ইরানের প্রতিরোধে পিছু হটলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল – যুদ্ধবিরতির পথে মোড়
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নতুন মোড় নিয়েছে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ত্রিমুখী সংঘাত। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পরাক্রমশালী প্রতিরোধের মুখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পথে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
ইরানি টেলিভিশন চ্যানেল আইআরআইএনএন এক বিবৃতিতে জানায়, সম্প্রতি কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের লক্ষ্যভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন এবং সকল পক্ষকে তা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “যুদ্ধবিরতি এখন থেকে কার্যকর হয়েছে। অনুগ্রহ করে কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না।” এমন ভাষ্য ট্রাম্পের পোস্টে উঠে আসে।
ইরানি টেলিভিশনের দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে যুদ্ধ বন্ধে সহায়তা চেয়ে আবেদন জানান। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর দৃঢ় অবস্থানের ফলেই এই কৌশলগত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার মধ্যেই ইসরায়েলি সূত্র জানিয়েছে, ইরান পাঁচ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে এবং এই হামলায় ইসরায়েলের বীরশেবা অঞ্চলে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। হামলার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে দুই পক্ষই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও ভূরাজনৈতিক ভারসাম্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ইরানের সামরিক সক্ষমতা এবং কূটনৈতিক কৌশল নতুন করে মূল্যায়নের দাবি তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল।
বি.দ্র.: এই প্রতিবেদনটি ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও ট্রুথ সোশ্যালের প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। বাস্তবতার ভিন্নতা থাকতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ