Recent post

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

প্রেম জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে সখি কি দিয়ে জুড়াই লিরিক্স




প্রেম জ্বালায় অঙ্গ জ্বলে সখি কি দিয়ে জুড়াই।


পিরিত করিয়া, সে গেল ছাড়িয়া,
তার সঙ্গে দেখা শুনা নাই।
আমার গেল কুল মান, বাকি মাত্র আছে প্রাণ
তার আশায় জীবন কাটাই ।।

আশায় বান্ধিয়া বুক, দেখিতে বন্ধুর মুখ,
সর্ব দুঃখ পশরিয়ে যাই ।
দিবা নিশি ভাবি তারে, সে’ত ভাবেনা আমারে
বুঝি বন্ধুর দয়া মায়া নাই ।।


বন্ধু কি মোহিনী জানে, পরাণ ধরিয়ে টানে,
নয়নের ভঙ্গিমা দেখাই।
আমি যার জন্য সর্বত্যাগী, সেই করে দোষের ভাগী,
মুই অভাগির হবে কি উপায় ।।


নরূপে রূপ ধরি, আমারে পাগল করি,
এখন কোথায় রয়েছে লুকাই ।
রমেশ বলে ফল হবে, কলবেতে তলবে,
ধরা দিবে নাগর কানাই ।।

রচয়িতাঃ কবিয়াল রমেশ শীল


বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

তথ্য দিন বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে বিনা খরচে উদ্ধার করতে প্রস্তুত প্রবাসীর হেলিকপ্টার।

ঘোষণা:

সম্পূর্ণ বিনা খরচে উদ্ধার করতে প্রস্তুত প্রবাসীর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শুধুমাত্র আবহাওয়া পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেই আমরা ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবো। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন:

১, যেই ছাদে কোনো তার অথবা গাছপালা নেই, হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারে এমন ভবনের গুগল লোকেশন দিন।

২, ছাদের ছবি ও ভিডিও দিন।

৩, ওই ভবনে কতজন আটকা আছেন, সেই তালিকা দিন। (কতজন পুরুষ, কতজন মহিলা এবং কতজন শিশু বিস্তারিত তথ্য দিন)

৪, আটকেপড়াদের মধ্যে মোবাইল বুঝেন এবং দায়িত্ববান এমন কেউ থাকলে তার নাম্বার দিন।

৫, ছাদে কোনো লাল কাপড় টানিয়ে দিন। (যাতে আমরা উপর থেকে দেখে বুঝতে পারি)




নোট: যেহেতু এই জরুরী মুহূর্তে নিরাপত্তার জন্য কোনো পুলিশ বা আমাদের প্রটোকল টিম হেলিকপ্টার অবতরণ স্থানে পাঠানো সম্ভব না, তাই এখন আপনাদের থেকেই আমরা দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছি। কোনো ভাবেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যাবেনা। তাহলে আপনার একার কারণে আমাদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে। আশাকরি আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।




শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে উপরের তথ্য দিন। এছাড়া কেউ অহেতুক কল দিবেন না এই মুহূর্তে প্লিজ:

প্রবাসীর হেলিকপ্টার লিমিটেড

+8801849920409

+8801797577533




আল্লাহ সবাইকে নিরাপদ রাখুক। আমিন



শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪

লুৎফুজ্জামান বাবর পরিচিতি | বর্তমানে আবারো আলোচিত ব্যাক্তি বাবর কে?

 


লুৎফুজ্জামান বাবর (জন্ম: ১০ অক্টোবর ১৯৫৮) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ। তিনি নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।

নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য

রাজনৈতিক দল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

দাম্পত্য সঙ্গী
তাহমিনা জামান শ্রাবণী

সন্তান
লাবিব ইবনে জামান (ছেলে)
তাসফিয়া বিনতে জামান (মেয়ে)

পিতামাতা
এ কে লুৎফর রহমান (পিতা)
জোবায়দা রহমান (মাতা)


রাজনৈতিক জীবন
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬][১]

এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৭][৮]

অষ্টম সংসদে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নেত্রকোণা-৪ আসন থেকে নির্বাচনে লড়ে তিনি পরাজিত হন।[১]

বিতর্ক
লুৎফুজ্জামান বাবর ১৯৮০'র দশকে ঢাকা বিমানবন্দর-কেন্দ্রীক ব্যবসা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মেয়াদ চলাকালে ক্যাসিও ব্র্যান্ডের ঘড়ি পাচার করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ঘনিষ্ঠদের দাবী-তিনি কখনোই বিমানবন্দর কেন্দ্রীক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।[৩][৯]

২১ আগস্ট ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৮ মার্চ ২০১২ সালে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবর সহ নতুন তালিকাভুক্ত ৩০ আসামির নাম যুক্ত হয়। ১ অক্টোবর ২০১৮ সালে এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৩][১০][১১]

২০০৪ সালে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান মামলায় ৩ অক্টোবর ২০১০ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় শ্যেন অ্যরেস্ট দেখানো হয় বাবরকে। এই মামলায়ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।[৫][১০][১১]

সোর্সঃ 
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B0



বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস

 



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পড়তে পারেন বই গুলো 

(বই গুলো লিংক সংগ্রহীত)  Thedaily71 এর স্বাধীকার রাখে না। 


1. যা দেখেছি যা শুনেছি যা করেছি- কর্নেল (অবঃ) শরিফুল হক ডালিম


https://drive.google.com/file/d/1bbzUoEjJNZt1Dly16LDw9PYP8fL_nS9w/view?usp=drive_link


2. মূলধারা '৭১- মঈদুল হাসান 


https://drive.google.com/file/d/1bmyWovksF32yCtkrt6sFTr25lMC_VYv2/view?usp=drive_link


3. A Legacy of Blood- Anthony Mascarenhas


https://drive.google.com/file/d/1cyPQ970VadS_X_iwYmCgZkZN3aQqKFCT/view?usp=drive_link


4. আমার ফাসি চাই- মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু


https://drive.google.com/file/d/17xSKtHflknwuMjQIlZ8wOHjipO3dPPUT/view?usp=drive_link


5. দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ- Anthony Mascarenhas


https://drive.google.com/file/d/1beDt9wXLHusASVxrDNGHpEbMl8KJkr3W/view?usp=drive_link


6. ১৯৭১-ভেতরে বাইরে- এ কে খন্দকার


https://drive.google.com/file/d/1c7W0nJ7fWsg8yT2FTq7BU7ydLDD7vT74/view?usp=drive_link


7. A Stranger in My Own Country- Major General Khadim Hussain Raja


https://drive.google.com/file/d/1dMJj25TRG60VS-gabjfHkGAqD6qak4Z5/view?usp=drive_link


8. Surrender at Dacca - Birth of a Nation- JFR. Jacob


https://drive.google.com/file/d/1ccRtK4CmteTX4tFJKAGPsvEQsXMlFyDF/view?usp=drive_link


9. দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- লে. জে. এ. এ. কে. নিয়াজি


https://drive.google.com/file/d/1ct724Qxp-GeQEUhGUBkJbIwktfBTtHyR/view?usp=drive_link


10. The Black Coat- Neamat Imam


https://drive.google.com/file/d/1dh2C07k1dW8wlfYEDe3Z_1uhsBz7xMAy/view?usp=drive_link


11. আমার দেখা রাজনীতির ৫০ বছর- আবুল মনসুর আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1RxJ7FVu0bhuO-zjHbZO7fWlxz1hR7s_7/view?usp=drive_link


12. আমি মেজর ডালিম বলছি


https://drive.google.com/file/d/1dln3v5WCQW3n2BQK2VSjOL5co8Mcd4lj/view?usp=drive_link


13. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য- মেজর জে. মইনুল হোসেন (বীরবিক্রম)


https://drive.google.com/file/d/1cvgw8fawl3aZTJDwuF4X1jLxhYSelGou/view?usp=drive_link


14. গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ- মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান 


https://drive.google.com/file/d/1c9AP-g_uzSevVDCLoLI0w4tUTkuplNHx/view?usp=drive_link


15. জাসদের উথান পতনঃ অস্থির সময়ের রাজনীতি- মহিউদ্দিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1bgqRpy0RTwDXm2FbFGdzlsIubO496Zba/view?usp=drive_link


16. তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা- লে. কর্ণেল এম. এ. হামিদ 


https://drive.google.com/file/d/1bb8_IufezLHk7sild-BflXhRFQku5ZJx/view?usp=drive_link


17. তাজউদ্দিন আহমেদ নেতা ও পিতা- শারমিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1bhNhlEgxCcvLeJRIan3LLXbWGRvcyXDu/view?usp=drive_link


18. দেয়াল- হুমায়ুন আহমেদ


https://drive.google.com/file/d/1dfmumfCjbgYLWt9z0jkDTLON_nvb5o5u/view?usp=drive_link


19. বলেছি বলছি বলবো- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন


https://drive.google.com/file/d/1ckNXJy_0eSrgFomY3sW6F2OUNRBd-wZi/view?usp=drive_link


20. মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকান্ড- মিজানুর রহমান খান


https://drive.google.com/file/d/1cZ36_biNWwQwtlB1f3AzoAToAFZ00wlr/view?usp=drive_link


21. ক্রাচের কর্নেল- শাহাদুজ্জামান


https://drive.google.com/file/d/1nM6XzFUbQa9paQ5Fs18HNMBn7k2D6ldr/view?usp=drive_link


22. জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ


https://drive.google.com/file/d/1M4GVzNIzTHU3KyLFW-Yd3pXDNsRUEjlG/view?usp=drive_link


23. রাইফেল, রোটি, আওরাত- আনোয়ার পাশা


https://drive.google.com/file/d/1tKJ0PTktvl08j9LEjKqtdm_PgsNTakBm/view?usp=drive_link


24. লাল সন্ত্রাস- মহিউদ্দিন আহমদ


https://drive.google.com/file/d/1czuobVyrOj-BO3RsBDoxT2c6iqyql0dY/view?usp=drive_link


25. স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ- পিনাকি ভট্টাচার্য


https://drive.google.com/file/d/1dj48u1-aLoi8R6aopGmRhEHW9ls3MnLx/view?usp=drive_link


26.আত্মসমর্পণের সাক্ষী (উইটনেস টু সারেন্ডার)- সিদ্দিক সালিক


https://drive.google.com/file/d/1yn9hh2MC_caryl_41T-2fGKmMrveqCKY/view?usp=drive_linkn


রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

অসহযোগ আন্দোলনের দিনভর সংঘর্ষে সারাদেশে নিহত ৯৮


সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হানাহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ ২০টি জেলা-মহানগরে ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরের চিত্রও ছিল অনেকটা একই। গত রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে সিরাজগঞ্জে পুলিশের ১৩ সদস্যসহ ২২ জন, রাজধানীতে ১১, ফেনীতে ৮, লক্ষ্মীপুরে ৮, নরসিংদীতে ৬, সিলেটে ৫, কিশোরগঞ্জে ৫, বগুড়ায় ৫, মাগুরায় ৪, রংপুরে ৪, পাবনায় ৩, মুন্সিগঞ্জে ৩, কুমিল্লায় পুলিশের সদস্যসহ ৩, শেরপুরে ২, জয়পুরহাটে ২, ভোলায় ১, হবিগঞ্জে ১, ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১, সাভারে ১, বরিশালে ১ জন, কক্সবাজারে ১, গাজীপুরের শ্রীপুরে ১ জনসহ ৯৮ জন নিহত হয়েছেন।

নরসিংদীর মাধবদীতে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়ার পর ধাওয়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ছয় নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ফেনীতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আটজনের মৃত্যু হয়। মাগুরায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ দুজন নিহত হন।


নিহত ৯৮ জনের মধ্যে বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪৩ জনের। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ জন, পুলিশের ১৪ জন, শিক্ষার্থী ৯ জন, সাংবাদিক ১ জন ও বিএনপির ১ জন আছেন। কয়েকজনের নাম ও পরিচয় জানা গেলেও পেশা বা রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হানাহানির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার এই কর্মসূচির প্রথম দিনে সরকার-সমর্থক নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ ২০টি জেলা-মহানগরে ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের ১৩ সদস্য এবং কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

জনপ্রতিনিধিদের বাসা ও সরকারি স্থাপনায় হামলা

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ঘিরে দেশের অন্তত ৩৮টি জেলায় জনপ্রতিনিধিদের বাসাবাড়ি, আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১৩টি স্থানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসভবন ও নিজস্ব কার্যালয় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোডে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির বাসায়, বরিশালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের বাসা, দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।


রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ ১৫টি থানা, ১টি রেঞ্জ কার্যালয়, ৪টি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের আরেকটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের তিন শতাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। অপর দিকে বিজিবি সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকালের সংঘাত-সংঘর্ষে বিজিবির অন্তত ৫৭ সদস্য আহত হয়েছেন।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়েছে। এতে সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারা দেশে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মাঝে কয়েক দিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল।


একপর্যায়ে গত শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার এক জমায়েত থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে গতকাল শুরু হয়েছে তাঁদের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। গতকালের আগপর্যন্ত এ আন্দোলন ঘিরে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৩০ দৈনিক ইত্তেফাক

হামলা-সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহত ২৩

 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফার কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক সংঘর্ষ ও সহিংসতা হয়েছে। রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় ২৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে।


এরমধ্যে ফেনীতেই মারা গেছেন পাঁচজন। তিনজন করে নিহত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ, মাগুরা ও ফেনীতে। দু’জন করে প্রাণ হারিয়েছে মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর ও পাবনায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লার দেবিদ্বার, জয়পুরহাট ও বরিশালে নিহত হয়েছেন একজন করে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালের দায়িত্বরতদের সূত্রে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাবনা ও বগুড়ায় নিহতরা গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বলে অভিযোগ।


মাগুরায় ছাত্রদল নেতাসহ ‍নিহত তিন:

সকাল থেকেই উত্তপ্ত মাগুরা। দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিতে মেহেদী হাসান রাব্বি নামে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। নিহত রাব্বি মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আন্দোলনকারীরা রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পারনান্দুয়ালী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ভায়নার মোড়ে অবস্থান নেয়। অভিযোগ, এ সময় তাদের বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে গুলিতে রাব্বি নিহত হন। এছাড়াও, সংঘর্ষে সুমন শেখ, ফরহাদ নামের ২ যুবক মারা গেছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

মুন্সিগঞ্জে যা হলো:

সকালে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময়, একইস্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দেখা দেয় উত্তেজনা। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

একপর্যায়ে সংঘর্ষে দু’জন মারা যান। তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পাবনায় গুলিতে দু’জনের মৃত্যু:

সহিংসতায় পাবনাতেও মারা গেছেন দু’জন। জেলা শহরের চাতিকমোড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় বিরোধী পক্ষের সাথে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন। আর মারা যায় দু’জন। প্রাণহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এসএম রুমি।


বগুড়ায় যেভাবে নিহত হয় দু’জন:

বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতেই তারা নিহত হয়েছেন। দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবির আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।


জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার সদরের বড়গোলা এলাকায় বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হয় আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।


দুপচাঁচিয়া উপজেলায় মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে মারা যান। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন শফিউল আজম। এছাড়া, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ আহত হয়ে ১১ জন ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে ২০ থেকে ২৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।


সিরাজগঞ্জে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ:

সিরাজগঞ্জেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অভিযোগ, এ সময় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার নাম আবদুল লতিফ বলে জানা গেছে। তার বাড়ি শহরের গয়লা এলাকায়।


রোববার বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। জানা গেছে, দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের সময় লতিফ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে পড়ে যান। তখন ক্ষিপ্ত কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।


/এনকে

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

কুমিল্লায় যুবলীগের হামলায় পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ

 কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আজ বেলা ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (এসি ল্যান্ড) গাড়িতে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।


প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় অন্তত ৩০টি গুলি করা হয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন। এই সময় গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।

এই বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালে পাঁচজনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিচ্ছি। তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, ‘আমাদের অনেকে আহত হয়েছে শুনেছি। আমরা হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’

এসি ল্যান্ডের গাড়িতে আগুন

চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এ সময় ইউএনও এবং আমি গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’

সূত্র : খোলা কাগজ  ৪:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ০৩, ২০২৪


গণভবনের দরজা খোলা । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই

গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না বলে জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।


এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান।


এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে এক জরুরি বৈঠক ডেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে দলীয় তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

একই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪

অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ভিডিউটি দেখুন



 সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশো ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই টকশোতে অতিথি ছিলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি এবং সঞ্চালনায় ছিলেন দীপ্তি চৌধুরী। ভাইরাল হওয়া অনুষ্ঠানে দেখা যায় উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর ওপর বারবার মেজাজ হারান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ঘাবড়ে না গিয়ে ধৈর্য ধরে দারুণভাবে সামলে নেন দীপ্তি।

এবার এই টকশো’র ক্যামেরার পেছনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে পড়েছে। 

(সোশল মিডিয়া হতে সংগ্রহীত ভিডিও ফুটেজ)

 

তাতে দেখা গেছে, টকশো শেষেও উপস্থাপিকা দীপ্তির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান শেষে দীপ্তি চৌধুরীকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। 

এ সময় মেজাজ হারান দীপ্তি। তিনি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, আপনি আমাকে কোন সাহসে রাজাকার বলেন।’


এ সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আপনার ব্যবহারের দেখে আমি এ কথা বলেছি।’ এ কথা শুনে দীপ্তি চৌধুরী আবারও রেগে যান। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় বিএনপি নেতা গোলাম মাওলা রনি এসে বিচারপতি মানিককে নিয়ে অনুষ্ঠান সেট থেকে চলে যান।


এর আগে প্রায় ৪৯ মিনিটের এই শোতে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা, উপস্থাপনা, ধৈর্য ও বাচনভঙ্গির কারণে প্রশংসায় ভেসেছেন দীপ্তি। কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এই টকশোটি প্রচারিত হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছোট ছোট ক্লিপ। যেখানে নেটিজেনদের মুখেও শোনা যাচ্ছে, দীপ্তির ভূয়সী প্রশংসা। 

নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা

 নরসিংদীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিলে হামলা

নরসিংদীতে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' গণমিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা। নরসিংদী সদর উপজেলার কোর্ট রোড এলাকায় উপজেলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক ইত্তেফাক

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

আন্দোলন প্রত্যাহারের স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দিইনি: ৬ সমন্বয়ক

আন্দোলন প্রত্যাহারের স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দিইনি: ৬ সমন্বয়ক


ফাইল ছবি

প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৩

ডিবি হেফাজত থেকে গত ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা স্বেচ্ছায় না দেওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ছয় সমন্বয়ক।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সাংবাদিকদের পাঠানো ৬ সমন্বয়কের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। 

এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি পুলিশ জোরপূর্বক মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসে। মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৭ জুলাই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে সাইন্সল্যাব থেকে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে আসা হয়। ২৮ জুলাই সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে ভোররাতে বাসা ভেঙে জোরপূর্বক ডিবি অফিসে নিয়ে আসা হয়।

মূলত আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই ১৯ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ‌‘নিরাপত্তা’র নামে ছয় সমন্বয়ককে সাতদিন ধরে ডিবি হেফাজতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিবি প্রধান নিরাপত্তার কথা বললেও আমাদেরকে আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা গুম, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; আমরা আমাদের মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু অসাংবিধানিক ও আইনবহির্ভূতভাবে আমাদেরকে ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়। প্রথমে নিরাপত্তার কথা বললেও পরে আদালতের কথা বলা হয়। আদালতের আদেশ ছাড়া নাকি আমাদের ছাড়া যাবে না। 

ছয় সমন্বয়ক বলেন, যারা নিরস্ত্র ছাত্র-নাগরিককে গুলি করে হত্যা করে তাদের হেফাজতে কেউই নিরাপদে থাকতে পারে না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রহসনের নিরাপত্তা চাই না ৷ আমরা আমাদের ভাই বোনদের খুনের বিচার চাই।


আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা বলেন, আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়ককের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না। ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। আমাদের ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে আসলে, দেখা করতে দেওয়া হয়নি। 


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্যায়ভাবে সমন্বয়কদের আটক, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ৩০ জুলাই রাত থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের ডিবি অফিসে আটক অবস্থায় অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে সে খবর জানামাত্র সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুলাহ ও নুসরাত তাবাসসুমও অনশন শুরু করেন। অনশনের কথা পরিবার ও মিডিয়া থেকে গোপন করা হয়। প্রায় ৩২ ঘণ্টারও অধিক সময় অনশনের পরে ডিবি প্রধান ছয় সমন্বয়ককে মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়। আমাদেরকে ১ অগাস্ট দুপুর দেড়টায় পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। গত সাতদিন ডিবি অফিসে আমাদের ও আমাদের পরিবারের সঙ্গে নানা হয়রানি, নির্যাতন ও নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


ছয় সমন্বয়ক আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশেই আমাদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ছাত্র-নাগরিকের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সরকার এখনো শিক্ষার্থীদের উপর দমননীতি অব্যাহত রেখেছে এবং সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করছে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করছে। 

  

ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটককৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে সরকারের মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে রাজপথে নেমে আসুন। শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তারা শুক্রবার (০২ আগস্ট) একটি বিবৃতি দিয়েছে। 


বিবৃতি পাঠানো ছয় সমন্বয়ক হলেন, মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার।

ইত্তেফাক ডিজিটাল ডেস্ক

Popular Posts