একটি ধর্মিয় উৎসবের নাম। শব্দগুলোকে একটু ভেঙে ভেঙে দেখলে দেখা যায় এতে তিনটি অংশ রয়েছে।
যেমন- ঈদ+মিলাদ+নবী। শব্দগুলিকে একটু সাজিয়ে দেখলে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে-ঈদ অর্থ আনন্দ, মিলাদ মানে জন্ম এবং নবী বলতে বুঝানো হচ্ছে আমাদের প্রিয় সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মদ ﷺ
কে।
যা সংক্ষেপে হয়েছে ‘ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী‘ﷺ
(নবীর জন্মের খুশি)।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ ) যে আমাদের মাঝে আগমন করলেন এতে আমরা খুশি হয়েছি কিনা, আনন্দিত হয়েছি কিনা।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ ) যে আমাদের মাঝে আগমন করলেন এতে আমরা খুশি হয়েছি কিনা, আনন্দিত হয়েছি কিনা।
যদি খুশি হতে না পারি, আনন্দিত না হই তবে উনার জন্মদিনটা আমার/ আমাদের কাছে বিশেষ কিছু না। আর যদি উনার শুভাগমনে আমার/আমাদের হৃদয় আনন্দিত হয়,
যদি মনে করি উনি প্রভুর পক্ষ হতে সেরা দান তবে এই দিনটা অবশ্যই বিশেষ কিছু, অবশ্যই এই দিন একটি শ্রেষ্ঠ ঈদানন্দের দিন।
মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾ قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ ﴿٥٨﴾
অর্থাৎ- হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের ওপর নাজিল হয়েছে উপদেশবাণী। বিশ্বাসীদের জন্যে এতে রয়েছে অন্তরের সকল বিভ্রান্তি ও ব্যাধির নিরাময়, সরলপথের নির্দেশনা ও রহমত। হে নবী! বলো, আল্লাহর এই অনুগ্রহ ও রহমতের জন্যে তোমরা সবাই আনন্দ প্রকাশ করো। তোমাদের পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তির চেয়ে এ অনেক শ্রেয়।
-সূরা ইউনুস আয়াত ৫৭-৫৮।
এখানে দয়াময় আল্লাহ বলছেন আমরা যে সকল ধন সম্পত্তি সঞ্চিত করি সে সকলের চেয়ে উত্তম হচ্ছে রহমত,বরকত, অন্তরের সকল বিভ্রান্তির ও ব্যাধির নিরাময় এবং সরল পথের নির্দেশনা হিসেবে যে মহামানবকে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন তাঁকে প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করা,শুকরিয়া আদায় করা। তবে আশেকে রাসুলগন এই আনন্দ প্রকাশ, শুকরিয়া আদায় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করা সারা বছরই করে থাকেন।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ ﴿٥٧﴾ قُلْ بِفَضْلِ اللَّـهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ ﴿٥٨﴾
অর্থাৎ- হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের ওপর নাজিল হয়েছে উপদেশবাণী। বিশ্বাসীদের জন্যে এতে রয়েছে অন্তরের সকল বিভ্রান্তি ও ব্যাধির নিরাময়, সরলপথের নির্দেশনা ও রহমত। হে নবী! বলো, আল্লাহর এই অনুগ্রহ ও রহমতের জন্যে তোমরা সবাই আনন্দ প্রকাশ করো। তোমাদের পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তির চেয়ে এ অনেক শ্রেয়।
-সূরা ইউনুস আয়াত ৫৭-৫৮।
এখানে দয়াময় আল্লাহ বলছেন আমরা যে সকল ধন সম্পত্তি সঞ্চিত করি সে সকলের চেয়ে উত্তম হচ্ছে রহমত,বরকত, অন্তরের সকল বিভ্রান্তির ও ব্যাধির নিরাময় এবং সরল পথের নির্দেশনা হিসেবে যে মহামানবকে আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন তাঁকে প্রাপ্তিতে আনন্দ প্রকাশ করা,শুকরিয়া আদায় করা। তবে আশেকে রাসুলগন এই আনন্দ প্রকাশ, শুকরিয়া আদায় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করা সারা বছরই করে থাকেন।
আর ১২ই রবিউল আউয়াল এ মহামানবের ধূলির ধরায় স্বশরীরে আগমনের দিন বিধায় এই দিনকে বিশেষ মর্যাদায় উদযাপন করেন।
মহান রাববুল আলামীন আরো স্পষ্ট ভাষায় বলেন-
إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦﴾
অর্থাৎ-আমি(আল্লাহ) ও আমার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পড়ি।
মহান রাববুল আলামীন আরো স্পষ্ট ভাষায় বলেন-
إِنَّ اللَّـهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿٥٦﴾
অর্থাৎ-আমি(আল্লাহ) ও আমার ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পড়ি।
অতএব হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর ওপর দরুদ পড় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ কর।
সুরা আহযাব, আয়াত-৫৬।
মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তারমধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে উনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ )।
সুরা আহযাব, আয়াত-৫৬।
মহান রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তারমধ্যে সর্বোত্তম হচ্ছে উনার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ )।
উনাকে রাহমাতাল্লিল আলামীন করে জগতে প্রেরণ করেছেন।
উনি হচ্ছেন মানুষের জন্মগত কাংখিত শান্তির দূত।
উনি চির শান্তির বন্টনকারি।
উনাকে মনে প্রাণে বিশ্বাস ও ভালোবাসা ব্যতিরেকে কষ্মিনকালেও কেউ মুমিন হতে পারবেনা।
এই প্রসঙ্গে উনি নিজেই বলেছেন-
"ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে আমাকে নিজের পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি, অন্য যে কোন মানুষ ও ধন সম্পত্ত হতে বেশি ভালবাসতে না পারবে।"
- বোখারী ও মুসলিম শরীফ।
দয়াল রাসুল (ﷺ ) এর এই হাদীস বা বানী মোবারক প্রমাণ করে মোমেন হওয়ার পূর্ব শর্ত উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসা।
"ততক্ষন পর্যন্ত কেউ মোমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না সে আমাকে নিজের পিতা মাতা, সন্তান সন্ততি, অন্য যে কোন মানুষ ও ধন সম্পত্ত হতে বেশি ভালবাসতে না পারবে।"
- বোখারী ও মুসলিম শরীফ।
দয়াল রাসুল (ﷺ ) এর এই হাদীস বা বানী মোবারক প্রমাণ করে মোমেন হওয়ার পূর্ব শর্ত উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসা।
যদি উনাকে সবকিছুর উর্ধ্বে ভালবাসতে পারি তবে এই ধূলির ধরায় উনার শুভ আগমন বা শুভ জন্মদিনে আমরা কি কারনে আনন্দিত হবনা?
কোন যুক্তিতে ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এই দিনটি পালন করব না।
রহমত ও বরকত পাওয়ার কারনে আমরা যদি আনন্দ প্রকাশ করি তবে মহান রাব্বুল আলামীন তো আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দেয়ার কথা।
দয়াল রাসুলের শুভ আবির্ভাব বা শুভ জন্মদিন পালন যে সাহাবায়ে কেরামগন পালন করেছিলেন ইতিহাসে এবং প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এর প্রমাণ নিহিত আছে।যেমন
"একদা বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস (রাঃ) তাঁর ঘরে লোকদেরকে একত্রিত করে হযরত রাসূল(সঃ)এর জন্ম দিনের বর্ণনা করছিলেন, যা শুনে উপস্থিত সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে হযরত রাসূল (সঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন।
দয়াল রাসুলের শুভ আবির্ভাব বা শুভ জন্মদিন পালন যে সাহাবায়ে কেরামগন পালন করেছিলেন ইতিহাসে এবং প্রসিদ্ধ হাদীস গ্রন্থে এর প্রমাণ নিহিত আছে।যেমন
"একদা বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস (রাঃ) তাঁর ঘরে লোকদেরকে একত্রিত করে হযরত রাসূল(সঃ)এর জন্ম দিনের বর্ণনা করছিলেন, যা শুনে উপস্থিত সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে হযরত রাসূল (সঃ) এর উপর দরুদ ও সালাম পেশ করছিলেন।
এমন সময় হযরত রাসূল (সঃ) সেখানে উপস্থিত হলেন এবং খুশি হয়ে তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন - তোমাদেরকে শাফায়াত করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।"
-হযরত জালালুদ্দিন সুয়ুতি(কিতাব-সাবীলুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা)।
মানুষ হচ্ছে মহান আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির শিরোমনি হচ্ছেন কূল কায়েনাতের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সঃ)।
-হযরত জালালুদ্দিন সুয়ুতি(কিতাব-সাবীলুল হুদা ফি মাওলিদিল মুস্তফা)।
মানুষ হচ্ছে মহান আল্লাহর সেরা সৃষ্টি। এই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির শিরোমনি হচ্ছেন কূল কায়েনাতের রহমত হযরত মুহাম্মদ (সঃ)।
এই রহমত যেদিন পৃথিবীর জমিনে পদার্পণ করলেন সেদিন শুধু মানবকুল নয় সমগ্র সৃষ্টি জাহান এবং স্বয়ং রাব্বুল আলামীন নিজেই খুশিতে আত্মহারা ছিলেন।
কারণ উনার সৃষ্টির মূল লক্ষ্যই ছিলেন রাহমাতাল্লিল আলামীন।
আসুন আমরা পরিবার পরিজন সহ সকলে মিলে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিনের আনন্দ ধর্মিয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপন করে সর্বত্র দয়াল রাসুল (সঃ) এর প্রেমের জোয়ার আনি।
হযরত দয়াল রাসুলের (সঃ) প্রেমে চারপাশকে উদ্ভাসিত করতে পারলে আমরা সুনিশ্চিত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবারিত রহমত ও শান্তি উপহার পাব।
হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদেরকে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবীতে ততটুকু আনন্দ প্রকাশের তাওফীক দিন যতটুকু আনন্দে আপনি ও আপনার প্রিয় বন্ধু রাজি খুশি হন।আমিন।
হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদেরকে দয়াল রাসুলের (সঃ) শুভ জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবীতে ততটুকু আনন্দ প্রকাশের তাওফীক দিন যতটুকু আনন্দে আপনি ও আপনার প্রিয় বন্ধু রাজি খুশি হন।আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন