মিথ্যা অপবাদ বা দোষারোপ মানব চরিত্রের অত্যন্ত অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্ট স্বভাব।
জঘন্য এ মন্দ কাজের সঙ্গে মিথ্যাচার, পরচর্চা, পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ, ছিদ্রান্বেষণ, পরশ্রীকাতরতার মতো ঘৃণ্য তত্পরতায় জড়িত।
মিথ্যাচারে অভ্যস্ত মানুষই কেবল কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করতে পারে।
মিথ্যা দোষারোপ মিথ্যাচারের চরম বহিঃপ্রকাশ। মিথ্যাচার জঘন্য ধরনের পাপাচার, এটি তাকওয়ার সম্পূর্ণ পরিপন্থী, কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও শরিয়ত-গর্হিত কাজ।
পবিত্র কোরআনে নিষেধ করা হয়েছে যে
★তোমরা মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাক। (সূরা আল-হজ, আয়াত-৩০)
কারও কাছ থেকে কোনো কথা শোনার পর তার সত্যাসত্য যাচাই-বাছাই না করে অন্যের কাছে বলে বেড়ানো মিথ্যার শামিল।
কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে তা-ই বলে বেড়ায়।
মিথ্যা দোষারোপ মানুষের দুশ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের অপকর্মে অভ্যস্ত দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ তরিকত পন্থী বা সুফিবাদী হতে পারে না।
পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপের প্রবণতা এমন একটি সামাজিক ব্যাধি, যার কুফল মারাত্মক।
মিথ্যা দোষারোপের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কু-ধারণার সৃষ্টি হয়। ইসলামে কোনো দলিল প্রমাণ ছাড়া কারও প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা হারাম। নবী করিম ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
★"মুমিনদের প্রতি তোমরা ভালো ধারণা পোষণ করবে।"
মানব জাতিকে অহেতুক অনুমান থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :
★হে মানব সকল! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।
(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত-১২)
★দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।’ (সূরা আল-হুমাযা, আয়াত-১)
★আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে (পানাহ চাই), যখন সে হিংসা করে।’ (সূরা আল-ফালাক, আয়াত-৫)
★"মুমিনদের প্রতি তোমরা ভালো ধারণা পোষণ করবে।"
মানব জাতিকে অহেতুক অনুমান থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :
★হে মানব সকল! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।
(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত-১২)
★দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।’ (সূরা আল-হুমাযা, আয়াত-১)
★আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে (পানাহ চাই), যখন সে হিংসা করে।’ (সূরা আল-ফালাক, আয়াত-৫)
এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে,
★তোমরা অন্যের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে বেঁচে থাকবে।
কেননা এরূপ কু-ধারণা জঘন্যতম মিথ্যা। আর কারও দোষ অনুসন্ধান করো না, কারও গোপনীয় বিষয় তালাশ করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দেবে না, আর পরস্পর হিংসা করবে না, একে অপরের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করবে না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করবে না বরং সবাই আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে থাকবে।(বুখারি ও মুসলিম)
মিথ্যা অপবাদের দ্বারা দোষারোপকৃত ব্যক্তির যথেষ্ট মানহানি করা হয়। ইসলামে এ জাতীয় গুনাহর কাজকে বিশেষভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া জঘন্য ধরনের পাপ।
মিথ্যা অপবাদের দ্বারা দোষারোপকৃত ব্যক্তির যথেষ্ট মানহানি করা হয়। ইসলামে এ জাতীয় গুনাহর কাজকে বিশেষভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া জঘন্য ধরনের পাপ।
এ জাতীয় পাপের কোনো কাফ্ফারা হয় না।
রাসুলুল্লাহ ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
★পাঁচটি পাপ এমন, যার কাফ্ফারা নেই। তন্মধ্যে তৃতীয়টি হলো কোনো মুমিনকে অপবাদ দেওয়া।(মুসনাদে আহমাদ)
মিথ্যা দোষারোপ বা অপবাদের কারণে সমাজজীবনে মানুষের সম্মানহানি ঘটে। তাই কারও মানহানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে নবী করিম ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ★যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে সম্মানহানি করা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নেন।(আহমাদ, তাবারানী)
পক্ষান্তরে কেউ অন্যায়ভাবে তার মুসলমান ভাইয়ের মান-ইজ্জত খাটো করলে সম্মান বিনষ্টকারীকে আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন,
★কোনো মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে যদি এমন স্থানে লাঞ্ছিত করে যেখানে তার মানহানি ঘটে এবং সর্বদা খাটো করা হয়, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে লাঞ্ছিত করবেন, যেখানে তার সাহায্য প্রাপ্তির আশা ছিল।’ (আবু দাউদ)
রাসুল ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম বলেছেন,
★তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকবে। কেননা মিথ্যা পাপাচার পর্যন্ত পৌঁছে দেয় আর পাপাচার জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
মালিক দয়াময় সকল-কে সঠিক জ্ঞ্যান অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
রাসুলুল্লাহ ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
★পাঁচটি পাপ এমন, যার কাফ্ফারা নেই। তন্মধ্যে তৃতীয়টি হলো কোনো মুমিনকে অপবাদ দেওয়া।(মুসনাদে আহমাদ)
মিথ্যা দোষারোপ বা অপবাদের কারণে সমাজজীবনে মানুষের সম্মানহানি ঘটে। তাই কারও মানহানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে নবী করিম ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ★যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে সম্মানহানি করা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নেন।(আহমাদ, তাবারানী)
পক্ষান্তরে কেউ অন্যায়ভাবে তার মুসলমান ভাইয়ের মান-ইজ্জত খাটো করলে সম্মান বিনষ্টকারীকে আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন,
★কোনো মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে যদি এমন স্থানে লাঞ্ছিত করে যেখানে তার মানহানি ঘটে এবং সর্বদা খাটো করা হয়, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে লাঞ্ছিত করবেন, যেখানে তার সাহায্য প্রাপ্তির আশা ছিল।’ (আবু দাউদ)
রাসুল ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম বলেছেন,
★তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকবে। কেননা মিথ্যা পাপাচার পর্যন্ত পৌঁছে দেয় আর পাপাচার জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।
মালিক দয়াময় সকল-কে সঠিক জ্ঞ্যান অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লেখকঃ লায়লা রেজভী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন