গুঁড়া মশলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ ব্যাবসা

জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ বিভিন্ন ধরণের আয় উপার্জনমূলক কাজের সাথে জড়িত। এর মধ্যে গুঁড়া মসলার ব্যবসা অন্যতম। উন্নত উপায়ে বিভিন্ন রকমের মসলা গুঁড়া করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। রান্নার কাজটি দ্রুত ও ঝামেলাহীন ভাবে শেষ করার জন্য বর্তমানে বাটা মসলার জায়গায় গুঁড়া মসলার ব্যবহার বাড়ছে। এর মধ্যে   জিরা, ধনিয়া, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা ইত্যাদি অন্যতম।
বাজার সম্ভাবনা
বর্তমানে গুঁড়া মসলার চাহিদা আগের তুলনায় বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি দরে বিভিন্ন রকমের মসলা কিনে পরিষ্কার পরিছন্নভাবে গুঁড়া করে উন্নত উপায়ে প্যাকেট করে বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। এছাড়া মসলার মান ভালো হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে। গুঁড়া মসলা তৈরির পর বিভিন্ন উপায়ে সেগুলো বাজারজাত করা যায়। যেমন :
  • মুদি দোকানে সরবরাহ করা যেতে পারে।
  •  অনেক সময় ক্রেতা বাড়িতে এসেই কিনে নিয়ে যেতে পারে।
  • নিজের তৈরি পণ্যের প্রচার চালানোর জন্য প্রথমে প্রতিবেশীদেরকে জানানো যেতে পারে, স্থানীয় দোকানীর সাথে যোগাযোগ করা যায়। আবার পণ্যের বর্ণনা করে লিফলেট তৈরি করেও বিলি করা যেতে পারে।
মূলধন
আনুমানিক ৭০০০-৮০০০ টাকা মূলধন নিয়ে গুঁড়া মসলার ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বড় আকারে মসলার ব্যবসা শুরু করতে নিজের কাছে যদি প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে ঋণ দানকারী ব্যাংক বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপকরণপরিমাণমূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
স্থায়ী উপকরণ 
উপকরণ
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
পাঞ্চ  মেশিন
১টি
১৪০০-১৫০০
যন্ত্রপাতি বিক্রির দোকান
দাঁড়িপাল্লা
১ সেট
১৪০-১৫০
হার্ডওয়ারের দোকান
প্লাস্টিকের গামলা (বড়)
১টি
১২০-১৫০
তৈজসপত্রের দোকান
চামচ (বড়)
১টি
৪০-৪৫
তৈজসপত্রের দোকান
মোট=১৭০০-১৮২৫ টাকা
কাঁচামাল
উপকরণের নাম
পরিমাণ
আনুমানিক মূল্য (টাকা)
প্রাপ্তিস্থান
মরিচ
১০ কেজি
১৭৫০-১৮০০
পাইকারী দোকান
হলুদ
১০ কেজি
১৪৫০-১৫০০
পাইকারী দোকান
জিরা
১০ কেজি
৩০৫০-৩১০০
পাইকারী দোকান
মোট=৬২৫০-৬৪০০ টাকা
গুড়া মসলা তৈরি ও প্যাকেটজাতকরণ
১ম ধাপ
যে মসলা গুঁড়া করা হবে সেগুলো বাজারের পাইকারী দোকান থেকে কিনতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মসলাগুলো যেন শুকনো হয়।
২য় ধাপ  
মসলাগুলো ঝেড়ে ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। মরিচের ক্ষেত্রে বোঁটা ফেলে দিতে হবে।
৩য় ধাপ
এরপর মসলাগুলো মিলে নিয়ে গিয়ে গুঁড়া করে আনতে হবে।
৪র্থ ধাপ
নিদির্ষ্ট পরিমাণ গুঁড়া মসলা মেপে পলি প্রোপাইলিন প্যাকেটে ভরে পাঞ্চ মেশিন দিয়ে প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
খরচ 
মেশিনে গুঁড়া করতে খরচ হয়-
১০ কেজি হলুদ
৩০ টাকা
১০ কেজি মরিচ
৮০ টাকা
১০ কেজি জিরা
১০০ টাকা
মোট=২১০ টাকা

যন্ত্রপাতির ক্রয় বাবদ
৭-৮ টাকা
কাঁচামাল বাবদ
৬২৫০-৬৪০০ টাকা
মিলে গুঁড়া করা বাবদ
২১০ টাকা
মোট=-৬৫০৭-৬৬৬৮ টাকা
আয়  
১ কেজি হলুদ গুঁড়া বিক্রি হয়=১৯৫ টাকা
১০ কেজি হলুদ গুঁড়া বিক্রি হয়=১৯৫০ টাকা
১ কেজি মরিচ গুঁড়া বিক্রি=২৭৫ টাকা
১০ কেজি মরিচ গুঁড়া বিক্রি হয়=২৭৫০ টাকা
১ কেজি জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৪০০ টাকা
১০ কেজি জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৪০০০ টাকা
১০ কেজি হলুদ, মরিচ ও জিরা গুঁড়া বিক্রি হয়=৮৭০০ টাকা 
লাভ  
৩০ কেজি গুঁড়া মসলা থেকে আয়
৮৭০০ টাকা
৩০ কেজি গুঁড়া মসলা বাবদ ব্যয়
৬৫০৭-৬৬৬৮ টাকা
লাভ=২১৯৩-২০৩২ টাকা
অর্থাৎ ২০৩২-২১৯৩ টাকা লাভ করা সম্ভব। তবে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কম বা বেশি হওয়ার সাথে সাথে লাভের পরিমাণও কম বা বেশি হতে পারে।
সতর্কতা
  • যে মসলা গুলো গুঁড়া করা হবে সেগুলো যেন দোষমুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্য: 
তথ্য আপা প্রকল্প

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
Bangla date add in your website HTML tips.
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...