৮ম শ্রেণীর বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট



(ক ) 
কোষ বিভাজন: 
যে প্রক্রিয়ায় জীব কোষের বিভক্তির মাধ্যমে একটি থেকে দুটি বা চারটি কোষের সৃষ্টি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে।

(খ ) 
জননকোষে উৎপন্নের সময় মিয়োসিস কোষ বিভাজন ঘটে। এ ধরনের কোষ বিভাজনে মাতৃ কোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দুবার বিভাজিত হলেও ক্রোমোজোমের বিভাজন ঘটে মাত্র একবার। ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায় ।এ বিভাজনে ক্রোমোজোমের সংখ্যা অর্ধেক হ্রাস পায় বলে এ ধরনের বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজনও বলা হয়.।

(গ ) 
উদ্দীপকের উদ্ভিদটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে ।অর্থাৎ উদ্ভিদটি তে যে বিভাজন হয়েছে তা হলো মাইটোসিস বিভাজন। মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়ার পাঁচটি ধাপ এর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হলো প্রোফেজ। প্রোফেজ ধাপে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে শিশু উদ্ভিদ বা চারাগাছ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদে পরিণত হয। প্রোফেজ ধাপ উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে নিম্নলিখিত ভূমিকা রাখে:
১. উদ্ভিদের দৈহিক বৃদ্ধি গঠন: উদ্ভিদের জীবন শুরু হয় জাইগোট নামের একটি কোষ থেকে। এ কোষটি বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী উদ্ভিদ দেহ গঠন করে।

২. উদ্ভিদের নির্দিষ্ট আকার আয়তন রক্ষা রক্ষা: মাইটোসিস বিভাজনের প্রোফেজ প্রক্রিয়ার ফলে উদ্ভিদ কোষের স্বাভাবিক আকার, আয়তন, আকৃতি ইত্যাদি গুনাগুন বজায় থাকে।

৩. নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম এর ভারসাম্য রক্ষা: উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজম এ অবস্থিত বিভিন্ন ক্ষুদ্রান্ত ও রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণগত ও নিয়ন্ত্রণগত ভারসাম্য মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে রক্ষিত হয়।

৪. উদ্ভিদের ক্ষতস্থান পূরণে: উদ্ভিদের কোন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে সে কত স্থান পূরণ হয়। জীবের দৈহিক বৃদ্ধি মাইটোসিস প্রক্রিয়ার ফল।

(ঘ) 
নিধিতার মায়ের উত্তরে বলা অভিস্রবণ। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া টি উদ্ভিদের জীবনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিশ্লেষণ করা হলো:

১. বিভিন্ন প্রয়োজনীয় লবণ উদ্ভিদ দেহে দ্রবীভূত অবস্থায় জীবকোষে প্রবেশ করে। জীবকোষের আবরণ অর্ধভেদ্য পর্দা হিসেবে কাজ করে। এ পর্দা দিয়ে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন খনিজ লবণ কোষের মধ্যে প্রবেশ করে বা বাইরে আসে।

২. উদ্ভিদের মূলরোম দিয়ে পানি পরিশোষণ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে।

৩. পত্ররন্ধ্র খোলা ও বন্ধ হওয়া অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রিত হয় ।তাই অভিস্রবণ প্রক্রিয়া প্রস্বেদনের হার নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. কোষের স্বাভাবিক স্ফীতি অবস্থা বজায় রাখা এবং বৃদ্ধির জন্য কোষস্ফীতি আবশ্যক। অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পানি গ্রহণ করে কোষস্ফীত অবস্থা প্রাপ্ত হয়।

৫. মূল থেকে পাতা পর্যন্ত বিভিন্ন জীবিত কোষে প্রয়োজনীয় পানি পৌঁছানোর পেছনে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া সক্রিয়।

৬. ফুলের পাপড়ি খোলা বন্ধ হওয়া, বীজের অঙ্কুরোদগম ইত্যাদি সাফল্য অভিস্রবণ এর উপর নির্ভর করে। তাই বলা যায়, উদ্ভিদের জীবনে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
Bangla date add in your website HTML tips.
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...