Recent post

শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৮

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন

১৯৯৪ সালের জুলাইয়ে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জেফ বেজস।
তখন কর্মী ছিল ১০ জন, বিক্রয় ছিল সামান্য।

বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে, মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ও বিশ্বের ৪৫টি দেশে ক্রেতা তৈরি করে ফেলে অ্যামাজন। 
১৯৯৭ সালের মে মাসে ৫০০ মিলিয়ন ডলার মূলধন নিয়ে শেয়ারবাজারে আসে কম্পানিটি।


বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন।
 ২০১৬ সালের হিসাবে কম্পানির রাজস্ব আয় ১৩৫.৯৮ বিলিয়ন ডলার।
 অ্যামাজনের কল্যাণে বর্তমানে বেজসের সম্পদের পরিমাণ ৯৯.৩ বিলিয়ন ডলার। 
২০১৬ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাবে বিল গেটস বিশ্বের শীর্ষ ধনী থাকলেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এই মুহূর্তে শীর্ষ ধনী জেফ বেজস। 
তিনি অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও।

২০১৪ সালে ট্রেড কনফারেন্সে অংশগ্রহণকালে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে আপনার কী পরামর্শ? 
তিনি বলেন, এমন কিছু ধরা অনেক কঠিন, যার পেছনে সবাই ছুটছে। 
এর চেয়ে উত্তম নিজের দিকে আসা স্রোতটির জন্য অপেক্ষা করুন, এরপর নিজের স্বপ্নের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন।
যদি বুঝতে পারেন এটি তা, যার জন্য আপনি স্বপ্ন দেখছেন, তাহলে এগিয়ে যান।

তরুণদের উদ্দেশে লেখা এক আর্টিক্যালে বেজস লেখেন, প্রায়ই অনেক তরুণ আমার কাছে উপদেশ চায় কিভাবে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারে। 
বেশির ভাগই জানাতে চায় ব্যবসায় সফল হওয়ার কোনো কৌশল কিংবা কিছু ম্যাজিক উপায়, 
যার মাধ্যমে তারা সামান্য থেকে একটি বৃহৎ ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবে। 
বাস্তবতা হচ্ছে, ব্যবসায় সাফল্য অর্জনের কোনো ম্যাজিক উপায় নেই। 
তবে কিছু সহজ বিষয় রয়েছে, যা অনুসরণ করা যেতে পারে। 
আপনার গ্রাহকদের গুরুত্ব দিন, ভালো কর্মী নিন এবং এমন একটি বাজার খুঁজে বের করুন, 
যেটি এখনো অপূর্ণ রয়েছে। 
সেই সঙ্গে বিশ্বাস করুন, এ বাজারে বিজয় আপনারই হবে।

ব্যবসার শুরুতে হয়তো সব কিছু পুরোপুরি ঠিকভাবে করা যাবে না। 
ডিজাইন, অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং- এমনকি অফিস নিয়মিত পরিষ্কারকরণ। 
সেই সঙ্গে ব্যবসায় আয়-ব্যয়ের ছক কষুন। 
সব কিছু ঠিকঠাক করার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, লেগে থাকতে হবে। 
এর পরও আমি বলব না সফলতার জন্য এটি যথেষ্ট। 
বরং এগুলো সাফল্যের পথের একটি প্রক্রিয়া। তবে সব কিছু মিলিয়ে আপনাকে দারুণ একটি আইডিয়া কাজে লাগাতে হবে। 
অনেক সময় দেখা যায়, অযৌক্তিক একটি আইডিয়া কাজে লাগাতে গিয়ে অনেকেই কাদায় আটকে যান। 
আপনার মূল ব্যবসা যদি সঠিকভাবে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে আপনি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিন। 
হয়তো চমৎকার কিছু করার আগে আপনি অনেকবারই আপনার পণ্যগুলো নতুন করে করতে হবে।

একজন তরুণ উদ্যোক্তার জন্য অত্যন্ত উত্তম একটি বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞ পরামর্শদাতাদের কাছে রাখা। যখন আমি সিয়াটলে আমার গ্যারেজে অ্যামাজন শুরু করি তখন এ জাতীয় কিছু লোক আমার সঙ্গে ছিল।

মনে রাখবে, এটি হচ্ছে তোমার স্বপ্ন। 
এ প্রকল্পে তুমি তোমার পুরোটাই ঢেলে দিয়েছ। 
এ জন্য তুমি তোমার সব কিছুই বাজি রেখেছ। 
সুতরাং কখনোই স্বপ্ন হারাবে না, যে স্বপ্ন তোমাকে এত দূর এনেছে। 
নিজের ভেতরে থাকা অজেয় শক্তি দিয়ে এ আগুন প্রজ্বলিত রাখতে হবে। 
তবেই সাফল্য আসবে।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts