Recent post

বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭

ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া জ্বর হলে কী খাবেন

ঢাকা শহরের বহু মানুষ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই দুই ধরনের জ্বরই এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। 
গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। 
এ দুই রোগে জ্বর, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ হয়ে থাকে। 
খুব দুর্বল লাগে, মাথা ঘোরে, কারও কারও বমি হয়। 
রক্তচাপও কমে যেতে পারে। বলতে গেলে রোগী প্রায় কিছুই খেতে চায় না।
 বিশেষ করে, শিশু ও বয়স্ক মানুষকে নিয়ে সমস্যা বেশি হয়। 
খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তারা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। 
এমন রোগীকে খাওয়ানোর ব্যাপারে 

কয়েকটি পরামর্শ:


* জ্বর হলে শরীরে ক্যালরির চাহিদা বাড়ে। 
কারণ, তখন বিপাক বেড়ে যায়, বেশি পুষ্টির দরকার হয়।
 তাই খাওয়া বন্ধ করে দিলে বিপদ বাড়বে। রুচি কমে গেলে এমন খাবার বেছে নিন, যা অল্প খেলেও বেশি ক্যালরি পাওয়া যায়।

* ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া হলে প্রচুর তরল পান করতে হয়, দিনে কমপক্ষে আড়াই লিটার।
 পানির পাশাপাশি লবণ ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ তরল (যেমন: ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, লেবু-লবণের শরবত, ফলের রস) পান করা উচিত। 
এতে করে রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। তবে অতিমিষ্টি পানীয় বমির উদ্রেক করতে পারে। 
বাজারের কোমল পানীয় বা আইসক্রিম সহজে পিপাসা মেটায় না।

* অরুচি বা বমি ভাবের মধ্যে তেল-মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো।
খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শর্করা যেমন: ভাত, জাউভাত, ওটমিল ইত্যাদি রাখুন।
রাখুন প্রোটিনও, যেমন: দুধ, দই, মাছ বা মুরগির মাংস ও স্যুপ।

* অনেক ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া রোগীর খেতে গেলেই বমি আসে। 
তারা হালকা শুকনো খাবার খেতে পারে। যেমন বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি। 
এতে বমি ভাব কমবে। এ ছাড়া আদা-চা, গ্রিন টি বা শুকনো আদা বমি ভাব কমায়। 
এ সময় ফলমূল খেতে হবে বেশি করে।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন
মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts