ফসল রক্ষার পরিকল্পনায় সম্পৃক্ত করতে হবে হাওরবাসীকে। একই সঙ্গে হাওরবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না করলে অসময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বছর-বছর তলিয়ে যাবে হাওরের ফসল।
প্রথম আলোর উদ্যোগে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জে ‘হাওরে ফসলহানি: করণীয় কী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
হাওরে বোরো চাষাবাদ শুরু সত্তরের দশক থেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) হাওরের ফসল রক্ষা প্রকল্প নামে প্রতিবছর অকালবন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষায় নতুন বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ করছে। এবার সুনামগঞ্জের হাওরে দেড় হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৮৫০টি অংশ সংস্কার ও নির্মাণকাজ করা হয়। এর মধ্যে ৫২৫টি বাঁধের অংশ ভেঙে একে একে ফসলহানি ঘটে ছোট-বড় ১৫৪টি ফসলি হাওরের।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ছোট-বড় হাওরে এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে। ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে কৃষক ও বিশিষ্টজনেরা নানা মত দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার হলে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই আলোচনা হয়।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, দুটি কারণে সুনামগঞ্জে ফসলহানি ঘটেছে। একটি হচ্ছে চৈত্র মাসে অতিবৃষ্টি আর আরেকটি হলো কিছু মানুষের অতিলোভের কারণে। এ জন্য দায়ী পাউবো। এই সংস্থার প্রতি কৃষক ও মানুষের আর আস্থা নেই। ভবিষ্যতে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ আর পাউবোকে দিয়ে না করানোর আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির এই সাংসদ।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সিলেট ও হবিগঞ্জের হাওরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের এই দুর্যোগকে অনেকেই বলছেন মানবসৃষ্ট। আমি এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, আমরা কি কখনো মার্চের শেষ দিকে এত বৃষ্টি দেখেছি। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। সেটারও প্রভাব আছে। এখন হাওরকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। হাওরের মানুষকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।’
হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে অপরিসীম মন্তব্য করে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হুমায়ুন মনজুর চৌধুরী বলেন, ‘১২টি বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। আমি বলব অন্য যেগুলো হয়েছে, সেগুলোতেও প্রকৃত অর্থে কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় ভাষায় বলতে হয়, উড়া উড়া মাটি ফেলা হয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিচার চাই।’ বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জেলার প্রত্যন্ত ধরমপাশা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ১৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। এ অবস্থায় হাওর এলাকায় এবার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বাড়তে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যক্ষ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পুরো বছরের বেতন মওকুফ করা এবং সবাইকে উপবৃত্তি দেওয়ার দাবি জানান।
‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, হাওর উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা হয়, কথা হয়, কিন্তু কাজ হয় না। প্রতিবছর হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধের নামে পাউবো ঠিকাদার ও পিআইসি লুটপাট করে। এবারও বাঁধ নির্মাণকাজে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল—এসব বলে দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মলয় চক্রবর্তী বলেন, পানিদূষণ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে কাঁচা ধান পচে পানিদূষণের অবস্থা মোকাবিলার পন্থা কী হতে পারে, ভবিষ্যতে তা মানুষকে জানাতে হবে। এটি জেলা প্রশাসন অথবা মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে হতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জের খবর-এর সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জের সম্পাদক আলী হায়দার ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ। তাঁরা অভিন্ন সুরে বলেন, হাওরে ফসলহানির কান্না নতুন নয়। এ কান্নার মূলে রয়েছে কিছু মানুষের লোভ। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ না হলে হাওরের কান্না থামানো যাবে না।
সুনামগঞ্জে একের পর এক হাওর যখন ডুবছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রমে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা চলছিল। টানা ২৪ দিন রক্ষার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। শনির হাওরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত জনপ্রতিনিধিদের একজন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল ও জামালগঞ্জ উপজেলার বেহিলী ইউনিয়ন পরিষদের নারী ওয়ার্ড সদস্য মনেছা বেগম এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরি হাওরে পাহাড়ি ঢল মোকাবিলায় কৃষকদের ‘মানবঢাল’-এ অংশ নেওয়া কৃষক অমর চাঁদ দাশও আলোচনায় অংশ নেন।
তাঁরা তিনজন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে হাওরের মানুষ অভ্যস্ত। হাওর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা থাকতে হবে। হাওরের জন্য পানি সমস্যা আবার আশীর্বাদও। পানি ধারণ করার ক্ষমতা বাড়াতে হাওরের নদ-নদী খনন করতে হবে। প্রয়োজনে নাব্যতা হারানো হাওরও খননের আওতায় আনতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে হাওরের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রথম আলো এই আলোচনার আয়োজন করেছে। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি।
প্রথম আলোর উদ্যোগে গতকাল শনিবার সুনামগঞ্জে ‘হাওরে ফসলহানি: করণীয় কী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন স্থানীয় সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
হাওরে বোরো চাষাবাদ শুরু সত্তরের দশক থেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) হাওরের ফসল রক্ষা প্রকল্প নামে প্রতিবছর অকালবন্যার কবল থেকে ফসল রক্ষায় নতুন বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজ করছে। এবার সুনামগঞ্জের হাওরে দেড় হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৮৫০টি অংশ সংস্কার ও নির্মাণকাজ করা হয়। এর মধ্যে ৫২৫টি বাঁধের অংশ ভেঙে একে একে ফসলহানি ঘটে ছোট-বড় ১৫৪টি ফসলি হাওরের।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ছোট-বড় হাওরে এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে। ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ হেক্টর জমির ধান পুরোপুরি তলিয়ে গেছে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে করণীয় সম্পর্কে কৃষক ও বিশিষ্টজনেরা নানা মত দিয়েছেন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার হলে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই আলোচনা হয়।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, দুটি কারণে সুনামগঞ্জে ফসলহানি ঘটেছে। একটি হচ্ছে চৈত্র মাসে অতিবৃষ্টি আর আরেকটি হলো কিছু মানুষের অতিলোভের কারণে। এ জন্য দায়ী পাউবো। এই সংস্থার প্রতি কৃষক ও মানুষের আর আস্থা নেই। ভবিষ্যতে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ আর পাউবোকে দিয়ে না করানোর আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির এই সাংসদ।
সংরক্ষিত আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সিলেট ও হবিগঞ্জের হাওরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হাওরের এই দুর্যোগকে অনেকেই বলছেন মানবসৃষ্ট। আমি এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, আমরা কি কখনো মার্চের শেষ দিকে এত বৃষ্টি দেখেছি। এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। সেটারও প্রভাব আছে। এখন হাওরকে নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। হাওরের মানুষকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।’
হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাকে অপরিসীম মন্তব্য করে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হুমায়ুন মনজুর চৌধুরী বলেন, ‘১২টি বাঁধের কাজ শুরুই হয়নি। আমি বলব অন্য যেগুলো হয়েছে, সেগুলোতেও প্রকৃত অর্থে কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় ভাষায় বলতে হয়, উড়া উড়া মাটি ফেলা হয়েছে। আমরা দুর্নীতির বিচার চাই।’ বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জেলার প্রত্যন্ত ধরমপাশা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় ৩৩ হাজার ১৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩ হাজার ৫১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। এ অবস্থায় হাওর এলাকায় এবার ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বাড়তে পারে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে। সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যক্ষ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পুরো বছরের বেতন মওকুফ করা এবং সবাইকে উপবৃত্তি দেওয়ার দাবি জানান।
‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক বজলুল মজিদ চৌধুরী বলেন, হাওর উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা হয়, কথা হয়, কিন্তু কাজ হয় না। প্রতিবছর হাওরের ফসল রক্ষায় বাঁধের নামে পাউবো ঠিকাদার ও পিআইসি লুটপাট করে। এবারও বাঁধ নির্মাণকাজে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। অসময়ে অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল—এসব বলে দুর্নীতিবাজদের দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মলয় চক্রবর্তী বলেন, পানিদূষণ নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তবে কাঁচা ধান পচে পানিদূষণের অবস্থা মোকাবিলার পন্থা কী হতে পারে, ভবিষ্যতে তা মানুষকে জানাতে হবে। এটি জেলা প্রশাসন অথবা মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে হতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জের খবর-এর সম্পাদক পঙ্কজ কান্তি দে, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জের সম্পাদক আলী হায়দার ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ। তাঁরা অভিন্ন সুরে বলেন, হাওরে ফসলহানির কান্না নতুন নয়। এ কান্নার মূলে রয়েছে কিছু মানুষের লোভ। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি বন্ধ না হলে হাওরের কান্না থামানো যাবে না।
সুনামগঞ্জে একের পর এক হাওর যখন ডুবছিল, তখন স্বেচ্ছাশ্রমে তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরকে রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা চলছিল। টানা ২৪ দিন রক্ষার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। শনির হাওরে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষার কাজে নিয়োজিত জনপ্রতিনিধিদের একজন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল ও জামালগঞ্জ উপজেলার বেহিলী ইউনিয়ন পরিষদের নারী ওয়ার্ড সদস্য মনেছা বেগম এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরি হাওরে পাহাড়ি ঢল মোকাবিলায় কৃষকদের ‘মানবঢাল’-এ অংশ নেওয়া কৃষক অমর চাঁদ দাশও আলোচনায় অংশ নেন।
তাঁরা তিনজন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে হাওরের মানুষ অভ্যস্ত। হাওর উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার চিন্তা থাকতে হবে। হাওরের জন্য পানি সমস্যা আবার আশীর্বাদও। পানি ধারণ করার ক্ষমতা বাড়াতে হাওরের নদ-নদী খনন করতে হবে। প্রয়োজনে নাব্যতা হারানো হাওরও খননের আওতায় আনতে হবে।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে হাওরের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রথম আলো এই আলোচনার আয়োজন করেছে। গোলটেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন