Recent post

রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫

মুগ্ধতার এক মূহুর্ত।

















-তুলি ,এই তুলি ।শুন না একটু ।
-কি?
-বমি আসতেছে ।
-মানে ?এত বড় ধামড়া ছেলের বাসে চড়লে বমি আসে ?
-আসলে আমি কি করব ?
-চুপচাপ বসে থাক ।
-বমি করে দিলে তখন ?
-চুপ । গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে এসে বমির কথা বলছ
তুমি ।
জানো যে বমি আসে বাসে চড়লে ,ট্যাবলেট খেয়ে আসতে পারনায় ?
-ভুল হয়ে গেছে এখন আর কি করা ।একটু এই পাশে আসনা ।আমি জানালার পাশে বসি ।
-ও ও ও এই ব্যাপার ?এতক্ষণে বুঝলাম।
তুমি আমাকে এতক্ষণ
ভুঙভাঙ দেখাইছ।এই পাশে বসার ফন্দি।চুপচাপ
যেখানে আছ বসে থাক।জানালার পাশে বসার কথা ভুলেও মনে করবা না।
এখানে আমি বসব ।
-না না । বিশ্বাস কর সত্যি বমি আসছে ।মিথ্যা না ।
আমি বাসে চড়তে পারি না ।
-পলিথিন নাই ?পলিথিনে কর । আমাকে ডিস্টার্ব
করবা না ।
-আমি পলিথিন নিয়ে ঘুরব কেন ?আমি কি দোকানদার
নাকি?
-ওহ । আমি জানিনা কি করবা । পক পক কইর না তো ।
বিচ্ছিরি ছেলে ।বমি করে বাসে উঠলে ।
-তুলি । প্লিজ ।
তুলি ব্যাগ থেকে একটা এক টাকার পয়সা বের
করে বর্ষ এর হাতে দিল ।
-এই নাও ।
-ছিঃ ছিঃ তুমি আমাকে ভিক্ষা দিচ্ছ ? আমাকে তুমি এই ভাব?
নাকি ঘুষ দিতেছ যাতে ঔপাশে বসতে না চাই ।
-ওহ । এত বুঝ কেন ?ঐটা মুখের ভিতর দিয়ে রাখ ।
বমি চলে যাবে ।
-এই নোংরা জিনিস ?মরে গেলেও না ।
-ইশ ,কি আমার সোংরা মানুষ রে।বমি করে আবার
কথা বলে ।
চুপচাপ দিয়ে বসে থাক । একটা কথা বলবা না ।
বাসের জানালা দিয়ে খুব বাতাস আসছে ।
তুলি চোখটা বুজল ।সিটের সাথে হেলান দিয়ে আধ
শোয়া হল।
বাতাসে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে মুখের উপর এসে পরছে ।আর কিছু উড়ছে ।
ওড়নাটা বুকের সাথে লেপ্টে আছে বাতাসে ।
ঠোঁটের হালকা লিপস্টিকের উপর একটু আধটু ধুলো এসে পরছে । তাও খারাপ লাগছে না দেখতে। চেহারার স্নিগ্ধতা যেন এই এলোমেলো বাতাসে হাজার গুণ বেড়ে গেছে ।
বর্ষ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে তা দেখছে।কত অপরূপ লাগছে দেখতে তুলিকে।এখনও বমি বমি লাগছে।
তারাতারি নোংরা পয়সাটা মুখের ভিতর দিল।
না ,বমি করা যাবে না।তুলিই ওপাশে থাক।ভালবাসার মানুষের এই স্নিগ্ধ রূপ চোখের আড়াল করতে ইচ্ছা করছে না।
প্রাণপন চাচ্ছে বমিটা না আসুক বর্ষ ।
বাতাসটা না থামুক।
এই মুগ্ধতাটুকু না কাটুক।...................................

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts