**গল্পের সংক্ষিপ্তাংশ:
আরিফ, এক মধ্যপ্রাচ্যের নির্মাণ শ্রমিক, বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে সংসারের জন্য টাকা পাঠায়। কিন্তু তার বড় ভাই কামাল সেই টাকা নিজের ব্যবসা ও আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনে ব্যয় করে। যখন আরিফ বাড়ি ফিরে সত্যতা জানতে চায়, তখন পরিবার "সংসারের খরচ" এর অজুহাত দেয়। এই সংকট থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় আরিফ কীভাবে? গল্পটি আত্মীয়তার বিশ্বাসঘাতকতা, দায়িত্ববোধ ও সমাধানের সন্ধান নিয়ে।
**গল্পের বিস্তারিত অংশ:**
**১. স্বপ্নের বিনিময়ে ঘাম**
আরিফের গাঁটের কাঁটা ছেঁড়া জুতোয় মিশে আছে কাতারের রোদ্দুরে ঝলসে যাওয়া দিনগুলো। নির্মাণ সাইটের ধুলো-বালি মেখে সে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা পাঠায় বাংলাদেশের পল্লীর বাড়িতে। বাবা-মায়ের চিকিৎসা, ছোট বোনের বিয়ে, বাড়ি সংস্কার—সব স্বপ্ন জড়িয়ে আছে সেই টাকায়। ফোনে মা কাঁদতেন: "বাবা, তুই যখন ফিরবি?" আরিফের উত্তর একটাই: "যেদিন তোমাদের পায়ের তলায় মাটি থাকবে, মা।"
**২. মিথ্যার গাদা**
দুই বছর পর, প্রথম ছুটিতে ফিরে আরিফ দেখে বাবার হাঁটুর ব্যথার ওষুধ কেনা হয়নি। ছোট বোনের বিয়ের ব্যবস্থাও হয়নি। বদলে গ্যারেজে জ্বলজ্বল করছে কামালের নতুন মাইক্রোকার। গাঁয়ের দোকানদার হেসে বলে, "তোমার ভাই তো এখন বড় ব্যবসায়ী!" রক্তে যেন আগুন ছড়ায় আরিফের। রাতের খাবারের টেবিলে হিসাব চাইতেই কামাল গর্জে ওঠে: "টাকা তো সংসারেই খরচ হয়েছে! তুমি বিদেশে থেকে বড়লোকের গল্প করো?"
**৩. মায়ের চোখের নোনা জল**
মা ঝুঁকে পড়েন থালা সাজাতে। বাবা নীরবে তামাক টানেন। ছোট বোন ফিসফিস করে বলে, "ভাইয়া, দাদাভাই তো টাকা নিয়ে আমাকে বিয়ে দিতে দেরি করছে। তার গয়নার দোকান..." আরিফ বুঝে যায়, পরিবারের লজ্জা ও ভাইয়ের লোভের কাছে সে একা।
**৪. সমাধানের পথ**
পরদিন আরিফ গাঁয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিক স্যারের সাথে দেখা করে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলে, "টাকার জন্য পরিবার হারালাম, স্যার!" রফিক স্যার পরামর্শ দেন:
- **ক) পরিবার সম্মেলন:**
গ্রামের সম্মানিত ব্যক্তিদের সামনে সবাইকে ডাকো।
- **খ) প্রমাণ সংগ্রহ:**
- **খ) প্রমাণ সংগ্রহ:**
ব্যাংক স্টেটমেন্ট, দোকানদারের রসিদ যাচাই করো।
- **গ) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:**
- **গ) ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:**
বাবা-মায়ের জন্য আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলো, যেখানে টাকা সরাসরি জমা হবে।
**৫. সত্যের মুখোমুখি**
পঞ্চায়েত বৈঠকে কামাল প্রথমে চেঁচায়, কিন্তু যখন আরিফের হাতে আসে গয়নার দোকানের লেনদেনের রেকর্ড, সে মাথা নিচু করে। গ্রামের চেয়ারম্যান বলেন, "পরিবার তো ডাকাতি করার জায়গা না। কামাল, তোমার দোকান থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে।" মা কাঁদেন: "আমার দুই ছেলেই আজ ধ্বংস হল!"
**৬. নতুন শুরু**
আরিফ বাবা-মায়ের জন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলে, যাতে টাকা সরাসরি তাদের কাছে যায়। কামাল ধীরে ধীরে টাকা ফেরত দেয়, আরিফের ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিদেশ যাওয়ার দিন কামাল বলে, "ভাই, ক্ষমা করতে পারো?" আরিফ জবাব দেয়, "ভালোবাসা কখনো মরে না দাদা। কিন্তু বিশ্বাস একবার মরলে আবার বাঁচে না।"
**শিক্ষণীয় দিক:**
১. অর্থ পাঠানোর সময় লিখিত রেকর্ড রাখা জরুরি।
২. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ ও আর্থিক স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বিশ্বাসের সাথে বুদ্ধিমত্তার সমন্বয় করতে হয়, বিশেষ করে প্রবাসী জীবনে।
৪. সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কখনো শক্ত হওয়া, কখনো নমনীয় হওয়ার সংমিশ্রণ প্রয়োজন।
**৫. সত্যের মুখোমুখি**
পঞ্চায়েত বৈঠকে কামাল প্রথমে চেঁচায়, কিন্তু যখন আরিফের হাতে আসে গয়নার দোকানের লেনদেনের রেকর্ড, সে মাথা নিচু করে। গ্রামের চেয়ারম্যান বলেন, "পরিবার তো ডাকাতি করার জায়গা না। কামাল, তোমার দোকান থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে।" মা কাঁদেন: "আমার দুই ছেলেই আজ ধ্বংস হল!"
**৬. নতুন শুরু**
আরিফ বাবা-মায়ের জন্য জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলে, যাতে টাকা সরাসরি তাদের কাছে যায়। কামাল ধীরে ধীরে টাকা ফেরত দেয়, আরিফের ছোট বোনের বিয়ে হয়। বিদেশ যাওয়ার দিন কামাল বলে, "ভাই, ক্ষমা করতে পারো?" আরিফ জবাব দেয়, "ভালোবাসা কখনো মরে না দাদা। কিন্তু বিশ্বাস একবার মরলে আবার বাঁচে না।"
**শিক্ষণীয় দিক:**
১. অর্থ পাঠানোর সময় লিখিত রেকর্ড রাখা জরুরি।
২. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ ও আর্থিক স্বচ্ছতা গুরুত্বপূর্ণ।
৩. বিশ্বাসের সাথে বুদ্ধিমত্তার সমন্বয় করতে হয়, বিশেষ করে প্রবাসী জীবনে।
৪. সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কখনো শক্ত হওয়া, কখনো নমনীয় হওয়ার সংমিশ্রণ প্রয়োজন।
0 মন্তব্যসমূহ