বিশ্বকাপে বদলি নেমে দ্রুততম গোল স্যান্ডের। ফাইল ছবি
বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ১৬ দিন বাকি।
দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। আজ থাকছে ‘১৬’ সংখ্যাটি নিয়ে
বিশ্বকাপ মানেই তো সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি। এক দলের সমর্থকের খোঁচার শিকার অন্য দল। এক দলের ব্যর্থতা অন্য দলের কাছে আনন্দের ব্যাপার। তাই বিশ্বকাপে দল সমর্থনের আগে একটু হিসাব-নিকাশ করে নেওয়াই ভালো। তো কোন দলকে সমর্থন দিলে খোঁচা খাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম? কোন দলকে সমর্থন দিলে বিশ্বকাপের মাঝপথেই সমর্থনের জন্য অন্য কোনো দল খুঁজে নিতে হবে না?
উত্তরটা সম্ভবত সবার জানা, জার্মানি! বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল হতে পারে কিন্তু বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। সেটাও ব্রাজিলের চেয়ে দুটি বিশ্বকাপ কম খেলে। এতেই তো বোঝা যায়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পর্যন্ত টিকে থাকার ব্যাপারটা জার্মানদের মজ্জাগত। ১৯৫০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি জার্মানি। এরপর থেকে প্রতি বিশ্বকাপেই খেলছে দলটি। এবং অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে জার্মানি, টানা ১৬ বিশ্বকাপ!
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটিও এখন এক জার্মানের দখলে। জার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ডটি ২০০৬ সালে নিজের দখলে নিয়েছিলেন রোনালদো। জার্মানির কাছ থেকে এভাবে রেকর্ড হাতছাড়া হওয়া একদমই ভালো লাগেনি মিরোস্লাভ ক্লোসার। ২০১৪ সালে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে ১৬তম গোল করে রেকর্ডটি আবার জার্মানিতে ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্লোসা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডটিও কিন্তু এক জার্মান কোচের দখলে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে ১৬টি ম্যাচ জিতিয়েছেন কোচ হেলমুট শোন।
কোচের প্রসঙ্গ যখন এল তখন অধিনায়কের কথাটাও টানতে হচ্ছে। বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। একের অধিক বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন দাবি করতে পারবেন না খুব বেশি খেলোয়াড়। কিন্তু ডিয়েগো ম্যারাডোনা এদিক থেকে ব্যতিক্রম। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪—টানা তিন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে ১৬টি ম্যাচে দেশের আর্মব্যান্ড পরার দারুণ এক রেকর্ড এখনো এই কিংবদন্তির দখলে।
প্রায় এমনই অবিশ্বাস্য কীর্তি এবে স্যান্ডের। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মাঠে নামানো হলো স্যান্ডকে। ম্যাচের নিজের উপস্থিতি বোঝাতে ঠিক ১৬ সেকেন্ড লাগল তাঁর। বিশ্বকাপে কোনো বদলি খেলোয়াড়ের সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি এখনো এই ড্যানিশ স্ট্রাইকারের।
স্যান্ডের ঠিক উল্টো দিকেই থাকবেন হং ডুক-ইউং। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার গোল সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দুই ম্যাচে ১৬ গোল খেয়েছেন ডুক-ইউং। এরপর আরও ১৫টি বিশ্বকাপ হয়েছে। কিন্তু এতগুলো বিশ্বকাপে এত এত ম্যাচ খেলেও এক বিশ্বকাপে এত গোল খাওয়ার রেকর্ড কেউ গড়তে পারেননি।
বিশ্বকাপ মানেই তো সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি। এক দলের সমর্থকের খোঁচার শিকার অন্য দল। এক দলের ব্যর্থতা অন্য দলের কাছে আনন্দের ব্যাপার। তাই বিশ্বকাপে দল সমর্থনের আগে একটু হিসাব-নিকাশ করে নেওয়াই ভালো। তো কোন দলকে সমর্থন দিলে খোঁচা খাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম? কোন দলকে সমর্থন দিলে বিশ্বকাপের মাঝপথেই সমর্থনের জন্য অন্য কোনো দল খুঁজে নিতে হবে না?
উত্তরটা সম্ভবত সবার জানা, জার্মানি! বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল হতে পারে কিন্তু বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে জার্মানি। সেটাও ব্রাজিলের চেয়ে দুটি বিশ্বকাপ কম খেলে। এতেই তো বোঝা যায়, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পর্যন্ত টিকে থাকার ব্যাপারটা জার্মানদের মজ্জাগত। ১৯৫০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি জার্মানি। এরপর থেকে প্রতি বিশ্বকাপেই খেলছে দলটি। এবং অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে জার্মানি, টানা ১৬ বিশ্বকাপ!
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটিও এখন এক জার্মানের দখলে। জার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ডটি ২০০৬ সালে নিজের দখলে নিয়েছিলেন রোনালদো। জার্মানির কাছ থেকে এভাবে রেকর্ড হাতছাড়া হওয়া একদমই ভালো লাগেনি মিরোস্লাভ ক্লোসার। ২০১৪ সালে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপে ১৬তম গোল করে রেকর্ডটি আবার জার্মানিতে ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্লোসা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডটিও কিন্তু এক জার্মান কোচের দখলে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে ১৬টি ম্যাচ জিতিয়েছেন কোচ হেলমুট শোন।
কোচের প্রসঙ্গ যখন এল তখন অধিনায়কের কথাটাও টানতে হচ্ছে। বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। একের অধিক বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন দাবি করতে পারবেন না খুব বেশি খেলোয়াড়। কিন্তু ডিয়েগো ম্যারাডোনা এদিক থেকে ব্যতিক্রম। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪—টানা তিন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফলে ১৬টি ম্যাচে দেশের আর্মব্যান্ড পরার দারুণ এক রেকর্ড এখনো এই কিংবদন্তির দখলে।
প্রায় এমনই অবিশ্বাস্য কীর্তি এবে স্যান্ডের। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ডেনমার্ক। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মাঠে নামানো হলো স্যান্ডকে। ম্যাচের নিজের উপস্থিতি বোঝাতে ঠিক ১৬ সেকেন্ড লাগল তাঁর। বিশ্বকাপে কোনো বদলি খেলোয়াড়ের সবচেয়ে দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি এখনো এই ড্যানিশ স্ট্রাইকারের।
স্যান্ডের ঠিক উল্টো দিকেই থাকবেন হং ডুক-ইউং। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার গোল সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দুই ম্যাচে ১৬ গোল খেয়েছেন ডুক-ইউং। এরপর আরও ১৫টি বিশ্বকাপ হয়েছে। কিন্তু এতগুলো বিশ্বকাপে এত এত ম্যাচ খেলেও এক বিশ্বকাপে এত গোল খাওয়ার রেকর্ড কেউ গড়তে পারেননি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন