Recent post

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

শিক্ষাশিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?

আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। 

আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন সেই কামনায় করি।


শিক্ষাসফর প্রতিটি শিক্ষার্থীদের জীবনের এক মজার অভিজ্ঞতার নাম।প্রতি বছর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরের প্রথম দিকে শিক্ষা সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়।

 প্রতিটি শিক্ষার্থী জীবনের তাই শিক্ষাসফর এক বহুল আকাঙ্খিত এক ভ্রমন। প্রতিটি শিক্ষার্থী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই দিনটির জন্য। 

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরের দিন নিজেদের পছন্দমতো পোশাক পরে নিজেদের পছন্দমতো সেজে মজার ,আনন্দ এবং হয় হুল্লোড় এর মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করে। ঐদিন থাকেনা কোনো ক্লাসের পড়া ,থাকেনা কোনো পরীক্ষা ,শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো এক ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণ করে খাওয়া দাওয়া ,জ্ঞান অর্জন করা এবং আনন্দ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করে থাকে।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাসফরের দিন শিক্ষার্থীদের তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার জন্য এসাইনমেন্ট দিয়ে থাকে। 

উক্ত এসাইন্টমেন্টে তাদের শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়ে থাকে।

শিক্ষা সফরের এসাইনমেন্ট এর জন্য চারটি জিনিস প্রয়োজন।তা হলোঃ

১.শিরোনাম

২.ধন্যবাদ জ্ঞাপন সুচনা

৩. বর্ননা

৪.উপসংহার

আজ আমি তেমনি একটি শিক্ষা সফরের এসাইন্টমেন্ট কিভাবে লিখতে হয় তার নমুনা আপনাদের জানাবো। আশা করি আপনারদের উপকার হবে।

শালবন বিহারে একদিন

সবার প্রথমে আমি আমার প্রতিদঠান এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আমাদের এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানে ভ্রমণে নিয়ে গিয়ে আমাদের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য জন্য।

গত ১০ এ এপ্রিল আমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধীনে শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণ করি। আমাদের শিক্ষাসফরের স্থান নির্ধারিত ছিল কুমিল্লা শালবন বিহারে। আমরা যেহেতু ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৮ টি গাড়ি ঢাকা থেকে সকাল ৭ টায় সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে রওয়না দিয়েছিলাম শালবন বিহারের উদ্দেশ্যে।বাসে উঠেই আমাদের সবাইকে আমাদের সকালের খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল।

আমরা সারা গাড়িতে আনন্দ করতে করতে ১১ তার দিকে কুমিল্লা শালবন বিহারে পৌঁছেছিলাম। শালবন বিহারে পৌঁছে ধংসাবশেষ টিলা দেখার জন্য আমরা প্রথমের শালবন বিহার রাজপ্রাসাধে প্রবেশ এর জন্য লাইনে দাঁড়াই ।শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ সবার টিকেট সংগ্রহ করে সবাইকে ভিতরে নিয়ে গেলো। আমরা পুরাটা ধ্বংসাবশেষ ঘুরে ঘুরে দেখলাম। কতটা নিখুঁত স্থাপনা হলে এত্তটা বছর পরেও এই ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে থাকতে পারে তা দেখছি।

এটি মূলত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো কতৃপক্ষের দিকনির্দেশনায় পদক্ষেপের কারণে এটি মাটি থেকে তুলে এনে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিটি টিলায় ঘুরছে আর সামনে থাকা প্রতিলিপি থেকে ইতিহাসগুলো পড়ছি। প্রায় ১.৩০ ঘন্টা ঘুরে আমরা ছবি তুলে পাশের জাদুঘরে যাই ,টিলায় ধ্বংসাবশেষ ত্রিপুরা রাজার ব্যবহার করা জিনিস পত্র ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করলাম।

আগের দিনের রাজারা কতটা সৌখিন ছিল তা তাদের জাদুঘরে গিলে দেখতে পাওয়া যায়। যতটা ঘুরছি ঠিম ততটাই বিমূহিত হচ্ছি। চারদিকের ধ্বংসাবশেষ যেন চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে যানান দিচ্ছে যে কোনো এক সময়ে এই দিকে কতটা জমজমাট ছিল যে আজ শুধুই ধংশাবশেষ। এইসব দেখে আমরা একটা জিনিস শিক্ষা পাচ্ছিলাম সব কিছু মানুষ চীর জীবন নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে না। সময়ের প্রয়োজনে তা হারিয়ে যায়।

তারপর আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আবার বেরিয়ে যায় শালবনের পথে। শালবনের ভিতরে যতই যাচ্ছি ভারী ভারী গাছপালা আমাদের ঠিক ততটাই মুগ্ধ করছে। নানান রকম ভারী গাছপালা দেখে আমাদের বিদায় নেবার সময় হলো । এই মনোমুগ্ধকর জায়গা ছেড়ে মন যেতে চাচ্ছিলোনা। কিন্তু আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা সারাজীবন পাথেয় হয়ে থাকবে।

সামনে নতুন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts