Recent post

নতুন আপডেট

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে হাহাকার উঠেছে ওষুধের

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরজুড়ে হাহাকার উঠেছে ওষুধের।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাশ্মীরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে দেখা গেছে লম্বা লাইন। মিলছে না জীবন রক্ষাকারী ওষুধপত্র ও বাচ্চাদের খাবার।
ফলে দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযাপন করতে হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরবাসীকে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি যতই স্বাভাবিক বলে দাবি করা হোক না কেন, বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি অনুযায়ী, ছন্দে ফিরছে উপত্যকা, সেখানকার পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলের নেতাদের। বিমানবন্দরের বাইরে বের হতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। কেন? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাশ্মীর স্বাভাবিক হয়নি।
বেঁচে থাকার জন্য সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধ মিলছে না।
বাচ্চাদের খাবারও পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে হিমালয় উপত্যকায় হাহাকার শুরু হয়েছে। হার্ট, থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগা রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধের দোকানে দোকানে ঘুরছেন মানুষ। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে যাঁদের আর্থিক সংগতি রয়েছে, তাঁরা বিমানে করে ভিন্ন রাজ্য থেকে ওষুধ সংগ্রহ করছেন।
সাধারণ মানুষ ওষুধের জোগান না পেয়ে ভিড় করছেন স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে।

গত ৫ আগস্ট থেকে অবরুদ্ধ কাশ্মীর উপত্যকা।
শেষ হয়ে আসছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ। ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয় ৩৭০ অনুচ্ছেদ। দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে। সে সিদ্ধান্তের পর থেকেই বন্ধ দোকানপাট; নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ ব্যাহত। নেই ওষুধের সরবরাহ।

গত ৫ আগস্ট থেকে নতুন কোনো ওষুধের সরবরাহ আসেনি। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে এসে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। পাওয়া যাচ্ছে না ইনসুলিন; পাওয়া যাচ্ছে না ইনহেলার।

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts