অ্যাপটির মাধ্যমে মানুষের মুখের বিভিন্ন রূপ বদল করা যায়।
অ্যাপটিতে কি কোনো সমস্যা আছে?
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপটি মানুষের মুখের আদল পরিবর্তন করে ফেলে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপটি মানুষের মুখের আদল পরিবর্তন করে ফেলে।
ছবি বিকৃত করে তা বয়স্ক, শিশু, নারী ও পুরষের আদলে দেখায়।
স্বাভাবিক ছবিতে মুখে কোনো হাসি না থাকলেও অ্যাপটির সাহায্যে তৈরি ছবিতে মুখে হাসি যুক্ত হয়। যাঁরা নিজের মুখ নিয়ে খেলতে চান, তাঁদের খুশি করতেই এ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।
অ্যাপটিতে ব্যবহৃত হয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কস।
এতে পরিবর্তিত ছবিটি বাস্তবের কাছাকাছি করার চেষ্টা করা হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসঅ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ারোস্লিভ গনচারোভ প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে বলেছিলেন, সাধারণভাবে বিবেচনা করলে মুখে একটু হাসি যুক্ত করা হয়তো সাধারণ পরিবর্তন, কিন্তু বাস্তবে এটি খুব কঠিন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসঅ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ারোস্লিভ গনচারোভ প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে বলেছিলেন, সাধারণভাবে বিবেচনা করলে মুখে একটু হাসি যুক্ত করা হয়তো সাধারণ পরিবর্তন, কিন্তু বাস্তবে এটি খুব কঠিন।
হাসি মানে শুধু ঠোঁটের নড়াচড়া নয়।
হাসলে পুরো মুখ সূক্ষ্ম অথচ জটিলভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়।
বিনা মূল্যের অ্যাপটি নিউরাল ফেস ট্রান্সফরমেশনস অ্যাপ হিসেবে তৈরি করেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যাব।
বিনা মূল্যের অ্যাপটি নিউরাল ফেস ট্রান্সফরমেশনস অ্যাপ হিসেবে তৈরি করেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যাব।
ইয়ারোস্লিভ বলেন, ‘আমরা নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি, যা নিউরাল নেটওয়ার্কস ব্যবহার করে কোনো চেহারা বদলাতে পারে।
এতে ছবির ওপর ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবিটির ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।’ ইয়ারোস্লিভ বলেন, ‘আমাদের মূল্য পার্থক্য হচ্ছে ফটোরিয়্যালিজমে।
ফিল্টার যুক্ত করার পরেও সেটি আপনার আসল ছবিটিই থাকছে। অন্যান্য অ্যাপে মজা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছবি বিকৃত করা হয়, যা আর আসল ছবি থাকে না।’ ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে ওঠা অ্যাপটি তারকাদের আকৃষ্ট করেছে।
অ্যামি শুমাখার, মিন্ডি কালিংয়ের মতো তারকারা এটি ব্যবহার করেছেন। গত কয়েক মাস আগে অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ২৫ এপ্রিল গুগল প্লেস্টোরে অ্যাপটি হালনাগাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এটি ৫০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
ফেসঅ্যাপ হঠাৎ জনপ্রিয় হওয়ায় পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা। অনেকে মনে করছেন, কিছু বিশ্বাসযোগ্য ছবি তৈরি করা এর কারণ হতে পারে।
ফেসঅ্যাপ হঠাৎ জনপ্রিয় হওয়ায় পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা। অনেকে মনে করছেন, কিছু বিশ্বাসযোগ্য ছবি তৈরি করা এর কারণ হতে পারে।
তবে গত কয়েক সপ্তাহে ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করে তৈরি করা ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর পর থেকে অনেকেই এটি উপভোগ করছেন।
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এ জনপ্রিয়তা থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।
ফেসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ে অবশ্য কিছু প্রশ্নও উঠছে।
ফেসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ে অবশ্য কিছু প্রশ্নও উঠছে।
অ্যালগরিদম-সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় শুরুতেই এতে বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি উঠে আসে।
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ওই সমস্যা দূর করার কথা জানিয়েছে ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া অ্যাপটি ব্যবহার করে পরিবর্তন করা ছবি আবার ব্যবহার করলে আরও বিরক্তিকর ছবি তৈরি হয়।
প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটি ব্যবহারে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়েও।
প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটি ব্যবহারে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়েও।
তাই যখন ফেসঅ্যাপের মতো ভাইরাল কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করবেন, তখন কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
এর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।
মজা করার জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করলেও এটি ডাউনলোডের সময় থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের হাতে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য সম্মতি দিতে হয়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোডের সময় ইন-অ্যাপ পারচেজ, ফটো ও মিডিয়া ফাইল, ডিভাইস স্টোরেজ ও মাই ক্যামেরা অপশনের অনুমতি দিতে হয়।
এ ছাড়া আরও ইন্টারনেট ডেটা গ্রহণ, নেটওয়ার্ক কানেকশন দেখা, পূর্ণ নেটওয়ার্ক সংযোগ, ফোন স্লিপিং মোডে যাওয়ার ঠেকানোর অনুমতি দিতে হয়।
অবশ্য এখন পর্যন্ত প্রাইভেসি নিয়ে খুব বেশি অভিযোগ করেনিন ব্যবহারকারীরা।
এদিক থেকে অন্যান্য ছবি পরিবর্তনের টুলের চেয়ে ফেসঅ্যাপ কিছুটা এগিয়ে।
ফেসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপন দেখানোসহ সেবা উন্নত করার ক্ষেত্রে ফোন থেকে অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, এনডিটিভি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন