Recent post

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১

বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম , খুলনা, সিলেট ,বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী বেতার (ক) (খ) লাইভ

  https://play.google.com/store/apps/details?id=com.digilab.AMFM

Download Bangla Radio app

রেডিও প্রেমীদের জন্য এখন এম , এফ এম রেডিও লাইভ যুক্ত করে আপনাদের পাশে আছি আমরা।

আপনার পছন্দের চ্যানেলটি যুক্ত করে ৫ ষ্টার দিয়ে চ্যানেলটির নাম লিখুন রিভিউ বক্সে প্লেস্টোরে।

যে সকল রেডিও গুলো শুনতে পাবেন নিচে তালিকা দেয়া হলো।
প্রতিদিনের ধারণকৃত সংবাদ
বাংলাদেশ বেতার (ক)
বাংলাদেশ বেতার (খ)
বাংলাদেশ বেতার ট্রাফিক
বহির্বিশ্ব কার্যক্রম 
বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ বেতার খুলনা
বাংলাদেশ বেতার সিলেট 
বাংলাদেশ বেতার বরিশাল
বাংলাদেশ বেতার রংপুর
বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী
এছাড়াও দেশের সকল চ্যানেল শুনতে পাবেন।
ধন্যবাদ

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

রাশিয়ার এমন একটি বিষাক্ত আংটি আছে, যা দিয়ে করমর্দন করেই সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে খুন করা সম্ভব

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রাশিয়ার তৈরি একটি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহ আবদুল্লাহকে খুন করতে চেয়েছিলেন। 
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন দেশটির সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি।


ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকান সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস-এর ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদ আল-জাবরি বলেন, তিনি এমন একটি ভিডিওর কথা জানেন, যেখানে বাদশাহ আবদুল্লাহকে চাইলেই খুন করতে পারেন বলে দম্ভ করেছিলেন বিন সালমান।

সাক্ষাৎকারে সাদ আল-জাবরি বলেন, ওই সময় সালমান বলেছিলেন, তাঁর কাছে রাশিয়ার এমন একটি বিষাক্ত আংটি আছে, যা দিয়ে করমর্দন করেই সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে খুন করা সম্ভব। 

বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসনে আরোহণের পথ পরিষ্কার করতেই তিনি এই খুন করতে চান বলে ২০১৪ সালে চাচাতো ভাই ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে জানিয়েছিলেন বিন সালমান।
বিবিসির তথ্যমতে, সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে তখন সৌদি রাজ পরিবারের মধ্যে বেশ উত্তেজনা চলছিল।
এদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে জাবরিকে নিন্দিত এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সিবিএসকে পাঠানো এক বিবৃতিতে সৌদি বলছে, জাবরির কথা বাড়িয়ে বলার ইতিহাস আছে।
সাক্ষাৎকারে জাবরি জানান, মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তখন বিন সালমান বলেছিলেন, ‘আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চাই।
রাশিয়া থেকে একটি বিষাক্ত আংটি পেয়েছি। তাঁর সঙ্গে শুধু করমর্দন করলেই যথেষ্ট। তিনি শেষ হয়ে যাবেন।’

সাক্ষাৎকারে জাবরি আরও বলেন, ‘তিনি দম্ভ করেও এটি বলতে পারেন। তবে তিনি এটি বলেছেন এবং আমরা তাঁর এ কথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলাম।’

জাবরি বলেন, বৈঠকটি রাজদরবারে গোপনীয়তার সঙ্গে হয়েছিল। তবে গোপনে বৈঠকটি ভিডিও করা হয় এবং ভিডিও রেকর্ডিংয়ের দুইটি কপি কোথায় আছে তা তিনি জানেন।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আব্দুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

মোহাম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফের জায়গায় ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে স্থলাভিষিক্ত হন মোহাম্মদ বিন সালমান।


বিবিসির তথ্যমতে, বিন নায়েফকে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি গৃহবন্দী করা হয় বলে খবর বের হয়েছিল। এরপর গত বছর বেশ কিছু অভিযোগে তাঁকে আটক করে সৌদি সরকার। বিন নায়েফকে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর সাদ আল-জাবরি কানাডায় পালিয়ে যান।

সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সালমান সম্পর্কে জাবরি বলেন, দেশের ডি ফ্যাক্টো শাসক এবং বাদশাহ সালমানের ছেলে মধ্যপ্রাচ্যে অসীম সম্পদের অধিকারী। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ, খুনি, নিজ দেশের জনগণ, আমেরিকা এবং সারা বিশ্বের জন্যই তিনি হুমকি।


এদিকে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগজি খুন হওয়ার পর জাবরি তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিলেন যে, সৌদি ‍যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তাঁকে হত্যার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে জাবরি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একটি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা তাঁর এক বন্ধু তাঁকে এ সতর্কবার্তা দিয়েছেলিন।
বলেছিলেন যে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাঁকে খুন করতে মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ‘হিট টিম’ পাঠাচ্ছেন।

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

বাংলা অনলাইন পত্রিকা All Bangla newspaper

বাংলাদেশের সকল জাতীয় পত্রিকাগুলো দেখতে পাবেন আমাদের এপটিতে।



আপনাদের পছন্দের পত্রিকা যুক্ত করতে অথবা আপনার নিউজপোর্টাল যুক্ত করতে আমাদের ইমেইল করুন।
পত্রিকার তালিকা গুলো নিচে দেয়া হলো।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
দৈনিক প্রথম আলো
দৈনিক কালের কণ্ঠ
দৈনিক যুগান্তর
দৈনিক ইত্তেফাক
দৈনিক আমাদের সময়
দৈনিক জনকণ্ঠ
দৈনিক সমকাল
দৈনিক সংবাদ
দৈনিক ভোরের কাগজ
দৈনিক মানবকণ্ঠ
দৈনিক ইনকিলাব
দৈনিক সময়ের আলো
দৈনিক মানবজমিন
দৈনিক জনতা
যায়যায়দিন
দৈনিক নয়া দিগন্ত
দৈনিক আজাদী (চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত)
দৈনিক সিলেটের ডাক (সিলেট থেকে প্রকাশিত)
দৈনিক জালালাবাদ (সিলেট থেকে প্রকাশিত)
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
কুমিল্লার কাগজ (কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত)
আরো অসংখ্য পত্রিকা এপটি ইনস্টল করে দেখে নিন ! ধন্যবাদ

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.digilab.newsapp


মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী ﷺ।


একটি ধর্মিয় উৎসবের নাম। শব্দগুলোকে একটু ভেঙে ভেঙে দেখলে দেখা যায় এতে তিনটি অংশ রয়েছে।
যেমন- ঈদ+মিলাদ+নবী। শব্দগুলিকে একটু সাজিয়ে দেখলে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে-ঈদ অর্থ আনন্দ, মিলাদ মানে জন্ম এবং নবী বলতে বুঝানো হচ্ছে আমাদের প্রিয়  সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মদ 
 কে।
যা সংক্ষেপে হয়েছে ‘ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী‘
 (নবীর জন্মের খুশি)।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( ) যে আমাদের মাঝে আগমন করলেন এতে আমরা খুশি হয়েছি কিনা, আনন্দিত হয়েছি কিনা। 
যদি খুশি হতে না পারি, আনন্দিত না হই তবে উনার জন্মদিনটা আমার/ আমাদের কাছে বিশেষ কিছু না। আর যদি উনার শুভাগমনে আমার/আমাদের হৃদয় আনন্দিত হয়, 
যদি মনে করি উনি প্রভুর পক্ষ হতে সেরা দান তবে এই দিনটা অবশ্যই বিশেষ কিছু, অবশ্যই এই দিন একটি শ্রেষ্ঠ ঈদানন্দের দিন। 
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾ قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ ﴿٥٨﴾

অর্থাৎ- হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের ওপর নাজিল হয়েছে উপদেশবাণী। বিশ্বাসীদের জন্যে এতে রয়েছে অন্তরের সকল বিভ্রান্তি ও ব্যাধির নিরাময়, সরলপথের নির্দেশনা ও রহমত। হে নবী! বলো, আল্লাহর এই অনুগ্রহ ও রহমতের জন্যে তোমরা সবাই আনন্দ প্রকাশ করো। তোমাদের পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তির চেয়ে এ অনেক শ্রেয়।

-সূরা ইউনুস আয়াত ৫৭-৫৮।

এখানে দয়াময় আল্লাহ বলছেন আমরা যে সকল ধন সম্পত্তি সঞ্চিত করি সে সকলের চেয়ে উত্তম হচ্ছে রহমত,বরকত, অন্তরের সকল বিভ্রান্তির ও ব্যাধির নিরাময় এবং সরল পথের নির্দেশনা হিসেবে যে মহামানবকে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন তাঁকে প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করা,শুকরিয়া আদায় করা। তবে আশেকে রাসুলগন এই আনন্দ প্রকাশ, শুকরিয়া আদায় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করা সারা বছরই করে থাকেন। 
আর ১২ই রবিউল আউয়াল এ মহামানবের ধূলির ধরায় স্বশরীরে আগমনের দিন বিধায় এই দিনকে বিশেষ মর্যাদায় উদযাপন করেন।

মহান রাববুল আলামীন আরো স্পষ্ট ভাষায় বলেন-

إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦﴾

অর্থাৎ-আমি(আল্লাহ) ও আমার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পড়ি। 
অতএব হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পড় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ কর।

সুরা আহযাব, আয়াত-৫৬।

মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তারমধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে উনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হযরত মুহাম্মদ ( )। 
উনাকে রাহমাতাল্লিল আলামীন করে জগতে প্রেরণ করেছেন।
 উনি হচ্ছেন মানুষের জন্মগত কাংখিত শান্তির দূত। 
উনি চির শান্তির বন্টনকারি। 
উনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস ও ভালোবাসা ব্যতিরেকে কষ্মিনকালেও কেউ মুমিন হতে পারবেনা। 
এই প্রসঙ্গে উনি নিজেই বলেছেন-

"ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে আমাকে নিজের পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি, অন্য যে কোন মানুষ ও ধন সম্পত্ত হতে বেশি ভালবাসতে না পারবে।"

- বোখারী ও মুসলিম শরীফ।

দয়াল রাসুল ( ) এর এই হাদীস বা বানী মোবারক প্রমাণ করে মোমেন হওয়ার পূর্ব শর্ত উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসা। 
যদি উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসতে পারি তবে এই ধূলির ধরায় উনার শুভ আগমন বা শুভ জন্মদিনে আমরা কি কারনে আনন্দিত হবনা? 
কোন যুক্তিতে ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এই দিনটি পালন করব না।
 রহমত ও বরকত পাওয়ার কারনে আমরা যদি আনন্দ প্রকাশ করি তবে মহান রাব্বুল আলামীন তো আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেয়ার কথা।

দয়াল রাসুলের শুভ আবির্ভাব বা শুভ জন্মদিন পালন যে সাহাবায়ে কেরামগন পালন করেছিলেন ইতিহাসে এবং প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এর প্রমাণ নিহিত আছে।যেমন

"একদা বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস (রাঃ) তাঁর ঘরে লোকদেরকে একত্রিত করে হযরত রাসূল(সঃ)এর জন্ম দিনের বর্ণনা করছিলেন, যা শুনে উপস্থিত সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে হযরত রাসূল (সঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন। 
এমন সময় হযরত রাসূল (সঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন এবং খুশি হয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন - তোমাদেরকে শাফায়াত করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।"

-হযরত জালালুদ্দিন সুয়ুতি(কিতাব-সাবীলুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা)।

মানুষ হচ্ছে মহান আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির শিরোমনি হচ্ছেন কূল কায়েনাতের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। 
এই রহমত যেদিন পৃথিবীর জমিনে পদার্পণ করলেন সেদিন শুধু মানবকুল নয় সমগ্র সৃষ্টি জাহান এবং স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজেই খুশিতে আত্মহারা ছিলেন। 
কারণ উনার সৃষ্টির মূল লক্ষ্যই ছিলেন রাহমাতাল্লিল আলামীন। 
আসুন আমরা পরিবার পরিজন সহ সকলে মিলে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিনের আনন্দ ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করে সর্বত্র দয়াল রাসুল (সঃ) এর প্রেমের জোয়ার আনি। 
হযরত দয়াল রাসুলের (সঃ) প্রেমে চারপাশকে উদ্ভাসিত করতে পারলে আমরা সুনিশ্চিত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত রহমত ও শান্তি উপহার পাব।

হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদেরকে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবীতে ততটুকু আনন্দ প্রকাশের তাওফীক দিন যতটুকু আনন্দে আপনি ও আপনার প্রিয় বন্ধু রাজি খুশি হন।আমিন।

সারা দেশে যথাযত মর্যাদায় আজ পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী ﷺ জশনে জুলস উদযাপন।

 
১২ই রবিউল আওয়াল ১৪৪৩ হিজরি 20 শে অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ রোজ বুধবার পবিত্র ঈদেমিলাদুন্নবী ﷺ জশনে জুলস উদযাপন।  

সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

Automatically Turn On Mobile Hotspot On Login In Windows 10

Automatically Turn On Mobile Hotspot On Login In Windows 10

First, we need to create a batch file with a command that will automatically turn on Mobile hotspot. Then we will place this batch file into startup folder for Windows 10. So when you start the system, you will find that Mobile hotspot is automatically on.


To create the batch file, follow these steps:


Open Notepad by running notepad command.

In the Notepad new document window, type or paste this: netsh wlan start hostednetwork // start hotspot

Now save the file to a convenient location. Make sure you select All files for Save as type and name the file as Hotspot.bat




To place the batch file into startup folder, perform these steps:




Run shell:startup command.

In the shell:startup folder, paste the Hotspot.bat file we create earlier.

Reboot your system to verify.

You will find that after restarting the system, Mobile hotspot is already on. You can now easily connect your other device to the Mobile hotspot.




That’s it!

বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

আগামী ২০ অক্টোবর ২০২১ ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ পালিত হবে।

আগামী ২০ অক্টোবর ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) পালিত হবে।

 বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।



বাংলাদেশের আকাশে কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শুক্রবার পবিত্র সফর মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী শনিবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার (দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনূর মিয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (অর্থ) মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহ. আছাদুর রহমান, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মো. এ কে এম আবদুল মান্নান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোলাকিয়া মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।

সভায় জানানো হয়, ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ সফর ১৪৪৩ হিজরি, ২২ আশ্বিন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ৭ অক্টোবর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সেবার তালিকা

সেবার তালিকা

১। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিঃ

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি। বেকার যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ আবাসিক ও অনাবাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হয়।

জেলা পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিচালিত আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃগবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ

        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০.০০ (একশত) টাকা ভর্তি ফি এবং জামানত হিসেবে ১০০.০০ (একশত)  টাকা (ফেরৎযোগ্য) জমা দিতে হয়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা  প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করে থাকে। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।

মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ

         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


চিংড়ি  ও কাঁকড়া চাষ, বিপণন ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ছাগল ও ভেড়া পালন এবং গবাদি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মহিষ পালন ও গবাদি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মুরগী পালন  ব্যবস্থাপনা, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মুরগী পালন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্যজীবিদের জন্য দায়িত্বশীল মৎস্য আহরণ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মাশরুম ও মৌ চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত)টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফল চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


লাইভস্টক এ্যাসিসটেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


মোবাইল সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ারিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক ৪৫০০.০০ ( চার হাজার পাঁচশত) টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


ডাটাবেজ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


নেটওয়াকিং  বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


ওয়েব ডিজাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


      কোর্সের মেয়াদ ০২ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ।


 ক্যাটারিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাশ।


মাশরুম চাষ  বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       কোর্সের মেয়াদ ১৫ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত)  টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়।  শুধুমাত্র ৩১টি রাজস্বখাতভূক্ত যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা  অষ্টম শ্রেণী পাশ।


গাড়ল পালন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৭ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। শুধুমাত্র রাজশাহী যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি ব্যাচে ৪০ জন করে বছরে ২টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


সোয়েটার নিটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি ফি দিতে হয় না। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ । পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে।


 লিংকিং মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের ভর্তি ফি দিতে হয় না। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে।


সংক্ষিপ্ত হাউজকিপিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        আবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। পি পি পি এর মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে এ কোর্সটি পরিচালিত হয়।


জেলা পর্যায়ে পরিচালিত অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


ওভেন সিউইং মেশিন অপারেটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


       অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস ১৫ দিন। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ট্যুরিস্ট গাইড প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- (তিনশত) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস,সি পাশ। 


পোশাক তৈরী প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩/০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


ব্লক, বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিং  প্রশিক্ষণ কোর্সঃ  


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


মডার্ণ অফিস ম্যানেজমেন্ট এন্ড কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।  প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/(একশত) টাকা  প্রতি কর্মদিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে  যাতায়াত ভাতা দেয়া হয়। 


মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে  ৫০/-(পঞ্চাশ) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা  অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৩ মাস। এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/-(তিনশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


সেলসম্যানশীপ/ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


            অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


শতরঞ্জি প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। 


কম্বল তৈরি প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ। 


হস্তশিল্প (ব্যাগ তৈরি) প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০/- (পঞ্চাশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


ফ্রিল্যান্স/আউট সোর্সিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০১মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


ক্যাটারিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৪ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/-(এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


হাউজকিপিং/ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৫০০/-(পাঁচশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস, এস, সি পাশ।


আরবী ভাষা শিক্ষা প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         এটি স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং মেয়াদ ০১ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/-(একশত) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


জেলা পর্যায়ে পরিচালিত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


ডিপেস্নামা ইন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ২০০০/-(দুই হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


ফুড এ- বেভারেজ সার্ভিস (ক্যাটারিং সার্ভিস/ হাউজকিপিং এ- লন্ড্রি অপারেশনস) প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০০/-(তিন হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ, এস, সি পাশ।


ল্যাংগুয়েজ প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


        অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ০৬ মাস। এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/-(এক হাজার) টাকা ভর্তি ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ. এস. সি. পাশ।


হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


    এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- (একশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


বিউটিফিকেশন এ- হেয়ার কাটিং প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


    এটি ০১ মাস মেয়াদি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স যাতে অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০/- (একশ) টাকা কোর্স ফি দিতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ                   


          ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের মেয়াদ ৭ দিন থেকে ২১ দিন। এটি অনাবাসিক প্রশিক্ষণ এবং এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। ইউনিট থানা ও উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে এ প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করা হয়ে থাকে।                                  


২। দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচিঃ


         সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে বেকার যুবরা দারিদ্রে্যর মধ্যে বসবাস করে। তাদের নিজস্ব কোন সম্পদ ও কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের পক্ষে খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মত মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা সম্ভব হয় না। দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে এহেন মানবেতর অবস্থা নিরসন এবং বেকার যুবদের জন্যে একটি সুখকর জীবনের ব্যবস্থা করা দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচির মূখ্য উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের সকল উপজেলাতেই এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


ক) পরিবারভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ


           পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো পরিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে বেকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টি । দেশের মোট ৩১০টি উপজেলায় ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি বাসত্মবায়নের অনুমোদন থাকলেও জনবলের অভাবে ২৩৬টি উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় পরিবারের ঐতিহ্যগত পেশাকে কাজে লাগিয়ে বেকারত্ব নিরসন ও পারিবারিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে কার্যক্রম সম্প্রসারণ, জীবনযাপনের মান ধাপে ধাপে উন্নয়নকল্পে পরিবারে সঞ্চয় অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য-পরিচর্যা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশ উন্নয়নে জনগোষ্ঠিকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় একই পরিবারের অথবা নিকট আত্মীয় বা প্রতিবেশী পরিবারের পরস্পরের প্রতি আস্থাভাজনদের নিয়ে ৫ সদস্যের গ্রম্নপ গঠন করা হয়। একই গ্রামের স্থায়ী নিবাসী এরূপ ৮ থেকে ১০টি গ্রুপ নিয়ে একটি কেন্দ্র গঠিত হয়। কেন্দ্রের প্রত্যেক সদস্যকে ১ম, ২য়, ৩য়, দফায় যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১২০০০/-, ১৬০০০/- ও ২০০০০/- টাকা হারে ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩য় দফা পর্যন্ত সফল ঋণ পরিশোধকারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি কেন্দ্র হতে সর্বোচ্চ ০৫ জনকে আত্মকর্ম ঋণের নীতি পদ্ধতি অনুসরণ করে এন্টারপ্রাইজ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। অধিদপ্তরের কর্মচারীগণ গ্রাম পর্যায়ে ঋণ বিতরণ এবং কেন্দ্র থেকে ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করে। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। কোন উপকারভোগীকে ঋণ গ্রহণ ও কিস্তি পরিশোধের জন্য অফিসে আসার প্রয়োজন হয় না। মূলধন পাওনার উপর ৫%  (ক্রমহ্রাসমান) সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ২.৫% দাঁড়ায়। যাঁরা সময়মত সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ২.৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ ঋণ প্রাপ্তির জন্যে কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তবে মনোনীত সদস্যদের ৫দিনব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উপর গ্রাম পর্যায়ে কেন্দ্রভিত্তিক ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা  করা হয়। পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৭%।


খ) যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ


           এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলা ও ৪৯৬টি উপজেলায় (১০টি মেট্রোপলিটন ইউনিট থানাসহ) কার্যক্রম রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় জেলা সদরে উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ১ মাস হতে ৬ মাস পর্যন্ত। এছাড়া স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৪৯৬টি উপজেলায় স্বল্প মেয়াদি অপ্রাতিষ্ঠানিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশব্যাপি পরিচালিত যুবদের আত্মকর্মসংস্থান ও আয় সঞ্চারণমূলক কর্মকা- বেকার সমস্যা সমাধান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উলেস্নখযোগ্য অবদান রাখছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষিত বেকার যুবদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একক (ব্যক্তিকে) ঋণ প্রদান করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে একজন প্রশিক্ষিত যুবক/যুবমহিলাকে ৬০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে ৪০,০০০/- থেকে ৬০,০০০/- টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়। জেলা ও উপজেলায় দুটি কমিটির মাধ্যমে যথাক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ অনুমোদন করা হয়। ঋণ প্রাপ্তির জন্য একজন ঋণ গ্রহিতাকে ২ জন জামিনদার নিশ্চিত করতে হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক/ অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। গ্রেস পিরিয়ড অর্থাৎ ঋণ পরিশোধের প্রস্ত্ততি সময় অতিক্রম করার পর বিভিন্ন ট্রেডের জন্য নির্ধারিত মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে ঋণের অর্থ আদায় করা হয়। মঞ্জুরকৃত ঋণ পাওনার উপর ৫% (ক্রমহ্রাসমান) হারে সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয়। এখানে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধিত আসলের উপর পরবর্তীতে আর কোন সার্ভিস চার্জ আদায় করা হয় না বিধায় মেয়াদ শেষে গড় সার্ভিস চার্জের হার প্রকৃত হিসেবে ২.৫% দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যাঁরা সময়মত মাসিক কিস্তি পরিশোধ করেন তারাই সার্ভিস চার্জের ক্ষেত্রে বর্ণিত ৫% এর সুযোগ পেয়ে থাকেন। এ কর্মসূচির ক্রমপুঞ্জিত ঋণ আদায়ের হার ৯৫%।


০৩।  বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্ব )- এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ


         দেশের শিক্ষিত বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা এবং স্বাবলমবী করে গড়ে তোলাই সমাপ্ত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্পের আওতায় (ক) কম্পিউটার ট্রেডে ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্কিংসহ  কম্পিউটার বেসিক কোর্স এবং কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্স (খ) ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং (গ) রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং এবং (ঘ) ইলেকট্রনিক্স ট্রেডে বেকার যুবদের হাতে কলমে বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ সমাপ্ত প্রকল্পের আওতায় দেশে-বিদেশে চাহিদাপূর্ণ এবং যুগোপযোগী  ট্রেডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকার যুবরা কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছে। উপরোক্ত ট্রেডসমূহের মধ্যে কম্পিউটার ট্রেডে দেশের সকল জেলায়, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং ট্রেডে  দেশের ২৩টি জেলায়, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং ও ইলেকট্রনিক্স  ট্রেডের প্রতিটিতে দেশের ০৯টি জেলায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তবে এ প্রকল্প ও সমাপ্ত অবশিষ্ট কারিগরি প্রকল্পের মাধ্যমে সকল জেলায় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে উক্ত ট্রেডসমূহে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহের মেয়াদ ৬ মাস। প্রতি বছর প্রতি জেলায় ২টি কোর্সে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৭০ জন,  কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন,  ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন, ইলেক্ট্রনিক্স কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জন এবং রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ জুন, ২০০৬ এ সমাপ্ত হয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রমসহ জনবল রাজস্বখাতে স্থানামত্মর প্রক্রিয়াধীন আছে। বর্তমানে থোক বরাদ্দের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করা হচ্ছে।                                               


বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্ব )- এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহঃ


কম্পিউটার গ্রাফিক্স কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। এ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ এবং কম্পিউটার বেসিক কোর্সে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।


কম্পিউটার বেসিক কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ১০০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। কম্পিউটার বেসিক কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচ,এস,সি পাশ।


ইলেকট্রনিক্স প্রশিক্ষণ কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রনিক্স কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ।


ইলেকট্রিক্যাল এন্ড হাউজওয়্যারিং কোর্সঃ


          অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। ইলেকট্রিক্যাল এ- হাউজ ওয়্যারিং কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ।


রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং কোর্সঃ


         অনাবাসিক এ প্রশিক্ষণ কোর্সের  মেয়াদ ৬ মাস। এ কোর্সে  প্রশিক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ৩০০/- টাকা কোর্স ফি প্রদান করতে হয়। রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার-কন্ডিশনিং প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা এস,এস,সি পাশ।


০৪।  যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত কর্মসূচিঃ


          বেকার যুবক ও যুবমহিলাদের গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, মৎস্যচাষ ও কৃষি বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কিত ০৩মাস মেয়াদি আবাসিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাই এ সমাপ্ত প্রকল্প ও রাজস্ব কর্মসূচির উদ্দেশ্য । যুবদেরকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রকল্পের সম্পদ সংরক্ষণের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও জ্ঞানদান করা হয়। প্রতি ব্যাচে ৬০ জন বেকার যুবক ও যুবমহিলাকে আবাসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৬৪টি। দেশের সকল জেলায় একটি করে আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষে অপর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে অবশিষ্ট ১১টি জেলায় ১১টি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫টি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিদ্যমান ৫৩টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ইতোমধ্যে রাজস্ব খাতে  স্থানান্তরিত হয়েছে । অবশিষ্ট ৩৩টি কেন্দ্র ‘‘ছাবিবশটি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন’’ শীর্ষক প্রকল্প এবং "১৮টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়-০৮টি কেন্দ্র)" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছে। আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ সর্বনিমণ  ১.৫০ একর হতে ৭.০০ একর ভূমির উপর জেলা সদরে স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অফিস কাম একাডেমিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বাসস্থান, ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, ডাক কাম পোল্ট্রি শেড, কাউ শেড, মৎস্য হ্যাচারী, পুকুর, নার্সারি ইউনিট এবং খেলার মাঠ রয়েছে। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দেশে মৎস্য ও পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

what is UT invitation code

 Referral Code 👉 2KoTY  

(o < This Not Zero . Small latter "o")

enjoy UT earning app at your own risk .

i am using from last 4 months . its quite good outsourcing for me . you can use this ut invitation code . thanks 

what is UT invitation code: 

2KoTY

সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসী কর্মীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য ফি পরিশোধ করবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।


সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী প্রবাসী কর্মীদের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার (আরটি-পিসিআর) ফি লাগবে না। 
প্রত্যেক কর্মীর নমুনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ১ হাজার ৬০০ টাকার ফি পরিশোধ করবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

শনিবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিকেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এটি জানান।

সভায় প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশের রেমিট্যান্স-যোদ্ধা। তাঁরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান। 
দেশের অর্থনীতিতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য।
 সরকারও তাঁদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সব সময় তৎপর। 
এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী কর্মীদের বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি ঢাকা থেকে পরিশোধ করা হবে।

ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর।

শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১

ডাকাতের হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ফুটবল তারকা মেসি

প্রতি রাতে শুধু হোটেলভাড়াই গুনতে হয় ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা খরচ করেও যদি একটু শান্তিতে থাকতে পারতেন লিওনেল মেসি!

বার্সেলোনা থেকে গত আগস্টে পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকে প্যারিসের যে হোটেলে থাকছেন মেসি, সেটিতে গত বুধবার রাতে ডাকাতি হয়েছে।

তা-ও মেসিরা হোটেলের যে অংশে থাকেন, তার ঠিক ওপরের তলায়! যদিও মেসি ও তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি; তবে অন্য কয়েকটি কক্ষ থেকে লাখ লাখ টাকার অলংকার ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।

গত মঙ্গলবারই চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আগের চার ম্যাচে গোল না পাওয়ার অপেক্ষা ঘুচিয়েছেন চোখধাঁধানো এক গোলে। কিন্তু মাঠের স্বস্তিটা মিলিয়ে যাচ্ছে মাঠের বাইরের এই অস্বস্তিতে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছেন মেসি

চ্যাম্পিয়নস লিগে সিটির বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে পিএসজির জার্সিতে নিজের প্রথম গোলটি পেয়েছেন মেসি

পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকে এখনো স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকার মতো কোনো বাড়ি খুঁজে পাননি মেসি। গুঞ্জন শোনা যায়, আপাতত ভাড়ায় থাকার মতো একটা বাড়িতে শিগগিরই ওঠার কথা তাঁর। হোটেলে ডাকাতির খবরের পর এখন হয়তো বাড়ি ভাড়ার প্রক্রিয়াটা আরও এগিয়ে আনবেন মেসি।

প্যারিসে মেসি ও তাঁর পরিবার থাকছে লো রয়াল মঁসো হোটেলে। ইংলিশ দৈনিক সান লিখেছে, পাঁচ তারকা সেই হোটেলের ছাদের দিকের একটি ব্যালকনির দরজা দিয়ে ঢুকেছে ডাকাতেরা। সবার মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। ভবনের ছাদ থেকে নিচে নেমেছে ডাকাতেরা, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের ছয়তলার ব্যালকনির একটা খোলা দরজা দিয়ে মুখোশধারী দুজন ঢুকেছে হোটেলে। মেসি ও তাঁর পরিবার থাকে ভবনের পঞ্চম তলায়!

মেসি হোটেলে থাকতে শুরু করার পর থেকেই হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু দৃশ্যত তাতেও কাজ হয়নি। 
কারণ, ডাকাতেরা হোটেলে ঢুকে বেশ দামি জিনিসপত্রই নিয়ে গেছে। 
হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেওয়া এক নারী অতিথির ৩ হাজার পাউন্ডের দামি নেকলেস, ২ হাজার পাউন্ড ও ৫০০ পাউন্ড দামি কানের দুলও নিয়ে গেছে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা!

পেশায় বিনিয়োগ পরামর্শদাতা সেই নারী ব্যাপারটাকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলছেন। তাঁর দাবি, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরুর আগে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁর অভিযোগকে সেভাবে পাত্তা দেয়নি।

‘বিলাসবহুল ও নিরাপদ জায়গায় থাকার লক্ষ্যে বিশাল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার পর যখন আপনার কক্ষে কাউকে ঢুকে পড়তে দেখবেন, সেটা খুবই উদ্বেগজনক। পুলিশ আমাদের বলেছে, তারা ছাদের সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যাগ হাতে থাকা দুজন লোককে দেখেছে। কিন্তু ওই লোকগুলো কারা, সেটা শনাক্ত করতে পারেনি,’ ইংলিশ দৈনিক দ্য সানকে বলেছেন ডাকাতির শিকার ওই নারী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক মুখপাত্র দ্য সানকে বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ফাঁক বের করেছে ডাকাতেরা। তদন্ত চলছে এ নিয়ে। যে প্রমাণাদি পেয়েছি আমরা, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিজ্ঞ একটা ডাকাত দল কাজটা করেছে।’

প্যারিসের বিখ্যাত লা’র্ক দো থিয়োঁফের কাছেই অবস্থিত হোটেলে এমন ঘটনা মেসি ও তাঁর পরিবারকে বিচলিত করতে পারে বলে লিখেছে ডেইলি মিরর।


Popular Posts