চারপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিশ্চয়ই আমাদের বিভিন্ন রকম অনুভূতি হয়।
কারও কারও সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমাদের মনে হয়, তিনি যেন একটু বেশিই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কথা বলছেন, পরিষ্কার করে বলছেন না কিছু।
আবার কারও কারও কথা যেন একটু বাঁকা বাঁকা হয়, কথায় মিশে থাকে পরোক্ষ বিভিন্ন খোঁটা।
কারও কারও কথা বেশি সোজাসাপ্টা মনে হয়, কাউকে কাউকে বেশি স্পষ্টবাদী মনে হয়।
যাঁরা সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করেন, তাঁদের আমরা অনেকেই পছন্দ করি।
মনে রাখতে হবে স্পষ্টবাদিতাই সব নয়, সত্যবাদিতা স্পষ্টবাদিতার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের কথা বলার সময় সত্য কথা বলাটাই জরুরি।
বলার সময় আপনার গলার স্বর, শারীরিক ও মানসিক অভিব্যক্তি হওয়া উচিত মার্জিত।
কথা বলতে গিয়ে স্পষ্টবাদিতা যেমন জরুরি, সত্যবাদিতাও তেমনি জরুরি।
কথা বলতে গিয়ে স্পষ্টবাদিতা যেমন জরুরি, সত্যবাদিতাও তেমনি জরুরি।
আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, সোজাসাপ্টা কথা বলতে গিয়ে আমরা যেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে না বসি।
কথা বলার সময় হতে হবে বিনয়ী এবং সৎ।’
সৈকত (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধু মনির (ছদ্মনাম) নতুন একটা কারবারে হাত দিচ্ছেন।
সৈকত (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধু মনির (ছদ্মনাম) নতুন একটা কারবারে হাত দিচ্ছেন।
কিন্তু কারবার শুরু করার আগে সৈকত মনিরের সঙ্গে সব ভেঙে কথা বলতে চান।
একদম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সব আলোচনা করে নিতে চান।
কিছু কিছু বিষয় নিয়ে তিনি দ্বিধায় ভুগছেন, সেগুলো পরিষ্কার করে নিতে চান।
কিন্তু মনির সৈকতের অনেক দিনের বন্ধু।
অনেক কিছু চাইলেও সৈকত বলতে পারলেন না মনিরকে।
এমন মাঝেমধ্যেই হয় আমাদের। খুব ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা দেখা যায়, সৌজন্যতার খাতিরে সোজাসাপ্টা কথা না বলে একটু অন্যভাবে বলি, হয়তো বা কিছু কথা লুকাইও, যার সঙ্গে কথা বলছি, তিনি কষ্ট পাবেন ভেবে।
আহমেদ হেলাল এ ব্যাপারে বলেন, ‘সৌজন্য রক্ষা করতে আমরা অনেক সময় স্পষ্টবাদী হতে পারি না।
কিন্তু তাতে অনেক ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লুকাতে হয়, অনেক কথা বাদ দিয়ে বলতে হয়।
সে ক্ষেত্রে বিনয়ের সঙ্গে স্পষ্টবাদী হওয়াটা ভালো। আপনি যাঁর সঙ্গে আলাপচারিতায় আছেন, তাঁকে পুরোটা বুঝিয়ে বলতে হবে আপনি কেন বলছেন, কী বলছেন, এখানে জড়তা অনুভব করার বা লজ্জার কিছু নেই।’
আমরা অবশ্যই স্পষ্টবাদী হব।
আমরা অবশ্যই স্পষ্টবাদী হব।
স্পষ্টবাদী হওয়া মানবচরিত্রের বড় গুণ।
সঙ্গে আমরা সত্যবাদী হওয়ারও চর্চা করব।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, আমরা স্পষ্টবাদী হতে গিয়ে রূঢ়, উদ্ধত হয়ে যাই।
হয়তো আমরা যা বললাম তাই সত্যি, তারপরও অভিব্যক্তির কারণে যাঁকে বললাম তিনি হয়তো কষ্ট পেয়েছেন।
কিন্তু আমরা যদি সামান্য বিনয়ের সঙ্গে অন্যভাবে কথাটা বলতাম, তিনি হয়তো কষ্ট পেতেন না।
এই দিকটা অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
স্পষ্টবাদী আমরা অবশ্যই হব, তবে আমাদের সেই স্পষ্টবাদিতার সঙ্গে থাকবে সততা ও বিনয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন