামধারী লা-মাযহাবীদের তথ্যসুত্র সহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো সকল শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিঃ
(১) সহীহ হাদিস দ্বারা পবিত্র মক্কা মদিনা সহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঐক্যবদ্ধভাবে রমযানে তারাবীহের নামায ২০ রাকাআত আদায় করে যাচ্ছেন।
এমতাবস্হায় এ চক্রটি ২০ রাকাআত তারাবীহ সহীহ হাদিসে নাই বলে প্রচার করে ৮ রাকাআত তারাবীহ পড়তে সাধারণ সরল প্রাণ মুসলমানদের বাধ্য করছে।
(২) তাদের বক্তব্য, যারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়েন তারা মুশরিক।
তারা বলে সারা পৃথিবীর মানুষ কালিমার মধ্যে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে এক করে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে দুই ভাই বানিয়ে ফেলেছে। (তথ্যসুত্র: ইসলামের মূলমন্ত্র কালিমা তায়্যিবাহ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, পৃষ্ঠা-৯ লেখক- আব্দুল্লাহ ফারুক বিন আব্দুর রহমান)।
(৩) কালিমা তায়্যিবাহ তথা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটা কোন পবিত্র বাক্য নয়। (তথ্যসুত্র: কালিমার মর্ম কথা, পৃষ্ঠা-৩১৮, লেখক- আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম)।
(৪) মুক্বাল্লিদগণকে (যারা মাযহাব মানেন) মুসলমান মনে করা উচিত নয়। (তথ্যসুত্র: তাওহীদী এটমবোম, পৃষ্ঠা-১৫, লেখক- মাওলানা আব্দুল মন্নান সিরাজনগরী (বগুড়া)।
(৫) মাযহাবীগণ ইসলাম থেকে বহিস্কৃত, তাদের মধ্যে ইসলামের কোন অংশ নেই। (তথ্যসুত্র: তাম্বিহুল গাফেলীন, পৃষ্ঠা-৭, লেখক- আব্দুল কাদির)।
(৬) চার মাযহাবের মুক্বাল্লিদ এবং চার তরিকার অনুসারীগণ মুশরিক ও কাফির। (তথ্যসুত্র: ইতেছামুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা-৭-৮, লেখক- মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদী)।
(৭) পাঞ্জাবী, টুপি এগুলো সুন্নতি পোষাক নয় বরং ভিক্ষাবৃত্তির পোষাক। ইসলামে সুন্নতি পোষাক বলতে কোন পোষাক নেই। (তথ্যসুত্র: দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃষ্ঠা-২১২-২১৩, লেখক- ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ)।
(৮) সাহাবীদের মধ্যে আমর বিন আস, ওয়ালিদ বিন মুগিরা, মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান, মুগিরা বিন শু'বাহ, সামুরা বিন জুনদুব এরা সকলেই ফাসেক ছিল। এদের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলা হারাম। (তথ্যসুত্র: মাসায়ালে গায়রে মুকাল্লিদীন, পৃষ্ঠা- ৬০, লেখক- আবু বকর গাজীপুরী।)
(৯) মহিলারা পুরুষের ইমামতি করতে পারবে। (তথ্যসুত্র: মাসায়েলে গায়রে মুকাল্লিদীন পৃষ্ঠা- ৩০৯, লেখক- আবু বকর গাজীপুরী। মহিলারা মুআজ্জিন হতে পারবেন। (তথ্যসুত্র: হাদিয়াতুল মাহদী, পৃষ্ঠা- ২৩)।
(১০) হযরত ওমর কোরআনের হুকুম পরিবর্তন করে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। (তথ্যসুত্র: তানবীরুল আফাক, পৃষ্ঠা- ৪৯৮-৪৯৯)।
(১১) আহলে হাদিস রচিত যফরুল কাযী পুস্তকের ১৪১। উরফুল জাবী পুস্তকের ১১৫ নং পৃষ্ঠায়লেখা আছে; পুরুষ একই সময়ে যত ইচ্ছা বিয়ে করতে পারবে।
(১২) গোসল ছাড়াই নাপাক ব্যক্তি কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা, উঠানো রাখা হাত লাগানো জায়েজ। (তথ্যসুত্র: দলীলুত তালেব, পৃষ্ঠা- ২৫২, আরফুল জাদী আল বুনিয়াদুল মারসুস)।
অতএব উল্লেখিত উক্তিগুলো যে বাতিল সে গুলো আহলে হাদীছ গোমরাহ পন্ডিতদের লিখিত কিতাবাদী দ্বারাই প্রমানিত৷তাই একজন আত্ন সচেতন ও খাঁটি সুন্নী মুসলমান হিসেবে ওদেরকে দেশ,সমাজ এবং আলেম সমাজ হতে বয়কট করে চলা একান্ত উচিত৷
তথ্য সংগ্রহঃ মুফতি শাইখ এস এম নুরুল ইসলাম নকশবন্দী- মুজাদ্দেদী,সদর সিলেট৷
আহলে হাদিস নামধারী লা-মাযহাবীদের তথ্যসুত্র সহ বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পড়ার বিশেষ অনুরোধ রইলো সকল শান্তিপ্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিঃ
(১) সহীহ হাদিস দ্বারা পবিত্র মক্কা মদিনা সহ সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন ঐক্যবদ্ধভাবে রমযানে তারাবীহের নামায ২০ রাকাআত আদায় করে যাচ্ছেন।
এমতাবস্হায় এ চক্রটি ২০ রাকাআত তারাবীহ সহীহ হাদিসে নাই বলে প্রচার করে ৮ রাকাআত তারাবীহ পড়তে সাধারণ সরল প্রাণ মুসলমানদের বাধ্য করছে।
(২) তাদের বক্তব্য, যারা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ পড়েন তারা মুশরিক।
তারা বলে সারা পৃথিবীর মানুষ কালিমার মধ্যে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে এক করে আল্লাহ ও মুহাম্মদকে দুই ভাই বানিয়ে ফেলেছে। (তথ্যসুত্র: ইসলামের মূলমন্ত্র কালিমা তায়্যিবাহ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, পৃষ্ঠা-৯ লেখক- আব্দুল্লাহ ফারুক বিন আব্দুর রহমান)।
(৩) কালিমা তায়্যিবাহ তথা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটা কোন পবিত্র বাক্য নয়। (তথ্যসুত্র: কালিমার মর্ম কথা, পৃষ্ঠা-৩১৮, লেখক- আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম)।
(৪) মুক্বাল্লিদগণকে (যারা মাযহাব মানেন) মুসলমান মনে করা উচিত নয়। (তথ্যসুত্র: তাওহীদী এটমবোম, পৃষ্ঠা-১৫, লেখক- মাওলানা আব্দুল মন্নান সিরাজনগরী (বগুড়া)।
(৫) মাযহাবীগণ ইসলাম থেকে বহিস্কৃত, তাদের মধ্যে ইসলামের কোন অংশ নেই। (তথ্যসুত্র: তাম্বিহুল গাফেলীন, পৃষ্ঠা-৭, লেখক- আব্দুল কাদির)।
(৬) চার মাযহাবের মুক্বাল্লিদ এবং চার তরিকার অনুসারীগণ মুশরিক ও কাফির। (তথ্যসুত্র: ইতেছামুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা-৭-৮, লেখক- মাওলানা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদী)।
(৭) পাঞ্জাবী, টুপি এগুলো সুন্নতি পোষাক নয় বরং ভিক্ষাবৃত্তির পোষাক। ইসলামে সুন্নতি পোষাক বলতে কোন পোষাক নেই। (তথ্যসুত্র: দ্বীন ইসলামের জানা অজানা, পৃষ্ঠা-২১২-২১৩, লেখক- ড. ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ)।
(৮) সাহাবীদের মধ্যে আমর বিন আস, ওয়ালিদ বিন মুগিরা, মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান, মুগিরা বিন শু'বাহ, সামুরা বিন জুনদুব এরা সকলেই ফাসেক ছিল। এদের নামের সাথে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলা হারাম। (তথ্যসুত্র: মাসায়ালে গায়রে মুকাল্লিদীন, পৃষ্ঠা- ৬০, লেখক- আবু বকর গাজীপুরী।)
(৯) মহিলারা পুরুষের ইমামতি করতে পারবে। (তথ্যসুত্র: মাসায়েলে গায়রে মুকাল্লিদীন পৃষ্ঠা- ৩০৯, লেখক- আবু বকর গাজীপুরী। মহিলারা মুআজ্জিন হতে পারবেন। (তথ্যসুত্র: হাদিয়াতুল মাহদী, পৃষ্ঠা- ২৩)।
(১০) হযরত ওমর কোরআনের হুকুম পরিবর্তন করে ফেলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। (তথ্যসুত্র: তানবীরুল আফাক, পৃষ্ঠা- ৪৯৮-৪৯৯)।
(১১) আহলে হাদিস রচিত যফরুল কাযী পুস্তকের ১৪১। উরফুল জাবী পুস্তকের ১১৫ নং পৃষ্ঠায়লেখা আছে; পুরুষ একই সময়ে যত ইচ্ছা বিয়ে করতে পারবে।
(১২) গোসল ছাড়াই নাপাক ব্যক্তি কুরআনুল কারীম স্পর্শ করা, উঠানো রাখা হাত লাগানো জায়েজ। (তথ্যসুত্র: দলীলুত তালেব, পৃষ্ঠা- ২৫২, আরফুল জাদী আল বুনিয়াদুল মারসুস)।
অতএব উল্লেখিত উক্তিগুলো যে বাতিল সে গুলো আহলে হাদীছ গোমরাহ পন্ডিতদের লিখিত কিতাবাদী দ্বারাই প্রমানিত৷তাই একজন আত্ন সচেতন ও খাঁটি সুন্নী মুসলমান হিসেবে ওদেরকে দেশ,সমাজ এবং আলেম সমাজ হতে বয়কট করে চলা একান্ত উচিত৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন