Recent post

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।


মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।


নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’


তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’


জার্মান রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে। যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’


নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।


জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্ধৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’


দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’


ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’


এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

ডিবি অফিসে সমন্বয়কদের খাবার খাইয়ে ছবি প্রকাশ জাতির সঙ্গে মশকরা: হাইকোর্ট


ডিবি অফিসে সমন্বয়কদের খাবার খাইয়ে ছবি প্রকাশ জাতির সঙ্গে মশকরা: হাইকোর্ট

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ডিবি অফিসে বসে খাওয়ার একটি ছবি। আর এই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। এ নিয়ে কথা বলেছেন হাইকোর্ট।

সেখানে বলা হয়েছে, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।


সোমবার (২৯ জুলাই)  বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।


গত রবিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাস্তা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ। ছবির ক্যাপশনে ডিবি প্রধান লেখেন ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’


এর আগে গত ২৬ জুলাই নিরাপত্তার কথা বলে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরের দিন সারজিস, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও  হেফাজতে নেয়া ডিবি। পরদিন তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে যান। আর শিক্ষকরা দেখা করতে গেলে কথা বলেননি ডিবি প্রধান।

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

এখন শুনছি লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে রাস্তাঘাটে!


মানুষের ক্ষোভের ভাষা পাঠ করেন। গায়ক-শিল্পী অর্ণবের আঁকা এই দুইটা ছবি আর সাথের কোলাজ (কে বানিয়েছে জানতে পারিনি) সেই ক্ষোভেরই একটা ছোট উদাহরণ। এরকম আরো বহু মানুষকে দেখেছি, যারা বিএনপি করে না, অনেকে আছে কোনো দলই করে না, কেউ কেউ ট্রাডিশনালি সফ্‌ট টু আওয়ামী লীগ, সবাই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। মনে রাখবেন অরুন্ধতী রায়ের কথাটা, মানুষের মনের ভিতরের ক্ষোভ আর ঘৃণার চেয়ে বিধ্বংসী কোনো মারনাস্ত্র নাই।




কোথায় ছাত্র-কিশোর-শিশু হত্যাকারীদের বিচার দেখার কথা, সেখানে আমাদের প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শুনতে হচ্ছে উদ্ভট সব কাহিনী! এই সব আজব শাক (পাবলিক রিলেশন্স) দিয়ে কি লাশের মিছিল ঢাকা যাবে? গেছে কোনো কালে? সারা দুনিয়ার মিডিয়া কি বলছে দেখেন। এমনকি পাশের দেশ ভারতে কি বলা হচ্ছে সেটাও দেখেন।




এখন শুনছি লুঙ্গি খুলে ধর্ম চেক করার মতো ছেলেমেয়েদের মোবাইল চেক করা হচ্ছে রাস্তাঘাটে! রাতের বেলা বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে! এটা কি কোনো অধিকৃত ভূমি? নাকি স্বাধীন দেশ? কয় প্রজন্মের মন বিষিয়ে তুলছেন এটা কি বুঝতে পারছেন? মানুষ কখন টিপিং পয়েন্টে পৌঁছে যায় জানেন তো?



শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪

শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃ্ত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পুলিশ, পুলিশ কী বলছে?

 শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মৃ্ত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পুলিশ

পুলিশ কী বলছে?

বাংলাদেশে পুলিশের কার্যক্রম মূলতঃ পরিচালিত হয় ‘পুলিশ আইন, ১৮৬১’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮’ এবং ‘পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল, ১৯৪৩’ নামের তিনটি আইনের মাধ্যমে।


এই আইনগুলো সবক’টিই ব্রিটিশ শাসনামালে তৈরি।


এসব আইনে বিশেষ কিছু অবস্থায় পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ, এমনকী গুলি করারও এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।


কিন্তু সেটি কখন?


“গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোর এখতিয়ার পুলিশকে আইন দিয়েছে। তবে সেটি প্রপরশনেট লেভেল বা যৌক্তিক মাত্রায় হতে হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহম্মদ নূরুল হুদা।


মঙ্গলবার দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সে ধরনের কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল?


“কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আইনের কোনও ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতোমধ্যেই আমরা চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং একটি মামলাও করা হয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান।


আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ ওই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।


“তদন্তে পুলিশের অভিযুক্ত সদস্যদের কারো দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি প্রচলিত আইনেও বিচার করা হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন পুলিশ কমিশনার মি. মনিরুজ্জামান।



‘মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে গুলি করে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে জানাচ্ছেন অধিকার কর্মীরা।


“দাবি আদায়ে নিজের মত প্রকাশ করা, আন্দোলন করা - এগুলো নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, যার স্বীকৃতি আমাদের সংবিধানেও রয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল।


“সেখানে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ কীভাবে গুলি চালায়! এই আক্রমণ বরদাস্ত করা যায় না। এটি করে পুলিশ মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. ফয়সাল।


তার মতে, গুলি না চালিয়েও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করার সুযোগ পুলিশের ছিল।


“ছেলেটার কাছে যেহেতু প্রাণঘাতী কোনও অস্ত্র ছিল না, কাজেই পুলিশের সহিংস হওয়ার কোনও দরকার ছিল না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন মি. ফয়সাল।


এক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়েও তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরানো যেত বলে মনে করেন তিনি।


“কিন্তু পুলিশ সেটি না করে গুলি ছুড়লো। নিরীহ মানুষের উপর এমন আক্রমণ মোটেও মেনে নেওয়া যায় না,” বিবিসি বাংলাকে বলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক মি. ফয়সাল।

শুক্রবারের সহিংসতায় ঢাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে

 শুক্রবারের সহিংসতায় ঢাকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে

শুক্রবার ঢাকার যেসব এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার অন্যতম রামপুরা-বনশ্রী। এখানকার ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন হাসপাতালটির ম্যানেজার রুবেল হোসেন।


সবাই গুলিতে মারা গেছে বলে জানান তিনি।


তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


এছাড়া, আহত হয়ে আরো অন্তত তিনশ জন চিকিৎসা নিয়েছেন ফরাজী হাসপাতালে। তাদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ ছিলেন বলে জানান মি. হোসেন।


কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, জোবায়ের ব্যাপারী নামে একজনকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।


মি. মিজান জানান, ৪০ বছর বয়সী জোবায়ের ব্যাপারী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তারা।


“পথচারী হিসেবে সংঘর্ষের এলাকা অতিক্রম করছিলেন তিনি,” যোগ করেন মি. মিজান।


এছাড়া, অন্তত ৮৯ জন আহতকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে। যাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ছিলেন

কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

 কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

জনগণের ওপর আরো দমন পীড়নের জন্য সরকার সেনা মোতায়েন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।


“সরকারকে সমর্থন না দিয়ে ছাত্রদের পাশে থাকতে” দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


কারফিউ জারি অবস্থায় কীভাবে তারা কর্মসূচি পালন করবে জানতে চাইলে বিবিসি বাংলাকে মি. হোসেন বলেন, কারফিউ জারি করার আগেই তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তাই জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে তারা মনে করেন

কারফিউ’র পরিপত্র জারি বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে

 কারফিউ’র পরিপত্র জারি

দেশব্যাপী কারফিউ এবং সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


এতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী শান্তি শৃঙ্খলারক্ষা ও জন নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আজ হতে সান্ধ্য আইন কার্যকর করা হলো।


জেলা প্রশাসনের ক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার এই প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের জন্যও তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়েছে পরিপত্রে।


কারফিউ বা সান্ধ্য আইনের সময়সীমা এবং শর্ত কী হবে তাও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার নির্ধারণ করবেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ।

কোটা আন্দোলনে দেশে কারফিউ জারি, দেখা মাত্র গুলি

 

শুট অ্যাট সাইট হবে: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারফিউ প্রসঙ্গে বলেছেন “এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে”।

অর্থাৎ, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশের কথা জানিয়েছেন মি. কাদের।

ঢাকায় গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভি সম্পূর্ণরুপে পুড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে”।

তিনি জানান, বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা দেশের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগনের জান-মাল রক্ষায় সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেন।

এছাড়াও এই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল বর্তমান সংকট উত্তরণে দেশবাসির সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

কোটা আন্দোলনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ জন

 গতকাল ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল শুধু ঢাকাতেই ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ৮ জন চট্টগ্রাম, নরসিংদী, মাদারীপুর, সিলেট, রংপুর ও ঢাকার সাভারে নিহত হয়েছেন। গতকাল আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার।

তথ্য সূত্রঃ প্রথম আলো 

Popular Posts