মেয়েদের যৌনি জিহ্বা দিয়ে চোষলে কি হয়, ইসলাম ধর্ম কি বলে, সাইন্স কি বলে?
আপনার প্রশ্নটি যৌনতা, ইসলাম ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে, তাই আমি সংক্ষিপ্তভাবে তিনটি দিক থেকেই উত্তর দিচ্ছি:
১. ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে:
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক একটি বৈধ এবং পুরস্কারযোগ্য কাজ, যদি তা শালীনতা ও সম্মতির মধ্যে থাকে। ইসলামী পণ্ডিতদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে ওরাল সেক্স (যেমন যৌনাঙ্গ চোষা) সম্পর্কে।
- অনেকে বলেন: এটি বৈধ, যদি তা উভয়ের সম্মতিতে হয় এবং শরীরের কোনো নাপাক জিনিস (যেমন বীর্য বা রজঃস্রাব) গলার মধ্যে প্রবেশ না করে।
- কিছু আলেম বলেন: এটি অনুচিত বা অপছন্দনীয় (মাকরুহ), কারণ এটি অশ্লীলতার কাছাকাছি।
- তবে হারাম (নিষিদ্ধ) তখনই হয়, যদি তা ইসলামি শালীনতা ভঙ্গ করে বা নাপাকতা মুখে প্রবেশ করানো হয়।
২. বিজ্ঞান/স্বাস্থ্যগত দিক থেকে:
ওরাল সেক্স বা যৌনি চোষার সময় কিছু স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনা করতে হয়:
-
পজিটিভ দিক:
- এটি কিছু দম্পতির মধ্যে যৌন তৃপ্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
-
নেগেটিভ/ঝুঁকি:
- যৌনি বা মুখে যদি সংক্রমণ থাকে (যেমন HPV, হের্পিস, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া ইত্যাদি), তাহলে তা ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
- তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
৩. নৈতিকতা ও পারস্পরিক সম্মতির বিষয়:
যে কোনো যৌন কার্যকলাপের আগে দুজনের সম্মতি ও আরামবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারও অনিচ্ছায় কোনো কিছুই চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।
সংক্ষেপে:
- ইসলাম ওরাল সেক্স সরাসরি নিষিদ্ধ করেনি, তবে শালীনতা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি।
- বিজ্ঞান বলছে, এটি নিরাপদ হতে পারে যদি স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়।
- পারস্পরিক সম্মতি ও শ্রদ্ধা থাকা অবশ্যই দরকার।
আপনি চাইলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে বা নির্দিষ্ট ইমাম/মাযহাব অনুযায়ী ব্যাখ্যা দিতে পারি।
0 মন্তব্যসমূহ