জিহ্বার রোগ

ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন, চলাফেরা করতে পারছেন, আবার মাঝে মাঝে একটু অসুস্ততা বোধ করা যা কিছুদিনের মধ্যে আপনাআপনিই কেটে যাচ্ছে। 
এইধরনের জীবনযাপন কম-বেশি সবাই করছেন। কেউই ঠিকঠাক মতো বলতে পারবেন না যে তিনি একেবারে পরিপূর্ণ সুস্থ একজন মানুষ। 
ছোটোখাটো অনেক অসুস্থতাই আমরা অবহেলা করে চুপচাপ বসে থাকি আপনাআপনি সেরে যাওয়ার জন্য। 
কিন্তু একবার ভাবুন তো যদি সত্যিকার অর্থেই মারাত্মক কিছু ঘটে যায় তাহলে? 
যদি আপনার ছোটোখাটো সমস্যা বড় কোনো রোগের লক্ষণ হয় তবে? 
অবহেলার কারণে হয়তো সে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। 
তাই সুস্থ থাকতে কোনো কিছুই অবহেলা করা উচিত নয়।
 যদি অসুস্থতা বোধ করেন তবে নিজে থেকেই একটু বুঝে নেয়ার চেষ্টা করুন কি হয়েছে। 
আজকে দেখে নিন নিজের জিহ্বার রঙের পরিবর্তনের মাধ্যমে কিভাবে রোগ নির্ণয় করতে পারবেন তার পদ্ধতি।


১) সাধারণ জিহ্বাঃ 
গোলাপি রঙের কোনো ধরণের রঙের পরিবর্তন ও লেয়ারের পরিবর্তন বিহীন জিহ্বা নিশ্চিত করে আপনার দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক কার্যকলাপ। 

২) পাতলা সাদা স্তর ও মাঝে মাঝে লালচে ফুটিঃ
 জিহ্বায় এই ধরণের পরিবর্তনের সাথে অতিরিক্ত দুর্বলতা, ক্ষুধা মন্দা এবং অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং উদ্বিগ্ন মনোমানসিকতার লক্ষণ। 

৩) জিহ্বার মাঝ বরাবর হলদে দাগ এবং কালচে লাল রঙের জিহ্বাঃ 
হজমে সমস্যা, পানিশূন্যতা, ত্বকের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। 

৪) জিহ্বার ওপরে সাদা মোটা স্তর এবং কিনার ফুলে যাওয়াঃ
 এই লক্ষণ প্রকাশ করে হজমে সমস্যা, দেহে পানি চলে আসা সমস্যা। এই সমস্যায় ভোগা রোগীরা অতিরিক্ত দুর্বলতা এবং সবসময় তন্দ্রাচ্ছন্নতা বোধ করেন। 

৫) হালকা বেগুনী রঙের জিহ্বা এবং কালচে ফুটিঃ 
এই ধরণের জিহ্বার পরিবর্তন ব্লাড কনজেশন, রক্তের শিরাউপশিরার সমস্যা, পা ফুলে যাওয়া, অতিরিক্ত মাথা ও বুকে ব্যথা, হার্টের সমস্যা এবং ত্বকের সমস্যা প্রকাশ করে। 

৬) পাতলা সাদা স্তর এবং জিহ্বার অগ্রভাগ লালচে হয়ে যাওয়াঃ 
মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ জিহ্বার এই ধরণের পরিবর্তন। নার্ভাস ব্রেক ডাউনের সম্ভাবনা থাকে।

 ৭) লালচে রঙের জিহ্বা এবং পাতলা সাদাটে স্তরঃ 
কোনো ধরণের ইনফেকশন এবং ত্বকের সমস্যার প্রধান লক্ষণ। দেহের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় এই সময়ে। 

৮) জিহ্বা ফ্যাকাসে হয়ে ফুলে উঠা এবং ওপরে সাদা মোটা স্তরঃ 
দেহে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি প্রকাশ করে। যদি এর পাশপাশি ত্বকের রঙও ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং তলপেট ব্যথা করে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

৯) জিহ্বায় ছোটো ছোটো ফাটা দাগঃ
 ফাংগাল ইনফেকশন, অনিদ্রা রোগ এবং ত্বকের সমস্যার লক্ষণ। 

১০) ফ্যাকাসে স্তরবিহীন জিহ্বাঃ 
রক্তস্বল্পতা, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট, স্মৃতিভ্রষ্টতা এবং মনোযোগের অভাব জনিত সমস্যার রোগের লক্ষণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
Bangla date add in your website HTML tips.
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...