ছেলেটা জেগে থাকে।
ঘুমজড়ানোচোখ খুলে মেয়েটা বলে
-এই তুমিঘুমুবে না? আসো ঘুমাই ".
ছেলেটা হাসে, বলে
- তুমিঘুমোও,আমি আরেকটুপর ঘুমুবো।
মেয়েটা চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়ে।কনকনে শীত, ভারী কম্বল গায়েদিয়ে শুয়ে থাকায় চট করে ঘুমিয়ে যায় মেয়েটা ।
ছেলেটা পাশ ফিরে তাকায়। ডানহাত বের করে নেয় কম্বলের ভেতর থেকে ।
অবাক চোখে ঘুমন্ত নিষ্পাপ চেহারাটার দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে।
কী অদ্ভুত এক মায়াচেহারাটার মাঝে।
বন্ধ করাচোখের পাতা মাঝেমাঝে কেঁপেউঠে। ছেলেটা দেখতেই থাকে।
কপাল ছুঁয়ে আছে একমুঠো চুল।
ছেলেটার ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।মেয়েটা জেগে যাবে বলে ছোঁয়না।
কনকনে শীতে ছেলেটার হাতঠান্ডা হয়ে আছে। ছেলেটা ঠান্ডাহাত মেয়েটার গালে ছোঁয়ে মজাপায়। তার ছোঁতে ইচ্ছে হয়। ছোঁয়না,মেয়েটা জেগে যাবে বলে।
ছেলেটা অপলক দৃষ্টিতে শুধুতাকিয়েই থাকে।
হঠাৎ বন্ধ চোখেরপাতা নেচে উঠে। চোখের পাতাসরে ছোট্ট দুটো চোখ উঁকি দেয়।
ঘুমজড়ানো কন্ঠে ভ্রু নাচিয়েজিজ্ঞেস করে "
- কী দেখো? "
ছেলেটা বলে
- কিছু না। আমার হাতঅনেক ঠান্ডা।
মেয়েটা চোখ বুঁজে মুচকি হেসেছেলেটার হাত বালিশের উপর নেয়।
সেই হাতের উপর তার গাল রেখে চুপচাপ শুয়ে থাকে। ঠান্ডা হাত লাগায় এক ধরনের শিউরে উঠা ভাবথাকে,মেয়েটার তারপরও ভালো লাগছে।
এ যে এমন একজনের হাত,যেই একজন তার।
এবার ছেলেটা আবার তাকিয়ে থাকে।
মেয়েটা আবার চোখ খুলে।পিটপিট করে তাকিয়ে বলে-
- এই শোনছ?-
-হুমম বলো।-
-তোমার হাত অনেক ঠান্ডা।সরিয়ে নাও?
- আচ্ছা।
ছেলেটা হাত সরিয়ে নেয়।
অল্প অল্প মন খারাপের রেখা ভাসে গালে-কপালে। মেয়েটা চোখ বুঁজে আছে,তাই দেখেনা তবে বুঝতে পারে।
মেয়েটা আবার চোখ খুলে, পিটপিটকরে তাকায়। বলে-- এই শোনছ?
- হ্যাঁ বলো ।
- বালিশটাও না খুব ঠান্ডা।
- এখন কী করা? বালিশ সরিয়ে নেব?
- উহুঁ
- তাহলে?
- তোমার বুকে মাথা রাখি?
মেয়েটা উত্তরের অপেক্ষা করেনা।
চুপচাপ মাথা রাখে ছেলেটার বুকে।বুকের গহীন থেকে গর্জন আসে। গর্জন আসে ভালোবাসার,গর্জন আসে অনেক পাওয়ার,গর্জন আসে সুখের।
চোখ বুঁজে মেয়েটা সে সুখ মেখেনেয়। এ বুক তার,শুধুই তার।
এই ছেলেটাতার স্বামী,
শুধুই তার।
ছেলেটা হাসে।
অনেক পাওয়ার হাসি।
আলতো করে মেয়েটার চুলেহাত রাখে। ঠান্ডা হাত...................