Recent post

বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭

জ্বরের ধরন ও জ্বরে করণীয়

জ্বরের মৌসুম।
আশপাশে পরিচিত কারও না কারও জ্বর লেগেই আছে।
 কারও সাধারণ ফ্লু, কারও ডেঙ্গু, কারও আবার চিকুনগুনিয়া।
জ্বর শরীরের যেকোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের বিপরীতে প্রথম প্রতিরোধব্যবস্থা।
তবে অতিরিক্ত জ্বর শরীরকে দুর্বল করে ফেলে।
জ্বরের কারণ অনেক। তবে

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০১৭

জ্বরে নবজাতকের কিভাবে যত্ন নিতে হবে

সন্তানের জন্মের পর মা বাবাসহ পরিবারের সবাই নবজাতকের যত্ন ও নানারকম অপ্রত্যাশিত অসুখ বিসুখ নিয়ে সবসময় উদ্বেগে থাকেন।
অনেক প্রতীক্ষার পর মায়ের কোলে যখন তার আদরের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, তখন প্রতিটা মা ই চান, তার সন্তান সব দিক দিয়ে সুস্থ থাকুক এবং স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠুক। 
কিন্তু অপ্রত্যাশিভাবে এমন কিছু পরিস্থিতির মখোমুখি মা বাবাকে হতে হয় যাতে তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। 
এই যেমন ধরুন শিশুর হঠাৎ জ্বর হওয়া।

মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ২৬ মে, ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।

সন্তানের অপরাধে মা-বাবারা কী করবেন

নয় বছর বয়সী সুমিত চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। স্কুল থেকে মাঝেমধ্যেই তার ব্যাপারে অভিযোগ আসে। সে নাকি বন্ধুদের টিফিন খেয়ে ফেলে। কখনো মারামারিও করে। এই অভিযোগগুলোর প্রতিক্রিয়ায় সুমিতের বাবা-মা উল্টো স্কুলের ওপর দোষ চাপাতে থাকেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন যে অন্য শিশুরা সুমিতকে বিরক্ত করে, কোনো কোনো শিক্ষক নাকি ‘অজ্ঞাত’ কারণে সুমিতের বিরুদ্ধাচরণ করেন। সব মিলিয়ে মা-বাবা সব সময়ই সুমিতের পক্ষ নেন।

নতুন প্রজন্মের রাশিফল

সময় পাল্টেছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কেও এসেছে চতুর্থ প্রজন্ম। কিন্তু দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রাশিফলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো এখনো সেকেলে। নতুন প্রজন্মের জীবনযাপনের সঙ্গে সঙ্গে যদি রাশিফলও হতো হালনাগাদ, তাহলে কেমন হতো? ভেবেছেন সোহাইল রহমান

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)
মেষ রাশির ব্রো অ্যান্ড সিসদের জন্য দিনটা বিশেষ শুভ। আজ ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক-কমেন্ট যোগ আছে। অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন, খাবার পৌঁছাতে পৌঁছাতে খিদে চলে যেতে পারে। বৃষ্টি হলে সাধের স্মার্টফোনে পানি ঢোকার আশঙ্কা আছে।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে)
রাস্তাঘাটে ক্রাশ খাওয়া ফলপ্রসূ হতে পারে। আজ আকস্মিকভাবে কোনো বন্ধুর কাছ থেকে ট্রিটপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। ফেসবুকে বিপরীত লিঙ্গের কারও কাছ থেকে মেসেজের রিপ্লাই পেতে পারেন। প্রোপোজ করা শুভ।

মিথুন (২২ মে-২১ জুন)
অবিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য অনলাইন ম্যারেজ মিডিয়ায় ভালো পাত্র-পাত্রীর খোঁজ মিলতে পারে। বিপরীত লিঙ্গের কারও পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন। আপনি একজন ইউটিউবার হলে আপনার ভিডিওতে অনেক ভিউ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইন্টারনেট স্পিড স্লো হতে পারে। পাশের ফ্ল্যাটের গোয়েন্দা অান্টির দৃষ্টির ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই)
আজ আপনার পছন্দের সিরিয়ালের অত্যাচারী শাশুড়ি বা ননদ উচিত শিক্ষা পেতে পারে। সাবেক গার্লফ্রেন্ড ফেসবুকে আপনাকে আনব্লক করতে পারে। বাসায় আপনার ডিএসএলার ক্যামেরাওয়ালা বন্ধুর আগমন ঘটলে কিছু প্রোফাইল পিকচার তুলে রাখতে ভুলবেন না। অনলাইন গেমারদের জন্য দিনটি বিশেষ শুভ।

সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট)
ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া সুযোগ ফিরে আসতে পারে। চ্যাম্পিয়ন লিগে আপনার পছন্দের দল হেরে যাওয়ার আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডকে আপনার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড দেবেন না।

কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর)
পরীক্ষার্থীরা ফেসবুকে চোখ-কান খোলা রাখুন, আগের রাতে প্রশ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনার রিলেশনের খবর আপনার আম্মুর কানে চলে যেতে পারে। ইন্টারনেটের ব্রাউজার হিস্টোরি সতর্কতার সঙ্গে ডিলিট করুন। ট্রিট দেওয়া শুভ।

তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর)
মেসে বা বাসায় কাজের বুয়া না আসার আশঙ্কা আছে। মন শক্ত করুন, আজ আপনার ক্রাশ ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিতে পারে। অনলাইন শপিংয়ে আকস্মিক মূল্যছাড় পেতে পারেন। পরীক্ষায় অন্যেরটা দেখে লেখা শুভ।

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর)
পাড়ার মুরব্বি সম্প্রদায় থেকে সাবধানে থাকুন, অসাবধানতায় কয়েক ঘণ্টাব্যাপী উপদেশপ্রাপ্তি হতে পারে। আজ আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আক্রমণের আশঙ্কা আছে। সেমিস্টার ফাইনালে রিটেক খেতে পারেন। বিপরীত লিঙ্গের কেউ আপনার প্রোফাইল পিকচারে ‘হা হা’ রি-অ্যাক্ট করতে পারে।

ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর)
বন্ধুর ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড জেনে ফেলতে পারেন। আজকের দিনটি ফেসবুকে কভার ফটো আপলোড করার জন্য শুভ। ক্লাসে সুন্দরী কারও সুনজরে পড়ার সম্ভাবনা আছে। আজ আপনার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ‘ইটস কমপ্লিকেটেড’ হতে পারে।

মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি)
দিনটি শুরু হতে পারে ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে। অনলাইনে চ্যাটিংয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন, আজ আপনার স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি প্রবল। জানালা দিয়ে পাশের বাসায় উঁকিঝুঁকি মারার চেষ্টা করবেন না। হাতখরচ পেতে কৌশল খাটান।

কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)
অনলাইন পোর্টালের নিউজ বিশ্বাস করে বোকা হতে পারেন। আজ টিভিতে আপনার পছন্দের সিনেমাটি সম্প্রচার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড আপনার মোবাইল ফোন চেক করতে পারে, তেমন কিছু থাকলে আগে থেকেই ডিলিট করুন। আজ লোডশেডিং যোগ আছে। রেস্তোরাঁর বিল পরিশোধ বাবদ মানিব্যাগ ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)
বেকারদের জন্য সকাল সকাল বাপের ঝাড়ি খাওয়ার আশঙ্কা আছে। চাকরিজীবীদের জন্য ঝাড়িটা আসতে পারে স্ত্রীর তরফ থেকে। অনলাইনে কেনাকাটা করে প্রতারিত হতে পারেন। ফেসবুকে যার-তার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। রস+আলোর রাশিফল বিশ্বাস করলে ধোঁকা খেতে পারেন। ফেসবুকিং শুভ।

শনিবার, ৬ মে, ২০১৭

একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ২০১৭

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা আজ রোববার জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে ৯ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।

অনলাইনের জন্য www.xiclassadmission.gov.bd ঠিকানায় এবং টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

অনলাইনের ক্ষেত্রে ১৫০টাকা ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করতে হবে।

আর এসএমএসের মাধ্যমে প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে।

এরপর একজন শিক্ষার্থী যতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজ নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন।
এরপর আরও দুই দফায় আবেদন গ্রহণ করা হবে।

নির্ধারিত সময়ে ভর্তির কাজ শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে।

শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালাটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

গত বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
 এতে ১০ বোর্ডের অধীনে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭২২ জন পাস করেছে।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।
এর মধ্যে আট বোর্ডের অধীন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৬৪ জন।

ফ্রিজে কত দিন খাবার রাখা যাবে?

ব্যস্ত জীবনে এত সময় কোথায় যে রোজ তিনবেলা রান্না করে টাটকা খাবার সাজিয়ে দেবেন বাড়ির সবার সামনে। 
একরকম বাধ্য হয়েই নির্ভর করতে হয় ফ্রিজের ওপর। 
কিন্তু এভাবে ফ্রিজে রেখে খাবার খাওয়া কি ঠিক? 
কোন খাবার কীভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে? 
এ নিয়ে কথা হয় পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহারের সঙ্গে।
ফ্রিজে কাঁচা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি এক রকম আবার রান্না করা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি আরেক রকম।
 এ দুই ধরনের খাবার ফ্রিজে আলাদা করে রাখা উচিত।
আবার খুব বেশি খাবার একসঙ্গে না রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে রাখতে পারেন। 
একসঙ্গে যদি বেশি খাবার রেখে দেন, তাহলে বের করে রান্নার আগে কাঁচা মাছ বা মাংস পুরোটাই আপনাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। 
আবার রান্না করা খাবার পুরোটাই জ্বাল দিতে হবে। 
এতে করে খাবারের পুষ্টি ও স্বাদ দুটোই নষ্ট হয়।
অবশ্যই ফ্রিজের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখবেন। 
প্রয়োজন অনুযায়ী কমাবেন এবং বাড়িয়ে দেবেন।
ফ্রিজে খাবার যদি আপনি বাক্সে করে রাখতে অভ্যস্ত হন, তাহলে বাক্সগুলোর মাঝে কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখবেন। 
তাহলে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে পারবে।
অনেকে মাসের পর মাস ডিপ ফ্রিজে মৌসুমি ফলমূল রেখে দেন। 
সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সংরক্ষণের নিয়মাবলি মেনে তারপর রাখতে হবে। 
তবে বেশি দিন রাখার ফলে ফলের স্বাদ এতটাই নষ্ট হয়ে যায় যে, পরে আর রস করে ছাড়া মুখে তোলাই দায় হয়ে যায়।
খাবার রাখার নিয়মকানুন নাহয় মানলেন। 
স্বাদের ক্ষেত্রেও না হয় ছাড় দেওয়া হলো। 
কিন্তু পুষ্টিমান? সেটা তো মাথায় রাখতেই হবে। 
কেননা, খাবারে যদি পুষ্টি না থাকে, তবে আর থাকল কী?
 পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বলেন, ‘অনেকের ফ্রিজেই এক বছরের কোরবানি ঈদের মাংসের দেখা পরের বছরের কোরবানি ঈদেও মেলে।
 আমের মৌসুম শেষ হওয়ার ছয় মাস পরও আম হাজির হয় প্লেটে। 
এভাবে দীর্ঘদিন রাখার ফলে খাবারের পুষ্টি তো নষ্ট হয়ই, সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যায়।’তাঁর মতে, মাংস দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করাই যৌক্তিক।
আর মাছ রাখা যেতে পারে সর্বোচ্চ ১৫ দিন। 
তবে মাছের মাথাগুলো আরও দ্রুত রান্না করে ফেলা ভালো।
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে যেমন কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়, তেমনি কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় ঠান্ডা জায়গায়। 
আবার কোনো খাবার যদি আপনি জীবাণুসহ ফ্রিজে রাখেন, তাহলে ওই জীবাণুও খাবারে থেকেই যায়। তাই ফ্রিজে রাখার আগেই দেখে নেবেন খাবারটা ঠিক আছে কি না।
 তা ছাড়া ফ্রিজে রাখার পর যদি কখনো কোনো খাবারের বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাহলে সেটা আর না খাওয়ার পরামর্শ দেন আখতারুন নাহার। 
ফ্রিজ আছে আপনার কাজটাকে সহজ করে তুলতে। তার মানে তো আর এই নয় যে পুষ্টিহীন, মানহীন খাবার খেয়েই জীবনধারণ করতে হবে। জেনে রাখুন, কোন খাবার কত দিন রাখতে পারবেন ফ্রিজে। 
সে অনুযায়ীই ফ্রিজ ব্যবহার করুন।

কোন সবজির তরকারি ফ্রিজে রেখে কতদিন খাওয়া যায়



দৈনিক জীবনে কম বেশি সবাই ফ্রিজের উপর নির্ভরশীল। দীর্ঘ সময় খাবার সংরক্ষণ রেখে জীবনকে অনেকখানি সহজ করে দিয়েছে এই ফ্রিজ। কিন্তু ফ্রিজের খাবার কি স্বাস্থ্যকর? কতদিন পর্যন্ত ফ্রিজে খাবার রাখা স্বাস্থ্যকর? ফ্রিজে সাধারণত দুই ধরণের খাবার সংরক্ষণ করা হয়। এক কাঁচা খাবার দুই রান্না করা খাবার। ফ্রিজে কাঁচা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি এক রকম আবার রান্না করা খাবার সংরক্ষণের পদ্ধতি আরেক রকম। এই দুই খাবার ফ্রিজে আলাদা করে রাখা উচিত। খাবারগুলো ছোট ছোট ভাগ করে রাখা উচিত। অনেক সময় আমরা মৌসুমী ফল ফ্রিজে রেখে দিই। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সংরক্ষণের নিয়মাবলি মেনে তারপর রাখতে হবে।

শুক্রবার, ৫ মে, ২০১৭

কতটা সুস্থ নিজেই দেখে নিন



কাজের চাপ বেড়েছে।
খাবার বা ঘুমে কি অনিয়ম চলছে? 
তাহলে আপনার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
 তার আগে একটা কুইজে অংশ নিয়ে নিজেই দেখে নিন আপনি কতটা সুস্থ।

১. আপনি ধূমপান করেন?
ক. প্রতিদিন (-১০)
খ. মাঝেমধ্যে (-৭)
গ. খুব কম (-২)
ঘ. কখনো না (৩)

২. কখন কি অ্যালকোহলে আসক্ত?
ক. প্রতিদিন (-১০)
খ. মাঝেমধ্যে (-৭)
গ. খুব কম (-২)
ঘ. কখনো না (৩)

৩. আপনি কতটা চিনি খান?

ক. অনেক (-১০)
খ. অল্প অল্প (-৩)
গ. খাই না (৩)

৪. আপনি কতবার প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খান?
ক. প্রতিদিন (-৭)
খ. সপ্তাহে দুই-তিনবার (-৫)
গ. সপ্তাহে একবার (০)
ঘ. খাই না (৩)

৫. আপনি কতটা সবজি খান? (কাঁচা, রান্না বা আধসেদ্ধ)
ক. প্রতিদিন তিনবার (৩)
খ. দিনে দুবার (২)
গ. দিনে একবার (১)
ঘ. খুবই কম (০)

৬. আপনি দিনে আট ঘণ্টা ঘুমান?
ক. প্রতিদিন (৩)
খ. মাঝেমধ্যে (২)
গ. খুবই কম (১)
ঘ. একদমই না (০)

৭. আপনি শরীরে শক্তি পান?
ক. প্রতিদিন (৩)
খ. কখনো কখনো (২)
গ. কম পাই (১)
ঘ. পাই না (০)

৮. আপনি কতটা সময় না খেয়ে থাকেন?
ক. সপ্তাহে একবার (৩)
খ. মাসে একবার (২)
গ. কখনো না (০)

৯. দিনে কতটা তাজা ফলমূল খান?
ক. ৩-৪টা (৩)
খ. ২-৩টা (২)
গ. ১-২টা (১)
ঘ. একটাও না (০)

১০. প্যাকেটজাত করা খাবার দিয়ে নাশতা করেন?

ক. প্রতিদিন (-৫)
খ. সাপ্তাহিক ছুটির দিন (-২)
গ. যখন আপনার কাজে দেরি হয় (-১)
ঘ. কখনো না (৩)

১১. আপনার শারীরিক ব্যায়ামের ধরন কেমন?
ক. প্রতিদিন (৩)
খ. মাঝেমধ্যে (২)
গ. ছুটির দিনে (১)
ঘ. করি না (০)

১২. মেডিটেশন করেন?
ক. প্রতিদিন (৩)
খ. এক দিন পর এক দিন (২)
গ. সপ্তাহে একবার (১)
ঘ. কখনো না (০)

১৩. সূর্যের আলো থাকতে বাইরে যান কতটা?
ক. প্রায়ই (৩)
খ. মাঝেমধ্যে (২)
গ. যাই না (০)

১৪. আপনি সালাদ খান?
ক. প্রতিবেলা (৩)
খ. দিনে একবেলা (২)
গ. শুধু ভারী খাবার খেলে তখন (১)
ঘ. না (০)

১৫. আপনি ঠিকভাবে দৈনিক রুটিন মেনে চলেন?
ক. প্রতিদিন (৩)
খ. জোরালোভাবে হয় না, তবে চেষ্টা করি (১)
গ. না (০)

১৬. আপনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন?

ক. হ্যাঁ (৩)
খ. না (-৩)

এবার আপনার দেওয়া উত্তরগুলোর পাশে থাকা নম্বর যোগ করুন। 
তারপর বুঝে নিন আপনার শরীরের বর্তমান অবস্থা।

আপনার নম্বর যদি ০ থেকে ১০ পর্যন্ত হয়: 
আপনি অসুস্থ ও দুর্বল। 
আপনার বেশি করে সবুজ শাকসবজি খাওয়া দরকার। 
শারীরিক পরিশ্রম বা শরীরচর্চায় মন দিন। 
ঠিকমতো ঘুমাতে চেষ্টা করুন। 
আপনি যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ কমিয়ে দিন।

নম্বর যদি কমপক্ষে ১১ থেকে ১৯ হয়:
 আপনি সুস্থ, তবে আপনাকে ভালো থাকতে জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।

আপনার নম্বর যদি ২০ থেকে ৪৮ হয়: 
অভিনন্দন।
 আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ। চালিয়ে যান।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭

মস্তিষ্ক ব্যবহার না করলে ধার কমে

কাজ করতে করতে মাঝেমধ্যে হাঁপ ধরে যায়। 
মনে হয়, মাথা আর কাজ করছে না।
 এমনটা হলে কিছু কৌশল অবলম্বন করে মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার রাখা যায়।

চলুন, জেনে নিই মস্তিষ্কে ধার দেওয়ার বিজ্ঞানসিদ্ধ উপায়।

মস্তিষ্ক ব্যবহার না করলে ধার কমে যায়। তাই মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে হবে। 
এ জন্য কাজের বাইরে অবসরে বই পড়া যেতে পারে। 
এ ছাড়া রেডিও শোনাও ভালো কাজ দেয়। 
সময় থাকলে, নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করা যেতে পারে।

কিছু কাজ একই পদ্ধতিতে করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে মস্তিষ্ক। 
এই অভ্যস্ততা থেকে বেরিয়ে এলে তা মস্তিষ্কের কাজে বৈচিত্র্য আনে। 
যেমন: ডান হাতের কিছু কাজ বাঁ হাতে করা যেতে পারে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম মস্তিষ্ককে তৎপর রাখে। 
এ ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের গতি বাড়ায় এমন ব্যায়ামকে প্রাধান্য দিতে হবে। 
এতে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। বিভিন্ন কোষের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ শক্তিশালী হয়।

মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াতে সঠিক খাবার গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।
 তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 
মাংসজাত চর্বি, বিশেষ করে মাখন থেকে দূরে থাকতে হবে।
 রঙিন ফল ও সবজি বেশি করে খেতে হবে। মাংস এড়িয়ে মাছের প্রতি ঝোঁক বাড়াতে হবে।

মস্তিষ্ককে আরাম দিতে শুনতে পারেন পছন্দের কোনো গান।
 গবেষণায় দেখা গেছে, সুর মানুষের স্মৃতিশক্তি ও কল্পনার ক্ষমতা বাড়ায়।
 এ ছাড়া সামাজিক কর্মকাণ্ডও শ্রান্ত মস্তিষ্ককে চাঙা করতে পারে। 
পরিমিত মাত্রায় বুদ্ধিবৃত্তিক খেলাও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

অধিক মানসিক চাপ মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। 
তাই চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। 
কাজের চাপ বেশি থাকলে মাঝে একটু সময় বের করে ঢিলেঢালাভাবে সময় কাটান।
 মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যাবে। 
চাপমুক্ত হতে যোগব্যায়াম করা যায়। 
প্রিয় মানুষের সঙ্গে মিনিট কয়েক কথা বলে নিজেকে হালকা করা যায়।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব মস্তিষ্কের ওপর পড়ে।
 গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুমে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
 কাজে উদ্দীপনা আসে।

তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি

কিশোরীকে ‘তদন্ত’ করার নামে পুলিশ নগ্ন করে যৌন হয়রানি করেছে

০৩ মে ২০১৭

ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী।
 আদতে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তার প্রমাণ জানতে চায় পুলিশ। 
একপর্যায়ে ওই কিশোরীকে ‘তদন্ত’ করার নামে পুলিশ নগ্ন করে যৌন হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি গত শনিবার ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় কুশিনগর এলাকায়। 
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গত শনিবার তার মা-বাবার সঙ্গে কৈথাল থানায় যায়। 
এ সময় জ্যেষ্ঠ পুলিশ সদস্য ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যশরাজ যাদব ধর্ষণের প্রমাণ দেখাতে বলেন। এতে কিশোরী আপত্তি জানায়। একপর্যায়ে কক্ষে ডেকে ওই কিশোরীকে ‘তদন্ত’ করার নামে নগ্ন করে যৌন হয়রানি করেন তিনি।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানিয়েছে, ‘ওই পুলিশ সদস্য আমাকে তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। 
এরপর তিনি আমার পোশাক খুলতে বলেন। 
এতে আপত্তি জানালে, জোর করে তিনি নিজেই আমার পোশাক খুলে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। 
আরেক পুলিশ সদস্য এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বলেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা-বাবা পুলিশের আঞ্চলিক সার্কেল অফিসে যশরাজ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। 
এ সময় ধর্ষণের অভিযোগও নেয় পুলিশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন কিশোরীর বাবা। 
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে হরিয়ানা পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার, ৩ মে, ২০১৭

ফেসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ে কিছু প্রশ্নও

ফেসবুকে কিছুদিন ধরে অনেকে ‘ফেসঅ্যাপ’ নামের একটি অ্যাপ ব্যবহার করে তৈরি ছবি পোস্ট করছেন। 
অ্যাপটির মাধ্যমে মানুষের মুখের বিভিন্ন রূপ বদল করা যায়। 
অ্যাপটিতে কি কোনো সমস্যা আছে?

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপটি মানুষের মুখের আদল পরিবর্তন করে ফেলে।
ছবি বিকৃত করে তা বয়স্ক, শিশু, নারী ও পুরষের আদলে দেখায়। 
স্বাভাবিক ছবিতে মুখে কোনো হাসি না থাকলেও অ্যাপটির সাহায্যে তৈরি ছবিতে মুখে হাসি যুক্ত হয়। যাঁরা নিজের মুখ নিয়ে খেলতে চান, তাঁদের খুশি করতেই এ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। 
অ্যাপটিতে ব্যবহৃত হয়েছে নিউরাল নেটওয়ার্কস। 
এতে পরিবর্তিত ছবিটি বাস্তবের কাছাকাছি করার চেষ্টা করা হয়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেসঅ্যাপটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ারোস্লিভ গনচারোভ প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে বলেছিলেন, সাধারণভাবে বিবেচনা করলে মুখে একটু হাসি যুক্ত করা হয়তো সাধারণ পরিবর্তন, কিন্তু বাস্তবে এটি খুব কঠিন। 
হাসি মানে শুধু ঠোঁটের নড়াচড়া নয়। 
হাসলে পুরো মুখ সূক্ষ্ম অথচ জটিলভাবে পরিবর্তন হয়ে যায়।

বিনা মূল্যের অ্যাপটি নিউরাল ফেস ট্রান্সফরমেশনস অ্যাপ হিসেবে তৈরি করেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ল্যাব। 
ইয়ারোস্লিভ বলেন, ‘আমরা নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি, যা নিউরাল নেটওয়ার্কস ব্যবহার করে কোনো চেহারা বদলাতে পারে। 
এতে ছবির ওপর ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবিটির ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।’ ইয়ারোস্লিভ বলেন, ‘আমাদের মূল্য পার্থক্য হচ্ছে ফটোরিয়্যালিজমে। 
ফিল্টার যুক্ত করার পরেও সেটি আপনার আসল ছবিটিই থাকছে। অন্যান্য অ্যাপে মজা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছবি বিকৃত করা হয়, যা আর আসল ছবি থাকে না।’ ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে ওঠা অ্যাপটি তারকাদের আকৃষ্ট করেছে। 
অ্যামি শুমাখার, মিন্ডি কালিংয়ের মতো তারকারা এটি ব্যবহার করেছেন। গত কয়েক মাস আগে অ্যাপটি উন্মুক্ত করা হলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ২৫ এপ্রিল গুগল প্লেস্টোরে অ্যাপটি হালনাগাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এটি ৫০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে।

ফেসঅ্যাপ হঠাৎ জনপ্রিয় হওয়ায় পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা। অনেকে মনে করছেন, কিছু বিশ্বাসযোগ্য ছবি তৈরি করা এর কারণ হতে পারে। 
তবে গত কয়েক সপ্তাহে ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করে তৈরি করা ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর পর থেকে অনেকেই এটি উপভোগ করছেন। 
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এ জনপ্রিয়তা থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

ফেসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটি নিয়ে অবশ্য কিছু প্রশ্নও উঠছে। 
অ্যালগরিদম-সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় শুরুতেই এতে বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি উঠে আসে। 
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ওই সমস্যা দূর করার কথা জানিয়েছে ফেসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া অ্যাপটি ব্যবহার করে পরিবর্তন করা ছবি আবার ব্যবহার করলে আরও বিরক্তিকর ছবি তৈরি হয়।

প্রশ্ন উঠছে অ্যাপটি ব্যবহারে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়েও। 
তাই যখন ফেসঅ্যাপের মতো ভাইরাল কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করবেন, তখন কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। 
এর মধ্যে অন্যতম বিষয় হচ্ছে প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা।
 মজা করার জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করলেও এটি ডাউনলোডের সময় থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের হাতে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য তুলে দেওয়ার জন্য সম্মতি দিতে হয়।
 অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোডের সময় ইন-অ্যাপ পারচেজ, ফটো ও মিডিয়া ফাইল, ডিভাইস স্টোরেজ ও মাই ক্যামেরা অপশনের অনুমতি দিতে হয়।
 এ ছাড়া আরও ইন্টারনেট ডেটা গ্রহণ, নেটওয়ার্ক কানেকশন দেখা, পূর্ণ নেটওয়ার্ক সংযোগ, ফোন স্লিপিং মোডে যাওয়ার ঠেকানোর অনুমতি দিতে হয়।
 অবশ্য এখন পর্যন্ত প্রাইভেসি নিয়ে খুব বেশি অভিযোগ করেনিন ব্যবহারকারীরা। 
এদিক থেকে অন্যান্য ছবি পরিবর্তনের টুলের চেয়ে ফেসঅ্যাপ কিছুটা এগিয়ে। 
ফেসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপন দেখানোসহ সেবা উন্নত করার ক্ষেত্রে ফোন থেকে অ্যাপটি তথ্য সংগ্রহ করে। 
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, এনডিটিভি।

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭

বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়



২০১৪ সালের ১ নভেম্বরের পর গত সোমবার দিবাগত রাত ও গতকাল মঙ্গলবার সকালের দুই দফা বিপর্যয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড আবারও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়েছে। এ কারণে নাজুক বিদ্যুৎ পরিস্থিতি প্রকট হয়ে উঠছে। জাতীয় গ্রিডের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী দুটি লাইনে এই বিপর্যয়ের কারণে দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে।

প্রথম দফা বিপর্যয় ঘটে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ হাজার ভোল্ট লাইনে, প্রাকৃতিক (কালবৈশাখী) কারণে। ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী লাইনে দ্বিতীয় দফা বিপর্যয়ের কারণ ‘কারিগরি ত্রুটি’। এ ধরনের ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা না গেলে সাধারণত ‘কারিগরি ত্রুটি’ বলা হয়ে থাকে।

এই বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী (সঞ্চালন-২) কামরুল হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

দুই দফা গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৩৮টি জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ওই অঞ্চলের প্রায় ২৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল বেলা দুইটা নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ বিকল্প ব্যবস্থায় প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী ভৈরবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায়নি।

বিদ্যুৎ গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) সূত্রগুলো বলেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও গ্রিডের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার অবসান হয়নি। কারণ গত সোমবার রাতের প্রচণ্ড ঝড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডের একটি টাওয়ার সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে গেছে। জাতীয় গ্রিডের আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ হাজার ভোল্টলাইনে আশুগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীর মধ্যে ওই টাওয়াটির (রিভার ক্রসিং টাওয়ার) অবস্থান।

ঝড়ে টাওয়ারটি এমনভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে যে সেটি প্রতিস্থাপন না করে আর ব্যবহার সম্ভব হবে না। আবার টাওয়ারটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের হওয়ায় এর প্রতিস্থাপন সহজ নয়, কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এই সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা যাবে। তবে তা ঝুঁকিমুক্ত হবে না। যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে পিজিসিবিকে সব সময় একটা ভয়ের মধ্যে থাকতে হবে।

ওই টাওয়ারের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য গতকাল পিজিসিবির একটি বিশেষজ্ঞ দল আশুগঞ্জে গেছে। দলটি টাওয়ারটির নকশা দেখে নতুন করে তা তৈরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া টাওয়ারটির ভিত্তিতে (ফাউন্ডেশন) কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, তা-ও তারা পরীক্ষা করে দেখবে। এটি কোরিয়ার তৈরি। স্থানীয়ভাবে এটি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে এটি প্রতিস্থাপনে কয়েক মাস সময় লাগবে। ভিত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সময় আরও বেশি লাগতে পারে।

বিদ্যুৎ গ্রিডে দ্বিতীয় দফায় বিপর্যয় ঘটে গতকাল সকালে, ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী লাইনে কারিগরি কারণে। লাইনটি গতকাল বিকেল থেকে পূর্ণ ক্ষমতায় চলছে। এই লাইনের মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পশ্চিমাঞ্চলে (যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে) সরবরাহ করা যায়। আর আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ লাইনটি দিয়ে করা যায় ৭০০ মেগাওয়াট। এই বেশি ক্ষমতার লাইনটিরই টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এটি পূর্ণ ক্ষমতায় কবে নাগাদ চালু করা যাবে, তা অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ম তামিম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাকৃতিক কারণে দুর্ঘটনার ওপর তো কারও হাত নেই। তবে এ কথাও ঠিক যে গত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই তুলনায় সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থার উন্নয়ন গুরুত্ব কম পেয়েছে। এখন এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা জরুরি। আর অন্য সঞ্চালন টাওয়ারগুলোর অবস্থাও পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

পরিকল্পনায় থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনব্যবস্থার উন্নয়নে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারেনি সরকার। গত সাত-আট বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট থেকে বেড়ে প্রায় ১৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে সঞ্চালন লাইন ও গ্রিড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। ১৩২ ও ২৩০ হাজার ভোল্টের সঞ্চালন লাইন পর্যায়ক্রমে ৪০০ হাজার ভোল্টে উন্নীত করে নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডকে সব বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার মতো নির্ভরযোগ্য করে তোলা যায়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতীয় লোড ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (এনএলডিসি) আধুনিকায়ন করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সঙ্গে এর সমন্বয়ের অভাব এখনো রয়েছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এটিও এখন পর্যন্ত বড় সমস্যা হয়েই আছে।

বিষয়টি সম্পর্কে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ গ্রিডে অনেক কারণেই সমস্যা হতে পারে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে গ্রিডের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য গ্রিড-ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরও তিন-চার বছর সময় লাগবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যুৎব্যবস্থায় গ্রিড একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর অঙ্গ। গ্রিড বন্ধ হয়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটার অনেক কারণ আছে। অতি পুরোনো ও জরাজীর্ণ সঞ্চালন লাইনে (গ্রিড) যদি এর ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়, তাহলে গ্রিডের সার্কিট পুড়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে। সঞ্চালন লাইনে যদি ছিদ্র দেখা দেয়, তা থেকে স্পার্ক করে গ্রিড বন্ধ হতে পারে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ফ্রিকোয়েন্সিতে হেরফের হলে গ্রিড বন্ধ হতে পারে। এমনকি চালু বা সক্রিয় অবস্থায় সঞ্চালন লাইনে কোনো পাখি বসলে কিংবা কোনো গাছ বা গাছের ডালপালা ভেঙে পড়লেও গ্রিড বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ পাঠানোর দুটি লাইন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ওই অঞ্চলের জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়।

ভৈরব থেকে সুমন মোল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শাহাদৎ হোসেন জানান, কালবৈশাখীতে জাতীয় গ্রিড লাইনের কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আরেকটি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সোমবার রাত নয়টার দিকে এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে।

২৩০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিডলাইনের দুটি টাওয়ারের একটি ভৈরব পৌর শহরের কালিপুর এলাকার মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। ঝড়ে টাওয়ারটি ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে।

বিদ্যুৎ গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, বিকল্প ব্যবস্থায় আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী গ্রিডলাইন দিয়ে সিরাজগঞ্জসহ আশপাশের জেলার আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পিজিসিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ভৈরব অংশে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারটি জাতীয় গ্রিডলাইনের রিভারক্রসিং টাওয়ার। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিকল্প গ্রিডলাইন সচল থাকায় সঞ্চালনব্যবস্থায় তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

ঝড়ে ভৈরবে দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হন। পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমানাদেয়াল ভেঙে গেছে।

ঝড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর উপজেলার চর সোনারামপুর গ্রামে গ্রিডলাইনের তার মেঘনা নদীতে পড়ে যায়। ফলে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চালু সব ইউনিটে উৎপাদন কমানো হয়েছে।

কাল বিকেলে আশুগঞ্জের মেঘনা নদীর মাঝখানে অবস্থিত চর সোনারামপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় গ্রিডের টাওয়ারের বেশ কিছু নাটবল্টু ভেঙে নিচে পড়ে রয়েছে। টাওয়ারের বেশ কিছু নাটবল্টু খুলে যাওয়ায় বিভিন্ন অংশ ফাঁকা হয়ে গেছে।

পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে ২০০-২৫০ কেভি বিদ্যুৎ যোগ হতো। একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে বড়পুকুরিয়া ২৩০, ১৩২, ৩৩ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হলে উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়। তবে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়।

বড়কুপুরিয়া বিদ্যুৎ গ্রিড সাবস্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন বলেন, বগুড়া, রংপুর ও সিরাজগঞ্জের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত এই সাবস্টেশনে হঠাৎ হাইভোল্টেজ সৃষ্টির কারণে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর কারণ উদ্‌ঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Popular Posts