ইসলাম শরীয়তের বিধানে গর্ভবতী মায়ের রোযা রাখার হুকুম কি?
প্রশ্ন:
গর্ভবতী মা যদি রোজা রাখে ডাক্তার মানা সত্ত্বেও,সেক্ষেত্রে ইসলামের হুকুম কি?
গর্ভবতী মায়ের এইজন্য রোজা রাখার নিয়ত করেছে যাতে পরবর্তীতে কাযা আদায় করা অসম্ভব বা কষ্ট হয়ে পড়ে৷
উত্তরগুলো জানালে আমাদের মা-বোনদের জন্য সহজ হয়ে যাবে….
আল্লাহ হাফেজ
জবাব:
بسم الله الرحمن الرحيم
গর্ভবতী নারীর যদি রোযা রাখলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতির আশংকা হয়,বা গর্ভবতী নারী মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার আশংকা বোধ হয়, তাহলে রোযা রাখবে না।
বরং রোযা ভাঙ্গা তার জন্য জায়েজ। তবে পরবর্তীতে এর কাযা আদায় করতেই হবে।
{ফাতওয়ায়ে রহিমীয়া-৭/২৭০}
ডাক্তারের নিষেধ সত্বেও যদি রোযা রাখে, তাহলে রোযা হয়ে যাবে। তবে গর্ভস্থ বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে এমতাবস্থায় রোযা রোযা উচিত নয়।
প্রসঙ্গক্রমে ইসলামী শরয়ী দলিল সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]
অনুবাদ-রমযান মাসই হল সে মাস,যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।{সূরা বাকারা-১৮৫}
فى الفتاوى التاتارخانية- اذا خافت الحامل أو المرضع على أنفسهما أو على ولدهما جاز له الفطر، وعليهما القضاء، (الفتاوى التاتارخانية – كتاب الصوم، فصل الأسباب المبيحة للفطر-3/404)
وفى حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح- ( واختلف الترجيح في ) صوم ( المريض إذا نوى واجبا آخر ) بصومه ( في ) شهر رمضان ) الخ وقال فخر الإسلام وشمس الأئمة الصحيح أنه يقع صومه عن رمضان وفي البرهان وهو الأصح، (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-644).
Reference from the books of Islamic Sharia.
১-হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-৬৪৪, ৬৮৪-৬৮৫
২-ফাতওয়ায়ে শামী-৩-৪০২-৪০৪
৩-ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-৩/৪০৪
৪-সহীহ বুখারী-কিতাবুত তাফসীর-২/৬৪৭
খাদিমুল ইফতাঃ
বহু গ্রন্থ প্রণেতাঃ
{মুফতি শাইখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নকশবন্দী-মুজাদ্দেদী,সদরসিলেট}
প্রশ্ন:
গর্ভবতী মা যদি রোজা রাখে ডাক্তার মানা সত্ত্বেও,সেক্ষেত্রে ইসলামের হুকুম কি?
গর্ভবতী মায়ের এইজন্য রোজা রাখার নিয়ত করেছে যাতে পরবর্তীতে কাযা আদায় করা অসম্ভব বা কষ্ট হয়ে পড়ে৷
উত্তরগুলো জানালে আমাদের মা-বোনদের জন্য সহজ হয়ে যাবে….
আল্লাহ হাফেজ
জবাব:
بسم الله الرحمن الرحيم
গর্ভবতী নারীর যদি রোযা রাখলে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতির আশংকা হয়,বা গর্ভবতী নারী মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে যাওয়ার আশংকা বোধ হয়, তাহলে রোযা রাখবে না।
বরং রোযা ভাঙ্গা তার জন্য জায়েজ। তবে পরবর্তীতে এর কাযা আদায় করতেই হবে।
{ফাতওয়ায়ে রহিমীয়া-৭/২৭০}
ডাক্তারের নিষেধ সত্বেও যদি রোযা রাখে, তাহলে রোযা হয়ে যাবে। তবে গর্ভস্থ বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে এমতাবস্থায় রোযা রোযা উচিত নয়।
প্রসঙ্গক্রমে ইসলামী শরয়ী দলিল সমূহ নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]
অনুবাদ-রমযান মাসই হল সে মাস,যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।{সূরা বাকারা-১৮৫}
فى الفتاوى التاتارخانية- اذا خافت الحامل أو المرضع على أنفسهما أو على ولدهما جاز له الفطر، وعليهما القضاء، (الفتاوى التاتارخانية – كتاب الصوم، فصل الأسباب المبيحة للفطر-3/404)
وفى حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح- ( واختلف الترجيح في ) صوم ( المريض إذا نوى واجبا آخر ) بصومه ( في ) شهر رمضان ) الخ وقال فخر الإسلام وشمس الأئمة الصحيح أنه يقع صومه عن رمضان وفي البرهان وهو الأصح، (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-644).
Reference from the books of Islamic Sharia.
১-হাশিয়াতুত তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-৬৪৪, ৬৮৪-৬৮৫
২-ফাতওয়ায়ে শামী-৩-৪০২-৪০৪
৩-ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-৩/৪০৪
৪-সহীহ বুখারী-কিতাবুত তাফসীর-২/৬৪৭
খাদিমুল ইফতাঃ
বহু গ্রন্থ প্রণেতাঃ
{মুফতি শাইখ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নকশবন্দী-মুজাদ্দেদী,সদরসিলেট}
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন