এ দলের লোকেরা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কথামালার বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করে ।
এবং সাধারণ মানুষও এদের কথা শুনে এবং ফায়দা ফযিলতের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়।
কিন্তু বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই তাবলিগ জামাতের কুফরী আক্বীদা সম্পর্কে অবগত নয়।
সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।
সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা।
আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি–
" সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে,
আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি–
" সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে,
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে।
এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ।
এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।
তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের।
তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।
তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর ।
তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,
তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে ।
তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে।
তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না।
তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।
এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন, কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত ।
তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়, সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে, আর কখনো দ্বীনের পথে ,
কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।”
দলীল-
দলীল-
√ ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।
√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।
এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা ” রহমানী পয়গাম” এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে। এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা ?
এর জবাবে বলতে হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-
প্রথমত বলা হয়েছে, ” পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে। “
→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী ‘তাবলীগ জামাত’ নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, ” এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।”
→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য দ্বারা প্রমানিত। যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে– “অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও বিপদে পড়িয়াছিলেন,তা ই অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।”
দলীল- √তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের কিতাবে আরো আছে– ” মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।”
দলীল- √ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।
তারা আরো বলে থাকে- “দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। “
দলীল- √তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা । মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।
এবার আপনারাই বিচার করুন হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল মিলে গেলো কিনা??
#তৃতীয়ত বলা হয়েছে, ” তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।”
→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- ” দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!”” এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।” যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- ” গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।” তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- ” কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।” এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষণ এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা। আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়। তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে- ” ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।”
দলীল- √ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ। √ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।
তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে- ” সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।”
দলীল- √ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।
তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে- ” প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।”
দলীল- √ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে । শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক। সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।
#চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, ” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। “
→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবে লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না….. সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো। আর একথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। ” সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।
#পঞ্চমত বলা হয়েছে–” তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'”
→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল। শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে। যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে– ” প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!”
দলীল- √ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা √ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা । √ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।
অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে। আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না। সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- ” তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।” এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।
#পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-” এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।”” অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো ।
সূত্র ঃ সংগ্রহকৃত
(কমেন্টে আপনার মতামত জানান)
এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা ” রহমানী পয়গাম” এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে। এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা ?
এর জবাবে বলতে হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-
প্রথমত বলা হয়েছে, ” পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে। “
→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী ‘তাবলীগ জামাত’ নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, ” এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।”
→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য দ্বারা প্রমানিত। যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে– “অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও বিপদে পড়িয়াছিলেন,তা ই অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।”
দলীল- √তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের কিতাবে আরো আছে– ” মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।”
দলীল- √ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।
তারা আরো বলে থাকে- “দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। “
দলীল- √তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা । মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।
এবার আপনারাই বিচার করুন হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল মিলে গেলো কিনা??
#তৃতীয়ত বলা হয়েছে, ” তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।”
→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- ” দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!”” এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।” যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- ” গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।” তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- ” কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।” এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষণ এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা। আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়। তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে- ” ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।”
দলীল- √ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ। √ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।
তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে- ” সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।”
দলীল- √ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।
তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে- ” প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।”
দলীল- √ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে । শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক। সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।
#চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, ” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। “
→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবে লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না….. সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো। আর একথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-” তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। ” সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।
#পঞ্চমত বলা হয়েছে–” তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'”
→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল। শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে। যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে– ” প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!”
দলীল- √ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা √ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা । √ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।
অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে। আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না। সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- ” তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।” এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।
#পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-” এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।”” অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো ।
সূত্র ঃ সংগ্রহকৃত
(কমেন্টে আপনার মতামত জানান)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন