Recent post

শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭

আত্মহত্যা ঠেকাতে ফেসবুকের উদ্যোগ



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে আত্মহত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটছে! এদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৫ থেকে ২৯-এর মধ্যে।
এ বয়সীদের বেশির ভাগই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। 
সুতরাং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই মানুষদের জীবনমুখী করার ব্যাপারে ফেসবুক কীভাবে অবদান রাখতে পারে, এ নিয়ে কাজ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। 
যার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হলো বুধবার থেকে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ আত্মহত্যার এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করে এ থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। 
আত্মহত্যার প্রবণতা কমানোর জন্য ফেসবুক গত বুধবারে একটি নতুন প্রোগ্রাম বা টুল চালু করেছে, যা আত্মহত্যা করতে চাওয়া মানুষটিকে আত্মঘাতী এ সিদ্ধান্ত থেকে সরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

ধরুন আপনি ফেসবুকে নিজের নিউজফিড স্ক্রল করে দেখছেন।
 হঠাৎ আপনার চোখ আটকে গেল। দেখলেন, আপনার বন্ধুতালিকার কোনো একজন খুব আত্মহত্যাপ্রবণ স্ট্যাটাস দিয়েছে কিংবা ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমে এসে হতাশামূলক কথাবার্তা বলছে। আপনি বুঝতে পারছেন, লোকটি আত্মহননমূলক কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। 
আপনি উদ্বিগ্ন, আপনি তাকে বাঁচাতে চাইছেন।
 তখন আপনি কী করবেন? 
‘সুইসাইড প্রিভেনশন টুল’ নামের ফেসবুকের নতুন সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন।
 এই নতুন সুবিধার মাধ্যমে আপনি আপনার উদ্বিগ্নতার কারণ ফেসবুককে জানাতে পারবেন। 
এতে সেই মানুষকে তৎক্ষণাৎ কিছু সাহায্য পাঠাবে ফেসবুক। 
এর মধ্যে থাকবে বন্ধুর কাছে বার্তা, হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার সুবিধা অথবা কঠিন সময়ে দৃঢ় থাকার কৌশল ও পরামর্শ।

ফেসবুক গবেষক জেনিফার গুয়াদাগনো বলেন, ‘অনেকে হয়তো লাইভ স্ট্রিম কেটে ফেলার কথা ভাবতে পারে। 
কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, লাইভ স্ট্রিম কেটে ফেলা মানে হয়তো ওই ব্যক্তির বেঁচে থাকার একটি সুযোগ নষ্ট করা।
 হয়তো অন্য কেউ লাইভ স্ট্রিম দেখে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসত।’

আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষদের নিয়ে কাজ করে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্রাইসিস টেক্সট লাইনের সঙ্গে উদ্যোগটি নিয়েছে ফেসবুক।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts