Recent post

রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ জুলাই ২০১৭

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ

সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। এ অধ্যাদেশে নিবন্ধন গ্রহণকারী সংস্থাগুলো ১৫টি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিবন্ধন নিয়ে থাকে। কার্যক্রমসমূহ হলো, শিশু কল্যাণ, যুব কল্যাণ, নারী কল্যাণ, শারীরিক ও মানসিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, পরিবার পরিকল্পনা, সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগণকে বিরত রাখা, সামাজিক শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ, ভিক্ষুক ও দুস্থদের কল্যাণ, দরিদ্র রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, বৃদ্ধ ও দৈহিকভাবে অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, সমাজকল্যাণকার্যে প্রশিক্ষণ এবং সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।

সমাজসেবা অধিদফতর থেকে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ফাউন্ডেশন এবং এতিমখানার মত জনকল্যাণমুখী এজেন্সিসমূহ নিবন্ধন দেওয়া হয়। এ সকল সংস্থার নিবন্ধন ও পরিচালনার বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে সময়োপযোগী নির্দেশনা ও পরিপত্র জারি করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতরের ৬৪ জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৬৩,২৩২টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪,২২৪টি এতিমখানা রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী এ সকল সংস্থা সরকারের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা করছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো কখনই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সরকার তাদের কাজে কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে না। সংস্থাগুলোকে সরকার তার কাজের অংশীদার মনে করে। যুদ্ধপরবর্তী দেশ গঠনে সংস্থাগুলো যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার এ দীর্ঘ সময়ে তাদের অর্জন অনেক। এ সকল সংস্থার মাধ্যমে Charity বা philanthrophy প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে organized social work  গড়ে ওঠে। সমাজের অবহেলিত, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক সমাজকর্মের ভূমিকা অপরিসীম। একথা অনস্বীকার্য যে, বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণমূলক কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পেরেছে। বর্তমানে এ খাতে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী আত্মনিয়োগ করে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। সমাজসেবা অধিদফতর থেকে নিবন্ধিত এ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মধ্যে যে সকল সংস্থা নিষ্ক্রিয় ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজে লিপ্ত ছিল সে সকল সংস্থার শুনানি গ্রহণের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ১০,৮২৭টি সংস্থা বিলুপ্ত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ সংশোধনপূর্বক নিবন্ধন ফি ২,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫,০০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এ দেশে কর্মরত সংস্থাগুলো ভিন্ন ভিন্ন আইন দ্বারা ভিন্ন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে নিবন্ধন গ্রহণ করে কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, সমবায় অধিদপ্তর, রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি সনদ প্রদান করে থাকে।

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ নিবন্ধন ও তত্ত্বাবধান

সমাজসেবা অধিদফতর হতে ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় বিভিন্ন  বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে। অধ্যাদেশে অনুযায়ী নিম্ন বর্ণিত ১৫টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতর হতে নিবন্ধন প্রদান করা হয়:

শিশু কল্যাণ;
যুব কল্যাণ;
নারী কল্যাণ;
শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;
পরিবার পরিকল্পনা;
কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন;
নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা, বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা;
সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে চিত্তবিনোদন কর্মসূচী;
কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ;
ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ;
সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;
রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন;
বৃদ্ধ ও দৈহিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ;
সমাজকল্যাণ কার্যে প্রশিক্ষণ;
সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন।


সেবা
  • স্বেচ্চাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের নামকরণের ছাড়পত্র প্রদান;
  • স্বেচ্ছােসেবী সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে আগ্রহী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন/বেসরকারি এতিমখানা/ক্লাব/লাইব্রেরীর নিবন্ধন প্রদান;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র, সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন, মেয়াদান্তে নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসাণের অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিস্পত্তিকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠসমূহের কার্যক্রম তদারকী।

কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টগণ
সমাজসেবা অধিদফতরের কার্যক্রম শাখা এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে থাকে। পরিচালক (কার্যক্রম) এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, সমাজসেবা অফিসার সদর দপ্তর পর্যায়ে এবং মাঠপর্যায়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। জেলা পর্যায়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদারকি এবং মাঠ পর্যায় ও সদর দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে থাকেন। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও শহর সমাজসেবা অফিসারগণ সংস্থার কার্যক্রম তদারকি করেন।

সেবাদান কেন্দ্র
  • নামের ছাড়পত্র, নিবন্ধন, কার্যকরী কমিটি অনুমোদন ইত্যাদি সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়;
  • সংশ্লিষ্ট জেলার বাইরে কার্য এলাকা সম্প্রসারণের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের সদর কার্যালয়;
  • অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং সদর কার্যালয়।   


প্রয়োজনীয় আইন, বিধি  ডাউনলোড:

প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ডাউনলোড:

কার্যাবলি
  • স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের নামকরণের ছাড়পত্র প্রদান;
  • আবেদনপত্র গ্রহণ;
  • উপযুক্ত তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা;
  • ইতিবাচক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি;
  • স্বেচছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে আগ্রহী সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন/বেসরকারি এতিমখানা/ক্লাব/লাইব্রেরীর নিবন্ধন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র, সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন, মেয়াদান্তে নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসারণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিস্পত্তিকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠসমূহের কার্যক্রম তদারকী।

নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য করণীয়
  • নামের ছাড়পত্র গ্রহণ;
  • নির্ধারিত ফমর-বি তে আবেদন পত্র প্রদান (যা সংশি­ষ্ট জেলা হতে সংগ্রহ করা যাবে);
  • আবেদনপত্রের সাথে ১-২৯৩১-০০০০- ১৮৩৬ খাতে ৫০০০/- টাকার ট্রেজারী চালানের কপি সংযুক্তি;
  • আবেদন পত্রের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দেয়া:-
  • সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের ছবি-প্রতিটি ২ কপি;
  • প্রাথমিক সাধারণ সভায় নাম নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বাংলায় সংস্থার গঠণতন্ত্র (প্রতি পৃষ্ঠায় সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত)- ৫ কপি;
  • গঠনতন্ত্র ও কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন সংক্রান্ত সভার কার্যবিররণীর সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ গঠন সংক্রামত্ম সভায় উপস্থিত সদস্যদের স্বাক্ষর যুক্ত নামের তালিকার সত্যায়িত অনুলিপি-১ কপি;
  • বর্ণিত কার্যবিবরনীসমূহ রেজুলেসন খাতায় লিপিবদ্ধ করে সকল সদস্যদের স্বাক্ষরযুক্ত রেজুলেশনের সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের নাম, পদবী, পেশা, ঠিকানা (বর্তমান) ও নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি;
  • কার্যকরী পরিষদ সদস্য তালিকার সাথে সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধক্ষের সত্যায়িত ছবি- প্রতিজনের ১ কপি;
  • সাধারণ সদস্যদের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)’র নাম, পেশা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা-১ কপি
  • সম্পর্ক বিষয়ক প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি।
  • বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচী (কার্যক্রম বাস্তবায়ন পদ্ধতিসহ) প্রতিটি ১ কপি;
  • প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অতীত সেবামূলক কাজের বিবরণ (যদি থাকে) ১ কপি;
  • সংস্থার নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণ (ম্যানেজারের প্রত্যয়ন পত্রসহ) ১ কপি;
  • সংস্থার কার্যালয়ের জমির দলিল/১৫০ টাকার ষ্টাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি-১ কপি;
  • সংস্থার আসবাবপত্রের বিবরণী -১ কপি;
  • সংস্থার সাধারণ সভায় অনুমোদিত সম্ভাব্য বাজেট (আয়-ব্যয়ের)-১ কপি;
  • স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সুপারিশ পত্র-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তাগণ একই পরিবারের সদস্য নন মর্মে প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সংস্থার সদস্যদের স্বাক্ষর সঠিক মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি;
  • সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক সমাজসেবা অধিদফতর ছাড়া কোন সংস্থার নিবন্ধন গ্রহণ করলে বা কোন বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করার সাথে সাথে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে মর্মে অঙ্গিকার নামা-১ কপি।

নিবন্ধন প্রাপ্ত সংস্থাসমূহের করণীয়
  • প্রত্যেক সাধারণ সদস্যের পাসপোর্ট আকারের ছবি সদস্য ভর্তি ফরমে সংস্থার কার্যালয়ের নথিতে সংরক্ষণ, যাতে তদন্তকালীন সময়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে দেখানো যায়।
  • প্রত্যেক রেজিষ্ট্রিকৃত সংস্থা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত প্রকারে পরীক্ষিত হিসাব রাখা;
  • নির্ধারিত সময়ে ও পদ্ধতিতে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট সংস্থার সাধারণ ব্যবস্থাপনা, আলোচ্য বছরে সম্পাদিত সেবা কার্যাবলীর প্রকৃতি ও ব্যাপকতার বিস্তারিত বিবরণ;
  • তার সমর্থনে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও পরবর্তী বৎসরের কর্মসূচী সম্বলিত বার্ষিক রিপোর্ট ও নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল এবং সর্বসাধারণের অবগতির জন্য তা প্রকাশ;
  • নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ব্যাংক বা ব্যাংকসমুহে সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমুদয় অর্থ পৃথকভাবে সংস্থার নিজ নামে জমা রাখা;
  • আইন অনুযায়ী নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অথবা তৎকর্তৃক এতদসম্পর্কে যথাযথভাবে ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন অফিসার সঙ্গত যে কোন সময়ে সংস্থার হিসাব-নিকাশের বই ও অন্যান্য নথিপত্র, সংস্থার ঋণপত্রসমুহ নগদ টাকা অন্যান্য সম্পত্তি এবং তৎসংক্রান্ত সকল দলিল-দস্তাবেজ পরীক্ষা করতে পারেন বলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা;
  • সংস্থার ঠিকানার কোন পরিবর্তন হলে সাতদিনের মধ্যে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ।

অনিয়মের জন্য কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ
  • নিবন্ধনপ্রাপ্ত কোন সংস্থা তার তহবিলের সম্পর্কে কোন অনিয়মানুবর্তিতা বা তার কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কুশাসনের জন্য দায়ী অথবা অধ্যাদেশের বিধানাবলী বা তদধীনে প্রণীত বিধিসমুহ পালনে ব্যর্থ হলে কর্তৃপক্ষ লিখিত আদেশ বলে পরিচালকমন্ডলীকে সামায়িকভাবে বরখাস্ত করবে;
  • পরিচালকমন্ডলীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলে, নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ একজন প্রশাসক অথবা অনধিক পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি তত্ত্বাবধায়কমন্ডলী নিয়োগ করবে।
  • প্রশাসক বা তত্ত্বাবধায়কমন্ডলী সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালকমন্ডলীর সমুদয় কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা থাকিবে;
  • নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাময়িক বরখাস্তের আদেশ সরকার কর্তৃক পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত একটি পর্ষদের নিকট পেশ করবে। পর্ষদ পরিচালকমন্ডলীকে পুনর্বহাল অথবা উহার বিলুপ্তি এবং পুনর্গঠন সম্পর্কে আদেশ দান করিতে পারবে।
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত কোন সংস্থা তার গঠনতন্ত্রের প্রতিকূল অথবা অধ্যাদেশের বিধানাবলী বা তদধীন প্রণীত বিধিসমূহের পরিপন্থী, অথবা জনগণের স্বার্থ বিরোধী কোন করলে, সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নিজ বিবেচনায় সংগত শুনানীর সুযোগ দান করে, সরকারের নিকট একটি রিপোর্ট দান করবে।
  • উক্ত রিপোর্ট বিবেচনা করে সংস্থার সরকার সংস্থাটি বিলুপ্ত করতে পরে।

নাগরিকদের সহযোগিতার ক্ষেত্র
  • স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন প্রদানে কোন অনিয়ম  হলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত কোন সংস্থা কোন অনিয়ম করলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
  • নিবন্ধন প্রাপ্ত সংস্থাসমূহের উন্নয়নমূলক কাজে সংশ্লিষ্ট থাকা ও তাদের সহযোগিতা করা।

সেবা প্রদানের সময়সীমা
  • নিবন্ধন- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ২০ কর্ম দিবস।
  • নামের ছাড়পত্র- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ২ কর্ম দিবস
  • কার্যকরী কমিটি অনুমোদন- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ১০ কর্ম দিবস;
  • কার্য এলাকা সম্প্রসারণ- প্রয়োজনিয় কাগজপত্রাদিসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ৩০ কর্ম দিবস;
  • অভিযোগ নিস্পত্তি- অভিযোগ প্রাপ্তির পর ৩০ কর্ম দিবস;

যার সাথে যোগাযোগ করতে হবে
  • সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা অফিসার;
  • উপপরিচালক, সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, সমাজসেবা অধিদফতর;
  • পরিচালক (কার্যক্রম), সমাজসেবা অধিদফতর
  • মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদফতর

বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে


আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে
দেখ না রে মন ভেয়ে।
দেশ দেশান্তর দৌড়ে এবার
মরছো কেন হাঁপিয়ে।।

করে অতি আজব ভাক্কা
গঠেছে সাঁই মানুষ-মক্কা
কুদরতি নূর দিয়ে।
ও তার চারদ্বারে চার নূরের ইমাম
মধ্যে সাঁই বসিয়ে।।

মানুষ-মক্কা কুদরতি কাজ
উঠছে রে আজগুবি আওয়াজ
সাততলা ভেদিয়ে।
আছে সিংহ দরজায় একজন দ্বারী
নিদ্রাত্যাগী হয়ে।।

তিল পরিমাণ জায়গার ভিতর
গঠেছেন সাঁই ঊর্ধ্বশহর
এই মানুষ মক্কাতে।
কত লাখ লাখ হাজি করছে রে হজ
সেই জায়গায় বসিয়ে।।

দশ-দুয়ারী মানুষ-মক্কা
মুর্শিদপদে ডুবে দেখ গা
ধাক্কা সামলিয়ে।
ফকির লালন বলে গুপ্ত মক্কা
আদি ইমাম সেই মেয়ে।।

মুর্শিদ জানায় যারে মর্ম সেই জানিতে পায়

Lalongeeti | লালনগীতি Logo
মুর্শিদ জানায় যারে
মর্ম সেই জানিতে পায়।
জেনে শুনে রাখে মনে
সে কি কারো কয়।।
নিরাকার হয় অচিন দেশে
আকার ছাড়া চলেনা সে।
নিরন্তর সাঁই অন্ত যার নাই
যে যা ভাবে হয়।।
মুনশি লোকের মুনশিগিরি
রস নাহি তার ফষ্টি ভারি।
আকার নাই যার বরজখ আকার
বলে সর্বদাই।।
নূরেতে কূল আলম পয়দা
আবার বলে পানির কথা।
নূর কি পানি বস্তু জানি
লালন ভাবে তাই।।

পারে কে যাবি তোরা আয় না জুটে

পারে কে যাবি তোরা আয় না জুটে।
নিতাইচাঁদ হয়েছে নেয়ে ভবের ঘাটে।।
হরি নামের তরী আর
রাধা নামের বাদাম তাঁর।
পারে যেতে ভয় কিরে আর নায়ে উঠে।।
নিতাই বড় দয়াময়
পারের কড়ি নাহি লয়।
এমন দয়াল মিলবে কি আর এই ললাটে।।
ভাগ্যবান যেই ছিল
সেই তরীতে পার হলো।
লালন ঘোর তুফানে প’লো ভক্তি চটে।।

Bangla radio online listen

Click to download Bangla radio online listen 

Android Bangla Radio App

শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৯

অনলাইন ব্যাংকিং


গত শতাব্দীর আশির দশকের শুরুতে কাগুজে মুদ্রার অনলাইন ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। যেটাকে আজ আমরা অনলাইন ব্যাংকিং বলি।
১৯৮১ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রাথমিক সংস্করণের শুরু। যুক্তরাষ্ট্রে চারটি ব্যাংক গ্রাহকদের হোম-ব্যাংকিং অ্যাক্সেস দেয়।
১৯৮৩ যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অব স্কটল্যান্ড তাদের গ্রাহকদের জন্য প্রথম হোম ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান শুরু করে। টিভি ও টেলিফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হতো।
১৯৯৪
 মাইক্রোসফটের মানি পারসোনাল ফাইন্যান্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং চালু।
 অক্টোবরে স্ট্যানফোর্ড ফেডারেল ক্রেডিট ইউনিয়ন সব গ্রাহককে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা দেয়। প্রথম অনলাইন ব্যাংকিং ওয়েবসাইট তৈরি করে।
১৯৯৬ প্রথম সত্যিকারের সফল ইন্টারনেট ব্যাংকিং হিসেবে নেট–ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং
২০০৭ সালে বন্ধ হয়।
১৯৯৯ ব্যাংক অব ইন্টারনেট ইউএসএ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০০০-২০০১ আমেরিকার ব্যাংকগুলোতে ৩০ লাখ অনলাইন ব্যবহারকারী ঘরে বসে ব্যাংকিং সুবিধা নিতে থাকেন।
২০০৫ অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর সঙ্গে যুক্ত সবকিছুর নিয়ম–কানুনও যুক্ত হতে থাকে। ২০০৬ ই-কমার্স জনপ্রিয়তা লাভ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ শতাংশ ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং পরিষেবা দিতে থাকে। ২০০৭ অ্যাপলের আইফোন আসার পর ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং স্মার্টফোনে ছড়াতে থাকে।
২০০৯ ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আর্লি ব্যাংক চালু।
২০১০ যুক্তরাষ্ট্রের ৫৫ বছরের বেশি বয়সীরা কোনো ব্যাংকের শাখা বা এটিএম বুথে যাওয়ার চেয়ে অনলাইন ব্যাংকিংকে সুবিধাজনক মনে করা শুরু করে।
২০১১ ডিজিটাল টাকার যুগ শুরু। গুগল ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করে।
২০১৩ অ্যাপল পে নামের সেবাতে ডিজিটাল টোকেন ব্যবহারের সুবিধা আনা হয়।
২০১৬ ব্যাংকিং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের আওতায় আসে।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৯

বাবুদের তাল-পুকুরে, হাবুদের ডাল-কুকুরে

লিচু চোর
কাজী নজরুল ইসলাম 

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।
পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,
ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।
আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
আরে ধ্যাত শেয়াল কোথা?
ভেলোটা দাঁড়িয়ে হোথা!
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জুড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ব কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!
‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গ্যে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসল ধড়ে!
যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সে কি ভাই যায় রে ভুলা-
মালির ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা।

বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে

ষোলা আনাই মিছে
সুকুমার রায়

বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে, 
মাঝিরে কন, ''বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে? 
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?'' 
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যাল্‌ফেলিয়ে হাসে। 
বাবু বলেন, ''সারা জীবন মরলিরে তুই খাটি, 
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি।'' 

খানিক বাদে কহেন বাবু, ''বলতো দেখি ভেবে 
নদীর ধারা কেমনে আসে পাহাড় থেকে নেবে? 
বলতো কেন লবণপোরা সাগর ভরা পানি?'' 
মাঝি সে কয়, ''আরে মশাই অত কি আর জানি?'' 
বাবু বলেন, ''এই বয়সে জানিসনেও তা কি 
জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি!'' 

আবার ভেবে কহেন বাবু, '' বলতো ওরে বুড়ো, 
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চুড়ো? 
বলতো দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?'' 
বৃদ্ধ বলে, ''আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?'' 
বাবু বলেন, ''বলব কি আর বলব তোরে কি তা,- 
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।'' 

খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে, 
বাবু দেখেন, নৌকাখানি ডুবলো বুঝি দুলে! 
মাঝিরে কন, '' একি আপদ! ওরে ও ভাই মাঝি, 
ডুবলো নাকি নৌকা এবার? মরব নাকি আজি?'' 
মাঝি শুধায়, ''সাঁতার জানো?''- মাথা নাড়েন বাবু 
মূর্খ মাঝি বলে, ''মশাই, এখন কেন কাবু? 
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে, 
তোমার দেখি জীবন খানা ষোল আনাই মিছে!'' 

এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে

কবর

জসীম উদ্দীন

এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, 
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। 
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মত মুখ, 
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। 
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা 
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা। 
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি 
লাঙল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি। 
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত 
এ-কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত। 
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে 
ছোট-খাটো তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে। 
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা 
''আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু, উজান-তলীর গাঁ।'' 
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু-পয়সা করি দেড়ী, 
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি। 
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে, 
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে! 
হেসো না-হেসো না- শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে 

মৌমাছি , ছোট পাখি, পিপীলিকা কাজের লোক

কাজের লোক

নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য




“মৌমাছি, মৌমাছি, 
কোথা যাও নাচি' নাচি' 
দাঁড়াও না একবার ভাই।'' 
“ওই ফুল ফোটে বনে, 
যাই মধু আহরণে 
দাঁড়াবার সময় তো নাই।'' 

“ছোট পাখি, ছোট পাখি, 
কিচি-মিচি ডাকি ডাকি' 
কোথা যাও বলে যাও শুনি?'' 
“এখন না ক'ব কথা, 
আনিয়াছি তৃণলতা, 
আপনার বাসা আগে বুনি।'' 

“পিপীলিকা, পিপীলিকা, 
দল-বল ছাড়ি একা 
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।'' 
“শীতের সঞ্চয় চাই, 
খাদ্য খুঁজিতেছি তাই 
ছয় পায়ে পিল পিল চলি।'' 

সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালোবাসার নাম ঈমান


আল্লাহ বলেন,
‘‘বল, তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দ হওয়ার আশংকা তোমরা করছ, এবং সে বাসস্থান যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তার পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত।’’ [আত-তাওবাহ: ২৪]

ইমাম বুখারী রাহেমাহুল্লাহ আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তার সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘শপথ ঐ সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! তোমাদের কেউই ঈমানদার হবে না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা ও সন্তান হতে অধিকতর প্রিয় হব।’’
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩]

সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমাদের কেউই ঈমানদার হবে না যতক্ষণ আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান ও সকল মানুষ হতে প্রিয়তম না হই।’’
[সহীহ বুখারী, হাদীস নং১৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৭৮]

উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস থেকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা পোষণ না করলে ঈমানদার বলে কেউ বিবেচিত হবে না।
অতএব ঈমানের অনিবার্য দাবী হল-
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালোবাসা।
আল্লাহ বলেন, ‘‘রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও।’’
[সূরা আল হাশরঃ ৭]

আল্লাহ বলেন, ‘‘
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না।
এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।
(সূরা আল হুজরাত ৪৯ঃ২)
✴শেয়ার করতে পারেন আপনার
টাইমলাইনে, পেইজে , গ্রুপে ।✴

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

কমলালেবু থেকে প্রতিষেধক তৈরি হতে পারে গেছোবোড়া বা চন্দ্রবোড়া প্রজাতির সাপের কামড়ের।


চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল:
কমলালেবুর মধ্যে রয়েছে সর্পপ্রতিষেধকের গুণ।
কমলালেবুর মধ্যে থাকা হেসপেরেটিন কাজে লাগিয়ে অ্যান্টি ভেনাম সিরাম বা এভিসের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে প্রতিষেধক তৈরি হতে পারে গেছোবোড়া বা চন্দ্রবোড়া প্রজাতির সাপের কামড়ের। 
চন্দ্রবোড়া, গেছোবোড়া বা বাঁশবোড়া সাপের বিষ হিমোটক্সিন প্রকৃতির। কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের টিসুগুলিকে দ্রুত ধ্বংস করে দেয়।
রক্ত থকথকে জেলির মতো হয়ে যায়। 
এতে কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। 
ক্ষতস্থানে ধরে পচন। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে এভিএস ইঞ্জেকশন দিলেও তা অধিকাংশ সময়ে খুব একটা কার্যকর হয় না।
এই সাপের বিষের প্রতিষেধকই লুকিয়ে রয়েছে কমলালেবুর মধ্যে। এমনই এক গবেষণা করে রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসে সেরা বিজ্ঞানীর তকমা অর্জন করেছেন আসানসোলের অধ্যাপক শুভময় পান্ডা।

শুভময় বলেন, “এ রাজ্যে গবেষণা করে এভিএস তৈরি হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
কারণ এখনও এ রাজ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাপের কামড়ে মৃত্যু।
সাপের কামড়ের মধ্যে চন্দ্রবোড়া ও গোখরোর বিষেই প্রধানত মৃত্যু হয়।
বাংলায় এদেরকে গেছোবোড়া বা বাঁশবোড়া বলা হয়। বোড়া প্রজাতির সাপের বিষের চরিত্র একই রকমের হয়। এই সাপের বিষে সিরিন প্রোটিএইচ নামে রাসায়নিক থাকে। সিরিন প্রোটিএইচের প্রতিষেধক কমলালেবুর মধ্যে থাকা হেসপেরোটিন। এটা ডকিং পদ্ধতিতে সাপের বিষের রাসায়নিকটিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
”কলকাতায় বেঙ্গল কেমিক্যাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ রাজ্যে ২০০৯ সালের পর থেকে এভিএস তৈরি করা হচ্ছে না। ‘অ্যান্টি ভেনাম সিরাম’ বা এভিএস আনা হচ্ছে তামিলনাড়ুর মহাবলীপুরমের একটি সংস্থা থেকে। তারা ওখানকার সাপের বিষ থেকে এভিএস তৈরি করছে, যা পশ্চিমবঙ্গে সাপের কামড়ে ঠিকঠাক কাজ করছে না।
এ রাজ্যের সাপের বিষ ও তামিলনাড়ুর সাপের বিষের মধ্যে রাসায়নিক দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। তাই এলাকাভিত্তিক এভিএস তৈরি করা দরকার বলে অনেকদিন ধরেই দাবি তুলেছেন গবেষকরা ।
।সংবাদ প্রতিদিন।   

শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৯

How to embed other website ?

Setting Width and Height of an iframe
The height and width attributes are used to specify the height and width of the iframe.

<iframe src="http://thedaily71.blogspot.com" width="700" height="800">
    alternative content for browsers which do not support iframe.
</iframe>


Its will showing 



শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯

তুমি না থাকলে

তুমি না থাকলে 

শ্রীসুমনজিৎ

তুমি না থাকলে মনে হয়
একশো বছর সন্ধ্যা পড়েনি ঘরে,
সূঁচের কৌটো জুড়ে
ফ্যাকাশে বোতামের সারি
অগোছালো তাকে
বরাবরের জন্য হারিয়ে গেছে
যা কিছু ভীষন দরকারি....

তুমি না থাকলে মনে হয়
কেউ ছুঁয়ে থাকে না তাপে
কেউ জুড়ে থাকে না
আমার কমদামী ছাপে

তুমি না থাকলে মনে হয়
কথারা কত জমা
তুমি না থাকলে মিথ্যে হয়
চটজলদি বাড়ি ফেরার হাঙ্গামা

তুমি না থাকলে মনে হয়
ঠিকানা রা খুঁজতে গেছে ঘর
তুমি না থাকলে মা
হারিয়ে ফেলি অচিরেই
ভালো থাকার খবর



হে উদাসী

হে উদাসী
ডেকে নিও এ ধরার যে কোনো বিন্দু
সে পদ্মা, গঙ্গা, কাবেরী কিংবা সিন্ধু
হাত বারিও যেন খড়কুটো হয়ে না ভাসি
আমি জানি বেশ , তুমি ঠিক কতটা উদাসী

আজ ঠিকানা পুরো ধোঁয়াশায়, সব মনে নেই
কোথা যায় মন, কেন উত্তাল, যে কোনো গল্পেই
সাড়া দেয়নিকো, সেই কাল গুনে, যবে মনে ভয়
আজ বুঝি তাই, সেটা অহেতুক ছিল সংশয়

দিন বলে দেয়, সেটা ভুল ছিল বড়ো ক্ষমাহীন
ভরা আক্ষেপ তাই মনজোড়া আর নিশিদিন
আমি জানি ঠিক, তুমি ভেবেছিলে বেশ অন্য
আমি সেসময়, বেশ পলাতক এক বন্য

কথা আর আজ কিছু পরে নেই, রয়ে থাকেনা
তুমি দিন গুনে জানি, রাখোনি, কোনো যাতনা
তবে আজ যদি আমি ক্ষমা চাই, পদপ্রান্তে
পারো দিতে কোনো অনুকম্পা এ দিনান্তে?

তবু মনে রেখো এই নিলাজের শেষ আর্তি
যদি জানতাম আমি এতো ক্লেদ ভর্তি
বিষ বাষ্পের এক ঢোঁক নিয়ে, সেই জন্মেই
আমি চাইতাম , এই বৃথা প্রাণ রেখে লাভ নেই

Popular Posts