কোথাও আঘাত পেলেন বা কোনো কারণে ফোসকা পড়ল, আবার কখনো বা ত্বকে চুলকানি থেকে ঘা হলো—কোনো ঘা থাকে শুকনো, কোনোটা আবার ভেজা ভেজা।
কোনো ঘা থেকে পুঁজ বেরোয়। চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক বা ড্রেসিং নিতে হবে।
কিন্তু কখনো দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে বা নিয়মিত ড্রেসিং করেও পায়ের এসব ঘা শুকোচ্ছে না। তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ বটে।
পায়ের রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বার্জারস ডিজিজ, ভেনাস আলসার প্রভৃতি কারণে ঘা শুকোতে দেরি হয়।
পায়ের রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, বার্জারস ডিজিজ, ভেনাস আলসার প্রভৃতি কারণে ঘা শুকোতে দেরি হয়।
ভোগান্তিও বাড়ে। অনেক সময় পা বা পায়ের আঙুল চিরতরে হারাতে হয়।
এসব ঘা সাধারণ চিকিৎসায় সারে না।
সামান্য আঘাতে পায়ের আঙুলের ভাঁজে বা আঙুলে ঘা হয়ে যেতে পারে।
সামান্য আঘাতে পায়ের আঙুলের ভাঁজে বা আঙুলে ঘা হয়ে যেতে পারে।
যদি সেটা সাধারণত শুষ্ক থাকে কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তাহলে পায়ের রক্তনালিতে ব্লক আছে কিনা ভাবতে হবে।
এদের পায়ের মাংসপেশিতে প্রায়ই ব্যথা হয়, বিশেষ করে হাঁটতে শুরু করলে। বিশ্রাম নিলে ব্যথা কমে। তার মানে, পায়ে রক্ত চলাচলে বাধা আছে। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রক্তনালিতে ব্লক সৃষ্টির কারণ। রক্ত চলাচল বাড়ানোর চিকিৎসা নিতে হবে।
রক্তপ্রবাহ চালু না করেই আঙুল বা পা কেটে ফেলা ঠিক নয়। এতে ঘা শুকোবে না এবং রোগীর দুর্ভোগ বাড়বে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিক ফুট নামের সমস্যা হয়।
ডায়াবেটিসের রোগীদের ডায়াবেটিক ফুট নামের সমস্যা হয়।
এতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া ছাড়াও পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত থাকে এবং পায়ের অনুভূতি কমে যায়।
এ রকম সমস্যায় পায়ের ঘা শুকাতে দেরি হয়। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ও নিয়মিত ড্রেসিং করার পরও উন্নতি না হলে রক্তনালি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়ে ঘা সামান্য রোগ মনে হলেও এর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর জটিলতা হতে পারে।
পায়ে ঘা সামান্য রোগ মনে হলেও এর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর জটিলতা হতে পারে।
গ্যাংগ্রিন হতে পারে, পায়ে পচন ধরতে পারে। পা বা পায়ের অংশবিশেষ কেটে ফেলার দরকারও হতে পারে।
এমনকি সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে সেপটিসেমিয়া হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
তাই পায়ের ঘাকে অবহেলা করবেন না।
ডা. এস এম জি সাকলায়েন রাসেল
ভাসকুলার সার্জারি বিভাগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল
ডা. এস এম জি সাকলায়েন রাসেল
ভাসকুলার সার্জারি বিভাগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন