প্রবাসীর আর্তনাদ
লিখেছেন: (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)
ঘর ছেড়ে চলেছি দূরে, ভিন্ন এক জগতে,
মাথায় স্বপ্ন, চোখে জল—হৃদয় পড়ে রক্তে।
মায়ের ডাকে মন কাঁদে, বাবার চাহনি মনে,
বোনের হাসি, ভাইয়ের খুনসুটি—রয়ে গেছে ক্ষণে।
অজানা ভাষা, অচেনা মুখ, খাটুনি দিন-রাত,
তবু বাঁচতে হয়, টিকে থাকতে হয়, নিতে শত শত ঘাত।
হাতে হাত নাই, পাশে পাশে নাই আপন মুখ,
সব কিছুই যেন যন্ত্রণা, নয় কেবল সুখ।
ঈদের দিনে একাকীত্বে, চোখে নামে জল,
তখন মনে পড়ে খালি, দেশের মাটির কল।
বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল যে মেয়ে,
তার ছবিটা এখন ফোনে, স্মৃতির আবয়ে।
টাকায় গড়া এই জীবন, ভালোবাসা হারায়,
প্রতি মাসে রেমিটেন্স, আর চিঠিতে মায়া বাড়ায়।
বন্ধুরা ভাবে প্রবাস মানেই সুখের হাওয়া,
কেউ বোঝে না ভিতরে লুকানো কষ্টের ব্যথা কাঁদায়।
শুকনো মুখে হাসি ফুটাই, হোটেল-বান্দর ঘুরে,
মনে মনে খুঁজি আমি মায়ের আঁচল ঝুরে।
গভীর রাতে ফোনের স্ক্রিনে, পরিবারের ছবি,
এই তো আমার সুখ-দুঃখ—অচিন দেশের নবি।
দিন যায়, মাস যায়, বছর পেরিয়ে যায়,
তবু একদিন ফিরবো দেশে—এই আশাতে বাঁচায়।
প্রবাসীর জীবন নয় গল্পের কবিতা,
এ যে এক নিঃশব্দ আর্তনাদ, নিরব দীর্ঘনিঃশ্বাসে লেখা সত্যিতা।
0 মন্তব্যসমূহ