জীবন গড়তে ভালো অভ্যাস


জীবন গড়তে ভালো অভ্যাস





আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ পার হয় কাজের ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। এই ব্যস্ততায় নিজের জন্য আলাদা করে কিছুটা সময় বরাদ্দ করা গেলে মানসিকচাপ আর হতাশা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
ব্যস্ততার কারণে ভালোলাগার অনেক কাজই করার সময় হয়ে ওঠে না।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ব্যস্ততার মধ্যেও কীভাবে সবকিছু সুন্দরভাবে সাজিয়ে নেওয়া যায় তারই কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়।

নিজের শখ ধরে রাখা: কাজের চাপ এবং হতাশা ভুলে থাকতে দারুণ কার্যকর হল শখ। একেকজনের শখের বিষয় একেকটি। ভালোবাসেন এমনই একটি কাজকে শখ হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত। ছবি আঁকা, সেলাই করা, বাগান করা, ঘর সাজানো এরকম যে কোনো কাজ হতে পারে শখের বিষয়।

গুরুত্ব অনুসারে কাজ ভাগ করে নেওয়া: কোন কাজ আগে করা উচিত, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দোটানায় ভুগেন। তবে একবার এই বিষয় রপ্ত করা গেলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়।

নিজের জন্য সময় আলাদা করে রাখা: কাজ এবং অন্যান্য ব্যস্ততায় নিজের জন্য যে আলাদা করে কিছুটা সময় রাখা উচিত তা আমরা অনেকেই ভুলে যাই। মাঝে মধ্যে নিজের মতো করে থাকতে এবং চিন্তা করার জন্য কিছু সময় ভাগ করে রাখা উচিত।

সুযোগ থেকে অভিজ্ঞতা: জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানান সুযোগ পাই আমরা। সেই সুযোগগুলো থেকে সঠিক সুযোগ বেছে নিয়ে সেখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আর এতে জীবনে অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও পূর্ণ হবে।

সোশাল নেটোয়ার্কিং সাইট থেকে বিরতি নেওয়া: এই যুগে আমরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কত ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করি। তবে মাঝেমধ্যে উচিত সব ধরনের সোশাল নেটোয়ার্কিং সাইট থেকে বিরতি নেওয়া। এতে জীবন পুরোপুরি উপভোগ করা যায়।

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ: একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাখা হলে সেখানে পৌঁছানোর জন্য নিজেকে তাগাদা দেওয়া যায়। আর সব কাজ করার একটি নির্দিষ্ট ধারাও থাকে।

গুছিয়ে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করা: একই কাজে বাড়তি সময় ব্যয় করতে না চাইলে কাজ গুছিয়ে করার অভ্যাস তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এতে কম সময়েই কাজ ভালোভাবে করা সম্ভব হয়।

ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ: মানুষ মাত্রই ভুল করে, এটি খুবই প্রচলিত একটি কথা। কিন্তু বারবার একই ভুল করা মোটেই ভালো বিষয় নয়। বরং ভুল শুধরে নিয়ে, সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং দ্বিতীয়বার ওই ভুল আর না করাই মূল বিষয়।

একটি তালিকা তৈরি করা: কী কী কাজ করা প্রয়োজন তার একটি তালিকা তৈরি করা হলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

প্রতিদিন ব্যয়াম করা: সুন্দর স্বাস্থ্য এবং মন ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যয়ামের জুড়ি নেই। তাই প্রতিদিনই কিছুটা হাঁটাহাঁটি করা এবং হালকা ব্যয়াম করার জন্য কিছুটা সময় আলাদা করে রাখা উচিত।

মন ভরে খান: ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সবসময়ই মুখরোচক আর পছন্দের খাবার থেকে দূরে থাকেন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। তবে মন ভরে খাওয়াও জীবনের একটি অংশ। তাই মাঝে মধ্যে ক্যালরির হিসাব না করে মন মতো খাবার খেলে মন ভালো থাকবে।

রুটিনমাফিক কাজ করা: দৈনন্দিন কাজ করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করে নেওয়া উচিত। যেমন সকালে ঘুম থেকে ওঠা, নাস্তা, কাজে যাওয়া, রাতে ঘুমানোর সময় ইত্যাদি, একটি নির্দিষ্ট ছকে ফেলে করার অভ্যাস হলে সব কাজ করাই অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
Bangla date add in your website HTML tips.
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
সিঙ্গাপুরে নতুন আইন: ১ জুলাই ২০২৫ থেকে ফুটপাথে বাইসাইকেল ও PMD চালানো নিষিদ্ধ, লঙ্ঘনে জরিমানা ও জেল
বসে থাকলেই কোমরে ব্যথা হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
Loading posts...