Recent post

বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১৮

Unlimited mobile internal Data

Since! Can you imagine that you can get unlimited mobile Internet data ?
Yes Now you can get unlimited mobile data!

Yes its true and comes in your hand !

Zero1 MVNO provide unlimited mobile data and talk time and roaming services !
Visit  zero1.sg
Facebook Zero1 Pte Ltd



সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

পেট খালি থাকলে দরকারি কিছু নিয়ম মেনে চলুন





খালি পেটে তর্ক করা ঠিক নয়।
পেট খালি থাকলে দেহ-মনে নানা প্রভাব পড়ে।
তাই কিছু কাজ আছে, যা খালি পেটে করা মোটেও ঠিক নয়।
বিশেষ করে পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়ানো ঠিক নয়। কারণ, এ সময় মনমেজাজ ভালো না থাকায় বেফাঁস কিছু বলে বসতে পারেন।
পেট খালি থাকলে আরও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি।

 জেনে নিন কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে

ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না: 

খালি পেটে ওষুধ খাওয়া ঠিক না। বিশেষ করে প্রদাহনাশক কোনো ওষুধ খাওয়া মোটেও ঠিক না। ওষুধ খাওয়ার আগে তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না: 

ঘুমানোর দুই-তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে ফেলার নিয়ম হলেও একেবারে খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না। ঘুমানোর আগে অন্তত এক গ্লাস দুধ বা একটি আপেল খেয়ে ঘুমানো উচিত।

খালি পেটে কফি ঠিক না: 

কফিও খেতে নেই খালি পেটে। এতে অ্যাসিড তৈরি হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। চেষ্টা করবেন ভরা পেটে বা হালকা কোনো স্ন্যাকস খেয়ে কফি খাওয়ার জন্য।

অ্যালকোহলকে ‘না’: 

খালি পেটে অ্যালকোহল গ্রহণ করতে নেই। খালি পেটে মদ্যপান করলে কিডনি, লিভার আর হার্ট অনেক দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিত্যদিনের সমস্যা হিসেবে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটিতেও।

খালি পেটে সিদ্ধান্ত নেবেন না: 

খালি পেটে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব কাজের ওপর পড়তে পারে। এর ফল ভালো হয় না। অনেক সময় খালি পেটে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর জন্য পরে পস্তাতে হতে পারে। তাই পেটে কিছু থাকার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।

ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন: 

ব্যায়াম করবেন না খালি পেটে। অনেকে মনে করেন, খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালরি পোড়ে। আসলে তা সত্যি নয়। বরং এতে শরীরের শক্তি কমে যাওয়ায় আপনি ঠিকঠাকভাবে ব্যায়ামও করতে পারেন না।

তর্ক করবেন না: 

পেট খালি থাকলে কারও সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। কারণ, পেট খালি থাকলে মন সঠিক কাঠামোতে থাকে না। এতে মনের ওপর প্রভাব পড়ে বলে অনেক সময় পরিস্থিতি বাজে পর্যায়ে চলে যেতে পারে।

সমঝোতা করবেন না: 

যদি পেটে কিছু না থাকে, তবে কিছুতেই কোনো বিষয়ে সমঝোতার দিকে যাবেন না। কারণ, পেট খালি মানেই ঠিকভাবে যুক্তিগুলো মূল্যায়ন করতে পারবেন না বলে সঠিক সমঝোতা না হতে পারে।

বাজারসদাই করবেন না: 

পেট খালি থাকলে বাজারসদাই করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, অনেক সময় চাহিদার অতিরিক্ত কিনে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া অস্বাস্থ্যকর অনেক খাবার ভুলবশত কেনার সময় মাথা কাজ নাও করতে পারে। পেট খালি থাকা অবস্থায় বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও চিনিজাতীয় খাবার কেনার সম্ভাবনা থাকে।

চুইংগাম খাবেন না:

 খালি পেটে চুইংগাম খাওয়া ঠিক নয়। খালি পেটে এটি খেলে বেড়ে যায় পেট ব্যথা। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি চুইংগাম চিবোবেন না। তথ্যসূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

যাত্রাবাড়ীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক অর্ধশত



ধলপুরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী স্টাফ কোয়াটারে পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযান শেষে আটককৃতদের এনে র‍্যাব ১০-এর কার্যালয়ের সামনে জড়ো করা হয়। ধলপুর, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, ২৮ মে। ছবি: আবদুস সালাম

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে অর্ধশত লোককে আটক করা হয়েছে।

ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানে ইয়াবাসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে প্রায় এক হাজার র‍্যাব সদস্য দুই ঘণ্টাব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চালান। যদিও সেই অভিযানে ক্যাম্পের মূল মাদক ব্যবসায়ীদের কেউ ধরা পড়েনি। আটক করা হয় ১৫৩ জনকে। আর সেই রাতেই রীতিমতো আয়োজন করে রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। অভিযানে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
গতকালও কারওয়ান বাজার রেলবস্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ভাসমান মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত কারওয়ান বাজার থেকে পুলিশ ৪ হাজার ৪০০টি ইয়াবা, ৮ কেজি গাঁজা ও ৪৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। আটক করা হয় ৫৩ জনকে। আর ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক এলাকা গণকটুলী সিটিপল্লিতে বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশের রমনা বিভাগ। অভিযানে ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করা হয়। দুই ঘণ্টার অভিযানে পুলিশ মোট ১০৫ জন নারী-পুরুষকে ধরে পাশের লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের মাঠে জড়ো করে। অভিযানের সময় পুলিশ সিটিপল্লির বিভিন্ন জায়গায় ‘মাদকবিরোধী অভিযান চলছে’ লেখা সাইনবোর্ড লাগায়। পরে অবশ্য আটক ৫৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ৩৬৩টি ইয়াবা বড়ি, ২৯ বোতল ফেনসিডিল ও দেড় হাজার লিটার চোলাই মদ জব্দ ও কারখানা সিলগালা করা হয়।

রাজধানীসহ সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানে এরই মধ্যে ১৪ দিনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০১। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজ মন্ত্রণালয়ে মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যতক্ষণ না মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এটি নিয়মিত অভিযান। মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এই ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত থাকবে।

চলমান ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে পদ্ধতি ভালো হয়, সেটাই করে যাব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের এক সাংসদ (আমানুর রহমান খান) জেলে আছেন। প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই মাদকবিরোধী অভিযান চলবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা অল আউট যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।’ কত দিন এই অভিযান চলবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়সীমা এটার মধ্যে নেই। আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা নেব। কোনো চেষ্টাই চূড়ান্ত নয়।’

দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে ‘বিশেষ অভিযান’ বলতে নারাজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, যতক্ষণ না মাদকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে আসবে, তত দিন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এটি নিয়মিত অভিযান। মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এই ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত থাকবে।

প্রথম আলো

বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ১৬ দিন বাকি


বিশ্বকাপে বদলি নেমে দ্রুততম গোল স্যান্ডের। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে বদলি নেমে দ্রুততম গোল স্যান্ডের। ফাইল ছবি

বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ১৬ দিন বাকি। 
দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। আজ থাকছে ‘১৬’ সংখ্যাটি নিয়ে

বিশ্বকাপ মানেই তো সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি। এক দলের সমর্থকের খোঁচার শিকার অন্য দল। এক দলের ব্যর্থতা অন্য দলের কাছে আনন্দের ব্যাপার। তাই বিশ্বকাপে দল সমর্থনের আগে একটু হিসাব-নিকাশ করে নেওয়াই ভালো। তো কোন দলকে সমর্থন দিলে খোঁচা খাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম? কোন দলকে সমর্থন দিলে বিশ্বকাপের মাঝপথেই সমর্থনের জন্য অন্য কোনো দল খুঁজে নিতে হবে না?

উত্তরটা সম্ভবত সবার জানা, জার্মানি! বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল হতে পারে কিন্তু বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। সেটাও ব্রাজিলের চেয়ে দুটি বিশ্বকাপ কম খেলে। এতেই তো বোঝা যায়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পর্যন্ত টিকে থাকার ব্যাপারটা জার্মানদের মজ্জাগত। ১৯৫০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি জার্মানি। এরপর থেকে প্রতি বিশ্বকাপেই খেলছে দলটি। এবং অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে জার্মানি, টানা ১৬ বিশ্বকাপ!

বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটিও এখন এক জার্মানের দখলে। জার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ডটি ২০০৬ সালে নিজের দখলে নিয়েছিলেন রোনালদো। জার্মানির কাছ থেকে এভাবে রেকর্ড হাতছাড়া হওয়া একদমই ভালো লাগেনি মিরোস্লাভ ক্লোসার। ২০১৪ সালে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে ১৬তম গোল করে রেকর্ডটি আবার জার্মানিতে ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্লোসা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডটিও কিন্তু এক জার্মান কোচের দখলে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে ১৬টি ম্যাচ জিতিয়েছেন কোচ হেলমুট শোন।

কোচের প্রসঙ্গ যখন এল তখন অধিনায়কের কথাটাও টানতে হচ্ছে। বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। একের অধিক বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন দাবি করতে পারবেন না খুব বেশি খেলোয়াড়। কিন্তু ডিয়েগো ম্যারাডোনা এদিক থেকে ব্যতিক্রম। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪—টানা তিন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে ১৬টি ম্যাচে দেশের আর্মব্যান্ড পরার দারুণ এক রেকর্ড এখনো এই কিংবদন্তির দখলে।

প্রায় এমনই অবিশ্বাস্য কীর্তি এবে স্যান্ডের। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মাঠে নামানো হলো স্যান্ডকে। ম্যাচের নিজের উপস্থিতি বোঝাতে ঠিক ১৬ সেকেন্ড লাগল তাঁর। বিশ্বকাপে কোনো বদলি খেলোয়াড়ের সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি এখনো এই ড্যানিশ স্ট্রাইকারের।

স্যান্ডের ঠিক উল্টো দিকেই থাকবেন হং ডুক-ইউং। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার গোল সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দুই ম্যাচে ১৬ গোল খেয়েছেন ডুক-ইউং। এরপর আরও ১৫টি বিশ্বকাপ হয়েছে। কিন্তু এতগুলো বিশ্বকাপে এত এত ম্যাচ খেলেও এক বিশ্বকাপে এত গোল খাওয়ার রেকর্ড কেউ গড়তে পারেননি।

শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮

রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয় কেন?



বাংলাদেশের ইতিহাসে মহাকাশ জয়ের কাহিনী লিখিত হওয়ার ৪২ সেকেন্ড আগে এসে আটকে গেলো তা। কারিগরি জটিলতায় ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটটি পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ২০১৭ সালে তারিখ ঠিক করেও একবার দুইবার নয়, ছয়বার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়েছে। এবার নিয়ে আক্ষেপ বেড়ে দাঁড়ালো সপ্তমে।

স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) উৎক্ষেপণের কথা ছিলো। পরে সময় আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ৫টা ২ মিনিটে উৎক্ষেপণের কথা বলা হয়। তবে ৫টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণের স্থগিতের কথা জানায় স্পেসএক্স। ঠিক কী কারণে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হলো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কারণ জানায়নি তারা।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শেষ মিনিটের উৎক্ষেপণ পুরোপুরিভাবে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে। কম্পিউটার স্বাভাবিক হিসেব-নিকেশের বাইরে কিছু দেখলেই উৎক্ষেপণ বাতিল করে দেয়। আজকে উৎক্ষেপণের মাত্র ৪২ সেকেন্ড আগে তা বাতিল করা হয়। স্পেসএক্স সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল একই সময়ে উৎক্ষেপণের আয়োজন করবে। মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য এটা খুবই সাধারণ ঘটনা এবং এত বড় ঝুঁকি নেওয়াটা কাম্য নয়।’

মহাকাশযান উৎক্ষেপণের সময় সবচেয়ে বড় বাধা হলো পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে এড়িয়ে উড্ডয়ন সম্পন্ন করা। এই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে উপেক্ষা করে উড্ডয়নের জন্য মহাকাশযানকে প্রচণ্ড গতিতে নির্দিষ্ট দিকে ছুটে যেতে হয় প্রাথমিক আকর্ষণকে অগ্রাহ্য করার জন্য। কোন মহাশূন্যযানকে কক্ষপথে স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যুনতম বেগমাত্রাকে বলে অরবিটাল ভ্যালুসিটি। মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করতে হলে প্রথমে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীত দিকে প্রচণ্ড গতিতে(মুক্তি বেগ ১১.২ কিলো/সে) ৪৬ কিলোমিটার উচ্চতা উঠতে পারলে রকেট মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতাভুক্ত হয়ে যায়।

৯ মিনিট আগে শুরু হয় চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। গ্রাউন্ড লঞ্চ সিকোয়েন্সার স্টেশন থেকেই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়। এই সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা লক্ষ রাখে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে কি না। স্বয়ংক্রিয়ভাবে রকেটের বিভিন্ন অংশ চালু করা হতে থাকে। ১০ সেকেন্ড আগে ইঞ্জিনের চেম্বারে হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রজ্বলিত করা হয়। প্রধান তিনটি ইঞ্জিন চালু করা হয় উৎক্ষেপণের ৬.৬ সেকেন্ড আগে। তিন সেকেন্ডের মধ্যে প্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি হয়। যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে রকেটটি যে হোল্ডার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল, তা ছেড়ে দেয়া হয় এবং দ্রুতই আকাশে উঠে যায়।

উৎক্ষেপণে তড়িঘড়ি করার সুযোগ নেই। উৎক্ষেপণ পেছানোর সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়া। তাই আবহাওয়ার অবস্থা বুঝতে ওয়েদার বেলুন, ডপলার রাডারসহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বৃষ্টিপাত, তুষারপাত কিংবা এরকম কোন কিছুর বর্ষণের সময় রকেট বিশেষ করে স্পেসশাটল উৎক্ষেপণ করা হয় না। আকাশে জমাট বাধা মেঘ থাকলে রকেট উৎক্ষেপণে বজ্রপাতের ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই আকাশে এরকম মেঘ থাকলে উৎক্ষেপণের আগে এই মেঘ রকেটের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। যদি উৎক্ষেপণস্থলে উত্তরপূর্ব দিক থেকে ১৯ নট গতির বাতাস বা অন্যান্য দিক থেকে ৩৪ নটের বেশি গতির বাতাস আসে তাহলে রকেট উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয় না।

মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পর আকাশসীমা দৃষ্টিগোচর হতে হয়। একে এভিয়েশনের ভাষায় ‘সিলিং’ বলা হয়। এই সীমা ৬ হাজার ফিটের কম হলে দৃষ্টি রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। আবহাওয়ার উষ্ণতা বা গরম আবহাওয়া উৎক্ষেপণের জন্য তেমন কোন সমস্যা নয়। তাপ মাত্রা কম হলেই সমস্যা। যদি তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয় তাহলে পরিণতি হিসেবে বরফ জমাট বাধার মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। আর মহাকাশে রকেট পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে মানুষ এবং যন্ত্রের সূক্ষ্মতম কাজ জড়িয়ে থাকায় কারিগরি কারণেও উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যেতে পারে।

অনেকসময় উৎক্ষেপণের জন্য রকেট লঞ্চিং প্যাডে নিয়ে রাখার পর আবহাওয়ার কারণে উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। রূঢ় আবহাওয়া থেকে রকেটের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনে রকেটকে পুনরায় ‘ভেহিকেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং’ (ভিএবি) তে ফিরিয়ে আনার ঘটনাও ঘটেছে। এটি ‘রোলব্যাক’ নামে পরিচিত। ১৯৮৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত মোট ১৭ টি রোলব্যাকের ঘটনা ঘটে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ




স্বপ্ন নয়, সত্যি। অবশেষে মহাকাশে ডানা মেললো বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল ৪টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডোর কেনেডি স্পেস সেন্টারের কেপ কেনাভেরাল থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটি ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ অনুসন্ধান ও মহাকাশ যান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স।

মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ রকেট ফ্যালকন-৯ মহাকাশে পৌঁছে যায় এবং তা নির্ধারিত প্যাডে ফেরত আসে। স্পেস এক্স জানিয়েছে, উৎক্ষেপণ সম্পূর্ণ নির্ভুল ছিল। ৩৩ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত কক্ষপথ ১১৯ দশমিক ১ দ্রাঘিমাংশে অবস্থান নেবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।


এর আগে ৬ বার তারিখ পরিবর্তনের পর বৃহস্পতিবার মাত্র ৪২ সেকেন্ডে আগে উৎক্ষেপণ বাতিল হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের। রকেট ও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত থাকলেও গ্রাউন্ড সিস্টেমে প্রস্তুত না থাকায় কম্পিউটার সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎক্ষেপণ বন্ধ করে দেয়। তবে উৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সর্বত্র। তবে সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে সেই অবস্থার অবসান হলো। অন্যদিকে বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইটের অধিকারী দেশ হলো বাংলাদেশ।

উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, ৩০ সদস্যের বাংলাদেশের দলের নেতা তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ইমরান আহমেদ, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসানসহ সহস্রাধিক বাংলাদেশি। দুই শতাধিক ব্যক্তির স্পেস এক্স-এর কেনেডি স্পেস সেন্টারে প্রবেশাধিকার থাকলেও অন্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বিভিন্ন স্থান থেকে উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নেতা-কর্মীরা আগে থেকেই ফ্লোরিডা যান উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণ করতে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহাজান মাহমুদ জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেমন নির্ভরতা কমবে অন্য দেশের ওপর, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। স্পেস এক্স-এর উৎক্ষেপণযান বা রকেট ফ্যালকন-৯ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত অরবিট প্লটে স্থাপন করবে। আর স্যাটেলাইটের সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় এক মাস।

ফ্রান্সের কান টুলুজ ফ্যাসিলিটিতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ইতিমধ্যে ফ্রান্স থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় কার্গো বিমানে করে উৎক্ষেপণস্থল ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোর ক্যাপ ক্যানাভেরালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা স্যাটেলাইট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থেলেস এলেনিয়া স্পেস বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকার মত। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট এক হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা বিডার্স ফাইনান্সিং-এর মাধ্যমে ব্যয় সংকুলান হয়েছে।


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে প্রাথমিক এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র দ্বিতীয় গ্রাউন্ড স্টেশনের নির্মাণ কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর এটি পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যত্রম সম্পাদনের জন্য ইতিমধ্যে সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কোম্পানিতে কারিগরী লোকবল নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট সংস্থা বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ খাতে ব্যয় করছে বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম শুরু হলে এই বিপুল অর্থ দেশেই থেকে যাবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এরমধ্যে ২০টি দেশে ব্যবহারের জন্য এবং ২০টি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মূদ্রা আয় হবে। এছাড়া নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকায় বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতার অবসান হবে। টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
এদিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উপলক্ষে অরল্যান্ডোর বিভিন্ন স্থানে উৎসব করে বাংলাদেশিরা। তারা আতশবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।


উৎক্ষেপণ উৎসবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা।

জাতির গৌরবময় এ মুহূর্তটির সাক্ষী হতে অরল্যান্ডো কেনেডি স্পেস সেন্টারে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের সমাগম ঘটে, উৎক্ষেপণের তারিখ পিছিয়ে গেলেও উৎসব-আমেজে তেমন ভাটা পড়েনি। তবে একদিন পিছিয়ে যাওয়ায় সবাইকে ফ্লাইটের টিকিট পরিবর্তনসহ হোটেল-মোটেলের বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়েছে। এর আগেও কয়েক দফায় অনেক প্রবাসীর ফ্লাইটের টিকিট বাতিল হয়েছে।
নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, বস্টন ও স্বগতিক ফ্লোরিডাসহ বিভিন্ন স্থানের প্রবাসীরা জড়ো হন ফ্লোরিডায়। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ ও মহিউদ্দিন দেওয়ান, সম্পাদকম-লীর সদস্য মিসবাহ আহমেদ, সোলায়মান আলী, ফরিদ আলম, তৈয়বুর রহমান টনি, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, ওয়াশিংটন ডিসির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বাকি, পেনসিলভেনিয়া স্টেট কমিটির সভাপতি আবু তাহের, নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী এবং আটলান্টা থেকে মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন।

এছাড়া রয়েছেন পিপল এন টেক ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা আবু হানিফ, ফেমা ক্যাশের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ-আমেরিকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য নিহার সিদ্দিকী ও আশরাফুল বুলবুল।

ইত্তেফাক/নূহু

বুধবার, ৯ মে, ২০১৮

কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে আজ দিবাগত রাত ২টা ১২

দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের ক্ষণগণনা চলছে। আজ ১০ মে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল ৪টা ১২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশে সময়টি হচ্ছে আজ দিবাগত রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিট।

উৎক্ষেপণের মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন। 
সব জেলা-উপজেলা প্রশাসন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সরাসরি সম্প্রচার করবে। 
প্রশাসন থেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় দেখানো হবে দৃশ্যটি।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, “সময়সূচির কোনো পরিবর্তনের কথা আমাদের জানানো হয়নি। আশা করছি, বৃহস্পতিবার রাতেই আমাদের অপেক্ষা শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কম্পানি ‘স্পেসএক্স’-এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেবে। ”

গত ৫ মে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হতে পারে আশঙ্কায় তারিখ পিছিয়ে যায়।
কেনেডি স্পেস সেন্টার এক বিবৃতিতে ১০ মে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার তারিখ নিশ্চিত করেছে। এই প্রথম কেনেডি স্পেস সেন্টারের ব্লক ৫-এর নতুন ভার্সনের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণস্থল ফ্লোরিডায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়সহ সরকারের ৪২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত রয়েছে। এ ছাড়া সাংবাদিকসহ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে সেখানে থাকছেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও ব্র্যাক অন্বেষার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. মো. খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির চারজন কাজ করছেন। এর মধ্যে তিনজন ন্যানো স্যাটেলাইট ব্র্যাক অন্বেষা প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন।

তিনি গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটি আমাদের বড় ধরনের অর্জন। স্যাটেলাইটের প্রযুক্তি হচ্ছে বিশ্বের সর্বশেষ সেরা প্রযুক্তি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর এই প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। ’

তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান মনে করেন, এ স্যাটেলাইটের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করবে এটি পেশাদারদের দিয়ে পরিচালিত হবে কি হবে না তার ওপর। শুধু কারিগরি দিক থেকে নয়, এর বিপণনসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা পেশাদারির সঙ্গে করতে হবে। আমলাদের দিয়ে এটি চালালে হবে না।

এ প্রসঙ্গে সাইফুল ইসলাম বলেন, এর মালিকানা সম্পূর্ণভাবে সরকারের কাছে থাকবে। তবে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এর ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য একটি বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর লাইসেন্সের অন্যতম শর্ত রয়েছে যে দেশের নিজস্ব সম্প্রচার ও যোগাযোগ স্যাটেলাইট হলে সেই স্যাটেলাইটের সেবা নিতে হবে। তবে আমাদের ধারণা, এই বাধ্যবাধকতা থেকে নয়, দেশের স্বার্থেই তারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা গ্রহণ করবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘ছয় বছরের মধ্যে এর ব্যয় উঠে আসবে বলে ধারণা করা হলেও তা সম্ভব না-ও হতে পারে। আমরা প্রাথমিকভাবে এটিকে মর্যাদা হিসেবে নিচ্ছি। আর্থিক দিকটি পরের বিষয়। ’

স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে গত বছরের ৪ জুন বাংলাদেশের জন্য সাফল্যের একটি মাইলফলক। এদিন একটি কার্গো রকেট মহাকাশে রওনা হয় বাংলাদেশের বানানো প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘ব্র্যাক অন্বেষা’কে নিয়ে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দিনে চার থেকে ছয়বার উড়ে যাচ্ছে এটি, গবেষণার জন্য উচ্চমানের ছবি তুলে পাঠাচ্ছে। তবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট। এর ওজন জ্বালানিসহ তিন হাজার ৭০০ কেজি। এটির কক্ষপথ ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপরে। এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। স্যাটেলাইটের মেয়াদ ১৫ বছর।

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮

গ্রামীণফোন কর্মসূচির মাধ্যমে ৫ স্টার্টআপকে বাছাই করেছে

অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচির মাধ্যমে ৫ স্টার্টআপকে বাছাই করেছে গ্রামীণফোন।
দেশীয় স্টার্টআপ বা উদ্যোগগুলোকে তুলে আনতে ২০১৫ সাল থেকে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর নামের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ কর্মসূচির আওতায় গতকাল রোববার দেশীয় পাঁচটি স্টার্টআপকে বাছাই করেছে তারা। বাছাই করা এ স্টার্টআপগুলো ফান্ডিং বা ব্যবসা পরিচালনা করার তহবিল,
কাজ করার জায়গা ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পাবে।

গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাকসেলেরেটর এমন একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফরম,
যেখানে প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাস ধরে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোর উদ্যোক্তারা ৮ শতাংশ শেয়ারের বিপরীতে দেড় হাজার ডলার সিড ফান্ড পান। এ ছাড়া আমাজন ক্রেডিট ও চার মাসব্যাপী জিপি হাউসে কাজ করার জন্য জায়গা পান তাঁরা। এ সময় প্ল্যাটফরমগুলোকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, অ্যাকসেলেরেটরের পঞ্চম ব্যাচে অংশ নিতে এক হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে।
এগুলোর মধ্যে থেকে বাছাই করে ৩৫টি উদ্যোগের উদ্যোক্তাদের বুট ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে ১৫টি উদ্যোগের উদ্যোক্তারা প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সুযোগ পান।
সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে পাঁচটি উদ্যোগ। উদ্যোগগুলো হচ্ছে সার্চ ইংলিশ, সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড, অনুসার্ভার, ডিজিটাল মানুষ ও পার্কিং কই। জেনে নিন উদ্যোগগুলো সম্পর্কে :

সার্চ ইংলিশ
নির্বাচিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে সার্চ ইংলিশ হচ্ছে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্ল্যাটফরম। এটি ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোগ। ১০ লাখ সদস্যকে ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অনলাইনের মাধ্যমে ইংরেজিভীতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে।

সিওয়ার্ক মাইক্রোজব
সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড হচ্ছে একটি ক্রাউড সোর্সভিত্তিক মাইক্রো জব প্ল্যাটফরম।
এখানে নিয়োগদাতারা সহজে কর্মী খুঁজে পান।
সিওয়ার্ক গুগল প্লে স্টোরে বাংলাদেশি অ্যাপ হিসেবে সপ্তম স্থানে আছে।

অনুসার্ভার
অনুসার্ভার হচ্ছে একটি অ্যাপ।
এটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনকে ক্ষুদ্র সার্ভারে পরিণত করে বিভিন্ন এসএমএস ও কলভিত্তিক সেবা প্রদানে সহায়তা করে।

ডিজিটাল মানুষ
ডিজিটাল মানুষ হচ্ছে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটানোর বা লিড জেনারেশন প্ল্যাটফরম।
বাংলাদেশ ও ভারতে এটি কাজ করছে।

পার্কিং কই
পার্কিং কই হচ্ছে গাড়ি রাখার জায়গা খোঁজার একটি উদ্যোগ।
এটি চালকদের অব্যবহৃত পার্কিং খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যমে বাড়ির মালিকেরা পার্কিং ভাড়া দিতে পারেন।

অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে

টমেটোটমেটো
মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:

অম্লের প্রবাহ:
টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।

অ্যালার্জি: 
টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কিডনিতে পাথর:
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।

গিঁটে বাত: 
অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।

লাইকোপিনোডার্মিয়া: 
টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।

ডায়রিয়া: 
টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।

পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

Popular Posts