ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: দুই দেশের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির ঐতিহাসিক চুক্তি
📅 প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫
✍️ The Daily 71 সংবাদ ডেস্ক
নয়াদিল্লি/ইসলামাবাদ:
দীর্ঘদিনের উত্তেজনা ও সামরিক সংঘর্ষের পর ভারত ও পাকিস্তান অবশেষে একটি পূর্ণাঙ্গ ও অবিলম্বে কার্যকর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে এ চুক্তি কার্যকর হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আশাব্যঞ্জক পথ তৈরি করেছে।
📌 যুদ্ধের পটভূমি
উল্লেখ্য, এপ্রিলের ২২ তারিখে ভারতের কাশ্মীরে একটি ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু ঘটে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনকে দায়ী করে এবং পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও সাধারণ নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
🕊️ শান্তিচুক্তি ও আন্তর্জাতিক ভূমিকা
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দুই দেশের মধ্যে সারারাত আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা নিশ্চিত করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করে এই খবর নিশ্চিত করেন এবং দুই দেশকে ধন্যবাদ জানান যে তারা কূটনৈতিক পথ বেছে নিয়েছে।
চুক্তির আওতায় স্থল, আকাশ ও জলপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উভয় দেশের প্রতিনিধি দল আগামী সোমবার থেকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন, যাতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।
🌐 বিশ্ববাসীর প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই পদক্ষেপকে “একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করবে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপের জন্য দরজা খুলে দেবে।”
চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব এবং জি৭ দেশসমূহও এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
🔮 ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি শান্তির দিকে একটি বড় ধাপ, তবে পারস্পরিক অবিশ্বাস এখনো অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও কূটনৈতিক সমঝোতা বজায় রাখাই হবে মূল চাবিকাঠি।
🗣️ সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
দুই দেশের সাধারণ মানুষ এই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে দেখা গেছে, বহু মানুষ এই চুক্তিকে “আশার আলো” ও “মানবতার বিজয়” বলে অভিহিত করছেন।
📢 এই ধরনের আন্তর্জাতিক সংবাদ পেতে আমাদের ব্লগে চোখ রাখুন। আপনার মতামত জানাতে নিচে মন্তব্য করুন!
0 মন্তব্যসমূহ