সংবাদ প্রতিনিধি | সিঙ্গাপুর | ৯ মার্চ ২০২৫
সিঙ্গাপুর কাস্টমস চেকপয়েন্টে শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। ঘোষণা করা হয়েছে যে, অপরাধীদের সর্বোচ্চ ৫,০০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা অথবা আদালতে বিচারের সম্মুখীন হতে হতে পারে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘোষণা না করা বা ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিলে উচ্চ পরিমাণের জরিমানা গুণতে হবে। বিশেষ করে, সিগারেট, শুল্কযোগ্য পণ্য, শুল্ক-মুক্ত পণ্য এবং জ্বালানির ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
শুল্ক ফাঁকি: কঠোর জরিমানা
চেকপয়েন্টে সিগারেট ঘোষণা না করলে বা ভুল ঘোষণা দিলে জরিমানার পরিমাণ হবে—
✅ প্রথমবার অপরাধ: প্রতি প্যাকেট বা ২০টি স্টিকের জন্য ২০০ সিঙ্গাপুর ডলার
✅ দ্বিতীয়বার অপরাধ: প্রতি প্যাকেট বা ২০টি স্টিকের জন্য ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার
✅ তৃতীয়বার অপরাধ: প্রতি প্যাকেট বা ২০টি স্টিকের জন্য ৮০০ সিঙ্গাপুর ডলার
অন্য শুল্কযোগ্য পণ্য ঘোষণা না করলে—
✅ প্রথমবার অপরাধ: শুল্কের ১০ গুণ জরিমানা
✅ দ্বিতীয়বার অপরাধ: শুল্কের ১৫ গুণ জরিমানা
✅ তৃতীয়বার অপরাধ: শুল্কের ২০ গুণ জরিমানা
(সর্বনিম্ন জরিমানা ৫০ সিঙ্গাপুর ডলার)
শুল্ক-মুক্ত পণ্য ঘোষণা না করলে ২০ গুণ জিএসটি (GST) মূল্য পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে, যা কমপক্ষে ৫০ সিঙ্গাপুর ডলার হবে।
জ্বালানির কড়াকড়ি: ট্যাংক পূর্ণ না থাকলে শাস্তি
যদি কেউ সিঙ্গাপুর-নিবন্ধিত গাড়িতে তিন-চতুর্থাংশ (¾) ট্যাংকের চেয়ে কম জ্বালানি নিয়ে দেশ ছাড়তে চায়, তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে—
✅ সাধারণ গাড়ির ক্ষেত্রে (সেডান, SUV, MPV, হ্যাচব্যাক, কনভার্টিবল ইত্যাদি)
🔹 প্রথমবার অপরাধ: ১০০ সিঙ্গাপুর ডলার
🔹 দ্বিতীয়বার অপরাধ: ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার
🔹 তৃতীয়বার অপরাধ: ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার
✅ বড় গাড়ির ক্ষেত্রে (ট্রাক, বাস, ভ্যান ইত্যাদি)
🔹 প্রথমবার অপরাধ: ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার
🔹 দ্বিতীয়বার অপরাধ: ৪০০ সিঙ্গাপুর ডলার
🔹 তৃতীয়বার অপরাধ: ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অপরাধীকে সিঙ্গাপুরে ফিরে গিয়ে জ্বালানি পূরণ করতে হতে পারে। যদি জ্বালানি গেজে কারসাজি করা হয়, তবে চালককে আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
আপিলের সুযোগ, কিন্তু জরিমানা দেরি করলে আদালতে বিচার
যারা জরিমানা নিয়ে আপত্তি জানাতে চান, তারা কাস্টমস আপিল ফর্ম এর মাধ্যমে আপিল করতে পারবেন। তবে, আপিল করলেও জরিমানা কমানো বা মওকুফের নিশ্চয়তা নেই।
কাস্টমস অফিসাররা সতর্ক করে বলেছেন, যদি কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি আদালতে অভিযোগ গঠন করা হবে।
সিঙ্গাপুরের কাস্টমস আইন আরও কঠোর হচ্ছে
বিশ্বের অন্যতম কঠোর কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বজায় রাখতে, সিঙ্গাপুর তার চেকপয়েন্টগুলোতে আরও কঠোর নজরদারি করছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন—
"আইন ভঙ্গ করলে কঠোর শাস্তি অনিবার্য। কাস্টমস নিয়ম মেনে চলুন, নতুবা বড় ধরনের শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।"
আরও তথ্যের জন্য, সিঙ্গাপুর কাস্টমসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
0 মন্তব্যসমূহ