আজ ১১ রবিউস সানী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম


আজ ১১ রবিউস সানী ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ফাতেহার অর্থ মহান ওলী আউলিয়া তথা মনীষীগণের জন্য দোয়া। 
এদিন ওলীকুল শিরমণি তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকীহ, দার্শনিক, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সুবক্তা, কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাত গাউসুল আজম হযরত শেখ মুহিউদ্দীন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) ইন্তেকালবার্ষিকী। 
এ দিবসটি সমগ্র বিশ্বে, বিশেষ করে এ উপমহাদেশের মুসলিমদের কাছে অতীব তাৎপর্যপূর্ণ। 
আল্লাহর রাসূলের (সা.) পর্দা করার পর সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীনে ইমামদের সোনালী যুগে কোরআন-হাদিসের আলোকে দুনিয়া ছিল ঝলমল। 
পরবর্তীতে ভোগবাদী স্বার্থাম্বেষী ও বিজাতীয় ষড়যন্ত্রের ফলে উম্মতের ঐক্য নষ্ট হয়ে বিভিন্ন ফেরকার সৃষ্টি হয়। 
যার ফলে মুসলমানদের বিজয়ের ধারা মুখ থুবড়ে পড়ে।
 কিন্তু মহান ওলীগণ জিহাদের ময়দান থেকে সামান্য সময়ের জন্যও পিছু হটেননি। 
তাঁরা শরিয়ত, তরিকত, হাক্কিকত ও মারিফাতের ঝান্ডা নিয়ে বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছুটে চলতে শুরু করেন। 
প্রতিষ্ঠা করেন লাখ লাখ দ্বীনি মারকাজ, মসজিদ-মাদ্রাসা ও খানকা। 
এরূপ প্রতিটি খানকাই ছিল তৎকালীন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়। 
অপরদিকে ছিল শাসনকার্যের দফতর এবং ক্যান্টনমেন্ট স্বরূপ। এসব খানকা থেকেই এলমি রুহানি যোগ্যতা নিয়ে বের হয়েছিলেন হাজার হাজার মর্ধে মুজাহিদ। 
যারা ঘর ছেড়ে দুনিয়ার আনাচে-কানাচে দ্বীনের প্রচার প্রসারে বের হয়ে কাজ সম্পন্ন করে ইন্তেকাল করে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন। 
তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছিলেন হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)। 
বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর (রহ.) সাপ্তাহিক মাহফিলে তৎকালীন জামানায় ৬০-৭০ হাজার মানুষ হাজির থাকতেন। 
তার কণ্ঠের আওয়াজ এবং আহ্বান শুনে অনেকেই আর ঘরে ফেরেননি, ছড়িয়ে পড়েছেন বিশ্বের সর্বত্র। কোটি কোটি মানুষ তার নিকট ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধন্য হয়েছেন। 
পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের ওলীগণের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বেশির ভাগই কাদেরিয়া, চিশতিয়া তরিকার শায়খ বা পীর। 
এ মহান ব্যক্তির ৫৪ জন সন্তানের পরবর্তী বংশধরগণ এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন। এমতাবস্থায় ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ১১ শরীফ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কত বেশি তা একজন বুঝদার ও বিবেকবান লোকের জন্য বোঝা কঠিন নয়।
 এরপরও যারা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের গুরুত্ব দেবে না, বুঝবে না তারা গাফেল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিটধারীদের জন্য নতুন নিয়ম: চাকরির মেয়াদ সীমা বাতিল, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৩ বছর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস
সিঙ্গাপুরে ট্রেইনিং রেকর্ড এবং সার্টিফিকেট চেক করার বিস্তারিত গাইড
Bangla date add in your website HTML tips.
some common interview questions and answers for a Safety Coordinator position in Singapore
ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল তিন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
Understanding the New Demerit Point System for Construction and Manufacturing Sectors
Safe work procedure for ferrying workers by lorry in singapore
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সিঙ্গাপুরে কম খরচে দাঁতের চিকিৎসা
সিঙ্গাপুর কর্মস্থলের নিরাপত্তা আইন শক্তিশালী করছে এবং নতুন আইন প্রবর্তন করছে
Loading posts...