Recent post

শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

ঘুমানোর সময় মোবাইল রাখার সঠিক স্থান

 


সময়ের সঙ্গে মোবাইল আমাদের জীবনে অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠেছে। এমন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহূর্তে চলা দায়। মোবাইল ফোনের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে।

অনেকেই ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করেন না। অ্যালার্ম দিয়ে ফোনকে বালিশের নিচে বাঁ পাশে রাখার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকেই আবার ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটি সঙ্গী করে ঘুমান। তবে আমাদের এই অভ্যাসটি শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আসুন জেনে নিই।

ফোন দূরে রাখুন

রাতে ঘুমানোর সময় ফোনটি সঙ্গে না রেখে দূরে রাখুন। আপনার ফোন রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ রাখুন। হাতের কাছে ফোন থাকলে তা বারবার ব্যবহার করার আগ্রহ বাড়বে।

ফোন বালিশের নিচে রাখবেন না

বালিশের পাশে বা নিচে পড়ে থাকা ফোনটিতে কল এলে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়। মোবাইল ফোন কখনোই বালিশের পাশে রেখে ঘুমাবেন না। ঘুমানোর সময় কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখলে ঘুম ভালো হয়।

ফেসবুক, মেইল বন্ধ রাখুন

ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ফোনের ফেসবুক, মেইল বন্ধ রাখতে হবে। অনেকেই ফেসবুক চালাতে চালাতে ফোন চালু রেখেই ঘুমিয়ে যান। আবার অনেকেই ঘুমানোর আগে দীর্ঘ সময় মেইল ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের অভ্যাস ঘুমানোর জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে।

ফোনের স্ক্রিনের আলো চোখের রেটিনার ক্ষতি করে

রাতের অন্ধকারে ফোনের স্ক্রিনের আলো মানুষের চোখের রেটিনার পক্ষে ক্ষতিকারক। এ আলোই আমাদের মস্তিষ্ককে জানান দেয় ফোন অথবা মেসেজ আসার প্রাথমিক খবর। এই আলো তন্দ্রার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনকে নিঃসরণ হতে বাধা দেয়।


ডায়াবেটিস ক্যানসার প্রতিরোধ সবজি

 



সুস্থ থাকতে আমরা কত কিছুই না করি। তবে আমরা অনেকেই জানি না এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে অনেক রোগ বালাই থেকে মুক্তি মিলবে।


ডায়াবেটিস একটি কষ্টকর রোগ। এই রোগে ভুগলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করলেই বিপদ। নানা জটিল রোগে ভুগতে হয় এর জন্য। অন্যদিকে বর্তমানে ক্যানসার এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে। চিকিৎসকদের মতে এই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে মাত্র একটি সবজি। আর সেটা হলো বেগুন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এক প্রতিবেদনে চিকিৎসক এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।


সুগার নিয়ন্ত্রণে


ডায়াবেটিস থেকে চোখ, কিডনি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হয়। মিষ্টি এবং চিনি সমৃদ্ধ পানীয় বাদ দিন খাদ্যতালিকা থেকে আর যুক্ত করুন বেগুনের মত উপকারী সবজিকে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে কীভাবে বেগুন সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।


বেগুনে আছে প্রচুর ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এমনকি বেগুন খাবারে উপস্থিত গ্লুকোজকে রক্তে দ্রুত গতিতে মিশে যেতে দেয় না। যার ফলে সুগার বাড়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে একাধিক জরুরি পলিফেনলস। আর এই উপাদান ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ কিছুটা হলেও বাড়াতে পারে। সেই কারণেও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবিটিসে ভুগলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখতে বলেন চিকিৎসকরা। তবে শুধু সুগার নিয়ন্ত্রণ নয়, এর পাশাপাশি আরো একাধিক উপকার করে এই সবজি। ক্যানসার নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে এটি।


ক্যানসার


জীবনযাত্রার ধরণ পরিবর্তনের কারণে ক্যানসাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর এই রোগের চিকিৎসাও জটিল। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে বেগুনের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। কারণ, এই সবজি হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই বেগুন খেলে শরীরের প্রদাহ কমে। সেই সঙ্গে একাধিক উপকারও পাওয়া যায়। এইসব কারণে খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখুন।


হার্ট ভালো রাখে: কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ে ভাবছেন। যদি আপনার কোলেস্টেরল লেভেল থাকে তাহলে নিয়মিত বেগুন খান। কারণ, এই সবজিতে উপস্থিত ফাইবার এবং অন্যান্য উপাদান এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে সাহায্য করে। এবং শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ায়। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা চেষ্টা করুন রোজ অবশ্যই বেগুন খান। তাতেই হার্টের অসুখের থেকে দূরে থাকতে পারবেন।


ওজন নিয়ন্ত্রণ


শরীরে মেদ বাড়লেই নানা রোগ হয়। অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগের আশঙ্কা বাড়ে। তাই ঝটপট ওজন কমাতে হবে। আর এ জন্য বেগুন দারুণ উপকারী। এতে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। যার ফলে ক্ষুধা কম লাগে। এ কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।

Popular Posts