Recent post

শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

মুসলমানদের সম্পর্কে কাদিয়ানী আকিদা

কাদিয়ানি-কাফের

মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা‌”লা যুগে যুগে যত নবী রাসুল প্রেরন করেছেন তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশৈষ নবী ও রাসুল হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তিনি আখেরি নবী।
খাতামুন্নাবিয়্যীন,তার পরে আর কোন নবী আসবেনা এবং আসার প্রয়োজন ও নাই।
এই আকীদা ও বিশ্বাসের নামই হচ্ছে আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত।

ঈমানদার হওয়ার জন্য এই আকীদায় বিশ্বাসী হওয়া অবশ্যই জরুরী।
এই আকিদা অবিশ্বাস করে কেউ যদি এখন নবী বা রাসুল হওয়ার দাবি করে তাহলে সে হবে দাজ্জাল মিথ্যুক ও কাফের।
আর যারা ঐ মিথ্যুককে নবী মানবে তারাও কাফের।

হযরত সাওবান রাঃ থেকে বর্নিত,রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন,অচিরে আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী র আবির্ভাব ঘটবে,তারা প্রত্যেকে নবী হওয়ার দাবি করবে।
অথচ আমিই সর্বশেষ নবী।আমার পরে আর কোন নবী আসবেনা।(মুসলীম শলীফ)

মুসলিম উম্মাহর এই শাশ্বত আকিদা বিশ্বাসে ফাটল সৃষ্টি করে মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী হওয়ার দাবি করে বসে ১৯০১ সালের দিকে।

উপমহাদেশে এদের আবির্ভাব মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্যান্সার সরুপ।
স্বার্থপর বৃটিশ সরকার তাদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃস্টির লক্ষে পুর্ব পান্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ানের অধিবাসি মির্জা গোলাম আহমদ কে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার বানিয়ে দাড় করায়।
সে তৎকালীন সরকারের সহযোগিতায় অতি ধীরে ধীরে কিছু সংখ্যক সরল মুসলমান কে পথভ্রস্ট করতে সক্ষম হয়।

মুসলমানদের সম্পর্কে কাদিয়ানী আকিদাঃ

মীর্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীদের অনুসারি ছাড়া প্রথিবীতে যত মুসলমান আছে অর্থাৎ আপনি,আমি আমরা সকলেই যারা প্রীয় নবীজী সাঃ প্রচারিত আল্লাহর তরফ হতে আসা
ইসলাম ধর্ম মানি আমরা সকলে কাফের।

এ বিষয়ে ভন্ড কাদিয়ানী বক্তব্য গুলো নিম্নরুপঃ—

১)আমার এসব কিতাবকে প্রতিটি মুসলমান মহব্বতের দৃস্টিতে দেখে,কিন্ত জারজ আর বেশ্যার সন্তান রা এটাকে মানে না।(মীর্যার লিখিত আয়নায়ে কামালতে ইসলাম ৫৭৪)
মীর্যার এই বক্তব্য বুঝা যাচ্চে আমরা যারা তাকে নবী বলে মানিনা আমরা সকলে জারজ সন্তান।

২)আমার বিরোধীকারীরা জংগলের শুকুর হয়ে গেছে আর তাদের স্ত্রীরা কুকুরীর চেয়ে নিকৃস্ট।(মীর্যার রচিত নাজমুল হুদা-১৫ পৃষ্টা)

৩)যারা আমাকে আমার বিজয়ের স্বীকৃতি দেবেনা,তাদের হারামজাদা হওয়ার ইচ্ছা আছে।(আনওয়ারুল ইসলাম ৩০ পৃষ্ঠা)

৪)যারা আমার বিরোধীতা করবে তারা ইহুদি,খৃষ্টান আর মুশরিক বলে গন্য হবে।(নুযুলে মাসীহ-৪)

৫) মানুষের মধ্যে যারা শয়তান তারাই আমাকে মানেনা।(চশমায়ে মারেফাত)

খৃষ্টান মিশনারীরা যেমন মানব সেবার ছদ্দবেশে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বাইবেল এবং পুস্তক পুস্তিকা অবাধে বিতরন করে বেড়াচ্ছে এই অমুসলিম কাদিয়ানীরাও ঠিক সেই ভাবে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ,ইসলামের নামে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
চাকুরী প্রদান,বিদেশে পাঠানর লোভ সহ নানারকম সুযোগ-সুবিধা দেয়ার প্রলোভনে দেখিয়ে এরা সরলমনা যুবক এবং বেকারদেরকে সহ যারা ইসলামকে মানে কিন্তু আকিদা বা আমল সম্পর্কে একটু সচেতন কম বা যারা কম জানে তাদেরকে টার্গেট করে নিজেদের দলে ভিড়েয়ে নিয়ে ঈমান হারা করছে।
আজ আমরা কাদিয়ানীদের পরিচয় পর্যন্ত জানিনা।
যার কারনে অজান্তে তাদের সাথে উঠাবসা মেলা-মেশা করছি।
এমন কি তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক পর্যন্ত হচ্ছে।
কাদিয়াণী মতবাদ প্রচার করার জন্য যত টাকা পয়ষা বা অন্যাণ্য সুযোগ সুবিধা তাদের জন্মলগ্ণ থেকে নাছারা বহন করে আসছে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈমাণী শক্তি বলিয়ান করুন এবং সমস্ত ঈমান নস্টকারী ফেরকা থেকে হেফাজত করুন।
(Collected)

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts