চলতি মৌসুমে নতুন এই ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
বড়দের পাশাপাশি শিশুদের এই অসুখ হতে পারে, এমনকি শিশুর জন্মের আগে এক সপ্তাহের মধ্যে যদি অন্তঃসত্ত্বা আক্রান্ত হন, তাহলে নবজাতকেরও এটা হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
রোগের লক্ষণ
চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ হলো জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ে ব্যথা, হাড়ের স্ফীতি, চোখের কোটরে ব্যথা ইত্যাদি। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর হঠাৎ করে তীব্র জ্বর আসতে পারে।
তিন থেকে পাঁচ দিনে যখন জ্বর কমতে শুরু করে, তখন
শরীরে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি বা র্যা শ দেখা দেয়। কারও কারও র্যা শের পরিবর্তে কালচে বাদামি বা ধূসর রঙের দানা দেখা দেয়।
শরীরে চুলকানি এবং ফুসকুড়ি বা র্যা শ দেখা দেয়। কারও কারও র্যা শের পরিবর্তে কালচে বাদামি বা ধূসর রঙের দানা দেখা দেয়।
বড়দের মতো হাড়ে ব্যথাও অনেক শিশুর হয় না।
আরেকটি ব্যতিক্রম হলো স্নায়বিক জটিলতা (যেমন খিঁচুনি বা এনকেফালাইটিস) শিশুদের বেশি হতে পারে।
ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার কিছু পার্থক্য রয়েছে।
ডেঙ্গুর সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার কিছু পার্থক্য রয়েছে।
যেমন অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে গিয়ে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি চিকুনগুনিয়ায় নেই।
ডেঙ্গুতে হাড় ব্যথা হলেও ফুলে যায় না, কিন্তু চিকুনগুনিয়ায় রোগীর হাড়ের জোড়া বা সন্ধিতে প্রদাহ হয়, সন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথার মাত্রাও তীব্র থাকে।
অনেক রোগী ব্যথার কারণে হাঁটতেই পারে না, তাই একে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ বলে।
চিকিৎসা
চিকিৎসা
পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবারের পাশাপাশি বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামলই এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা। ভাইরাসজনিত জ্বর বলে এটা সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে যায়।
ব্যথা কমাতে বরফ লাগাতে পারেন। ব্যথা একটু কমে এলে ফিজিওথেরাপি দেওয়া যাবে।
চিকুনগুনিয়া রোগে ব্যথা অনেক দিন থাকতে পারে।
ডেঙ্গুতে যেমন ব্যথানাশক একেবারে নিষেধ, এ ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ব্যথানাশক নেবেন না।
চিকুনগুনিয়া রোগে বেশির ভাগ শিশু ৭ থেকে ১০ দিনে সেরে ওঠে এবং বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব।
তবে শিশুর বয়স এক বছরের কম হলে কিংবা অন্যান্য জটিলতা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন