যারা মওলায়ে শেরে খোদা হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বে-হক্ব বা বাতিল জানবে তারা সবাই কাফের ও এদের স্ত্রী তালাক হবেঃ
{বর্তমান বিশ্বের 70% আলেম জাহিল,মুনাফিক ও বাদাইম্মা কাফের৷সওদী ওহাবী আলেমরা ও কাফের}
এক নজরে হযরত আলী রা. এর নুরানী মর্যাদা সম্পর্কে সহীহ 69 টি হাদিস নিম্নে উপস্থাপন করলামঃ
১. মুমিনদের আমলনামার শিরোনাম রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋُﻨْﻮَﺍﻥُ ﺻَﺤِﻴﻔَﺔِ ﺍﻟْﻤُﺆﻣِﻦِ ﺣُﺐُّ ﻋَﻠِﻲِّ ﺑْﻦِ ﺃََﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ .
মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা।
(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০, তারীখে বাগদাদ : ৪:৪১০)
২. আরবের সরদার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﺳَﻴِّﺪُ ﻭُﻟْﺪِ ﺁﺩَﻡ، ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﺳَﻴِّﺪُ ﺍﻟْﻌَﺮَﺏِ .
আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী আরবদের সরদার।
(আল মু’জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১, ইমাম আলী (আঃ) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:২৬২/৭৮৯, কানযুল উম্মাল-১১-১৮/
৩৩০০৬)।
৩. হিকমতের দরজা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﺩَﺍﺭُ ﺍﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ، ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﺑَﺎﺑُﻬَﺎ .
আমি হিকমতের গৃহ আর আলী তার দরজা।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪, আল জামিউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৪)
৪. জ্ঞানের নগরীর দরওয়াযা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﻣَﺪِﻳﻨَﺔُ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢِ ﻭَ ﻋَﻠﻲُّ ﺑَﺎﺑُﻬَﺎ، ﻓَﻤَﻦْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔَ ﻓَﻠْﻴَﺄﺕِ ﺍﻟﺒَﺎﺏَ .
আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী তার তোরণ। কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাকে তোরণ বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭, জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯, উসুদুল গবাহ্ ৪:২২, তারীখে বাগদাদ ১১:৪৯-৫০, আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২, আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫)
৫. উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺍُﻣَّﺘِﻲ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻱ ﻋَﻠِﯽُّ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ .
আমার পরে আলী হলো আমার উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭, আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)
৬. মহানবী (সা.)-এর ভাই
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ
ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﺧِﻲ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَ ﺍﻟْﺎَﺧِﺮَﺓ .
তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২৪)
৭. রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর মনোনীত
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻣَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲّ، ﺃَﻧْﺖَ ﺻَﻔِﻴِّﻲ ﻭَ ﺃﻣِﻴﻨِﻲ .
আর তুমি হে আলী! তুমি আমার মনোনীত এবং আমার আমানতদার।
(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)
৮. মহানবী (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত
হুজুর (সা.) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺃَﺧِﻲ ﻭَ ﻭَﺻِﻴِّﻲ ﻭَ ﺧَﻠِﻴﻔَﺘِﻲ ﻓِﻴﻜُﻢْ، ﻓَﺎﺳْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَ ﺃَﻃِﻴﻌُﻮﻩ .
জেনে রেখো যে, সে তোমাদের মাঝে আমার ভাই, উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং তার আনুগত্য করবে।
(তারীখে তাবারী ২:২১৭, আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪, মাআলিমুত্ তানযীল ৪:২৭৮)
৯. মুমিনদের অভিভাবক
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇﻥَّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻭَﻟِﻴُّﻜُﻢْ ﺑَﻌْﺪِﻱ .
নিশ্চয় আলী আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩, আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)
১০. বিচারের সিংহাসনে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻗْﻀَﻲ ﺍُﻣَّﺘِﻲ ﻋَﻠﻲُّ .
আলী আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা বিচক্ষণ বিচারক
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭, মানাকিবে খারেযমী ৩০, যাখায়িরুল উকবা ৮৩)
১১. উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিল
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﺣُﺠَّﺔٌ ﻋَﻠَﻲ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ .
কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী।
(তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)
১২. মহানবী (সা.)-এর একই বংশধারা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻧَﺎ ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣِﻦْ ﺷَﺠَﺮَﺓٍ ﻭَﺍﺣِﺪَﺓٍ، ﻭَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻣِﻦْ ﺃﺷْﺠَﺎﺭٍ ﺷَﺘَّﻲ .
আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে, আর অন্যেরা (মানুষ) বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।
(আল মানাকিব – ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩, আল ফেরদৌস ১: ৪৪/১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)
১৩. উম্মতের হেদায়াতকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃﻧَﺎ ﺍﻟْﻤُﻨْﺬِﺭُ ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﺍﻟْﻬَﺎﺩِﻱ، ﺑِﻚَ ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ ﻳَﻬْﺘَﺪِﻱ ﺍﻟْﻤُﻬْﺘَﺪُﻭﻥَ .
আমি হলাম সাবধানকারী। আর হে আলী! তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।
(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২, ইমাম আলী (আ.) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির ২:৪১৭/৯২৩)
১৪. জাতির পথ-প্রদর্শক
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ
ﺃﻧْﺖَ ﺗُﺒَﻴِّﻦُ ﻟِﺄُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﺍﺧْﺘَﻠَﻔُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﺑَﻌْﺪِﻱ .
আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩, আল ফেরদৌস ৫:৩৩২/৮৩৪৯, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)
১৫. মহানবী (সা.)-এর থেকে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃﻧْﺖَ ﻣِﻨِّﻲ ﻭَ ﺃَﻧَﺎ ﻣِﻨْﻚَ .
তুমি আমা থেকে আর আমি তোমা থেকে।
(সহীহ বুখারী ৪:২২, ৫:৮৭, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬, মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও ১৮৬/১০৪৮, তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)
১৬. মুমিনদের কর্তৃত্বের অধিকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ
ﺃﻧْﺖَ ﻭَﻟِﻲُّ ﻛُﻞِّ ﻣُﺆﻣِﻦٍ ﻭَ ﻣُﺆﻣِﻨَﺔٍ ﺑَﻌْﺪِﻱ .
আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪, আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী ১২:৭৮/১২৫৯৩)
১৭. আদর্শের পথে শহীদ
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলীকে বলেনঃ
ﺃﻧْﺖَ ﺗَﻌِﻴْﺶُ ﻋَﻠَﻲ ﻣِﻠَّﺘِﻲ، ﻭَ ﺗُﻘْﺘَﻞُ ﻋَﻠَﻲ ﺳُﻨَّﺘِﻲ .
তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে, আর আমার আদর্শের পথেই শাহাদাত বরণ করবে।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)
১৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রাণ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇِﻥَّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻣِﻨِّﻲ، ﻭَ ﺃََﻧَﺎ ﻣِﻨْﻪُ، ﻭَ ﻫُﻮَ ﻭَﻟِﻲُّ ﻛُﻞِّ ﻣُﺆﻣِﻦٍ ﺑَﻌْﺪِﻱ .
নিশ্চয় আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে। আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।
(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩, মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী
১৮: ১২৮/২৬৫, হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ৬:২৯৬)
১৯. মহানবী (সা.)-এর হারুন
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ
ﺃﻧْﺖَ ﻣِﻨِّﻲ ﺑِﻤَﻨْﺰِﻟَﺔِ ﻫَﺎﺭُﻭﻥَ ﻣِﻦْ ﻣُﻮﺳَﻲ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻧَﺒِﻲَّ ﺑَﻌْﺪﻱ .
আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০, মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২, সহীহ মুসলিম ৪:৪৪/৩০)
২০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﺑْﺸِﺮْ ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ، ﺣَﻴَﺎﺗُﻚَ ﻣَﻌِﻲ ﻭَ ﻣَﻮﺗُﻚ ﻣَﻌِﻲ .
হে আলী! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।
(ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫, ৯৪৭, মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২, কানযুল উম্মাল ১৩: ১৪৪/৩৬৪৫৩)
২১. সর্বপ্রথম নামাযী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃََﻭَّﻝُ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻲ ﻣَﻌِﻲ ﻋَﻠِﻲٌّ .
সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামায পড়েছে সে হলো আলী।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২, আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)
২২. শ্রেষ্ঠতম পুরুষ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺧَﻴْﺮُ ﺭِﺟَﺎﻟِﻜُﻢْ ﻋَﻠِﻲُّ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ .
আলী ইবনে আবি তালিব তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।
(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২, মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)
২৩. উম্মতের পিতা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺣَﻖُّ ﻋَﻠِﻲٍّ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ ﺣَﻖُّ ﺍﻟﻮَﺍﻟِﺪِ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ .
মুসলমানদের ওপর আলীর অধিকার, সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।
(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০, ইমাম আলী – ইবনে আসাকির ২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)
২৪. ইবাদতের সারসত্য
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺫِﻛْﺮُ ﻋَﻠِﻲٍّ ﻋِﺒَﺎﺩَﺓٌ .
আলীকে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।
(কানযুল উম্মাল ১১, ৬০১/৩২৮৯৪, আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১, ওসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ: ৫ আল কাসাম ২:১৬৮)
২৫. মজলিসের সৌন্দর্য
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺯَﻳِّﻨُﻮﺍ ﻣَﺠَﺎﻟِﺴَﻜُﻢْ ﺑِﺬِﻛْﺮِ ﻋَﻠِﻲٍّ .
তোমাদের মজলিসগুলোকে আলীর নাম উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমন্ডিত করো।
(আল মানাকিব – ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)
২৬. সর্বদা সত্যের সাথে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺭَﺣِﻢَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠِﻴّﺎً ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺩِﺭِ ﺍﻟْﺤَﻖَّ ﻣَﻌَﻪُ ﺣَﻴْﺚُ ﺩَﺍﺭَ .
আল্লাহ আলীর ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে আল্লাহ! আলী যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪, ইমাম আলী (আ.) – ইবনে আসাকির, ৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)
২৭. রাসূলুললাহ (সা.)-এর গোপন রহস্যের আধার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺻَﺎﺣِﺐُ ﺳِﺮِّﻱ ﻋَﻠِﻲُّ ﺍﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ .
আলী আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার
(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩, আল ইমাম আলী (আ.) – ইবনে আসাকির ২:৩১১/৮২২)
২৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জ্ঞানের ভান্ডার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺧَﺎﺯِﻥُ ﻋِﻠْﻤِﻲ .
আলী আমার জ্ঞানের ভান্ডার।
(শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)
২৯. সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺒَﺮِﻳَّﺔِ .
আলী সৃষ্টিকুলের সেরা।
(আল ইমাম আলী (আ.) – ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯, মানাকিবে খারেযমী : ৬২)
৩০. মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺒَﺸَﺮِ، ﻣَﻦْ ﺃَﺑَﻲ ﻓَﻘَﺪْ ﻛَﻔَﺮَ .
আলী সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, যে তা মানবে না সে নিঃসন্দেহে কাফের।
(সিয়ারু আ’লামুন নুবালা ৮:২৫০, ইমাম আলী (আঃ)-ইবনে আসাকির ২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬, তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)
৩১. জ্ঞানের আধার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻋَﻴْﺒَﺔُ ﻋِﻠْﻤِﻲ .
আলী আমার জ্ঞানের আধার।
(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)
৩২. সর্বদা কুরআনের সাথে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ ﻭَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥُ ﻣَﻊَ ﻋَﻠِﻲٍّ .
আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২)
৩৩. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকটে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣِﻨِّﻲ ﺑِﻤَﻨْﺰِﻟَﺔِ ﺭَﺃﺳِﻲ ﻣِﻦْ ﺑَﺪَﻧﻲ .
আমার নিকটে আলী আমার শরীরে যুক্ত আমার মাথার ন্যায়।
(তারীখে বাগদাদ ৭:১২, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪)
৩৪. আল্লাহর নিকটে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣِﻨِّﻴﻜَﻤَﻨْﺰِﻝﻲِﺗَ ﻣِﻦْ ﺭَﺑِّﻲ .
আমার নিকটে আলীর মর্যাদা হলো যেমন আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।
(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭, যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)
৩৫. কেয়ামতের দিন বিজয়ী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻭَ ﺷِﻴﻌَﺘُﻪُ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺋِﺰُﻭﻥَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ .
আলী এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিন বিজয়ী।
(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৭০)
৩৬. বেহেশতের তারকা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻳَﺰْﻫَﺮُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻛَﻜَﻮْﻛَﺐِ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ ﻟِﺄَﻫْﻞِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ .
আলী বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।
(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)
৩৭. তাকে কষ্ট দিও না
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻣَﻦْ ﺁﺫَﻱ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻓَﻘَﺪْ ﺁﺫَﺍﻧِﻲ .
যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে কষ্ট দেয়।
(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২, দালায়িলুন নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫, আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)
৩৮. আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻟَﺎﺗَﺴُﺒُّﻮﺍ ﻋَﻠِﻴّﺎً، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻣَﻤْﺴُﻮﺱٌ ﻓِﻲ ﺫَﺍﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ .
তোমরা আলীকে গালমন্দ করো না। সে আল্লাহর সত্তায় মিশে গেছে্
(আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪, হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০১৭)
৩৯. মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে না
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻣُﻨَﺎﻓِﻖٌ، ﻭَ ﻻَ ﻳُﺒْﻐِﻀُﻪُ ﻣُﺆﻣِﻦٌ .
মুনাফিকরা আলীকে ভালোবাসে না, আর মুমিন তাঁকে ঘৃণা করে না।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭, আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৮৯)
৪০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হক (অধিকার) পূরণকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣِﻨِّﻲ ﻭَ ﺃَﻧَﺎﻣِﻦْ ﻋَﻠِﻲٍّ، ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺆَﺩِّﻱ ﻋَﻨِّﻲ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧَﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠِﻲٌّ .
আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে, আমি আর আলী ব্যতীত কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।
(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯, মুসনাদে আহমাদ ৪:১৬৪)
৪১. মুসলমানদের সরদার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺳَﻴِّﺪُ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﻭَ ﺇِﻣَﺎﻡُ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ، ﻭَ ﻗَﺎﺋِﺪُ ﺍﻟْﻐُﺮِّ ﺍﻟْﻤُﺤَﺠَّﻠِﻴﻦَ .
আলী মুসলমানদের সরদার, পরহেযগারদের নেতা এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮, আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)
৪২. নাজাত দানকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺣُﺐُّ ﻋَﻠِﻲٍّ ﺑَﺮَﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ .
আলীর প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে মুক্তির কারণ।
(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)
৪৩. ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচল
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻖُ ﺍﻟْﺎَﻛْﺒَﺮُ، ﻭَ ﻓَﺎﺭُﻭﻕُ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟْﺎُﻣَّﺔِ، ﻭَ ﻳَﻌْﺴُﻮﺏُ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ .
আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ, উম্মতের মধ্যে হক ও বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)
৪৪. তাঁকে অভিসম্পাত করো না
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻣَﻦْ ﺳَﺐَّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻓَﻘَﺪْ ﺳَﺒَّﻨِﻲ .
যে ব্যক্তি আলীকে গালমন্দ করে সে যেন আমাকেই গালি দিল।
(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক – ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬, ফাযায়েলুস সাহাবা ২:৫৯৪/
১০১১, খাসায়েসে নাসায়ী :২৪, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১, মানাকিবে খারেযমী : ৮২)
৪৫. আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ، ﻟَﺎ ﺗَﺸْﻜُﻮﺍ ﻋَﻠِﻴّﺎً، ﻓَﻮ ﺍﻟﻠﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺄَﺧْﺸَﻦُ ﻓِﻴﺬَﺍﺗِﺎﻟﻠﻪِ، ﺃَﻭْ ﻓِﻲ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ .
হে লোকসকল! আলীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।
(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)
৪৬. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নজির
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻧَﺒِﻲٍّ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَ ﻟَﻪُ ﻧَﻈِﻴﺮٌ ﻓِﻲ ﺍُﻣَّﺘِﻪِ ﻭَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﻧَﻈِﻴﺮِﻱ .
এমন কোনো নবী নেই যার উম্মতের মধ্যে তাঁর দৃষ্টান্ত কেউ ছিল না। আর আমার দৃষ্টান্ত হলো আলী ইবনে আবি তালিব।
(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১২০, যাখায়েরুল উকবা: ৬৪)
৪৭. পাপ ধ্বংসকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺣُﺐُّ ﻋَﻠِﻲِّ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﺄْﻛُﻞُ ﺍﻟﻨَّﺎﺭُ ﺍﻟْﺤَﻄَﺐَ .
আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।
(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০, কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১, আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)
৪৮. অন্তরসমূহের কা’বাস্বরূপ
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ
ﺃَﻧْﺖَ ﺑِﻤَﻨْﺰِﻟَﺔِ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﺔِ ﺗُﺆْﺗَﻲ ﻭَ ﻟَﺎﺗَﺄﺗِﻲ .
তুমি কা’বার ন্যায়। সবাই তোমার কাছে আসে কিন্তু তুমি কারো কাছে যাও না।
(উসুদুল গবাহ ৩১৪৬)
৪৯. তার দিকে তাকাও…
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
َﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ ﺇِﻟَﻲ ﻭَﺟْﻪِ ﻋَﻠِﻲٍّ ﻋِﺒَﺎﺩَﺓٌ .
আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও ২১০/২৫২-২৫৩, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২, আর রিয়াদুন্ নাদ্রাহ ৩:১৯৭)
৫০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওয়াসী
রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ
ﻫَﺬَﺍ ﺃَﺧِﻲ ﻭَ ﻭَﺻِﻴِّﻲ ﻭَ ﺧَﻠِﻴﻔَﺘِﻲ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻱ، ﻓَﺎﺳْﻤَﻌُﻮﺍ ﻟَﻪُ ﻭَ ﺃَﻃِﻴﻌُﻮﻩ .
এ হলো আমার ভাই, আর আমার পরে আমার ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।
(তারীখে তাবারী ২:৩৩১, মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯, আল কামিল ফিত তারীখ ২:৬৩, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১, কানযুল উম্মাল ১৩:১৩১)
৫১. ফেরেশতাকুলের দরূদ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇﻥَّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِِﻜَﺔَ ﺻَﻠَّﺖْ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭ ﻋَﻠَﻲ ﻋَﻠِﻲٍّ ﺳَﺒﻊَ ﺳِﻨِﻴْﻦَ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳُﺴْﻠِﻢَ ﺑَﺸَﺮٌ .
কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলীর ওপর দরূদ পাঠাতো।
(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯, মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)
৫২. ঈমানের মানদন্ড
রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী (আ.) কে বলেনঃ
ﻟَﻮْﻟَﺎﻙَ ﻣَﺎ ﻋُﺮِﻑَ ﺍﻟْﻤُﺆﻣِﻨُﻮﻥَ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻱ .
যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।
(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭৩, আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১, কানযুল উম্মাল ১৩ :১৫২/৩৬৪৭৭)
৫৩. সর্বদা সত্যের সাথে
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻭَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ ﻣَﻊَ ﻋَﻠِﻲٍّ، ﻟَﻦْ ﻳَﻔْﺘَﺮِﻗَﺎ ﺣَﺘَّﻲ ﻳَﺮِﺩَﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﺍﻟْﺤَﻮﺽِ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ .
আলী সত্যের সাথে আর সত্য আলীর সাথে, এই দুটো কখনো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত হবে।
(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১, ইমাম আলী (আঃ).) – ইবনে আসাকির ৩:১৫৩/১১৭২)
৫৪. তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না!
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻣَﻦْ ﻓَﺎﺭَﻕَ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻓَﻘَﺪْ ﻓَﺎﺭَﻗَﻨِﻲ ﻭَ ﻣَﻦْ ﻓَﺎﺭَﻗَﻨِﻲ ﻓَﻘَﺪْ ﻓَﺎﺭَﻕَ ﺍﻟﻠﻪَ ﻋَﺰَّﻭَﺟَﻞَّ .
যে ব্যক্তি আলী থেকে পৃথক হয় সে আমা থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪, আল মু’জামুল কাবীর- তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)
৫৫. মহানবী (সা.)-এর জ্ঞানের দরওয়াযা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻋَﻠِﻲٌّ ﺑَﺎﺏُ ﻋِﻠْﻤِﻲ، ﻭَ ﻣُﺒَﻴِّﻦُ ﻟِﺎُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﺍُﺭْﺳِﻠْﺖُ ﺑِﻪِ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪﻱِ، ﺣُﺒُّﻪُ ﺍِﻳﻤَﺎﻥٌ، ﻭ ﺑُﻐْﻀُُﻪُ ﻧِﻔَﺎﻕٌ ﻭَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﺭَﺃْﻓَﺔٌ .
আলী আমার জ্ঞানের দরওয়াযা। সে আমার পরে আমার রেসালাতকে আমার উম্মতের জন্যে ব্যাখ্যা করবে। তাকে ভালোবাসা ঈমানের পরিচায়ক, তাকে ঘৃণা করা মুনাফিকের পরিচায়ক এবং তার দিকে তাকানো প্রশান্তির কারণ।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৮১, আল ফেরদৌস ৩:৬৫/৪১৮১)
৫৬. আল্লাহর গোপন রহস্য ব্যক্তকারী
জাবের বলেনঃ তায়েফের দিন রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলীকে কাছে ডাকলেন। তাঁকে একপাশে নিয়ে কানে কানে যুক্তি করলেন। লোকজন বললো, ‘‘তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে যুক্তি করা কতো দীর্ঘায়িত হলো!’’ রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন :
ﻣَﺎ ﺍَﻧْﺘَﺠَﻴْﺘُﻪُ ، ﻭَﻟَﻜِﻦْ ﺍﻟﻠﻪَ ﺍﻧْﺘَﺠَﺎﻩُ .
আমি তাঁর সাথে যুক্তি করিনি, বরং আল্লাহ তাঁর সাথে যুক্তি করেছেন।
(আর রিয়াদুন নাদ্রাহ ৩:১৭০, সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৯/৩৭২৬, খাসায়েসে নাসায়ী :৫, ফাযায়েলূস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩০-১৩২)
৫৭. মুমিনদের মাওলা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻣَﻦْ ﻛُﻨْﺖُ ﻣَﻮْﻟَﺎﻩُ ﻓَﻌَﻠِﻲٌّ ﻣَﻮْﻟَﺎﻩُ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺍﻝِ ﻣَﻦْ ﻭَﺍﻟَﺎﻩُ ﻭَﻋَﺎِﺩ ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَﺍﻩُ .
আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলীর সাথে শত্রুতা করে তুমি তার সাথে শত্রুতা করো।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৯/৩২৯৫০, আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১০৯, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০৪, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ৪:১৭৩/৪০৫৩, তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৩, মুসনাদে আহমাদ ১:৮৪, ৮৮, ১১৯, ১৫২, ৩৩১ ও ৪:২৮১, ৩৬৮, ৩৭০, ৩৭২ ও ৫:৩৪৭, ৩৫৮, ৩৬১, ৩৬৬, ৪১৯)
৫৮. তোমার জন্য সেটাই চাই!
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ ! ﺇِﻧِّﻲ ﺍُﺣِﺐُّ ﻟَﻚَ ﻣَﺎ ﺍُﺣِﺐُّ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻲ، ﻭَ ﺃَﻛْﺮَﻩُ ﻟَﻚَ ﻣَﺎ ﺃَﻛْﺮَﻩُ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻲ .
হে আলী! আমি নিজের জন্যে যা পছন্দ করি তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি। আর আমার চোখে যা অপছন্দনীয় তোমার জন্যও সেটা অপছন্দ করি।
(মুসনাদে আহমাদ ১:১৪৬, সুনানে তিরমিযী ২:৭২/২৮২, আল মুনাতাখাবু মিন মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ :৫২/৬৭)
৫৯. বেহেশত-দোযখের বণ্টনকারী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻳَﺎ ﻋَﻠِﻲُّ، ﺇِﻧَّﻚَ ﻗَﺴِﻴﻢُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻭَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﺮَﻉُ ﺑَﺎﺏَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ، ﻓَﺘَﺪْﺧُﻠَﻬَﺎ ﺑِﻠَﺎ ﺣِﺴَﺎﺏٍ .
হে আলী! তুমি (মানুষকে) বেহেশত ও দোযখের (মধ্যে) বণ্টনকারী। অতঃপর তুমি নিজে বেহেশতের দরওয়াযায় টোকা দিবে এবং হিসাব ছাড়াই প্রবেশ করবে।
(আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী ৬৭/৯৭, আল মানাকিব-খারেযমী : ২০৯, ফারায়িদুস সামতাঈন ১:৩২৫/২৫৩)
৬০. তোমাকে যারা ভালোবাসে তাদের প্রতি সুসংবাদ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻳﺎ ﻋَﻠِﻲّ، ﻃُﻮﺑَﻲ ﻟِﻤَﻦْ ﺃَﺣَﺒَّﻚَ ﻭَ ﺻَﺪَّﻕَ ﻓِﻴﻚَ ﻭَ ﻭَﻳْﻞٌ ﻟِﻤَﻦْ ﺃَﺑْﻐَﻀَﻚَ ﻭَ ﻛَﺬَّﺏَ ﻓِﻴﻚَ .
হে আলী! সুসংবাদ তার প্রতি যে তোমাকে ভালোবাসে এবং তোমাকে সত্য বলে জানে। আর দুর্ভাগ্য তাদের প্রতি যারা তোমার সাথে শত্রুতা করে এবং তোমার ব্যাপারে মিথ্যা আরোপ করে।
(তারীখে বাগদাদ ৯:৭২, ওয়াসীলাতুল মুতাআবেবদীন খ:৫, আল কিস্ম ২:১৬১, উসুদুল গবাহ ৪:২৩)
৬১. ওয়াসিগণের মধ্যে সর্বোত্তম
রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ
ﻭَﺻِﻴِّﻲ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﺄَﻭْﺻِﻴَﺎﺀِ، ﻭَ ﺃَﺣَﺒُّﻬُﻢْ ﺇِﻟَﻲ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻭَ ﻫُﻮَ ﺑَﻌْﻠُﻚَ .
ওয়াসিগণের মধ্যে আমার ওয়াসীই সর্বোত্তম এবং আল্লাহর নিকটে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়তম। আর সে হলো তোমার স্বামী।
(মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৬৫, যাখায়িরুল উকবা :১৩৬)
৬২. মহানবী (সা.)-এর ভাই ও সহযোগী
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻧِّﻴﺄَﻗُﻮﻟُﻜَﻢﻮُﻤﻴِﺧَﺄَﻻَﻗﺍَﺳﻲَ : ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻴﻮَﺯِﻳﺮﺍً ﻣِﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻴﺄَﺧِﻴﻌَﻞًﺎّﻳِ ﺍُﺷْﺪُﺩْ ﺑِﻪِ ﺃﺯْﺭِﻱ ﻭَ ﺃَﺷْﺮِﻛْﻪُ ﻓِﻴﺄَﻣْﺮِﻱ ﻛَﻲْ ﻧُﺴَﺒِّﺤَﻚَ ﻛَﺜِﻴﺮﺍً ﻭَ ﻧَﺬْﻛُﺮَﻙَ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﺇِﻧَّﻚَ ﻛُﻨْﺖَ ﺑِﻨَﺎ ﺑَﺼِﻴﺮﺍً .
হে আল্লাহ! আমিও আমার ভাই মুসার মতো বলছি, ‘‘হে খোদা! আমার জন্য আমার পরিবারের মধ্যে থেকে কাউকে সাহায্যকারী হিসেবে নিয়োগ করো। আমার ভাই আলীকে যার দ্বারা আমার শক্তি মজবুত হয়
এবং আমাকে সাহায্য করে। যাতে তোমার মহিমা বর্ণনা করতে সক্ষম
হই এবং তোমার অধিক ইবাদতে নিমগ্ন হতে পারি । অবশ্য তুমি আমাদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১১৮, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৭৮/১১৫)
৬৩. নিরাপত্তা এবং ঈমান
রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত আলী (আ.) কে বলেনঃ
ﻣَﻦْ ﺃَﺣَﺒَّﻚَ ﺣُﻒَّ ﺑِﺎﻻَﻣْﻦِ ﻭَ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَ ﻣَﻦْ ﺃَﺑْﻐَﻀَﻚَ ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﻴْﺘَﺔَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ.
যে ব্যক্তি তোমাকে ভালোবাসবে, নিরাপত্তা ও ঈমান তাকে আবিষ্ট করবে। আর যে তোমার প্রতি শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু দান করবেন।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৭/৩২৯৩৫, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৬৩/১১০৯২)
৬৪. সীরাতুল মুস্তাকীম পার হওয়ার অনুমতি
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇِﺫَﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻮْﻡُ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَ ﻧُﺼِﺐَ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁُ ﻋَﻠَﻲ ﺷَﻔِﻴﺮِ ﺟَﻬَﻨَّﻢ ﻟَﻢْ ﻳَﺠُﺰْ ﺇﻻَّ ﻣَﻦْ ﻣَﻌَﻪُ ﻛِﺘَﺎﺏُ ﻋَﻠِﻲّ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ .
যখন কেয়ামত উপস্থিত হবে এবং জাহান্নামের অগ্নিপার্শ্বে পুলসিরাত টাঙ্গানো হবে তখন শুধু কেবল যার সঙ্গে আলী (আ.)-এর পত্র থাকবে সে ছাড়া কারো তা পার হবার অনুমতি থাকবে না।
(আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ২৪২, ২৮৯, ফারায়িদুস সামতাইন ১:২২৮, ২৮৯)
৬৫. আলী (আ.)-এর সহচরদের জন্য দোয়া
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺍَﻟﻠّﻬُﻢَّ ﺍﻧْﺼُﺮْ ﻣَﻦْ ﻧَﺼَﺮَ ﻋَﻠِﻴّﺎً، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻛْﺮِﻡْ ﻣَﻦْ ﺃَﻛْﺮَﻡَ ﻋَﻠِﻴّﺎً ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃﺧْﺬُﻝْ ﻣَﻦْ ﺧَﺬَﻝَ ﻋَﻠِﻴّﺎً .
হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আলীকে সাহায্য করে তুমি তাকে সাহায্য করো, যে ব্যক্তি তাকে সম্মান করে তুমি তাকে সম্মান করো আর যে তাকে লাঞ্ছিত করে তুমি তাকে লাঞ্ছিত করো।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬২৩/৩৩০৩৩, আল মু’জামুল কাবীর – তাবারানী ১৭:৩৯,৮২)
৬৬. আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা
আনাস ইবনে মালেক বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মুরগীর গোশত দ্বারা খাবার প্রস্ত্তত করা হয়েছিল। হুজুর (সা.) বললেনঃ
ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺋْﺘِﻨِﻲ ﺑِﺎَﺣَﺐِّ ﺧَﻠْﻘِﻚَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣَﻌِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﻄَّﻴْﺮَ، ﻓَﺠَﺎﺀَ ﻋَﻠِﻲٌّ ﻓَﺄَﻛَﻞَ ﻣَﻌَﻪُ .
হে আল্লাহ! তোমার সবচেয়ে প্রিয় বান্দাকে পৌঁছে দাও যে আমার সাথে এই মুরগীর গোশত ভক্ষণে অংশ নেবে। এমন সময় আলী এসে পৌঁছলেন এবং হুজুরের দস্তরখানায় বসে পড়লেন।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫, খাসায়েসে নাসায়ী : ৫, আল মুস্তাদরাক – হাকেম ৩:১৩০-১৩২)
৬৭. হেদায়াতের পতাকা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ ﻋَﻬِﺪَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻋَﻬْﺪﺍً ﻓِﻲ ﻋَﻠِﻲِّ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻃَﺎﻟِﺐٍ ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺇﻧَّﻪُ ﺭَﺍﻳَﺔُ ﺍﻟْﻬُﺪَﻱ، ﻭَ ﻣَﻨﺎﺭُ ﺍﻟْﺎِﻳْﻤَﺎﻥِ، ﻭَ ﺍِﻣَﺎﻡُ ﺃَﻭْﻟِﻴَﺎﺋِﻲ، ﻭَ ﻧُﻮﺭُ ﺟَﻤِﻴﻊِ ﻣَﻦْ ﺃَﻃَﺎﻋَﻨِﻲ .
বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেন: নিশ্চয় আলী হলো হেদায়েতের পতাকা, ঈমানের শীর্ষচূড়া, আমার বন্ধুগণের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরূপ।
(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৬, শারহে নাহজুল বালাগা – ইবনে আবীল হাদীদ ৯:১৬৮)
৬৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তরসূরি
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﻟِﻜُﻞِّ ﻧَﺒِﻲٍّ ﻭَﺻِﻲٌّ ﻭَ ﻭَﺍﺭِﺙٌ، ﻭَ ﺇَِﻥَّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻭَﺻِﻴِّﻲ ﻭَ ﻭَﺍﺭِﺛِﻲ .
প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮, আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯, ইমাম আলী (আ.) – ইবনে আসাকির ৩: ৫/১০৩০-১০৩১)
৬৯. সত্যিকারের সৌভাগ্য
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ﺇﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻌِﻴﺪَ ﻛُﻞَّ ﺍﻟﺴَّﻌِﻴﺪِ، ﺣَﻖَّ ﺍﻟﺴَّﻌِﻴﺪِ، ﻣَﻦْ ﺃﺣَﺐَّ ﻋَﻠِﻴّﺎً ﻓِﻲ ﺣَﻴَﺎﺗِﻪِ ﻭَ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﻮﺗِﻪِ .
নিশ্চয় সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলীকে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১, ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১, আল মু’জামুল কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)
লিখিতং
মুফতি শাইখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নকশবন্দী-মুজাদ্দেদী,সদরসিলেট৷