Recent post

শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০১৭

হতাশা দূর করতে



হতাশাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। 
এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শরীরের ওপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। 
এটি একটি মানসিক অবস্থা যা আমাদের মন খারাপ করে এবং প্রতিদিনের কাজে আগ্রহ হারায়। বিভিন্ন কারণে একজন মানুষ ডিপ্রেশন বা হতাশায় ভুগতে পারেন। 
 হতাশা এমন একটি জিনিস যা মানুষকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। 
 লো বা হাই ব্লাড প্রেশার, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এমনকি ডায়াবেটিসও হতে পারে দীর্ঘদিন স্ট্রেস থাকার কারণে।
তাই হতাশাকে বাড়তে না দিয়ে এটি প্রতিরোধ করা উচিত।
 কিছু খাবার আছে যা হতাশা কমাতে সাহায্য করে।

১। টমেটো
হতাশা দূর করতে টমেটো বেশ কার্যকরী একটি খাবার।
এর ফলিক অ্যাসিড এবং আলফা লিপোক অ্যাসিড হতাশা দূর করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা হতাশায় ভুগে থাকেন তাদের নিয়মিত টমেটো খাওয়া হতাশা দূর করতে সাহায্য করে।

২। কাজুবাদাম
কাজুবাদাম জিঙ্কের অন্যতম উৎস। 
এক আউন্স কাজুবাদামে ১১% আরডিএ (RDA) পরিমাণ জিঙ্ক রয়েছে। অর্থাৎ জিঙ্কের দৈনিক চাহিদার ১১ শতাংশ দিতে পারে এক আউন্স কাজুবাদাম।
শরীরে জিঙ্কের অভাব দেখা দিলে হতাশা, উদ্বেগ দেখা দেয়।
আমাদের শরীর জিঙ্ক সংরক্ষণ করে রাখে না, তাই প্রতিদিন অল্প পরিমাণের হলেও জিঙ্ক খাওয়া উচিত।
এটি আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করে মন ভাল করে দেয়।

৩। মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন এবং ভিটামিন বি৬ রয়েছে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
এটি হতাশা দূর করতেও বেশ কার্যকর।

৪। পেঁয়াজ এবং রসুন

অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি আপনার মুড পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ এবং রসুন রাখুন।

৫। অ্যাভাকাডো

অ্যাভাকাডো মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন বি, সি,ই এবং কে রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

৬। ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেট মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
ডার্ক চকলেটে থাকা পলিফেনল মানসিক অবস্থা উন্নত করে।
এছাড়া এটা রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। খুব বেশি স্ট্রেস অথবা মন খারাপের সময় এক টুকরো ডার্ক চকলেট খান।
আর দেখুন নিমিষে মন ভাল হয়ে গেছে।

৭। আপেল
মনোবিজ্ঞানী দূরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বেরি, আপেলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা সেলুলার স্তরে ইনফ্লামেশন মেরামত করে থাকে।
দ্রবণীয় আঁশ হওয়ার এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
ছোটখাটো ক্ষুধা মেটাতে একটি আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৮। পালংশাক
উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই পালং শাক ক্লান্ত বিষণ্ণতা দূর করে থাকে।
এছাড়া এই শাক ভিটামিন এ, বি, সি এবং আয়রনের চমৎকার উৎস। 
সেই সাথে এতে থাকা প্রোটিন দেহের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।

সূত্র: বোল্ড স্কাই

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts