Recent post

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

কাশি হলে কি করবেন


সাধারণ ফ্লু, সর্দি–জ্বর, বায়ুদূষণ, অ্যালার্জি, অ্যাজমার কারণে অনেক সময় আমাদের গলা খুসখুস করে, কাশি হয়।
 আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেরে ওঠার পরও দুই–তিন সপ্তাহ পর্যন্ত কাশি রয়ে যাচ্ছে।
 অনেক ক্ষেত্রে শুষ্ক আবহাওয়া ও ধূমপানের কারণেও কাশি হয়। 
কিছু খাদ্যাভ্যাস এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।

মধু: 
কাশি উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধুর জুড়ি নেই। তবে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো একেবারেই উচিত নয়। এবার জেনে নেওয়া যাক মধু খাবেন কীভাবে:

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস আর সামান্য আদার রসের মিশ্রণ প্রতিদিন এক–দুবার খেতে হবে। এ মিশ্রণ কফ ও গলাব্যথা উপশমে সহায়তা করে।

রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত গরম দুধে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

দিনে তিনবার করে ১ টেবিল চামচ করে মধু খেলেও কাশি কমবে।

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চা–চামচ গোলমরিচের গুঁড়া ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেতে পারেন।

বাসক পাতা: 
বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। 
প্রতিদিন সকালে এ পানি খেতে হবে।
 এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাসক পাতার রস খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

তুলসী পাতা: 
তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দু–তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়।

আদা:
 আদা ছোট টুকরা করে তার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ পরপর খেতে পারেন। এ পদ্ধতি কাশি দূর করতে বেশ কার্যকরী। তা ছাড়া আদা–চাও কাশি উপশমে বেশ সহায়ক।

গরম দুধে হলুদের মিশ্রণ: 
গরম দুধে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে খেলে তা কাশি উপশমে বেশ কাজে আসে।

লবঙ্গ: 
লবঙ্গের রস গলায় আরাম দেয়, জীবাণু দূর করে।

মেন্থল ক্যান্ডি: 
মেন্থল দিয়ে তৈরি ক্যান্ডি বা চকলেট কাশির জন্য উপকারী।
এ ছাড়া গার্গল করলেও কাশি ও গলাব্যথা দুই-ই কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা–চামচ লবণ মিশিয়ে ১০–১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। কাশি হলে ঠান্ডা পানির পরিবর্তে গরম পানি পান করার চেষ্টা করুন। গোসলও গরম পানিতে করুন। গরম পানির ভাপওনিতে পারেন।
লেখক: পুষ্টিবিদ

কোন মন্তব্য নেই:

Popular Posts