Recent post

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন?

আমরা সবাই কমবেশি অপরের দ্বারা প্রভাবিত হই। মাঝেমধ্যে এই প্রভাব আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। অনেক সময় এই প্রভাবই আমাদের ব্যক্তিগত দক্ষতার জায়গাটায় ক্ষত সৃষ্টি করে।
খুব সহজ আটটি উপায়ে আপনি বুঝতে পারবেন কোন নেতিবাচক প্রভাবের চোরাবালিতে আটকা পড়তে যাচ্ছেন:
আপনাকে প্রভাবিত করার জন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করছেন না তো সঙ্গী। 

কৌশলীর প্রভাবে নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ

যখনই কেউ আপনাকে মানসিকভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবেন, তিনি প্রথম থেকেই চেষ্টা করবেন আপনার দক্ষতার ওপর তাঁর নিজস্ব মতামত প্রতিষ্ঠা করার। 
সবচেয়ে বাজে বিষয় হচ্ছে, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তাঁরা মিথ্যার আশ্রয় নেন। 
আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আপনি নিজেই একটি দোদুল্যমান অবস্থায় চলে যাবেন।

তাঁদের কথা এবং কাজের অমিল

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের মানুষের কথায় এবং কাজে বিস্তর ফারাক দেখা যায়।
 তাঁরা আপনাকে ঠিক সেভাবে বোঝাবেন কিংবা সেভাবেই কথা বলবেন যেভাবে আপনি শুনলে ভালো বোধ করবেন। 
অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা আপনাকে সাহায্যের আশ্বাসও দেবেন, কিন্তু কার্যত তার দেখা পাওয়া যাবে না। তখন এই সাহায্যের আবেদনকে তাঁরা অহেতুক কিংবা অপ্রাসঙ্গিক হিসেবে উড়িয়ে দেবেন।

আপনার অপরাধবোধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার

আপনাকে যাঁরা মানসিকভাবে প্রলুব্ধ করতে চাইবেন, তাঁরা সব সময় আপনার অপরাধবোধকে কাজে লাগাবেন।
 তাঁরা আপনি যে ভুলগুলো করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে কথা বলবেন, যাতে করে আপনি আপনার নিজের চোখে ছোট থাকেন।
 তাঁদের চোখে, আপনার নেওয়া সব সিদ্ধান্ত ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়। 
ফলে আপনি ধীরে ধীরে অন্যের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হতে শুরু করবেন।

আপনি ক্ষতিকারক

যাঁরা মানসিক কৌশল ব্যবহার করেন, তাঁদের আরেকটি দিক হলো তাঁরা দোষত্রুটির ঊর্ধ্বে। 
তাঁদের সব ক্ষতির কারণ অপরের ক্ষতি করার ইচ্ছা থেকে। 
এমনকি এমন একসময় আসবে, যখন আপনিও নিজেকে তাঁর জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে ভাবতে শুরু করবেন। 
এখানে উল্লেখ্য, এটি আপনি নিজের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে বাধ্য করে।

দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল
যাঁরা আপনাকে প্রভাবিত করতে চান, তাঁরা আপনার দ্রুত প্রতিক্রিয়া আশা করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা চান আপনি তাঁদের মনমতো প্রতিক্রিয়া করবেন। যেটা কিনা আপনার পক্ষে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে।

সাময়িক পরহিতকারী
মানসিকভাবে প্রলুব্ধকারী একসময় পরহিতকারী হলেও খুব দ্রুত তাঁদের রূপ বদলে যায়। 
তাঁরা আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলবেন, যাতে আপনি নিজেকে তুচ্ছ মনে করবেন। আপনি বুঝবেন, আপনি আসলে তাঁর সাহায্যপ্রার্থী। 
তাঁর সাহায্য ছাড়া আপনি কিছু করতে পারবেন না।

কৌশলী আপনার চেয়ে দুঃখী

এ ধরনের মানুষ নিজের সমস্যাগুলোকে বড় করে দেখেন।
 তাঁদের কাছে আপনার সমস্যাগুলো খুব ছোট। তাঁদের ধারণা, আপনার কারণেই আপনি এই সমস্যায় পতিত হয়েছেন।

দুর্বলতার সদ্ব্যবহার
যেহেতু আপনি তাঁকে আপনার দুর্বল দিকগুলো প্রকাশ করে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে আপনার দুর্বল দিকগুলোই তাঁর জন্য আঘাতের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। 
তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে সেগুলো আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেন। এবং যখন কেউ আমাদের দুর্বল দিকগুলো জানেন, তখন আমরাও তাঁদের কাছ নিজেদের সমর্পণ করি।

আমরা আমাদের মানসিক ব্যাপারগুলো নিয়ে নানা সময়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়ি, কিন্তু যেকোনো মানসিক সমস্যায় আমাদের উচিত অন্যের ব্যবহার বুঝে এগিয়ে যাওয়া। 
কেননা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনেকে এর সুযোগ নিতে চান, যা সাময়িকভাবে সাহায্য করলেও স্থায়ী কোনো সমাধান দেয় না।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts