শিশুর ডায়রিয়া হলে ৭টি করণীয়

ডায়রিয়া বাচ্চাদের খুব পরিচিত একটা রোগ।
এই সময় রোগটির প্রকোপও বেশি।
ডায়রিয়া মূলত খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। অর্থাৎ খাবার ও পানির মাধ্যমে জীবাণু শরীরের ভেতর প্রবেশ করে। ডায়রিয়া সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি শিশু মারাও যেতে পারে।
ডায়রিয়া সাধারণত তিন ধরনের। যেমন:

১. একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute Watery Diarrohea): পাতলা পায়খানা যদি ১৪ দিনের কম স্থায়ী হয় এবং পায়খানার সাথে কোন রক্ত না যায়।

২. পারসিসটেন্ট ডায়রিয়া (Persistent Diarrohea): পাতলা পায়খানা ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে।

৩. ডিসেন্ট্রি (Dysentery): রক্তমিশ্রিত পায়খানা।

চলুন জেনে নেয়া যাক একিউট ওয়াটারি ডায়রিয়া (Acute watery Diarrhea) বা সাধারণ পাতলা পায়খানার লক্ষণ ও হলে কি করনীয়।

কোন শিশুর দিনে ৩ বারের অধিক পাতলা পায়খানা হলে এবং পায়খানার সাথে কোন রক্তমিশ্রিত না থাকলে তা সাধারণ পাতলা পায়খানা হিসাবে ধরে নিতে হবে। এর কারন প্রধানত রোটা ভাইরাস, E. coli বা Vibrio cholerae ব্যাকটেরিয়া। এ সময় পাতলা পায়খানার সাথে শিশুর হালকা জ্বর ও বমি থাকতে পারে।

বিপদজনক লক্ষণ:


ডায়রিয়ার কিছু বিপদজনক লক্ষণ আছে যা সবার জানা প্রয়োজন। এর কোন একটা লক্ষণ দেখামাত্র চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। লক্ষণগুলো হচ্ছে-

১. শিশুর নিস্তেজ হয়ে পড়া,

২. চোখ বসে যাওয়া,

৩. বুকের দুধ টেনে খেতে না পারা,

৪. অন্য কোন তরল খাবার না খাওয়া বা খুব কম পরিমানে খাওয়া,

৫. বারবার বমি করা।

করণীয়:

১. ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। ফলে শিশুকে বারবার তরল খাবার যেমন: ডাবের পানি, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়, টক দই ও লবণ-গুড়ের শরবত ইত্যাদি বেশি করে খেতে দিতে হবে।

২. তরল খাবারের পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। শিশুর ওরস্যালাইন এর পরিমান হচ্ছে, প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ২৪ মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য ৫০-১০০ মিলি, ২-১০ বছর বয়সী ‍শিশুর জন্য ১০০-২০০ মিলি এবং ১০ বছর এর অধিক বয়সীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী।

৩. যারা বুকের দুধ খায় তাদেরকে বারবার বুকের দুধ দিতে হবে।

৪. শিশু যদি বমি করে তাহলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার খাওয়াতে হবে।

৫. তাজা ফলের রস দিলে পটাশিয়াম এর ঘাটতি পূরণ হবে।

৬. ডায়রিয়া ভাল হয়ে গেলেও পরবর্তী ২ সপ্তাহ শিশুকে এরকমভাবে বাড়তি খাবার প্রতিদিন দিতে হবে।

৭. চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যতীত কোন অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোন ওষুধ শিশুকে খাওয়ানো যাবে না (যেটা অনেক বাবা মা করে থাকেন)।

মনে রাখতে হবে, ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতার কারনে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার এখনো অনেক বেশি।
কিছু সামাজিক কুসংস্কারের কারনে আক্রান্ত শিশুকে সঠিক ভাবে পরিচর্যা করা হয় না বলেই আমাদের দেশের চিত্রটা এমন।
কিন্তু সঠিক জ্ঞান থাকলে ঘরে থেকেই ডায়রিয়া জনিত পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
Bangla date add in your website HTML tips.
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...