Recent post

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাংলাদেশ প্রাইজ বন্ড



বাংলাদেশ প্রাইজ বন্ড
মূল্যমানঃ ১০০ টাকা।


প্রতি ড্র তে প্রতি সিরিজে পুরস্কার

(ক) ৬,০০,০০০ টাকার প্রথম পুরস্কার একটি
(খ) ৩,২৫,০০০ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার একটি
(গ) ১,০০,০০০ টাকার তৃতীয় পুরস্কার দু’টি
(ঘ) ৫০,০০০ টাকার চতুর্থ পুরস্কার দু’টি
(ঙ) ১০,০০০ টাকার পঞ্চম পুরস্কার চল্লিশটি

অন্যান্য তথ্যাবলীঃ
(ক) প্রতি তিন মাস অন্তর (৩১ জানুয়ারী, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর) ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়।
(খ) বন্ডে নির্দেশিত বিক্রয় তারিখ হতে নূন্যতম ২ (দুই) মাস অতিক্রমের পর উক্ত বন্ড ‘ড্র’ এর আওতায় আসবে।
(গ) ‘ড্র’ অনুষ্ঠানের নির্ধারিত তারিখ হতে দুই বছরের মধ্যে পুরস্কারের টাকা দাবী করতে হয়।

৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

প্রবর্তনঃ ১৯৯৮ খ্রিঃ


মূল্যমানঃ ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০,০০,০০০ টাকা।

কোথায় পাওয়া যায়ঃ জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ তফসিলী ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।

যারা ক্রয় করতে পারবেনঃ নিম্নে বর্ণিত যে কেউ এই সার্টিফিকেট ক্রয় করতে পারবেন, যথা-
(১)      একজন প্রাপ্তবয়স্ক;
(২)     একজন নাবালক;
(৩)     দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক তাহাদের যৌথ নামে-
          (ক)     গ্রাহকদের যৌথভাবে প্রদেয় অথবা যে কোনো একজনের লিখিত সম্মতিতে অন্যজনকে প্রদেয়;
          (খ)     যে কোনো একজনকে প্রদেয়।

(৪)     একজন প্রাপ্তবয়স্ক-
          (ক)     একজন অপ্রাপ্তবয়স্কের পক্ষে, অথবা
          (খ)     যুগ্ম-নামে দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্কের পক্ষে,
          (গ)     তিনি স্বয়ং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যুগ্ম-নামে,
          (ঘ)     যথাযথ আদালত কর্তৃক কোনো  উন্মাদ ব্যক্তির অভিভাবক বা ম্যানেজার  নিযুক্ত  হইয়া
সঞ্চয়পত্র ক্রয় পদ্ধতিঃ
•   নির্ধারিত ফরম (এস.সি-১) যথাযথভাবে পুরণপূর্বক ত্রেতা ও নমিনী (যদি থাকে) প্রত্যেকের ০২ (দুই) কপি ছবি, ক্রেতার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদের    
     ফটোকপিসহ আবেদন করতে হবে।
•    চেক অথবা নগদে সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে চেকের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে চেক নগদায়নের তারিখে সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা হবে;

[টীকা।- সঞ্চয়পত্র ক্রয় ফরমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর অন্তর্ভূক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে উহা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। ক্রেতা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করিতে অপারগ হইলে সেই ক্ষেত্রে পাসপোর্ট  অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের নম্বর অন্তর্ভূক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে উহা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক হইবে ।]

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা।

মেয়াদঃ ৩ (তিন) বছর।

মুনাফার হারঃ মেয়াদান্তে মুনাফা ১১.০৪%। মেয়াদপূর্তির পূর্বেও নগদায়ন করা যায়। তবে মেয়াদপূর্তির পূর্বে নগদায়ন করিলে টেবিল-১ অনুযায়ী মুনাফা পাওয়া যাবে:

টেবিল-১: মুনাফার হার
সময়
মুনাফার হার
প্রতি ১ (এক) লক্ষ টাকায় মূলসহ মুনাফার পরিমাণ
১ম বছরান্তে
১০.০০%
১,১০,০০০.০০
২য় বছরান্তে
১০.৫০%
১,২১,০০০.০০
৩য় বছরান্তে
১১.০৪%
১,৩৩,১২০.০০
টীকাঃ ১ (এক) লক্ষ টাকায় তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের প্রতি তিন মাস অন্তর মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.০৪% হারে টাকা ২,৭৬০.০০ (দুই হাজার সাতশত ষাট) টাকা মাত্র প্রদেয় হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লেভি/মুনাফা কর্তন হবে। কিন্তু যেসকল ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে বিনিয়োগকৃত টাকা উত্তোলন করা হবে, সেক্ষেত্রে টেবিল-১ প্রদর্শিত হারে মুনাফা প্রদেয় হবে, এবং অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধিত হয়ে থাকলে তা মূল টাকা হতে কর্তন করে সমন্বয়পূর্বক অবশিষ্ট মূল টাকা পরিশোধ করতে হবে।

টেবিল-২: অভিহিত মূল্য অনুযায়ী ৩-মাস অন্তর মুনাফার পরিমাণ

বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ
প্রতি ১ (এক) লক্ষ টাকায় ৩-মাস অন্তর
মুনাফার পরিমাণ (টাকায়)
১,০০,০০০/=
২,৭৬০.০০
২,০০,০০০/=
৫,৫২০.০০
৫,০০,০০০/=
১৩,৮০০.০০
১০,০০,০০০/=
২৭,৬০০.০০

অন্যান্য সুবিধাঃ
  • এ সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশের যে কেউ ক্রয় করিতে পারিবেন;
  • নমিনী নিয়োগ করা যায়;
  • ক্রেতা মৃত্যুবরন করিলে নমিনী যেকোন সময় সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করিতে পারিবেন। নমিনীর ইচ্ছানুযায়ী মেয়াদপূর্তির পূর্বে বা পরে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করিতে পারিবে;
  • সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে, পুড়িয়া গেলে বা নষ্ট হইলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র ইস্যু করা যায়;
  • সঞ্চয়পত্র এক অফিস হইতে অন্য অফিসে স্থানান্তর করা যায় (সঞ্চয় ব্যুরো হইতে সঞ্চয় ব্যুরো, ব্যাংক হইতে ব্যাংক এবং ডাকঘর হইতে ডাকঘর);
  • সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের ফটোকপি এবং ক্রেতা ও নমিনী (যদি থাকে) প্রত্যেকের ০২ (দুই) কপি করিয়া পাসপোর্ট সাইজের ছবি দাখিল করিতে হইবে।

বিকাশ একাউন্ট খুলুন ঘরে বসেই


এখন থেকে এই নতুন অ্যাপে ব্যবহারকারীদের লেনদেনের ধরণ, লাইফস্টাইল এবং লোকেশন অনুযায়ী থাকবে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার সাজেশন এবং নানা রকমের অফার।
সেই সঙ্গে অ্যাপের হোম স্ক্রিনে আরো থাকছে বিকাশের মূল সেবাগুলোর আইকন, গ্রাহকের নিয়মিত লেনদেনের তথ্য, বিকাশের সেরা অফার, কিউ আর কোড স্ক্যান করার সুবিধা সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত সেবা ।
নতুন অ্যাপের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- গ্রাহক না হয়েও যে কেউ  অ্যাপে গিয়ে বিকাশের সেবাগুলো সম্পর্কে জানতে পারছেন এবং আগ্রহী হলে সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাপ থেকেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন বিকাশ একাউন্টও খুলতে পারছেন।
এমনি সব দরকারী, আধুনিক অথচ সহজে ব্যবহার-উপযোগী সেবাগুলো নিয়ে বিকাশের নতুন অ্যাপটি এখন থেকেই অ্যাপস্টোর ও গুগল প্লে স্টোর থেকে আপডেট বা ডাউনলোড করা যাচ্ছে।


অ্যাপ বদলে যাওয়া উপলক্ষ্যে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে বিকাশ।

☛ https://bka.sh/RFx43PoA এই লিংকে ক্লিক করুন বিকাশের অফার পেতে।


বিকাশ এর নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপ থেকে নিজের একাউন্ট খুলে বিকাশে লগ-ইন করলে নতুন গ্রাহক প্রথমবার ১০০ টাকা বোনাস পাবেন তার একাউন্টে।
অফারটি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে।

যাদের বিকাশ একাউন্ট আছে কিন্তু কখনও অ্যাপ ব্যবহার করেননি, তাদের জন্যও থাকছে অফার। এমন গ্রাহকরা অ্যাপ ডাউনলোড করে লগ ইন করলেই পাবেন ৫০ টাকা বোনাস।
অফারটি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে।

নতুন গ্রাহক অথবা প্রথমবার অ্যাপ ব্যবহারকারী নিজের অ্যাপ থেকে নিজের মোবাইলে প্রথমবার ২৫ টাকা রিচার্জ করলে পাবেন ৫০ টাকা বোনাস।
অফারটি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে।

আর যারা আগে থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করছেন এমন গ্রাহকদের জন্য অ্যাপেই রয়েছে অসংখ্য আকর্ষণীয় অফার।
নির্দিষ্ট সুপারস্টোর থেকে ১ টাকায় একটি পণ্য কেনা সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক অফারের তথ্যগুলো গ্রাহক তার অ্যাপেই পেয়ে যাবেন।

পরবর্তী ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত-নতুন অ্যাপ দিয়ে টাকা পাঠালে (সেন্ড মানি) এবং বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ (পে বিল) করলে গ্রাহকের বাড়তি কোন খরচ থাকছে না।
নতুন অ্যাপ দিয়ে ক্যাশআউট করলে এক হাজার টাকায় ১৫ টাকা খরচ হবে।

নতুন অ্যাপের বিস্তারিত:
একাউন্ট না থাকলেও বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ: যাদের বিকাশ একাউন্ট নেই কিন্তু বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য নতুন বিকাশ অ্যাপে অতিথি হিসেবে (গেস্ট মোড) প্রবেশ করার সুযোগ থাকছে।
গেস্ট মোডে বা অতিথি হিসেবে অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশের সবগুলো সেবা, অ্যাপের ফিচার সহ বিস্তারিত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবেন আগ্রহী ব্যাক্তি।

নিজে নিজে একাউন্ট খোলার সুযোগ: 
বিকাশ অ্যাপ সম্পর্কে জেনে ব্যবহারকারী যদি বিকাশ একাউন্ট খুলতে আগ্রহী হন তাহলে অ্যাপেই নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ই-কেওয়াইসি (গ্রাহকের নাম, ঠিকানা, নিবন্ধন নম্বর, মোবাইল নম্বর এর মত মৌলিক তথ্য সমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক ফরম) এর মাধ্যমে সরাসরি নতুন একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।

মূল সেবাসমূহ:
এতদিন বিকাশ অ্যাপে যে আইকন-গুলো ব্যবহার করেছেন গ্রাহক সেই আইকন-গুলোই থাকছে স্ক্রিনের উপরের অংশে। ক্যাশইন, ক্যাশআউট, মোবাইল রিচার্জ, মেক পেমেন্ট, অ্যাড মানি, পে বিল, মুভি টিকেট এর আইকন গুলো এখানে পাবেন গ্রাহক।

আমার বিকাশ:
এই অংশটি একবারে প্রত্যেক গ্রাহকের মত করে সাজিয়ে দেয়া হবে।
যে গ্রাহক যে সেবাটি বেশি ব্যবহার করেন তা সাজানো থাকবে ‘আমার বিকাশ অংশে।
যেমন, কেউ হয়ত মাকে নিয়মিত টাকা পাঠান।
 তার ‘আমার বিকাশ অংশে থাকবে মা নামে একটি লোগো যেখানে ক্লিক করেই মাকে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন তিনি।

সেরা অফার এবং সব অফারের তালিকা:
বিকাশ-এ কি অফার চলছে তা জানাতে বিকাশ এর নতুন এই অ্যাপ স্ক্রিনে যুক্ত হয়েছে একটি ব্যানার। যেখানে বিকাশের সেরা অফারটি প্রদর্শিত হবে।
ক্লিক করলে অফারটির বিস্তারিত জানার সুযোগ থাকবে।

সেরা অফার ছাড়াও প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর অফার নিয়ে স্ক্রিনে থাকছে একটি অফার অংশ। ক্লিক করলেই থাকবে বিস্তারিত জানার সুযোগ।

প্রতিটি জেলার জন্য থাকছে ভিন্ন ভিন্ন অফার।
গ্রাহক যখন যেখানে অবস্থান করবেন সেখানে অ্যাপ-এ লোকেশন দিলে ঐ এলাকার অফার গুলো তার অ্যাপ স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।

সাজেশন:
বিকাশের সব সেবার মধ্যে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সেবা সহজে খুঁজে দিতে নতুন বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে সাজেশন।

যেখানে গ্রাহকের অবস্থান, অ্যাপ ব্যবহারের ধরন, লাইফস্টাইল প্রভৃতির উপর নির্ভর করে প্রত্যেক গ্রাহকের সাজেশন বক্স ভিন্নভাবে সাজানো থাকবে।
যেমন সিলেটের গ্রাহকের সাজেশন বক্সে থাকবে জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানীর লোগো আবার ঢাকার গ্রাহকের জন্য হয়ত ডিপিডিসির লোগো।

নেভিগেশন বার:
হোমস্ক্রিনের একবারে নিচের অংশে রয়েছে নেভিগেশন বার।
যেখানে হোমস্ক্রিন বাটন, কিউআর কোড বাটন এবং ইনবক্স বাটনের দেখা পাবেন গ্রাহক।

যে কোন উইন্ডো থেকে একটি ক্লিকেই মূল স্ক্রিনে ফিরে আসতে গ্রাহক এই বাটনটি ব্যবহার করতে পারবেন।

কিউআর কোড বাটন:
নতুন অ্যাপের স্ক্রিনের একদম নিচে থাকছে একটি কিউআর বাটন। যেখান থেকে সরাসরি কিউআর কোড স্ক্যান করে গ্রাহক কাঙ্খিত সেবার ইন্টারফেসে পৌঁছে যাবেন কয়েক ধাপ অতিক্রম করে।

ইনবক্স:
গ্রাহকের লেনদেনের ধরন ভেদে বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য থাকে বিশেষ অফার। গ্রাহক তার জন্য বিশেষ এই অফারের দেখা পাবেন ইনবক্স এর প্রমোশন অংশে। আর ট্রানজেকশন অংশে চলতি মাসের শেষ ৫০টি ট্রানজেকশনের তালিকা পাবেন।

তাছাড়া হোমস্ক্রিনে ট্যাপ করে ব্যালেন্স চেক করার সুযোগ, একবারে ডানদিকে বিকাশ লোগোতে ক্লিক করে লিমিট, ট্রানজেকশন, ব্যবহারকারীর তথ্য পরিবর্তন সহ আগের অপশনগুলো সবই যুক্ত হয়েছে এই অ্যাপেও।

ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল/ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।

বিকাশ গ্রাহকের জন্য নিরাপত্তা পরামর্শ

একটু সচেতনতা আমাদের অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে। 

আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিছু পরামর্শ নিম্নরুপঃ



করণীয়

১| সত্য, সঠিক, এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ফরমটি পূরন করুন। পরবর্তীতে, পিন ভুলে গেলে, মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে, অথবা, অন্য কোনো প্রয়োজনে, আপনার দেয়া এই তথ্যের মাধ্যমেই আপনার বিকাশ একাউন্টের মালিকানা যাচাই করা হবে।
২| আপনার পিন নম্বর, “সিক্রেট কোড”, এবং “সিকিউরিটি কোড” সবসময় গোপন রাখুন।
৩| আপনার “বিকাশ” লেনদেনের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং লেনদেন সম্পর্কে যথাযথভাবে অবগত থাকতে সবসময় আপনার নিজের “বিকাশ একাউন্ট” ব্যবহার করুন।
৪| প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে এর বৈধতা এবং যথার্থতা নিশ্চিত করুন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে “বিকাশ একাউন্ট নম্বর”, টাকার পরিমাণ, “সিকিউরিটি কোড”, “সিক্রেট কোড”, পিন, আপনার বিকাশ একাউন্ট এবং লেনদেন সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য ব্যবহার/ইনপুট দেয়ার সময় সতর্ক থাকুন।
৫| এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট এর সময় আপনার “বিকাশ মোবাইল মেন্যু” এর শুধুমাত্র “Cash Out from  Agent” অপশনের মাধ্যমেই ক্যাশ আউট করুন।
৬| প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে এবং পরে আপনার একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করুন।
৭| প্রতিটি লেনদেনের পর “বিকাশ” থেকে প্রেরিত মেসেজের প্রাপ্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন এবং মেসেজের মাধ্যমে পাওয়া ব্যালেন্স ইনফরমেশন এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যালেন্সের মিল আছে কিনা তা যাচাই করে নিন।
৮। “বিকাশ” প্রেরিত কনফারমেশন মেসেজ পাওয়ার জন্যে আপনার মেসেজ ইনবক্স এ পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন। ইনবক্স ফুল থাকলে আপনি এই কনফারমেশন মেসেজগুলো যথাসময়ে পাবেন না।
৯| মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ জানান।
১০| যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে এবং তথ্যের যথার্থতা বা নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার জন্যে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-ই একমাত্র সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎস।

বর্জনীয়

১| পিন নম্বর, “সিকিউরিটি কোড” এবং “সিক্রেট কোড” কখনই লিখে রাখবেন না এবং অন্য কাউকে জানতে দিবেন না। “বিকাশ”  কর্তৃপক্ষ কখনো আপনার পিন নম্বর, সিক্রেট কোড, অথবা সিকিউরিটি কোড  জানতে চাইবেন না।
২| লটারী জেতা, পুরষ্কার বা প্রতিযোগিতা, এই ধরনের কোনো মেসেজ বা ফোন কল এ সাড়া দিবেন না। এ ধরনের ফোন কল বা মেসেজের সত্যতা যাচাই করার জন্যে বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭-এ যোগাযোগ করুন।
৩| পরিচিত ও নির্ভরযোগ্য ব্যাক্তি ছাড়া আপনার মোবাইল ফোন কাউকে ধার দিবেন না।
৪| নিজের লেনদেনের জন্যে অন্য কারো “বিকাশ একাউন্ট” ব্যবহার করবেন না। “বিকাশ” রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রি, তাই নিজ মোবাইল নম্বরটিই রেজিস্টার করে নিন এবং নিজেই ব্যবহার করুন।
৫| কখনই “ Send Money” অপশনের মাধ্যমে এজেন্টের ব্যাক্তিগত একাউন্ট নম্বরে ক্যাশ আউট করবেন না।

বিঃ দ্রঃ প্রযুক্তিগতভাবে “বিকাশ” টাকা লেনদেনের একটি নিরাপদ মাধ্যম মাত্র, “বিকাশ” সেবা ব্যবহারে এবং ব্যবহারের প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের ভুল, ভুল ব্যাখ্যা বা জালিয়াতির সুত্রপাত হলে “বিকাশ” কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র গ্রাহক সুবিধার্থে প্রদেয় এবং কোনো চুক্তি হিসেবে বিবেচ্য নয়। সকল তথ্য মুদ্রণের সময়কাল পর্যন্ত হালনাগাদ। “বিকাশ” কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে সেবার ধরন, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, এবং চার্জ যথাযথ উপায়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। সকল সেবার উপর বিকাশ লিমিটেড এর নির্ধারিত শর্ত প্রযোজ্য।

বিকাশে প্রতারণা এড়াতে যা করবেন


সিন্দুকের চাবি যেমন আপনি কাউকে দেন না, তেমনি বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার কিংবা অ্যাপ ভেরিফিকেশন কোড কখনোই কাউকে দিবেন না।
অন্যথায় আপনার টাকা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
মনে রাখবেন, বিকাশ কখনোই আপনার একাউন্টের পিন নাম্বার কিংবা ভেরিফিকেশন কোড জানতে চাইবে না।


এছাড়াও আপনি লোভ, ভয় অথবা ভুল বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মোবাইলে অপরিচিত কাউকে  নিজের টাকা বিকাশ করবেন না।
তথ্য যাচাই করতে নিজের বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করুন এবং যেকোন অনিশ্চয়তা এড়াতে কল করুন বিকাশ হেল্পলাইন 16247 নাম্বারে। 
এছাড়াও নিম্নলিখিত উপায়ে বিকাশ সম্পর্কিত যেকোনো প্রতারণার অভিযোগ করতে পারেনঃ


  • নিকটস্থ বিকাশ সেন্টার বা বিকাশ প্লাসে যোগাযোগ করুন
  • বিকাশ এর অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ www.facebook.com/bkashlimited-এ ইনবক্স করুন
  • support@bkash.com-এ ইমেইল করুন অথবা
  • https://webchat.bkash.com/ ভিজিট করুন
  • আরো জানতে ভিজিটঃ https://www.bkash.com/

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

৩৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে

দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অন্তত ৩৫ ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চান নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি তালিকা আমরা পেয়েছি, তবে এরা কারা নাম বলতে পারছি না।
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা খবরের সত্যতা অস্বীকার করেননি ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর পর থেকে ঢাকার সরকারদলীয় নেতা ও কর্মীদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যাদেরকে আটক কিংবা অভিযান চালানো হয়েছে তারা সবাই সরকারদলীয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তার সিদ্ধান্তে অনড়।
তিনি কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।
রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযানের পর থেকে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
 কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। 
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আত্মগোপনে গিয়ে লাভ হবে না, এরা ধরা পড়বেই।
গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন অতিরিক্ত প্রকৌশলীকে ওএসডি করা হয়েছে।
 আরো দুইজনকে প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
 এর আগের খবর, গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীকে জিকে শামীম ১৫০০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। ওদিকে, রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের সঙ্গে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের জড়িত থাকার অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
হাইকোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জাতীয় সংসদের একজন হুইপসহ তিন মন্ত্রণালয়ের তিনজনের কাছে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
ইয়াংমেন্স ক্লাবে জমজমাট ক্যাসিনো ব্যবসা চালু ছিল।

ঢাকা সংবাদদাতা মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।
( VOICE OF AMERICA BANGLA)

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর


ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাগছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। প্রায় সকল সরকারি কাজ এখন সম্পন্ন হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। বর্তমানে সরকারি প্রায় সবগুলো সেবা প্রদানকারী সংস্থা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা প্রদান করে আসছে। প্রতিটি সেবা প্রদানকারী সংস্থার একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে কল দিয়ে সেবার আবেদন জানালেই মিলছে কাঙ্ক্ষিত সেবা।
কোনো বিপদে পড়েছেন বা আপনার কেউ দুর্ঘটনায় পড়েছে? জরুরি সেবা লাগবে? পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স বা চিকিৎসা সেবা। কোনো নারী বা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে? সরকারি আইনি সেবা লাগবে? বা প্রবাসে বিপদে পড়েছেন? প্রতিদিনকার জীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয় মানুষ। তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তির এই যুগে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই সকল সমস্যা সমাধানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কল সেন্টার সেবা চালু রয়েছে। ওই কল সেন্টারগুলোতে কল করলেই অতি দ্রুত সেবা মিলছে।

জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯)   

যেকোনো পরিস্থিতিতে এখন সবচেয়ে জরুরি নম্বর হলো ৯৯৯।
যেকোনো দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন।
এই নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা কিংবা এ–সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ কল সেন্টার চালু থাকে।
যেকোনো ফোন থেকে বিনামূল্যে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যায়

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে (১০৯)

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল কর্মসূচির আওতায় এই কল সেন্টারটি পরিচালনা করা হয়।  এর নম্বর ১০৯।
সব অপারেটর থেকে এই নম্বরে কোনো ধরণের চার্জ ছাড়াই কল করা যাবে।
এই নম্বরে কল করে সাহায্যে চাইলে ঘটনাস্থলের জরুরি খবর স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, পুলিশ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট এনজিও সংগঠন-এই চার জায়গায় একই সঙ্গে পাঠানো হয়ে থাকে।

স্বাস্থ্য বাতায়ন সেবা (১৬২৬৩)

১৬২৬৩, এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত হেল্প লাইন।
এই নম্বরে ফোন করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে আপনি পরামর্শ পেতে পারেন।
দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এই নম্বর।

চাইল্ড হেল্প লাইন (১০৯৮)

সুবিধাবঞ্চিত নির্যাতিত ও বিপদাপন্ন শিশুদের ২৪ ঘণ্টা জরুরি সহায়তা সেবা দেওয়া হয় এই কল সেন্টার থেকে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অপরাজেয় বাংলাদেশ এই কল সেন্টারটি পরিচালনা করছে।
এই সেন্টারে কল করতে ১০৯৮ নম্বরে কল করতে হবে। এতে কোনো চার্জ প্রযোজ্য নয়

দুর্যোগের আগাম বার্তা (১০৯৪১)

আবহাওয়া ও দুর্যোগ সম্পর্কে আগে থেকেই বার্তা দিতে এই কল সেন্টারটি পরিচালনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এ ছাড়া নদীবন্দরগুলোর জন্য সতর্ক সংকেত ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্সের (আইভিআর) মাধ্যমে দেওয়া হয়।  ১০৯৪১ নম্বরে কল করে এসব সেবা পাওয়া যাবে।

সরকারি আইনি সেবা (১৬৪৩০)

বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ ও আইনগত সহায়তা দিতে ১৬৪৩০ নম্বর চালু করা হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা এই সেবা দিয়ে আসছে।
যেকোনো মোবাইল অপারেটর ও টিঅ্যান্ডটি নম্বর থেকে এই নম্বরে বিনামূল্যে ফোন করা প্রয়োজনীয় আইনি সেবা নেওয়া যাবে।

ডিএমপি জরুরি হেল্প লাইন (১০০)

রাজধানীবাসীকে নিরাপত্তা সেবা দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ১০০ নম্বরের কল সেন্টার চালু করে ২০১৫ সালে।
১০০ নম্বরে কল করে অপরাধজনিত সমস্যা বা জরুরি সেবার কথা জানালে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেকোনো ফোন থেকে এই নম্বরে কল করতে কোনো খরচ লাগবে না।

কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা (১৬১২৩)

কৃষি বিষয়ক তথ্য সহায়তায় ২০১৪ সালের জুনে এই কল সেন্টারটি যাত্রা শুরু করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি তথ্য সার্ভিস সেন্টারটি পরিচালনা করে। ১৬১২৩  নম্বরে কল করে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ে যেকোনো সমস্যার পরামর্শ পাওয়া যাবে।

দুদক (১০৬)

দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য জানাতে হটলাইন ১০৬ চালু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। টেলিফোন বা যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে কল করা যাবে এই নম্বরে। যে কেউ বিনামূল্যে এই নম্বরে কল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হয়।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর এই সেবা সেন্টার চালু করে। এর দুটি হটলাইন নম্বর হলো ০১৭৯৯০৯০০১১ ও ০১৭৯৯০৯০০২২। এই দুটি নম্বরে কল করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো ধরণের আইনি  তথ্য, পরামর্শ ও কাউন্সেলিং সেবা পাবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র(১০৫)

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন, সংশোধন ও হালনাগাদ সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। ১০৫ নম্বরে কল করে জাতীয় পরিচয়পত্র  সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ সেবা পাওয়া যাবে।

ইউনিয়ন পরিষদ হেল্প লাইন (১৬২৫৬)

ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে যেকোনো ভাতা বা অনুদানসংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ সেবা দিতে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ হেল্পলাইন ১৬২৫৬। যে কেউ দেশের যেকোনো স্থান থেকে ফোন করে এই সেবা নিতে পারবেন।
যত দিন যাচ্ছে ততই উল্লেখিত এসব হেল্পলাইনের নাম্বারে কল দিয়ে প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এসব কল সেন্টার চালু হওয়াতে এখন দ্রুতই নানা রকম প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে জনসাধারণ।

মোবাইলে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা

কিশোরগঞ্জ জেলার চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে মোবাইলএ  যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন।
নিচে নম্বর গুলো দেয়া হলো -

Astagram Upazila Health Complex
01730324493

Bajitpur Upazila Health Complex
01730324494

Bhairab Upazila Health Complex
01730324495

Hossainpur Upazila Health Complex
01730324496

Itna Upazila Health Complex
01730324497

Karimganj Upazila Health Complex
01730324498

Katiadi Upazila Health Complex
01730324499

Kuliairchar Upazila Health Complex
01730324500

Mithamoin Upazila Health Complex
01730324501

Nikli Upazila Health Complex
01730324502

Pakundia Upazila Health Complex
01730324503

Tarail Upazila Health Complex
01730324504

Kishoreganj District Hospital
01730324780


জ্ঞান ও সম্পদের মধ্যে কোনটা ভাল এবং কেন ভালো


একদা ১০ জন লোক হযরত আলীর (রা) নিকট হাজির হলো এবং বলল, “আমরা আপনাকে একটি প্রশ্ন করার অনুমতি চাচ্ছি।”

হযরত আলি(রাঃ) বললেন, “স্বাধীনভাবে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন।”
তারা প্রশ্ন করল,
“জ্ঞান ও সম্পদের মধ্যে কোনটা ভাল এবং কেন ভালো?
অনুগ্রহ করে আমাদের প্রত্যেকের জন্যে একটি করে জবাব দিন।”

জবাবে হযরত আলী (রাঃ) নিম্নলিখিত ১০টি উত্তর দিলেনঃ

১। জ্ঞান হলো মহানবীর(সাঃ) নীতি, আর সম্পদ ফেরাউনের উত্তরাধিকার।
সুতরাং জ্ঞান সম্পদের চেয়ে উত্তম।

২। তোমাকে সম্পদ পাহারা দিতে হয়, কিন্তু জ্ঞান তোমাকে পাহারা দেয়।
সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

৩। একজন সম্পদশালীর যেখানে শত্রু থাকে অনেক, সেখানে একজন জ্ঞানীর অনেক বন্ধু থাকে। অতএব জ্ঞান উত্তম।

৪। জ্ঞান উত্তম, কারণ এটা বিতরণে বেড়ে যায়, অথচ সম্পদ বিতরণে কমে যায়।

৫। জ্ঞান উত্তম, কারণ একজন জ্ঞানী লোক দানশীল হয়, অন্যদিকে সম্পদশালী ব্যক্তি কৃপণ।

৬। জ্ঞান চুরি করা যায় না, কিন্তু সম্পদ চুরি হতে পারে। অতএব জ্ঞান উত্তম।

৭। সময় জ্ঞানের কোন ক্ষতি করে না, কিন্তু সম্পদ সময়ের পরিবর্তনে ক্ষয় পেয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায়। সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

৮। জ্ঞান সীমাহীন, কিন্তু সম্পদ সীমাবদ্ধ এবং গোণা যায়। অতএব জ্ঞান উত্তম।

৯। জ্ঞান হৃদয়- মনকে জ্যোতির্ময় করে, কিন্তু সম্পদ একে মসিলিপ্ত করায় মত্ত। সুতরাং জ্ঞান উত্তম।

১০। জ্ঞান উত্তম। কারণ জ্ঞান মানবতাবোধকে উদ্বুদ্ধ করে যেমন আমাদের মহানবী(সাঃ) আল্লাহকে বলেছেনঃ “আমরা আপনার উপাসনা করি, আমরা আপনারই দাস।”
অন্যদিকে সম্পদ ফেরাউন ও নমরুদকে বিপদগ্রস্ত করেছে। যারা দাবী করে যে তারা ইলাহ।’

ওহাবী-দেওবন্দীদের কতিপয় কুফরি আক্বিদা

ওহাবী-দেওবন্দীদের কতিপয় কুফরি আক্বিদাঃ

( ۱ ) ﻧﺒﯽ ﮐﯽ ﺗﻌﻈﯿﻢ ﺻﺮﻑ ﺑﮍﮮ ﺑﮭﺎﺋﯽ ﮐﯽ ﺳﯽ ﮐﺮ ﻧﯽ ﭼﺎﺋﮯ .
"নবীর সম্মান কেবল বড় ভাইয়ের অনুরূপ করা চাই " ৷
[ তাকবীয়াতুল ঈমান, ৫৮ পৃ: ]

( ۲ ) ﺍﻟﻠﮧ ﭼﺎﮬﮯ ﺗﻮ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﮯ ﺑﺮﺍﺑﺮ ﮐﺮﻭﮌﻭﮞ ﭘﯿﺪﺍ ﮐﺮ ﮈﺍﻟﮯ .
"আল্লাহ চান তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার সমান কোটি কোটি সৃষ্টি করতে পারেন ৷ "
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ১৬ পৃ: ]

( ۳ ) ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﮐﺮ ﻣﺌﯽ ﻣﯿﮟ ﻣﻞ ﮔﺌﯽ .
"হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা মরে মাটির সাথে মিশে গেছেন " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৫৯ পৃ: ]

( ۴ ) ﻧﺒﯽ ﺭﺳﻮﻝ ﺳﺐ ﻧﺎﮐﺎﺭﮦ ﮨﮯ .
" সকল নবী, রাসুল নিষ্কর্ম " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ২৯ পৃ: ]

( ۵ ) ﻧﺒﯽ ﮐﯽ ﺗﻌﺮﯾﻒ ﺻﺮﻑ ﺑﺸﺮ ﮐﯽ ﺳﯽ ﮐﺮﻭ ﺑﻠﮑﮧ ﺍﺱ ﻣﯿﮟ ﺑﮭﯽ ﺍﺧﺘﺼﺎﺭ ﮐﺮﻭ .
" নবীর প্রসংশা কেবল মানুষের ন্যায় করো বরং এতেও সংক্ষিপ্ত করো ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৩৫ পৃ: ]

( ۶) ﺑﮍﮮ ﯾﻌﻨﯽ ﻧﺒﯽ ﺍﻭﺭ ﭼﮭﻮﮌﮮ ﯾﻌﻨﯽ ﺑﺎﻗﯽ ﺷﺐ ﻧﺒﺪﮮ ﺧﺒﺮ ﺍﻭﺭ ﻧﺎﺩﺍﻥ ﮨﯿﮟ .
"বড় অর্থাৎ নবী এবং ছোটরা অর্থাৎ অন্যন্য সব বান্দারা অসচেতন এবং মূর্খ " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৩ পৃ: ]

( ۷) ﺑﮍﮮ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﯾﻌﻨﯽ ﻧﺒﯽ ﺍﻭﺭ ﭼﮭﻮﮌﯼ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﯾﻌﻨﯽ ﺑﺎﻗﯽ ﺳﺐ ﺑﻨﺪﮮ ﺍﻟﻠﮧ ﮐﯽ ﺷﺎﻥ ﮐﮯ ﺍﮔﮯ ﭼﻤﺎﺭ ﺳﮯ ﺫﻟﯿﻞ ﮬﯿﮟ .
"বড় সৃষ্টি অর্থাৎ নবী এবং ছোট সৃষ্টি অর্থাৎ অন্য সব বান্দাগণ আল্লাহর শানের মোকাবিলায় চামার অপেক্ষা নিকৃষ্ট ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ১৮ পৃ: ]

( ۸) ﺟﺲ ﮐﺎ ﻧﺎﻡ ﻣﺤﻤﺪ ‏( ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ‏) ﯾﺎ ﻋﻠﯽ ﮬﮯ ﻭﮦ ﮐﺴﯽ ﭼﯿﺰ ﮐﺎ ﻣﺨﺘﺎﺭ ﻧﮩﯿﮟ ﻧﺒﯽ ﺍﻭﺭ ﻭﻟﯽ ﮐﭽﮫ ﻧﮩﯿﮟ ﮐﺮ ﺳﮑﺘﮯ .
"যার নাম মুহাম্মদ অথবা আলী তার কোন কিছু করার এখতিয়ার নাই, নবী ও অলি কিছুই করতে পারে না ৷ "
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৪১ পৃ: ]

( ۹) ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﮯ ﺣﻮﺍﺱ ﮬﻮﮔﺌﮯ .
"হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম অনূভুতিহীন হয়ে গেছেন " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৫৫ পৃ: ]

( ۱۰ ) ﺭﺳﻮﻝ ﮐﮯ ﭼﺎﮨﻨﮯ ﺳﮯ ﮐﭽﮫ ﻧﮩﯿﮟ ﮬﻮﺗﺎ .
" রাসুল চাওয়ার দ্বারা কিছুই হয় না " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৬১ পৃ: ]

( ۱۱ ) ﮔﺎﺅﮞ ﻣﯿﮟ ﺟﯿﺴﺎ ﺩﺭﺟﮧ ﭼﻮﺩﮬﺮﯼ ﺯﻣﯿﻦ ﺩﺍﺭ ﮐﺎ ﮬﮯ ﻭﯾﺴﺎ ﺩﺭﺟﮧ ﺍﻣﺖ ﻣﯿﮟ ﻧﺒﯽ ﮐﺎ ﮬﮯ .
" গ্রামে চৌধুরী ও জমিদারের যেরূপ মর্যাদা রয়েছে, উম্মতের মধ্যে নবীর মর্যাদাও অনুরূপ " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৫৪ পৃ: ]

( ۱۲ ) ﺍﻟﻠﮧ ﮐﮯ ﺭﻭﺑﺮﻭ ﺳﺐ ﺍﻧﺒﯿﺎ ﻭ ﺍﻭﻟﯿﺎ ﺍﯾﮓ ﺫﺭﮦ ﻧﺎﭼﯿﺰ ﺳﮯ ﺑﮭﯽ ﮐﻢ ﺗﺮ ﮬﯿﮟ .
" আল্লাহর সম্মুখে সকল নবী ও অলিগণ ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র অপেক্ষা তুচ্ছ " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৫৪ পৃ: ]

( ۱۳ ) ﻧﺒﯽ ﺍﻭﺭ ﻭﻟﯽ ﮐﻮ ﺍﻟﻠﮧ ﮐﯽ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﺍﻭﺭ ﺑﻨﺪﮦ ﺟﺎﻥ ﮐﺮ ﻭﮐﯿﻞ ﺍﻭﺭ ﺳﻔﺎﺭﺷﯽ ﺳﻤﺠﮭﻨﮯ ﻭﺍﻻ ﻣﺪﺩ ﮐﮯ ﻟﺌﮯ ﭘﮑﺎﺭﻧﮯ ﻭﺍﻻ ﻧﺬﺭ ﻧﯿﺎﺯ ﮐﺮ ﻧﮯ ﻭﺍﻻ ﻣﺴﻠﻤﺎﻥ ﺍﻭﺭ ﮐﺎﻓﺮ ﺍﺑﻮ ﺟﮭﻞ ﺷﺮﮎ ﻣﯿﮟ ﺑﺮﺍﺑﺮ ﮨﯿﮟ .
" নবী ও অলিকে আল্লাহর সৃষ্টি ও বান্দা জেনে উকিল বা সুপারিশকর্তা ধারণাকারী, সাহায্যের জন্য আহবানকারী, নযর মান্নতকারী, মুসলমান এবং কাফির আবু জেহেল শিরকের মধ্যে সমান ৷ "
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৭ - ২৭ পৃ: ]

( ۱۴ ) ﺍﻟﻠﮧ ﮐﮯ ﻭﻟﯿﻮﮞ ﮐﻮ ﺍﻟﻠﮧ ﮐﯽ ﻣﺨﻠﻮﻕ ﺳﻤﺠﮫ ﮐﺮ ﺑﮭﯽ ﭘﮑﺎﺭﻧﺎ ﺷﺮﮎ ﮬﮯ .
" আল্লাহর অলিদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি মনে করেও আহবান করা শিরক " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান, ৭ পৃ: ]

(15 ) ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﮐﻮ ﭘﮭﻠﮯ ﺳﮯ ﻋﻠﻢ ﻧﮩﯿﮟ ﮬﻮﺗﺎ ﮐﮧ ﺑﻨﺪﮮ ﮐﯿﺎ ﮐﺮﯾﮟ ﮔﮯ ﺟﺐ ﺑﻨﺪﮮ ﮐﺮﺗﮯ ﮨﯿﮟ ﺗﻮ ﺍﻟﻠﮧ ﮐﻮ ﻋﻠﻢ ﮬﻮﺗﺎ ﮨﮯ .
" বান্দা কি করবে তা প্রথম থেকেই আল্লাহর জানা হয় না, যখন বান্দা করে তখন আল্লাহর জানা হয় " ৷
[ তাফসীরে বালাগাতুল খায়রান, ১৫৭ ও ১৫৮ পৃ: ]

( 16 ) ﺷﯿﻄﺎﻥ ﺍﻭﺭ ﻣﻠﮏ ﺍﻟﻤﻮﺕ ﮐﺎ ﻋﻠﻢ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺳﮯ ﺯﯾﺎﮦ ﮨﮯ .
" শয়তান এবং মালাকুল মওতের ইলম হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার ইলমের চেয়ে বেশি " ৷
[ বারাহিয়ানে ক্বাতেয়া, ৫১ পৃ: ]

( 17 ) ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﮐﮯ ﻧﺒﯽ ﮐﻮ ﺍﭘﻨﮯ ﺍﻧﺠﺎﻡ ﺍﻭﺭ ﺩﻭﺍﺭ ﮐﮯ ﭘﯿﭽﮭﮯ ﮐﺎ ﺑﮭﯽ ﻋﻠﻢ ﻧﮩﯽ .
" আল্লাহর নবীর স্বীয় কর্মফল এবং দেয়ালের পিছনের জ্ঞানেও নেই " ৷
[ বারাহিয়ানে ক্বাতিয়া, ৫৫ পৃ: ]

( 18 ) ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﻮ ﺍﻟﻠﮧ ﺗﻌﺎﻟﯽ ﻧﮯ ﺟﯿﺴﺎ ﺍﻭﺭ ﺟﺘﻨﺎ ﻋﻠﻢ ﻏﯿﺐ ﻋﻄﺎ ﻓﺮﻣﺎﯾﺎ ﮨﮯ ﻭﯾﺴﺎ ﻋﻠﻢ ﺟﺎﻧﻮﺭﻭﮞ ﭘﺎﮔﻠﻮﮞ ﺍﻭﺭ ﺑﭽﻮﮞ ﮐﻮ ﺣﺎﺻﻞ ﮬﮯ .
" হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামাকে আল্লাহ তায়ালা যেমন এবং যতটুকু অদৃশ্য জ্ঞান দান করেছেন তদ্রুপ জ্ঞান প্রাণীসমূহ, পাগল এবং শিশুদেরও অর্জিত আছে " ৷
[ হিফযুল ঈমান, ৭ পৃ: ]

( 19 ) ﻧﻤﺎﺯ ﻣﯿﮟ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﯽ ﻃﺮﻑ ﺧﯿﺎﻝ ﮐﺎ ﺻﺮﻑ ﺟﺎﻧﺎﺑﮭﯽ ﺑﯿﻞ ﮔﺪﮬﮯ ﮐﮯ ﺧﯿﺎﻝ ﻣﯿﮟ ﮈﻭﺏ ﺟﺎﻧﮯ ﺳﮯ ﺑﮭﮯ ﺑﮭﺖ ﺑﺮﺍ ﮬﮯ .
" নামাজে হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার প্রতি কেবল স্মরণ যাওয়া গরু - গাঁধার স্মরণে নিমজ্জিত হওয়ার চেয়েও নিতান্ত খারাপ " ৷
[ সিরাতে মুস্তাকিম, ৮৬ পৃ: ]

( 20 ) ﻟﻔﻆ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﯽ ﺻﻔﺖ ﺧﺎﺻﮧ ﻧﮩﯿﮟ ﮬﮯ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﮯ ﻋﻼﻭﮦ ﺑﮭﯽ ﺩﯾﮕﺮ ﺑﺰﺭﮔﻮﮞ ﮐﻮ ﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻌﺎﻟﻤﯿﻦ ﮐﮧ ﺳﮑﺘﮯ ﮨﯿﮟ .
" রাহমাতুল্লিল আলামীন শব্দ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার বিশেষ গুণ নয় ৷ হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওসাল্লামা ছাড়াও অন্য বুযুর্গদেরকে রাহমাতুল্লিল আলামীন বলা যাবে ৷"
[ ফতওয়ায়ে রশীদিয়া, ২য় খণ্ড, ১২ পৃ: ]

(21) ﺧﺎﺗﻢ ﺍﻟﻨﯿﻦ ﮐﺎ ﻣﻌﻨﯽ ﺍﺧﺮﯼ ﻧﺒﯽ ﺳﻤﺠﮭﻨﺎ ﻋﻮﺍﻡ ﮐﺎ ﺧﯿﺎﻝ ﮬﮯ ﻋﻠﻢ ﻭﺍﻟﻮﮞ ﮐﮯ ﻧﺰﺩﯾﮏ ﯾﮧ ﻣﻌﻨﯽ ﺩﺭﺳﺖ ﻧﮩﯿﮟ — ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﮐﮯ ﺯﻣﺎﻧﮯ ﮐﮯ ﺑﻌﺪ ﺑﮭﯽ ﺍﮔﺮ ﮐﻮﺋﯽ ﻧﺒﯽ ﭘﯿﺪﺍ ﮬﻮ ﺗﻮ ﺧﺎﺗﻤﯿﺖ ﻣﺤﻤﺪﯼ ﻣﯿﮟ ﮐﭽﮫ ﻓﺮﻕ ﻧﮩﯿﮟ ﺍﺋﮯ ﮔﺎ .
" খাতামুন্নবীয়্যিনের অর্থ শেষ নবী মনে করা সাধারণ মানুষের ধারণা, জ্ঞানীদের নিকট অর্থ সঠিক নয় ৷ হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামার যুগের পরেও যদি কোন নবী সৃষ্টি হয় (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা )সর্বশেষ নবী হওয়াতে কোন পার্থক্য আসবে না ৷ "
[ তাহযিরুন্নাস, ৩ ও ২৫ পৃ: ]

(22 ) ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﻮ ﺩﯾﻮﺑﻨﺪ ﮐﮯ ﻋﻠﻤﺎﺀ ﺗﻌﻠﻖ ﺳﮯ ﺍﺭﺩﻭ ﺯﺑﺎﻥ ﺍﺋﯽ .
" হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামা দেওবন্দি ওলামাদের সম্পর্কের মাধ্যমে উর্দু ভাষা শিক্ষা করেছেন ৷ "
[ বারাহিয়ানে কাতেয়া, ২৬ পৃ ]

(23 ) ﻧﺒﯽ ﮐﺎ ﮬﺮ ﺟﮭﻮﭦ ﺳﮯ ﭘﺎﮎ ﺍﻭﺭ ﻣﻌﺼﻮﻡ ﮬﻮﻧﺎ ﺿﺮﻭﺭﯼ ﻧﮩﯿﮟ .
" নবীর জন্য প্রত্যেক মিথ্যা হতে পবিত্র এবং নিষ্পাপ হওয়া জরুরী নয় ৷ "
[ তাসফিয়াতুল আক্বাইদ, ২৫ পৃ ]

(24 ) ﻧﺒﯽ ﮐﻮ ﻃﺎﻏﻮﺕ ‏( ﺷﯿﻄﺎﻥ ‏) ﺑﻮﻟﻨﺎ ﺟﺎﺋﺰ ﮬﮯ .
" নবীকে তাগুত (শয়তান) বলা জায়েজ ৷ "
[ তাফসীরে বালাগাতুল খায়রান, ৮ পৃ: ]

(25) ﺩﯾﻮﺑﻨﺪﯼ ﻣﻼﮞ ﻧﮯ ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﻮ ﭘﻞ ﺻﺮﺍﻁ ﺳﮯ ﺑﭽﺎﻟﯿﺎ . "
" দেওবন্দি মোল্লারা হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামাকে পুলসিরাত পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছে " ৷
[ তাফসীরে বালাগাতুল খায়রান , ৮ পৃ: ]

(26 ) ﻻﺍﻟﮧ ﺍﻻﺍﻟﻠﮧ ﺍﺷﺮﻑ ﻋﻠﯽ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﮧ ﺍﻭﺭ ﺍﻟﮩﻢ ﺻﻞ ﻋﻠﯽ ﺳﯿﺪﻧﺎ ﻭ ﻧﺒﯿﻨﺎ ﺍﺷﺮﻑ ﻋﻠﯽ ﮐﮩﻨﮯ ﮨﯿﮟ ﺗﺴﻠﯽ ﮬﮯ ﮐﻮﺋﯽ ﺧﺮﺍﺑﯽ ﻧﮩﯿﮟ .
লা-ইলাহা ইল্লাল্লা আশরাফ আলী রাসুলিল্লাহ অথবা আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা সায়্যিদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা আশরাফ আলী৷(নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
"বলাতে প্রশান্তি আছে, কোন ক্ষতি নেই " ৷
[ রেসালায়ে আল ইমদাদ,৩৫ পৃ :
আল ফোরকান, ৩য় খণ্ড ৫৮ পৃ]

(27 ) ﻣﯿﻼﺩ ﻧﺒﯽ ﻣﻨﺎﻧﺎ ﺍﯾﺴﺎ ﮬﮯ ﺟﯿﺴﮯ ﮬﻨﺪﻭ ﺍﭘﻨﯽ ﮐﮭﻨﯿﺎ ﮐﺎ ﺟﻨﻢ ﺩﻥ ﻣﻨﺎﺗﮯ ﮬﮯ .
" মিলাদুন্নবী উদযাপন করা তদ্রুপ হিন্দুরা শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপনের অনুরূপ " ৷
[ ফতওয়ায়ে মিলাদ শরীফ, ৮ পৃ:
বারাহিয়ানে কাতিয়া , ১৪৮ পৃ]

( 28 ) ﺣﻀﻮﺭ ﺍﮐﺮﻡ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻸ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻭﺭ ﺩﺟﺎﻝ ﺩﻭﻧﻮﮞ ﺑﺎﻟﺬﺍﺕ ﺣﯿﺎﺕ ﺳﮯ ﻣﺘﺼﻒ ﮬﯿﮟ ﺟﻮ ﺧﺼﻮﺻﯿﺖ ﻧﺒﯽ ﮐﺮﯾﻢ ﺻﻠﯽ ﺍﻟﻠﮧ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺳﻠﻢ ﮐﯽ ﮬﮯ ﻭﮬﯽ ﺩﺟﺎﻝ ﮐﯽ ﮨﮯ .
" হুজুরে আকরম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এবং দাজ্জাল উভয় সত্বগত জীবন দ্বারা গুণাত্বিত, নবীর যে বিশেষত্ব দাজ্জালেরও অনুরূপ ৷ "
[ আবে হায়াত , ১৬৯ পৃ ]

(29 ) ﺍﻟﻠﮧ ﮐﻮ ﻣﺎﻧﻮ ﺍﺱ ﮐﮯ ﺳﻮﺍ ﮐﺴﮯ ﮐﻮ ﻧﮧ ﻣﺎﻧﻮ .
"আল্লাহকে মানোতিনি ব্যতীত অন্য কাউকে মানবে না " ৷
[ তাকবিয়াতুল ঈমান ,৫৬ পৃ: ]

(30 ) ﻧﺒﯽ ﮐﻮ ﺍﭘﻨﺎ ﺑﮭﺎﺋﯽ ﮐﮭﻨﺎ ﺩﺭﺳﺖ ﮨﮯ .
"নবীকে নিজের ভাই বলা সঠিক " ৷
[ বারাহিয়ানে কাতিয়া ,৩ পৃ]

(31 ) ﺩﺭﻭﺩ ﺗﺎﺝ ﻧﺎﭘﺴﻨﺪﮦ ﮨﮯ ﺍﻭﺭ ﭘﮍﮬﻨﺂ ﻣﻨﻊ ﮨﮯ .
" দরূদে তাজ পাঠ করা অপছন্দনীয়, এবং পড়া নিষেধ " ৷
[ ফাযাযেলে দরূদ শরীফ, ৭৩ পৃ
তাযকিরাতুর রশীদ, ২য় খণ্ড, ১১৭ পৃ

( 32 ) ﻣﯿﻼﺩ ﺷﺮﯾﻒ، ﻣﻌﺮﺍﺝ ﺷﺮﯾﻒ ،ﻋﺮﺱ ﺷﺮﯾﻒ، ﺧﺘﻢ ﺷﺮﯾﻒ ﺳﻮﻡ، ﭼﮭﻠﻢ، ﻓﺎﺗﺤﮧ، ﺧﻮﺍﻧﯽ ﺍﻭﺭ ﺍﯾﺼﺎﻝ ﺛﻮﺍﺏ ﺳﺐ ﻧﺎﺟﺎﺋﺰ ﻏﻠﻂ، ﺑﺪﻋﺖ ﺍﻭﺭ ﮐﺎﻓﺮﻭﮞ ﮬﻨﺪﺅﮞ ﮐﺎﻃﺮﯾﻘﮧ ﮨﮯ .
" মিলাদ শরীফ , মিরাজ শরীফ ,ওরশ শরীফ ,খতম শরীফ , চেহলাম ,ফাতেহাখানী ,ঈসালে সওয়াব নাযায়েজ, ভ্রান্ত বিদআত কাফির এবং হিন্দুদের নিয়ম "৷
[ ফতওয়ায়ে আশরাফিয়া ,২য় খণ্ড ,৫৮ পৃ :
ফতওয়ায়ে রশিদিয়া ,২য় খণ্ড , ১৪৪ ও ১৫০ পৃ ৩য় খণ্ড ৯৩ ও ৯৪ পৃ ]

(33 ) ﻣﻌﺮﻭﻑ ﺩﯾﺴﯽ ﮐﻮﺍ ﮐﮭﺎﻧﺎ ﺛﻮﺍﺏ ﮨﮯ .
" ভাল দেশী কাক খাওয়া পূন্যময় " ৷
[ফতওয়ায়ে রশিদিয়া ,২য় খণ্ড ,১৩০ পৃ]

Written by:
{Mufti Shaikh Muhammad Nurul Islam Nokshabandi-Mujaddedi from the Sylhet
in Bangladesh.Dated in 22/09/2019 on Sunday}.

অপবাদ এর ভয়াবহতা থেকে নিজেকে হেফাজত করুন


মানব জীবনের একটি মারাত্মক ও নিন্দনীয় বদস্বভাব হচ্ছে মিথ্যা দোষারোপ করা, ইহকাল ও পরকালে যার পরিণতি খুব কঠিন ও ভয়াবহ।

মিথ্যা অপবাদ বা দোষারোপ মানব চরিত্রের অত্যন্ত অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্ট স্বভাব।

জঘন্য এ মন্দ কাজের সঙ্গে মিথ্যাচার, পরচর্চা, পরনিন্দা, হিংসা-বিদ্বেষ, ছিদ্রান্বেষণ, পরশ্রীকাতরতার মতো ঘৃণ্য তত্পরতায় জড়িত।
মিথ্যাচারে অভ্যস্ত মানুষই কেবল কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করতে পারে।
 মিথ্যা দোষারোপ মিথ্যাচারের চরম বহিঃপ্রকাশ। মিথ্যাচার জঘন্য ধরনের পাপাচার, এটি তাকওয়ার সম্পূর্ণ পরিপন্থী, কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ ও শরিয়ত-গর্হিত কাজ। 
পবিত্র কোরআনে নিষেধ করা হয়েছে যে

★তোমরা মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাক। (সূরা আল-হজ, আয়াত-৩০)

কারও কাছ থেকে কোনো কথা শোনার পর তার সত্যাসত্য যাচাই-বাছাই না করে অন্যের কাছে বলে বেড়ানো মিথ্যার শামিল। 
কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে তা-ই বলে বেড়ায়।
 মিথ্যা দোষারোপ মানুষের দুশ্চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের অপকর্মে অভ্যস্ত দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ তরিকত পন্থী বা সুফিবাদী হতে পারে না। 
পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপের প্রবণতা এমন একটি সামাজিক ব্যাধি, যার কুফল মারাত্মক।
 মিথ্যা দোষারোপের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে কু-ধারণার সৃষ্টি হয়। ইসলামে কোনো দলিল প্রমাণ ছাড়া কারও প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা হারাম। নবী করিম ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

★"মুমিনদের প্রতি তোমরা ভালো ধারণা পোষণ করবে।"

মানব জাতিকে অহেতুক অনুমান থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে :

★হে মানব সকল! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।

(সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত-১২)

★দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে পশ্চাতে ও সম্মুখে লোকের নিন্দা করে।’ (সূরা আল-হুমাযা, আয়াত-১)

★আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে (পানাহ চাই), যখন সে হিংসা করে।’ (সূরা আল-ফালাক, আয়াত-৫)

এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, 
★তোমরা অন্যের প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে বেঁচে থাকবে। 
কেননা এরূপ কু-ধারণা জঘন্যতম মিথ্যা। আর কারও দোষ অনুসন্ধান করো না, কারও গোপনীয় বিষয় তালাশ করো না, একে অন্যকে ধোঁকা দেবে না, আর পরস্পর হিংসা করবে না, একে অপরের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করবে না এবং পরস্পর বিরুদ্ধাচরণ করবে না বরং সবাই আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে থাকবে।(বুখারি ও মুসলিম)

মিথ্যা অপবাদের দ্বারা দোষারোপকৃত ব্যক্তির যথেষ্ট মানহানি করা হয়। ইসলামে এ জাতীয় গুনাহর কাজকে বিশেষভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া জঘন্য ধরনের পাপ।
 এ জাতীয় পাপের কোনো কাফ্ফারা হয় না।

রাসুলুল্লাহ ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

★পাঁচটি পাপ এমন, যার কাফ্ফারা নেই। তন্মধ্যে তৃতীয়টি হলো কোনো মুমিনকে অপবাদ দেওয়া।(মুসনাদে আহমাদ)

মিথ্যা দোষারোপ বা অপবাদের কারণে সমাজজীবনে মানুষের সম্মানহানি ঘটে। তাই কারও মানহানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে নবী করিম ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম ঘোষণা করেছেন, ★যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে সম্মানহানি করা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা নিজের জন্য অপরিহার্য করে নেন।(আহমাদ, তাবারানী)

পক্ষান্তরে কেউ অন্যায়ভাবে তার মুসলমান ভাইয়ের মান-ইজ্জত খাটো করলে সম্মান বিনষ্টকারীকে আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন,

★কোনো মুসলমান অপর কোনো মুসলমানকে যদি এমন স্থানে লাঞ্ছিত করে যেখানে তার মানহানি ঘটে এবং সর্বদা খাটো করা হয়, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে লাঞ্ছিত করবেন, যেখানে তার সাহায্য প্রাপ্তির আশা ছিল।’ (আবু দাউদ)

রাসুল ছ্বাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া ছ্বাল্লাম বলেছেন,

★তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাকবে। কেননা মিথ্যা পাপাচার পর্যন্ত পৌঁছে দেয় আর পাপাচার জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)।

মালিক দয়াময় সকল-কে সঠিক জ্ঞ্যান অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখকঃ লায়লা রেজভী 

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

স্লিপ হাইজিন মেনে চললে স্বাভাবিক ভালো ঘুম হবে।


‘ইচ্ছা হলো ঘুমিয়ে গেলাম’, আবার ‘না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম কয়েক দিন’, কিংবা ‘ঘুম হচ্ছে না বলে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতেই হয়’, ‘অনেক রাত জাগি, তাই পরদিন উঠতে অনেক দেরি হয়’—এর কোনোটিই স্বাস্থ্যকর নয়।
 ঘুম হচ্ছে না বলে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ঠিক নয়।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।
একে বলা হয় ‘স্লিপ হাইজিন’।
 স্লিপ হাইজিন মেনে চললে স্বাভাবিক ভালো ঘুম হবে।
নিয়মিত দৈনিক স্বাভাবিক ঘুম রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। দৈনন্দিন জীবনে কাজের মানকেও বাড়িয়ে তোলে।


স্লিপ হাইজিনের নিয়ম কানুন

• রাতে জেগে থাকা আর দিনে ঘুমানো পরিহার করুন। এতে করে ‘সারকাডিয়ান রিদম’ বা দেহঘড়িতে সমস্যা হয়, যা চিন্তা ও আচরণকে অস্বাভাবিক করে ফেলে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। মনে রাখবেন, দিনটা কাজকর্মের জন্য, রাত ঘুমের। তাই যত কাজই থাকুক, তা রাত গভীর হওয়ার আগেই শেষ করতে হবে।

• চেষ্টা করুন প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে আর নির্দিষ্ট সময়ে জাগতে; এমনকি ছুটির দিনেও।

• দিনের বেলা ‘ভাতঘুম’ (ন্যাপ) না নিতে পারলে ভালো, তবে যদি নিতেই হয়, তবে ৩০ মিনিটের বেশি নয়।

• দিনের বেলা বিছানা বা সোফায় গড়ানো চলবে না, বিছানায় শুয়ে পত্রিকা বা বই পড়া, টিভি দেখা বা খাওয়ার অভ্যাস যেন গড়ে না ওঠে। বিছানা কেবল ঘুমের জন্য ব্যবহার করুন।

• দিনের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটুন বা সাঁতার কাটুন বা সাইকেল চালান। অ্যারোবিক ব্যায়ামও করতে পারেন। তবে রাতে ঘুমের আগে খুব বেশি ব্যায়াম না করাই ভালো।

• সূর্য ডোবার পর চা-কফি পান এড়িয়ে চলুন। রাতের বেলা ভারী দুষ্পাচ্য খাবার কম খাবেন। খেয়েই ঘুমাতে যাবেন না, রাতের খাবার আর ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা বিরতি রাখুন।

• ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে থেকে মুঠোফোন, টিভি, কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ব্যবহার বন্ধ রাখুন।

• শয়নকক্ষের পরিবেশ ঘুমের উপযোগী হতে হবে, বিছানাটি হবে আরামদায়ক। অতিরিক্ত আলো বা ঘুটঘুটে অন্ধকার, দুটিই এড়িয়ে চলুন। ঘরটি যেন খুব শীতল বা খুব গরম না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। এসি ব্যবহার না করলে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। অতি উঁচু বা শক্ত বালিশ ব্যবহার করবেন না।

• সন্ধ্যার পর হালকা গরম পানিতে গোসল সেরে নিলে ভালো ঘুম হবে। তবে গভীর রাত করে গোসল করবেন না।

• ঘুম আসছে না বলে বারবার ঘড়ির দিকে তাকাবেন না। বরং উঠে কিছুক্ষণ বই পড়ুন বা গান শুনুন।

• ‘ঘুম আসছে না’ বলে—কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ সেবন করবেন না। চিকিৎসক যত দিন যে পরিমাণে ওষুধ খেতে বলেছেন, তার চাইতে বেশি কখনোই গ্রহণ করবেন না। বিষণ্নতা, উদ্বেগসহ নানা কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
ঘুমের সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অহংকার

প্রথমত: অহংকার একটি ঘৃণিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা কিনা ইবলিস ও তার সহচরদের প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য, এরা সেই সব লোক যাদের অন্তর আল্লাহ তায়ালা সিল বা মোহর মেরে দিয়েছেন। সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সে হল অভিশপ্ত ইবলিস শয়তান। যখন আল্লাহ সুবহানাহা ওয়া তায়ালা তাকে আদেশ করেছিলেন আদম(আ) কে সিজদাহ করার জন্য তখন সে অহংকার করে বসল এবং সিজদাহ করতে অস্বীকার করেছিলো।
ইবলিস বলল ,“আমি তো তার চাইতে উত্তম, আপনি আমাকে বানিয়েছেন আগুন থেকে আর তাকে বানিয়েছেন মাটি থেকে”,আল্লাহ বলেন, “এবং অবশ্যই, আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার অবয়ব তৈরি করেছি,অতঃপর আমি ফেরেশতাদের বলেছি, আদমকে সিজদাহ করো, তখন সবাই আদমকে সিজদাহ করলো,একমাত্র ইবলীস ছাড়া, সে কিছুতেই সিজদাহকারীদের মধ্যে শামিল হলো না” আল্লাহ তায়ালা বললেন, “আমি যখন নির্দেশ করেছি তখন কোন জিনিস তোকে সিজদাহ করতে বারণ করলো ? ইবলিস বললো, আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ,আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন আর তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি দ্বারা [আল-আরাফ; ৭:১১-১২]
ঔদ্ধত্য ও অহংকার ইবলিসের অনেকগুলো চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে একটি, কাজেই কেউ যদি অহংকার করতে চায় তবে তার বোঝা উচিত সে শয়তানের একটি বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করছে, এবং সে তাদের মত নয় যারা তাদের প্রভূকে মান্য করেছে ও সিজদাহ করেছে। উপরন্তু, অহংকারের কারণে একজন মানুষ জান্নাত হতে বঞ্চিত হতে পারে এবং সে সকল অহংকারী লোকের প্রতি আল্লাহ তায়ালা দৃষ্টিপাত পর্যন্ত করবেন না। নিচের হাদীসগুলো পড়ে দেখুন,
১। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, “যার মনে একটি অণু পরিমাণ ওজনেরও অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। ” একজন উপস্থিত লোক জানতে চাইলো, “ইয়া রাসুলুল্লাহ , যদি কেউ তার নিজের পোষাক ও জুতাকে পছন্দ করে একারণে যে তাকে সুন্দর দেখায়”। রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “আল্লাহ তায়ালা নিজেই সুন্দরতম অস্তিত্ব এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার মানে হল, সত্যকে প্রত্যাখান করা ও মানুষকে ছোট করে দেখা ” [মুসলিম , ৯১]
২। আব্দুল্লাহ ইবন উমার (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “যে ব্যক্তি তার পরিধানের কাপড়কে অহংকারের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলে, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না”। আবু বকর(রা) উপস্থিত ছিলেন, তিনি জানতে চাইলেন, “মাঝে মাঝে অসতর্কতার কারণে আমার পরিধেয় কাপড় একদিকে ঝুলে পড়ে”। রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “তুমি তা অহংকার থেকে করোনি” [বুখারি,৩৪৬৫]
কাজেই হাদীসটি থেকে সহজেই দেখা যাচ্ছে, সচেতনভাবে মাটিতে কাপড় হেঁচড়ে চলার কোন অবকাশ নেই এবং যে তা করবে তার জন্য ভয়াবহ আযাব নির্দিষ্ট করা আছে।
দ্বীতিয়ত: গর্ব এমন একটি বিষয় যা কিনা আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কারো শোভা পায় না। যে কেউ এ ব্যাপারে আল্লাহর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করার ইচ্ছা করে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন, তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন এবং তার সবকিছু কঠিন হয়ে যাবে। আবু সাঈদ আল খুদরী(রা) ও আবু হুরায়রা(রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন,
“শক্তি তাঁর(আল্লাহর) কাপড় ও গর্ব তাঁর চাদর, যে কেউ এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার(আল্লাহর) সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায়,আমি (আল্লাহ) তাকে শাস্তি প্রদান করব। ”[মুসলিমঃ ২৬২০] আল-নাওয়াবী বলেন, এখানে “তাঁর পোশাক” ও “তাঁর চাদর” শব্দগুলো আল্লাহকেই নির্দেশ করে এবং একটি বিষয় উহ্য আছে, তা হল, এখানে যা বোঝানো হচ্ছে আল্লাহ বলেন, “যে কেউ বিষয়গুলো নিয়ে আমার সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায়,আমি তাকে শাস্তি প্রদান করবো”। কত কঠোরভাবে উল্লেখ করে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে, অহংকার করা হারাম। যারা অহংকারী ও নিজেকে বড় করে অন্যদের সামনে জাহির করে,আল্লাহ তাকে টেনে নামিয়ে দিবেন একেবারে তুচ্ছদের মাঝে তুচ্ছতম ও অপদস্ত করে। এবং তাকে অপমানিত করবেন , কেননা সে বাস্তবতার বিরুদ্ধে যাচ্ছিলো। তাই আল্লাহ তাকে তার লক্ষ্য হতে আঁছড়ে নিচে ফেলে দিবেন ; অপরাধের মাত্রা অনুসারেই শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে। আমর ইবন শুয়াইব ,তার পিতা ও দাদা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন ,“হাশরের ময়দানে, অহংকারী লোকগুলো পিঁপড়ার মত করে জড়ো হবে। অপমান তাদের চারদিক হতে ঘিরে ধরবে । তাদেরকে জাহান্নামের এমন একটি কয়েদে নিয়ে যাওয়া হবে যার নাম বা’লাস, তার মধ্য থেকে সবচেয়ে উত্তপ্ত অগ্নিশিখা নির্গত হবে, এবং তাদেরকে জাহান্নামিদের পুঁজ রক্ত পান করতে দেয়া হবে, যার নাম তিনাত আল খাবাল”। [তিরমিযি,২৪৯২]
তৃতীয়ত: নানা ধরণের অহংকার রয়েছে। কিছু উল্লেখ করা হল :
১। যখন কেউ সত্যকে গ্রহণ করে না এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তর্ক সাজায়। আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদের হাদিসটিতে আমরা ইতোমধ্যে পড়েছি, “অহংকার মানে সত্যকে প্রত্যাখান করা ও মানুষকে ছোট করে দেখা”।
২। যখন কেউ নিজেই নিজের সৌন্দর্য, রূপ ও যোগ্যতা দেখে নিজেকে প্রশংসা করে, অথবা তার ভালো খাবার ও পোশাকের কারণে সে গর্ব বোধ করে, বড়াই করে ও নিজেকে মানুষের চেয়ে বড় মনে করে। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ(স) বলেন, “একজন লোক হাঁটছিল, সে নিজের পরিধেয় পোশাক গর্বের সাথে মাটিতে হেঁচড়ে নিয়ে চলছিল, তার চুল ছিলো পরিপাটি করে আঁচড়ানো, আল্লাহ মাটিকে আদেশ করলেন তাকে গিলে ফেলতে এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত সে এইভাবে মাটির নিচে ডুবতে থাকবে ”। [সহীহ আল বুখারি, ৩২৯৭,মুসলিম ২০৮৮] অনুরূপ আরেকজন অহংকারী লোকের ঘটনা উল্লেখ করে কুরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন,“সে ফল পেল, অতপর কথা প্রসঙ্গে সঙ্গীকে বললো, আমার ধন সম্পদ তোমার চাইতে বেশি ও জনবলে আমি অধিক শক্তিশালী ”। [আল কাহফ ১৮:৩৪]
চতুর্থত: অহংকার থেকে বেঁচে থাকার একটি উপায় হল, নিজেকে অন্য সবার মতই মনে করা এবং একইসাথে তাদেরকেও আমার মতই মনে করা । তারাও আমার মত একজন আদি মাতা ও পিতা থেকে জন্ম লাভ করেছে আর তাক্বওয়া হল সত্যিকারের শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি। আল্লাহ কুরআনে বলেন, “নিশ্চয়ই, সেই তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত যার তাক্বওয়া অধিক” ।[সূরা হুজুরাত ৪৯:১৩] তিনি আরো বলেছেন “তোমরা পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না, নিশ্চয়ই তুমি তো কখনোই পৃথিবীকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনো পর্বত সমান হতে পারবে না ”।[সূরা বনী ইসরাইল, ১৭:৩৭]  আমাদের রব আরো বলছেন যে“অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। যমীনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কন্ঠস্বর নিচু করো, নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর”। [লুকমান ৩১:১৮-১৯]
আল-কুরতুবী বলেন, “পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না” দ্বারা অহংকারের নিষেধ ও বিনয়ের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।এই আয়াতে মারাহ (এখানে গর্বভরে পদচারণা অর্থে অনুদিত)শব্দটির অর্থ হল অতিরিক্ত আনন্দ, এর দ্বারা হাঁটার সময় অহংকার করা ও নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করাকেও বোঝায়। ক্বাতাদাহ বলেন, এর দ্বারা লোক দেখিয়ে হাঁটাচলা করাকে ও অন্তসারশূণ্য আত্মতুষ্টিকে বোঝায়।
অহংকারের আরেকটি প্রতিকার হচ্ছে, এই কথাটি স্মরণ রাখা যে, শেষ বিচারের দিনে তাদেরকে পিঁপড়ার মতন ক্ষুদ্র আকারে জড়ো করা হবে এবং সকল মানুষ তাদেরকে পায়ের নিচে পিষ্ট করে করে চলে যাবে । অহংকারী লোকদের সবাই ঘৃণা করে যেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালাও তাদের ঘৃণা করেন। মানুষ বিনয়ী, সভ্য, ভদ্র ও শান্ত লোকদের পছন্দ করে এবং তাদের ঘৃণা করে যারা নির্দয় ও নিষ্ঠুর এবং যাদের আচার আচরণে বিনয় নেই। আরেকটি দিকে স্মরণ রেখে অহংকার থেকে মুক্তি লাভ করা সহজ। মনে রাখা উচিত আমাদের সবার জন্ম হয়েছে অপবিত্র বীর্য থেকে এবং মৃত্যুও পঁচা গলিত শবদেহে। এবং আমরা আমাদের দেহে যা বহন করে বেড়াই তার অধিকাংশ মলমূত্র । কি নিয়ে আমাদের এত অহংকার ?
আমরা আল্লাহর কাছে অহংকার হতে মুক্তি চাই ও চাই তিনি আমাদের বিনয়ী করুন ।

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রোববার গভীর রাতে আগুন ইসির সদর দফতরে

রাজধানী ঢাকার আগারগাও এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বা ইসির সদর দফতরে রোববার গভীর রাতে আগুন ধরে গেলে অন্তত একহাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

সোমবার কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন আগুনের কারনে ওই ভবনে থাকা জাতিয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেজের কোন ক্ষতি হয় নাই।
ফায়ারসার্ভিসের তরফে জানান হয়েছে নির্বাচন কমিশন ভবনের বেজমেন্টে রাত ১১ টায় আগুন লাগার পর তাদের ১০ টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারন অনুসন্ধানের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা এবং ইসির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেছেন তারা ল্রথমিক ভাবে অনুমান করছেন বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পাশাপশি ফায়ার সার্ভিসেরও একটি তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অ্যানথ্রাক্সে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে

বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় সেসব এলাকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
মানুষের অ্যানথ্রাক্স মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে - একধরণের অ্যানথ্রাক্স হয় পরিপাকতন্ত্রে, আরেক ধরণের অ্যানথ্রাক্স শরীরের বাইরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়।
পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণ হলে সাধারণত হালকা জ্বর, মাংসপেশীতে ব্যাথা, গলা ব্যাথার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তবে বাংলাদেশে যে অ্যানথ্রাক্স দেখা যায় তা শরীরের বাইরের অংশে প্রভাব ফেলে।
এধরণের অ্যানথ্রাক্সে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোঁড়া বা গোটা হয়ে থাকে।
ফোঁড়া ঠিক হয়ে গেলে হাতে, মুখে বা কাঁধের চামড়ায় দাগ দেখা যেতে পারে।
যেসব এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয় সেসব এলাকাতেই সাধারণত অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
বাংলাদেশের রোগতত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মেহেরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান বাংলাদেশে সাধারণত কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকাতেই অ্যানথ্রাক্স হয়ে থাকে।
"অ্যানথ্রাক্স গরু, ছাগল, মহিষ - এই ধরণের প্রাণির মধ্যে প্রথম দেখা যায়। এসব প্রাণির মাধ্যমেই অ্যানথ্রাক্স মানুষের মধ্যে ছড়ায়।"

কীভাবে অ্যানথ্রাক্স মানুষের মধ্যে ছড়ায়?
মূলত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস কাটার সময় মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
মিজ ফ্লোরা বলেন, "পশু জবাই করা, সেটির মাংস কাটাকাটি করা এবং মাংস ধোয়া বা রান্নার সময় অনেকক্ষণ মাংস, রক্ত ও হাড্ডির সংস্পর্শে থাকতে হয়। সেসময় আক্রান্ত পশুর রক্তের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে অ্যানথ্রাক্স।"

মাংস কাটাকাটির সময় মানুষের শরীরের চামড়ায় কোনরকম ক্ষত থাকলে তার দেহে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেশি তাকে বলে জানান তিনি।

"আমাদের দেশে পশুর অ্যানথ্রাক্স হলেও অনেকসময় তা জবাই করে মাংস কম দামে বিক্রি করে ফেলা হয়। ঐ মাংস কাটাকাটি করার সময় অ্যানথ্রাক্স আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।"

মিজ. ফ্লোরা নিশ্চিত করেন, পশু থেকে মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হলেও মানুষ থেকে অন্য মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ হয় না।

আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে কী অ্যানথ্রাক্স হতে পারে?

মিজ. ফ্লোরা বলেন, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস খেয়ে পরিপাকতন্ত্রে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকলেও বাংলাদেশে সাধারণত যেভাবে মাংস রান্না করে খাওয়া হয় তাতে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু মাংসে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
"বিদেশে 'হাফ ডান' অবস্থায় মাংস রান্না করে খাওয়া হয়, সেই পদ্ধতিতে রান্না করলে মাংসে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা থাকে।"
"কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে মাংস রান্না করা হয়, ঐ পদ্ধতিতে রান্না করলে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকার সম্ভাবনা খুব কম থাকে।"

তবে, অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর মাংস না খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন মিজ. ফ্লোরা।

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে করণীয়

অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে মূলত দুই ধরণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান মিজ. ফ্লোরা।

"প্রথমত, যাদের গরু, মহিষ, ছাগলের মত গবাদি পশু রয়েছে, তারা যেন তাদের পশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্সের টীকা দেন তা নিশ্চিত করতে হবে।"

আর পশুর যদি অ্যানথ্রাক্স হয়েই যায়, সেক্ষেত্রে পশুকে দ্রুত মাটির নীচে পুঁতে ফেলা প্রয়োজন।
© বিবিসি

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রেলওয়ের কারিগরি প্রকল্পে ক্লিনারের বেতন মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে


রেলওয়ের কারিগরি প্রকল্পে ক্লিনারের বেতন মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। আর অফিস সহায়কের বেতন প্রতি মাসে ৮৩ হাজার ৯৫০ টাকা। যেখানে ক্যাড অপারেটরের বেতন সাধারণত ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা ধরা হয় সেখানে এই প্রকল্পে ধরা হয়েছে সোয়া লাখ টাকা।

আর বিদেশী পরামর্শকদের বেতন মাসে গড়ে ১৬ লাখ টাকা। এসব ব্যয়কে পরিকল্পনা কমিশন অত্যধিক ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে কার্যপত্রে। প্রকল্পে অত্যধিক পরামর্শক রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। আর অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দেশে লাগামহীন লুটপাট চলছে। দুর্নীতির বিচার ও শাস্তি না হওয়ায় লুটপাটের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এসব এখনই কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো রেলওয়ের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তায় ২৫৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয়ের বেশির ভাগ অর্থাৎ ১৮০ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হবে। বাকি প্রায় ৭৬ কোটি টাকা হবে সরকারি অর্থায়ন। প্রকল্পের মূল কাজ হলো ১১টি উপপ্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ।

অর্থাৎ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, বিস্তারিত ডিজাইন, দরপত্র ডকুমেন্ট প্রস্তুতসহ কিছু আনুষঙ্গিক কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক থাকবে ১ হাজার ৫৩০ জন। এর মধ্যে বিদেশী পরামর্শক ১ হাজার ১৫৩ জন, স্থানীয় ৩৭৭ জন। ১৩ জন কর্মকর্তা, ১৮ জন জনবল এবং ৯ জন স্টাফ। তবে এই জনবল নিয়োগে কোনো ক্ষেত্রেই অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির সুপারিশ কারিগরি প্রকল্প প্রস্তাবনায় (টিপিপি) পাওয়া যায়নি।

পরিকল্পনা কমিশনের কার্যপত্রে দেখা যায়, সহায়তা স্টাফদের জন্য বেতন ধরা হয়েছে আকাশচুম্বী; যা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ক্লিনারের বেতন প্রতি মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা কোনো কোনো প্রকল্পে একজন বিদেশী পরামর্শকের বেতনের সমান বা বেশি। অফিস সহায়কের বেতন ধরা হয়েছে প্রতি মাসে ৮৩ হাজার ৯৫০ টাকা আর ক্যাড অপারেটরের বেতন মাসে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এসব ব্যয় অত্যধিক বলে পরিকল্পনা কমিশন বলছে।

প্রকল্পের ক্রয় পরিকল্পনায় দেখা যায়, পরামর্শক সেবার মূল প্যাকেজটির মূল্য ২৩৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর আওতায় সব কাজই করা হবে। সেবা ক্রয়ে মাত্র দুটি প্যাকেজ করা হয়েছে। সম্ভবত একটি ফার্মের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। প্রকল্পভুক্ত ১১টি উপপ্রকল্পের কাজ একক প্যাকেজের পরিবর্তে ৪ থেকে ৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে করা উচিত বলে ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে বলা হয়েছে। প্রকল্পে ১৩ জন কর্মকর্তা প্রেষণে অতিরিক্ত দায়িত্বে কাজ করবেন। আরো ৫ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়া ৯ জন স্টাফ আউটসোর্সিং হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই জনবল কমিটির সুপারিশ টিপিপিতে সংযুক্ত করা হয়নি। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

ব্যয় বিভাজন পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পে সব মিলে ১ হাজার ৫৩০ জন পরামর্শক রাখা হয়েছে। প্রকল্পে পরামর্শকের আধিক্য রয়েছে। আবার একই বিষয়ে দুই বা ততোধিক পরামর্শকের সংস্থান রাখা হয়েছে, যা অর্থের অপচয়। আন্তর্জাতিক পরামর্শকের বেতন প্রতি মাসে ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এই খাতে ব্যয় প্রতি মাসে গড়ে ১৬ লাখ টাকা। সম্প্রতি অনুমোদিত এডিবির সমজাতীয় প্রকল্পের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। এসব আলোচনা করে কমিয়ে আনা প্রয়োজন। আবার পরামর্শক ব্যয়ের সাথে গাড়ি ভাড়া বাবদ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এই ব্যয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই বলেও ভৌত অবকাঠামো বিভাগ মন্তব্য করেছে।

যে ১১টি উপপ্রকল্পের জন্য এই কারিগরি প্রকল্প তার মধ্যে হলো- হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ওপর বিদ্যমান রেলসেতুর সমান্তরালে নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য বিশদ নকশাসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, আব্দুলপুর-রাজশাহী সেকশনে আরেকটি সমান্তরাল ব্রডগেজ লাইনের জন্য বিশদ ডিজাইনসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, সান্তাহার থেকে রোহনপুর নতুন ব্রডগেজ লাইনের জন্য বিশদ ডিজাইনসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, সান্তাহার-বগুড়া-কাউনিয়া-লালমনিরহাট সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনের জন্য বিশদ ডিজাইনসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত কর্ড লাইনের সমান্তরাল নতুন ব্রডগেজ লাইনের জন্য বিশদ ডিজাইনসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, যশোর থেকে বেনাপোল সমান্তরাল নতুন ব্রডগেজ লাইনের জন্য বিশদ ডিজাইনসহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ইত্যাদি।

এই খরচের ব্যাপারে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিসের সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রেল উইংয়ের যুগ্ম-প্রধান মো: মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটা মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদের মতে, চোখ বন্ধ করে দুর্নীতি করা হচ্ছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলছেন দুর্নীতিতে জিরো টরালেন্স সেখানে তারা কিভাবে এবং কারা এভাবে দুর্নীতি করার সাহস পাচ্ছে। ক্লিনারের বেতন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা কোনো মতেই হতে পারে না। এসব হলো চরম মাত্রায় দুর্নীতি। তিনি বলেন, এক সময় আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। বিদেশ থেকে ঋণ এনে সেই টাকা এভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে অপব্যবহার করা হলে বিদেশীরা আমাদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবে।

তিনি বলেন, যেখানে খুব দ্রুত আমরা উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আশা করছি সেখানে এসব দুর্নীতি আমাদেরকে সেই প্রত্যাশা পূরণে বাধাগ্রস্ত করবে এবং করছে। এসব দুর্নীতি না থাকলে আমরা আরো আগেই মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হতে পারতাম। এই যে বালিশ দুর্নীতি, ৩৭ লাখ টাকায় পর্দার কাপড় কেনা এগুলো আমাদের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করছে।

ক্লিনারের বেতন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসবের ব্যাপারে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটা না করার কারণে দুর্নীতির মাত্রা বেড়েই চলেছে। একজন ক্লিনারের বেতন মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এটা লুটপাট ছাড়া কিছুই না। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব কী হচ্ছে? তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন খাতে যে দুর্নীতি ও অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে তার কোনো বিচার ও শাস্তি হচ্ছে না। যার কারণে এসব কর্মকাণ্ড এখন লাগামহীনভাবে চলছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। জনগণের করের টাকা এবং জনগণের মাথায় ঋণের দায় চাপিয়ে দিয়ে বিদেশ থেকে ঋণ এনে তা এইভাবে লুটপাট ও তছরুপ করা হচ্ছে। এগুলোকে কঠোরভাবে দমন করা দরকার। যারা এসব করছে তাদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই।
 © Nayadiganta

Popular Posts